Ajker Patrika

রিমান্ড শেষে আদালতে বাবুল আক্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
রিমান্ড শেষে আদালতে বাবুল আক্তার

চট্টগ্রাম: পাঁচ বছর আগে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে পাঁচ দিন রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালত এলাকায় আনা হয়েছে। সকাল ১১ টার দিকে তাঁকে আদালতে এনে অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনারের (প্রসিকিউশন) কক্ষে বসিয়ে রাখা হয়। কিন্তু পুলিশের কেউই এ ব্যাপারে মুখ খুলছে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক সহকারী কমিশনার আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাবুল আক্তার আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি দিতে পারেন। তিনি জবানবন্দি দিতে এখনও পুরোপুরি রাজি হননি। জবানবন্দি না দিলে আবারও তাঁর রিমান্ড চাওয়া হতে পারে।

গত বুধবার দুপুরে বাবুল আক্তারের শ্বশুর ও মাহমুদা খাতুন মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে বাবুল আক্তারসহ আট জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর বিকেলে তাঁকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

এদিকে ২০১৬ সালের ৫ জুন বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় সব অভিযুক্তদের অব্যাহতি দিয়ে বুধবার দুপুরে সিএমএম আদালতে ৫৭৫ পাতার ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করেছেন পিআইবি।

প্রসঙ্গত ২০১৬ সালের ৫ জুন সকাল সোয়া ৭ টায় চট্টগ্রাম মহানগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মটরসাইকেলে করে তিন দুর্বৃত্ত মিতুকে ঘিরে ধরে গুলি করে ও কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর মটরসাইকেলযোগে তাঁরা পালিয়ে যায়। ওই সময় মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। তাঁর আগে তিনি চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন। হত্যাকান্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন বাবুল আক্তার। মামলাটি চট্টগ্রামের নগর গোয়েন্দা পুলিশের হাত ঘুরে বর্তমানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) বুধবার ১২ মে ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত