Ajker Patrika

চবি ১০ কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রেজিস্ট্রারকে চিঠি

চবি প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২২, ১৭: ৩৭
চবি ১০ কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রেজিস্ট্রারকে চিঠি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ১০ কর্মচারীর বিরুদ্ধে অশালীন আচরণ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সহউপাচার্যের জীবনের নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন উল্লেখ করে অভিযুক্ত কর্মচারীদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।

গতকাল বুধবার সহউপাচার্য দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার মোহা. আবদুল জাব্বারের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে ১০ জন কর্মচারীর নাম ও পদবি উল্লেখ করে রেজিস্ট্রারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা অভিযুক্ত ১০ কর্মচারী হলেন, রেজিস্ট্রার অফিসের জেনারেল শাখার ঊর্ধ্বতন সহকারী ওসমান গনি, খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ শাখার ঊর্ধ্বতন সহকারী হাবিবুল বাশার শান্ত, গ্রন্থাগার দপ্তরের উচ্চমান সহকারী ইব্রাহিম খলিল, জীব বিজ্ঞান অনুষদের ঊর্ধ্বতন সহকারী আরমান হেলালী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসের কম্পোজিটর গ্রেড-২ আলাউদ্দিন আলম, গ্রন্থাগার দপ্তরের বিলিওগ্রাফী কাজী তানজীম হোসেন, প্রেসের কম্পোজিটর গ্রেড-১ মুস্তাফিজুর রহমান সিতাপ, ফার্মেসি বিভাগের ঊর্ধ্বতন সহকারী সুকান্ত রুদ্র, মেডিকেল সেন্টারের উচ্চমান সহকারী তৌহিদুল ইসলাম জিমেল ও বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরের উচ্চমান সহকারী সাখাওয়াত হোসেন রায়হান।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপউপাচার্য দপ্তর একটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর। এ দপ্তর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক ও একাডেমিক সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন করা হয়। উপউপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের একজন সদস্য হন। গত ১৪ তারিখে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৯ তম সিন্ডিকেট সভার ১০৫ নম্বর সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানার অজুহাতে উপউপাচার্যের দপ্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত তৃতীয় শ্রেণিভুক্ত কর্মচারীরা অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করে অশালীন আচরণ, বিশ্রী অঙ্গ ভঙ্গি প্রদর্শন পূর্বক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করেন।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এতে উপউপাচার্যের জীবনের নিরাপত্তা ও সহউপাচার্য দপ্তরের শৃঙ্খলা হুমকির সম্মুখীন হয়। সহউপাচার্য দপ্তরের সিসিটিভি ক্যামেরায় যাবতীয় তথ্যাদি সংরক্ষিত রয়েছে। চবি সিন্ডিকেটের ৫৩৭ তম সভার পরেও অভিযুক্ত কর্মচারীরা এমন আচরণ করেছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহউপাচার্য দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার মোহা. আবদুল জাব্বার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সহউপাচার্য আমাকে চিঠি পাঠাতে বলেছে, আমি পাঠিয়েছি। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’

তবে চিঠি পাঠানোর কথা স্বীকার করলেও চিঠি এই প্রতিবেদকের হাতে কীভাবে আসল তা জানতে চান সহউপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটা সিন্ডিকেটে যাবে। সিন্ডিকেটে যাওয়ার আগে তোমার কাছে কীভাবে গেল তা জানতে চাচ্ছি।’ একপর্যায়ে তিনি প্রতিবেদকের সোর্স জানতে চাপ সৃষ্টি করেন।

অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে অন্যতম অভিযুক্ত কাজী তানজিম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের একটা দাবি ছিল। গত ৩৩৭ তম সিন্ডিকেটের ১৩০ নম্বর সিদ্ধান্তে ওই দাবিটা পাস হয়েছে। সেটা ছিল অনার্স ও মাস্টার্স পাস করে যারা চাকরিতে যোগদান করেছে তাঁদের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন সহকারী থেকে অফিসার হওয়ার ক্ষেত্রে চার বছর থেকে তিন বছর, এক বছর মেয়াদি সুবিধা দেওয়ার বিষয় ছিল। গত সিন্ডিকেটে এটা কনফার্ম করার কথা ছিল। আমরা শুনেছি এখানে কেউ বিরোধিতা করেছে। আমরা এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম। এর বাইরে কোনো কিছুই হয়নি। ওনার সাথে কেউ কোনো খারাপ ব্যবহার করেনি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি চিঠি পেয়েছি। যথাযথভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত