রাঙামাটি প্রতিনিধি
একসময় মে-জুলাইয়ে কাপ্তাই হ্রদ পানিতে পরিপূর্ণ থাকত। বাঁধের ওপর পানির চাপ থাকত। চাপ কমাতে পানি ছাড়তে হতো কাপ্তাই বাঁধ দিয়ে। কিন্তু সে কথা এখন যেন আষাঢ়ে গল্প। বর্ষা শেষের পথে কিন্তু পানি নেই কাপ্তাই হ্রদে।
স্থানীয়রা বলছেন, আগের মতো বৃষ্টি নেই। ফলে হ্রদে পানি হচ্ছে না। পানি না হওয়ায় নৌ-পথে যোগাযোগ চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। জুরাছড়ি, বাঘাইছড়ি, বিলাইছড়ি নৌ-পথ এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরেনি। এমন অবস্থায় দুর্ভোগ লেগে আছে।
কাপ্তাই হ্রদে পানি না হওয়ায় শুধু যোগাযোগের দুর্ভোগ হচ্ছে না, বাণিজ্যিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ী শফিউল আজম বলেন, কাপ্তাই হ্রদের ওপর রাঙামাটিবাসীর জীবন-জীবিকা, কিন্তু সেটা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। কাপ্তাই হ্রদের সমস্যাটি শুধু রাঙামাটির সমস্যা নয়। এটিকে বাঁচানোর জন্য সরকারকে এখনই পরিকল্পনা গ্রহণ জরুরি। না হলে এখানকার মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে।
রাঙামাটির ১০ উপজেলার মধ্যে অধিকাংশ মানুষ কাপ্তাই হ্রদের ওপর নির্ভরশীল। এর ওপর নির্ভর করে বিদ্যুৎ উৎপাদন, মানুষের জীবিকা, ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, কৃষির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো। কিন্তু হ্রদে পানি না হওয়ায় সব স্তরে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। কমে গেছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। ২৪০ মেগাওয়াটের পরিবর্তে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ২৫-৩৫ মেগাওয়াট।
রাঙামাটির সঙ্গে বরকল, লংগদু, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি উপজেলার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম নৌপথ। পানি না হওয়া সে পথে যাতায়াত ব্যাহত হচ্ছে।
রাঙামাটি লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মঈন উদ্দিন সেলিম বলেন, কাপ্তাই হ্রদের এমন খারাপ অবস্থা চোখে পড়া শুরু হয় ২০১৭ সালে রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের পর। এখনো বড় লঞ্চ চলাচল করতে পারছে না। ব্যবসা-বাণিজ্য করতে অসুবিধা হচ্ছে। দুর্গম এলাকা থেকে পণ্য বাজারজাত করা যাচ্ছে না।
১৯৬০ সালে কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দিয়ে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হলে সৃষ্টি হয় কাপ্তাই হ্রদ। এ হ্রদ হয়ে ওঠে রাঙামাটির দুর্গম উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। হ্রদ সৃষ্টির পর এর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে সরকারি কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, নির্বিচারে বন উজাড় ও পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামজুড়ে অপরিকল্পিত সেগুন বাগানের কারণে হ্রদে এমন অবস্থা হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরের পানির উৎসগুলো সব নষ্ট হয়ে গেছে, ফলে হ্রদের পানি জমতে পারছে না।
একসময় মে-জুলাইয়ে কাপ্তাই হ্রদ পানিতে পরিপূর্ণ থাকত। বাঁধের ওপর পানির চাপ থাকত। চাপ কমাতে পানি ছাড়তে হতো কাপ্তাই বাঁধ দিয়ে। কিন্তু সে কথা এখন যেন আষাঢ়ে গল্প। বর্ষা শেষের পথে কিন্তু পানি নেই কাপ্তাই হ্রদে।
স্থানীয়রা বলছেন, আগের মতো বৃষ্টি নেই। ফলে হ্রদে পানি হচ্ছে না। পানি না হওয়ায় নৌ-পথে যোগাযোগ চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। জুরাছড়ি, বাঘাইছড়ি, বিলাইছড়ি নৌ-পথ এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরেনি। এমন অবস্থায় দুর্ভোগ লেগে আছে।
কাপ্তাই হ্রদে পানি না হওয়ায় শুধু যোগাযোগের দুর্ভোগ হচ্ছে না, বাণিজ্যিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ী শফিউল আজম বলেন, কাপ্তাই হ্রদের ওপর রাঙামাটিবাসীর জীবন-জীবিকা, কিন্তু সেটা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। কাপ্তাই হ্রদের সমস্যাটি শুধু রাঙামাটির সমস্যা নয়। এটিকে বাঁচানোর জন্য সরকারকে এখনই পরিকল্পনা গ্রহণ জরুরি। না হলে এখানকার মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে।
রাঙামাটির ১০ উপজেলার মধ্যে অধিকাংশ মানুষ কাপ্তাই হ্রদের ওপর নির্ভরশীল। এর ওপর নির্ভর করে বিদ্যুৎ উৎপাদন, মানুষের জীবিকা, ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, কৃষির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো। কিন্তু হ্রদে পানি না হওয়ায় সব স্তরে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। কমে গেছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। ২৪০ মেগাওয়াটের পরিবর্তে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ২৫-৩৫ মেগাওয়াট।
রাঙামাটির সঙ্গে বরকল, লংগদু, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি উপজেলার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম নৌপথ। পানি না হওয়া সে পথে যাতায়াত ব্যাহত হচ্ছে।
রাঙামাটি লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মঈন উদ্দিন সেলিম বলেন, কাপ্তাই হ্রদের এমন খারাপ অবস্থা চোখে পড়া শুরু হয় ২০১৭ সালে রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের পর। এখনো বড় লঞ্চ চলাচল করতে পারছে না। ব্যবসা-বাণিজ্য করতে অসুবিধা হচ্ছে। দুর্গম এলাকা থেকে পণ্য বাজারজাত করা যাচ্ছে না।
১৯৬০ সালে কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দিয়ে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হলে সৃষ্টি হয় কাপ্তাই হ্রদ। এ হ্রদ হয়ে ওঠে রাঙামাটির দুর্গম উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। হ্রদ সৃষ্টির পর এর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে সরকারি কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, নির্বিচারে বন উজাড় ও পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামজুড়ে অপরিকল্পিত সেগুন বাগানের কারণে হ্রদে এমন অবস্থা হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরের পানির উৎসগুলো সব নষ্ট হয়ে গেছে, ফলে হ্রদের পানি জমতে পারছে না।
শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ দিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি হয়েছিলেন রাজশাহীর বাঘা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তফিকুল ইসলাম ওরফে তফি। পরে শিক্ষা বোর্ডের তদন্তে তাঁর জাল সনদের বিষয়টি ধরা পড়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর সভাপতির পদ বাতিল করতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে চিঠি দিয়েছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ...
১ মিনিট আগেআদালত পরিদর্শক বলেন, শাহজালাল তাঁর জবানবন্দিতে তুহিন হত্যাকাণ্ডে নিজে জড়িত ছিলেন এবং অন্য কে কে জড়িত, সেসব বিষয় উল্লেখ করে বক্তব্য দিয়েছেন। তবে অন্য আসামিরা স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হননি। তা ছাড়া পুলিশও তাঁদের আর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করেনি। এ কারণে আদালত সব আসামিকে কারাগারে পাঠানোর...
৯ মিনিট আগেবরগুনার পাথরঘাটায় স্কুলে কোচিং শেষে নিজের ক্লাসে যায় ছাত্রীরা। এ সময় একজন পানির বোতল থেকে পানি পান করে। পানিতে দুর্গন্ধ পেয়ে সে বিষয়টি সহপাঠীদের জানায়। এরপর আরও চার ছাত্রী ওই পানি খেয়ে অসুস্থবোধ করতে থাকে।
৯ মিনিট আগেবান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারের তমব্রু রাইট ক্যাম্প এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঘুমধুমের তমব্রু সীমান্তে বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সতর্ক পাহারায় রয়েছে।
১৫ মিনিট আগে