Ajker Patrika

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধের ২০-২৫টি স্থানে ভাঙন

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২২, ১২: ১৩
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধের ২০-২৫টি স্থানে ভাঙন

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ১৪২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের ২০-২৫টি অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত সোমবার সারা দিনের বৃষ্টিতে জোয়ারের পানি বেড়ে বেড়িবাঁধে এই ভাঙন দেখা দেয়।

সব মিলিয়ে প্রায় ১২ কিলোমিটার অংশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া বেড়িবাঁধ ভেঙে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করে ফসলি জমি ও মাছের ঘেরের ক্ষতি হয়েছে। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত অংশের তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশের সংস্কারকাজ শুরু করা হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৪২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ১৩২ কিলোমিটার অরক্ষিত। ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় বেড়িবাঁধের ২০-২৫টি অংশ ভেঙে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

উপজেলার ছনুয়া এলাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নবনির্মিত মাওলানা আশরাফ আলী সড়ক ভেঙে গেছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, বাঁশখালীতে ১৪২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় রয়েছে ৩৬ কিলোমিটার । এ ছাড়া সাঙ্গু খাল, জলকদর খাল, ছনুয়া খাল, শেখেরখিল খাল এলাকায় রয়েছে ১০৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। উপকূলীয় এলাকার ৩৬ কিলোমিটার বাঁধের ১২.৯ কিলোমিটার অংশে স্থায়ী সিসি ব্লক বসানো হয়েছে। তবে এখনো বাঁধের প্রায় ২৩ কিলোমিটার অরক্ষিত রয়েছে।

এর মধ্যে বাঁধের ছনুয়া ইউনিয়নে প্রায় ৪ কিলোমিটার, শেখেরখিল ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় ১.৫ কিলোমিটার, গন্ডামারা ইউনিয়নে ৩ কিলোমিটার, সাধনপুর ইউনিয়নে ১.৫ কিলোমিটার, চাম্বল ইউনিয়নে ০.৬৫ কিলোমিটার, সরল ইউনিয়নে ০.৫০ কিলোমিটার, খানখানাবাদ ইউনিয়নে ১ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় ও জোয়ারে লোনাপানি প্রবেশের কারণে বিভিন্ন এলাকার ফসলি জমি ও মাছের ঘেরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী প্রকাশন চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিত্রাংয়ের পরে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শন করে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত অংশের তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশের সংস্কারকাজ শুরু করা হবে। 

এ নিয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে ছনুয়ায় ৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত আশরাফ আলী সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে এলজিইডির নির্মিত সড়ক ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ভেঙে গেছে। ইতিমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত