Ajker Patrika

মধ্যরাতে চবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৪, কক্ষ ভাঙচুর 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
মধ্যরাতে চবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৪, কক্ষ ভাঙচুর 

আবাসিক হলের কক্ষ দখলে নেওয়াকে কেন্দ্র করে মধ্যরাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সময় ৪–৫টি কক্ষও ভাঙচুর করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ আবদুর রব হলে শাখা ছাত্রলীগের ‘বাংলার মুখ’ ও ‘একাকার’ নামের দুটি গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শাখা ছাত্রলীগের এই পক্ষ দুটি সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, শহীদ আবদুর রব হলের ১১৯ নম্বর কক্ষের দখল নিয়ে একাকার ও বাংলার মুখ পক্ষের মধ্যে আগে থেকেই দ্বন্দ্ব চলছিল। সর্বশেষ রাতে দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা ও উত্তেজনা শুরু হয়। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

এ ঘটনায় আহত হয়ে অন্তত ১৪ জন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। রেজিস্ট্রি খাতায় তাদের নাম উল্লেখ রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। তবে ওই সময় দায়িত্বরত চিকিৎসক মোস্তফা কামাল হোসেনকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি। একপর্যায়ে তিনি মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেন।

বাংলার মুখ গ্রুপের গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আবু বকর তোহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একাকার গ্রুপ বহিরাগত ছেলে এনে রব হলের গেস্টরুমে বৈঠক করছিল। আমাদের জুনিয়ররা তাদের ব্যাগে ইট পাটকেল আছে বলে সন্দেহ করে। এ সময় আমি এটা শুনে একাকারের নেতা মইনুলকে কল দিয়ে বৈঠক শেষে দেখা করতে বলি। কিন্তু সে বৈঠক শেষ করে দেখা না করে একা বের হয়ে যায়। এরপরই তার জুনিয়ররা আমাদের ১১৯ নম্বর কক্ষে তাণ্ডব চালায়। এ ছাড়া আরও ৪–৫টি কক্ষ ভাঙচুর করে। জুনিয়রদের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পরে আমরা তা প্রতিহত করি।’

এদিকে একাকার গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মইনুল ইসলাম রাসেল বলেন, ‘১১৯ নম্বর কক্ষ আমাদের। কিন্তু তারা (বাংলার মুখ গ্রুপ) দাবি করে সেটাতে তারা সিট পাবে। কিন্তু কিছু দেখাতে পারেন না। এটা নিয়ে আগে থেকে ঝামেলা ছিল। গতকাল আমাদের মিটিং ছিল, মিটিং শেষ করে আমরা চলে আসছি। পরে বাংলার মুখ গ্রুপের কর্মীরা আমাদের কর্মীদের উসকানিমূলক কথা বলে। সেটা থেকে কথাকাটাকাটি এবং একপর্যায়ে মারামারি হয়। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়। এ বিষয়ে শনিবার সুরাহা হবে। আমাদের কর্মীদের বলেছি আর কোনো ঝামেলাতে না জড়াতে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শহীদ আবদুর রব হলের প্রভোস্ট ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যেরা পুলিশসহ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ ঘটনায় ৩-৪ জন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। আমরা একটা তদন্ত কমিটি করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনাল চালুতে বাধা, রাজস্ব ভাগাভাগি নিয়ে টানাপোড়েন

বৈপ্লবিক পরিবর্তন করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে

ব্যাংকের চাকরি যায় জাল সনদে, একই নথি দিয়ে বাগালেন স্কুল সভাপতির পদ

ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ নিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছে এবি ব্যাংক

১ লাখ ৮২২ শিক্ষক নিয়োগ: যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা চলতি সপ্তাহে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত