সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় পাহাড় কেটে প্লট বানিয়ে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে একটি প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া নির্মাণ করা হচ্ছে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা। প্রশাসন জানায়, পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় লোকজন জানান, গত বছর প্রভাবশালী চক্র পাহাড় কেটে সমতলভূমিতে পরিণত করে। সেখানে দেওয়াল নির্মাণের পাশাপাশি প্লট বানিয়ে বিক্রি করা হয়েছে। ওই সময় উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথ অভিযান চালিয়ে পাহাড় কাটা বন্ধ করে। এর পাশাপাশি উচ্ছেদ করা হয় অবৈধ স্থাপনা। এ ছাড়া পাহাড় কাটায় জড়িত চক্রের ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পরিবেশ অধিদপ্তর। গত বছর অভিযানের পরে পাহাড় কাটা ও ঘর নির্মাণ বন্ধ হলেও আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে চক্রটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুরে গিয়ে জানা গেছে, ছিন্নমূল ১ নম্বর সমাজ অন্ধ কল্যাণ সমিতির জায়গার পাশে পাহাড় কেটে ঘর নির্মাণ করছেন আব্দুল হক নামের এক ব্যক্তি। ইতিমধ্যে পাহাড়ের কাটা স্থানে চলছে দেওয়াল নির্মাণের কাজ।
পাহাড় কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল হক বলেন, ‘পাহাড়টি খাস শ্রেণিভুক্ত জায়গায়। এসব পাহাড় সরকারদলীয় স্থানীয় লোকেরা দখল করে বেচাবিক্রি করে থাকে। অধিকাংশ বহিরাগত মানুষ পাহাড়ের দখল কিনে ঘরবাড়ি করছেন। আমিও দখল কিনে ঘর করেছি। এখন ঘরগুলো সংস্কার ও বাড়ানোর জন্য পাহাড়ের কিছু অংশ কাটা হয়েছে। এতে সমস্যা হওয়ার কিছু নেই।’
জঙ্গল সলিমপুরের পাহাড়ি এলাকায় ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার ঠিকাদারির কাজ করছেন ফারুক ও হাসান মিস্ত্রি নামের দুই ব্যক্তি। এ বিষয়ে হাসান মিস্ত্রি বলেন, ‘পাহাড় কাটার পর আমরা চুক্তিভিত্তিক ঘর তৈরি করে দেই। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা পাহাড় কাটছেন। এতে আমাদের করার কিছু নাই। প্রশাসন সব জানে।’
সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আরিফুল আলম বলেন, ‘স্থানীয় প্রভাবশালী চক্রকে ম্যানেজ করতে পারলেই সহজেই মেলে পাহাড়ি এলাকায় সরকারি খাস প্লট। তারা প্রতি প্লট ৮-১০ লাখ টাকায় বিক্রি করেন।’
সলিমপুর ইউপির চেয়ারম্যান সালা উদ্দিন আজিজ বলেন, ‘পাহাড় কাটার বিষয় জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) জানাই। তাঁদের নির্দেশনা অনুযায়ী বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গতকাল বিকেলে আমি ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় পাহাড় কাটার সত্যতা পাই।’ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় পাহাড় কাটা বন্ধ করতে বললে প্রভাবশালী চক্রের রোষানলে পড়েন বলে দাবি করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান।
ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘জঙ্গল সলিমপুরের ২ ও ৩ নম্বর সমাজ এলাকায় খাদিজাতুল কোবরা মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের অনুমোদনের তোয়াক্কা না করে পাহাড় কেটে সমতলভূমিতে পরিণত করেছে। আর সেখানে ভবন নির্মাণ করছে। এভাবে পাহাড় কাটা অব্যাহত থাকলে পরিবেশের চরম বিপর্যয় হবে।’
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জঙ্গল সলিমপুর এলাকাটি সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের অভয়ারণ্য। কয়েকজন প্রভাবশালী পাহাড়খেকো পাহাড় কাটছে বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। পাহাড় কাটা বন্ধে জঙ্গল সলিমপুরে অভিযান চালানো হবে।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় পাহাড় কেটে প্লট বানিয়ে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে একটি প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া নির্মাণ করা হচ্ছে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা। প্রশাসন জানায়, পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় লোকজন জানান, গত বছর প্রভাবশালী চক্র পাহাড় কেটে সমতলভূমিতে পরিণত করে। সেখানে দেওয়াল নির্মাণের পাশাপাশি প্লট বানিয়ে বিক্রি করা হয়েছে। ওই সময় উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথ অভিযান চালিয়ে পাহাড় কাটা বন্ধ করে। এর পাশাপাশি উচ্ছেদ করা হয় অবৈধ স্থাপনা। এ ছাড়া পাহাড় কাটায় জড়িত চক্রের ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পরিবেশ অধিদপ্তর। গত বছর অভিযানের পরে পাহাড় কাটা ও ঘর নির্মাণ বন্ধ হলেও আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে চক্রটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুরে গিয়ে জানা গেছে, ছিন্নমূল ১ নম্বর সমাজ অন্ধ কল্যাণ সমিতির জায়গার পাশে পাহাড় কেটে ঘর নির্মাণ করছেন আব্দুল হক নামের এক ব্যক্তি। ইতিমধ্যে পাহাড়ের কাটা স্থানে চলছে দেওয়াল নির্মাণের কাজ।
পাহাড় কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল হক বলেন, ‘পাহাড়টি খাস শ্রেণিভুক্ত জায়গায়। এসব পাহাড় সরকারদলীয় স্থানীয় লোকেরা দখল করে বেচাবিক্রি করে থাকে। অধিকাংশ বহিরাগত মানুষ পাহাড়ের দখল কিনে ঘরবাড়ি করছেন। আমিও দখল কিনে ঘর করেছি। এখন ঘরগুলো সংস্কার ও বাড়ানোর জন্য পাহাড়ের কিছু অংশ কাটা হয়েছে। এতে সমস্যা হওয়ার কিছু নেই।’
জঙ্গল সলিমপুরের পাহাড়ি এলাকায় ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার ঠিকাদারির কাজ করছেন ফারুক ও হাসান মিস্ত্রি নামের দুই ব্যক্তি। এ বিষয়ে হাসান মিস্ত্রি বলেন, ‘পাহাড় কাটার পর আমরা চুক্তিভিত্তিক ঘর তৈরি করে দেই। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা পাহাড় কাটছেন। এতে আমাদের করার কিছু নাই। প্রশাসন সব জানে।’
সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আরিফুল আলম বলেন, ‘স্থানীয় প্রভাবশালী চক্রকে ম্যানেজ করতে পারলেই সহজেই মেলে পাহাড়ি এলাকায় সরকারি খাস প্লট। তারা প্রতি প্লট ৮-১০ লাখ টাকায় বিক্রি করেন।’
সলিমপুর ইউপির চেয়ারম্যান সালা উদ্দিন আজিজ বলেন, ‘পাহাড় কাটার বিষয় জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) জানাই। তাঁদের নির্দেশনা অনুযায়ী বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গতকাল বিকেলে আমি ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় পাহাড় কাটার সত্যতা পাই।’ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় পাহাড় কাটা বন্ধ করতে বললে প্রভাবশালী চক্রের রোষানলে পড়েন বলে দাবি করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান।
ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘জঙ্গল সলিমপুরের ২ ও ৩ নম্বর সমাজ এলাকায় খাদিজাতুল কোবরা মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের অনুমোদনের তোয়াক্কা না করে পাহাড় কেটে সমতলভূমিতে পরিণত করেছে। আর সেখানে ভবন নির্মাণ করছে। এভাবে পাহাড় কাটা অব্যাহত থাকলে পরিবেশের চরম বিপর্যয় হবে।’
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জঙ্গল সলিমপুর এলাকাটি সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের অভয়ারণ্য। কয়েকজন প্রভাবশালী পাহাড়খেকো পাহাড় কাটছে বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। পাহাড় কাটা বন্ধে জঙ্গল সলিমপুরে অভিযান চালানো হবে।’
রাজধানীর আদাবরে একটি স্টাফ বাসে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগের চেষ্টাকালে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) ভোর ৪টার দিকে আদাবর থানাধীন সুনিবিড় হাউজিং নবদিগন্ত আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন বেড়িবাঁধ সড়কে একটি স্টাফ বাসে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগের চেষ্টাকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৬ মিনিট আগেফেনী পুলিশ লাইনসে সহকর্মীর বঁটির কোপে মো. রহমত আলী (৫৪) নামের বিশেষ আনসারের এক সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরেক আনসার সদস্য আলী মনোয়ার হোসেনকে (৫৫) আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১টার দিকে পুলিশ লাইনসের মেসে এ ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগেচট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের বিরুদ্ধে নিজ ক্ষমতার বাইরে গিয়ে এবং সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে সরকারি খাস জায়গা পাঁচ বছরের জন্য বন্দোবস্ত দিয়েছেন। ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে একটি অস্থায়ী ভাড়ানামা চুক্তিপত্র সম্পাদনের মাধ্যমে সরকারি এই জায়গা দেওয়া হয়েছে।
২৭ মিনিট আগেযশোরে সাম্প্রতিক সময়ে খুনাখুনির পাশাপাশি চুরি-ছিনতাই বেড়ে গেছে। এমনকি প্রকাশ্যে দিনদুপুরে ঘটছে খুনের ঘটনা। সর্বশেষ এক দিনের ব্যবধানে দুটি হত্যাকাণ্ড ঘটে গেছে। এ নিয়ে গত মে থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ মাসে ২৩ জন হত্যার শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া রাত নামলেই ছিনতাই ও চুরি হচ্ছে অহরহ।
১ ঘণ্টা আগে