শিপ্ত বড়ুয়া, রামু (কক্সবাজার)
কক্সবাজারের রামুর বাঁকখালী নদী থেকে দিন-রাত চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন। দুটি অবৈধ ড্রেজিং ও শ্যালোমেশিন বসিয়ে নদীর তলদেশ থেকে শর্ত ভেঙে বালু তুলছেন ইজারাদারেরা। দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার রাজারকুল গ্রামের বাসিন্দাদের চোখের সামনেই এভাবে বালু উত্তোলন করা হলেও এ বিষয়ে ভয়ে কেউ মুখ খুলছেন না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রামের একজন সরকারি কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, যাঁরা বালু তুলছেন, তাঁরা প্রভাবশালী। তাঁদের বিরুদ্ধে কিছু বললে নানা ঝামেলা। তাই ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করেন না।
বাঁকখালী নদীর বালুমহালের ইজারাদার নুরুল আলমের ব্যবসায়িক সহযোগী মো. হারুন উর রশিদ সুমনকে অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি মোবাইল ফোনে বলেন, নুরুল আলমের সঙ্গে যৌথভাবে এ বছর রাজারকুল বালুমহাল ইজারা নিয়েছেন।
আইনবহির্ভূতভাবে অবৈধ ড্রেজিং মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বছর ইজারা নিয়েছি প্রায় ৪৬ লাখ টাকা খরচ করে। এর মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে প্রায় ৩১ লাখ টাকা। বাকি প্রায় ১৫ লাখ টাকা স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা, প্রশাসনসহ অন্যদের দিতে হয়েছে।’
‘ব্যবসা করতে গেলে সবাইকে ম্যানেজ করে করতে হয়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বালুচরে যে বালু আছে শুধু সেগুলোর আশা করলে অনেক টাকা লোকসান হবে।’
তাঁর দাবি, ‘অডিট টিম নিয়মিত এগুলো তদারকি করছে।’
যদিও তাঁর দেওয়া তথ্যমতে, ৩১ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার প্রমাণ মেলেনি। জেলা প্রশাসনের সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কক্সবাজার জেলার ১২টি বালুমহালের তথ্যসংবলিত নোটিশ পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১৪২৮ বঙ্গাব্দের ৩১ চৈত্র পর্যন্ত বাঁকখালী বালুমহালের ইজারা নিয়েছেন নুরুল আলম নামে সুমনের ব্যবসায়িক সহযোগী। এর ইজারামূল্য লেখা আছে ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এভাবে অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে বাঁকখালী নদীতে নানা দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। পূর্ব রাজারকুল গ্রামের ঝিন্টু বড়ুয়ার ১০ বছর বয়সী ছেলে ২০১৫ সালে নদীর পাড় ধরে হেঁটে যেতে পড়ে যান ড্রেজিংয়ে তোলা বালুর অথই গর্তে। পরে মৃত্যু হয় তার। তা ছাড়া বাঁকখালীর রাজুর ঘাট পার হওয়ার সময় বহু মানুষ দুর্ঘটনায় পড়েছেন।
বালু তোলার কারণে পূর্ব রাজারকুল বড়ুয়াপাড়া দফায় দফায় পড়েছে নদীভাঙনের মুখে। নদীভাঙনের কারণে নিঃস্ব হয়েছে একাধিক পরিবার। গ্রামছাড়া হয়েছেন অনেকে। নদীভাঙনের শিকার অ্যাডভোকেট শিরূপণ বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রায় ৩০টির অধিক ঘর ও একমাত্র বৌদ্ধমন্দির চোখের সামনেই ভেঙে যেতে দেখেছি। ঘর ভাঙলে কী নিদারুণ কষ্ট মানুষের, তা বলে বোঝানো যাবে না। দেখলাম বর্তমানে আবারও শ্যালোমেশিন বসিয়ে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।’ তিনি ওই এলাকা আবারও ভাঙনের কবলে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
১৯৯৭-৯৮ সালের দিকে নদীভাঙনের পর পাড়ে পাথর আর সিমেন্টের জমানো ব্লক দেওয়া হয়েছিল। গত কয়েক বছরের ড্রেজিং ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে ইতিমধ্যেই অনেকগুলো ব্লক সরে গেছে।
রাজারকুল গ্রামের তীরবর্তী এক বাসিন্দা জানান, এসব কারণে তাঁদের গ্রামের প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার ঝুঁকিতে আছে। চলতি বর্ষায় আবারও তাঁদের ভাঙনের কবলে পড়তে হতে পারে।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০–এর ৪ ও ৫ ধারা অনুযায়ী ড্রেজিং মেশিনের মাধ্যমে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলনকে অবৈধ হিসেবে উল্লেখ করা আছে। তা ছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে এই আইনের অধীন অপরাধ আমলে নেওয়ার ক্ষমতা ওই আইনে দেখা যায়।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে বলেন, ‘কে বা কারা বালু উত্তোলন করছেন, জানি না। ইজারাদারদের নিয়মমাফিকই চলতে হবে, ওখানে কোনো ধরনের যদি ড্রেজিং মেশিন বসে থাকে তাহলে ওয়ার্নিং দিচ্ছি, এর পরে আর যাতে না বসায়। ইজারার নীতিমালায় বলাই আছে, কোনো ধরনের ড্রেজিং মেশিন বসানো যাবে না।’
কক্সবাজারের রামুর বাঁকখালী নদী থেকে দিন-রাত চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন। দুটি অবৈধ ড্রেজিং ও শ্যালোমেশিন বসিয়ে নদীর তলদেশ থেকে শর্ত ভেঙে বালু তুলছেন ইজারাদারেরা। দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার রাজারকুল গ্রামের বাসিন্দাদের চোখের সামনেই এভাবে বালু উত্তোলন করা হলেও এ বিষয়ে ভয়ে কেউ মুখ খুলছেন না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রামের একজন সরকারি কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, যাঁরা বালু তুলছেন, তাঁরা প্রভাবশালী। তাঁদের বিরুদ্ধে কিছু বললে নানা ঝামেলা। তাই ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করেন না।
বাঁকখালী নদীর বালুমহালের ইজারাদার নুরুল আলমের ব্যবসায়িক সহযোগী মো. হারুন উর রশিদ সুমনকে অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি মোবাইল ফোনে বলেন, নুরুল আলমের সঙ্গে যৌথভাবে এ বছর রাজারকুল বালুমহাল ইজারা নিয়েছেন।
আইনবহির্ভূতভাবে অবৈধ ড্রেজিং মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বছর ইজারা নিয়েছি প্রায় ৪৬ লাখ টাকা খরচ করে। এর মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে প্রায় ৩১ লাখ টাকা। বাকি প্রায় ১৫ লাখ টাকা স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা, প্রশাসনসহ অন্যদের দিতে হয়েছে।’
‘ব্যবসা করতে গেলে সবাইকে ম্যানেজ করে করতে হয়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বালুচরে যে বালু আছে শুধু সেগুলোর আশা করলে অনেক টাকা লোকসান হবে।’
তাঁর দাবি, ‘অডিট টিম নিয়মিত এগুলো তদারকি করছে।’
যদিও তাঁর দেওয়া তথ্যমতে, ৩১ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার প্রমাণ মেলেনি। জেলা প্রশাসনের সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কক্সবাজার জেলার ১২টি বালুমহালের তথ্যসংবলিত নোটিশ পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১৪২৮ বঙ্গাব্দের ৩১ চৈত্র পর্যন্ত বাঁকখালী বালুমহালের ইজারা নিয়েছেন নুরুল আলম নামে সুমনের ব্যবসায়িক সহযোগী। এর ইজারামূল্য লেখা আছে ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এভাবে অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে বাঁকখালী নদীতে নানা দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। পূর্ব রাজারকুল গ্রামের ঝিন্টু বড়ুয়ার ১০ বছর বয়সী ছেলে ২০১৫ সালে নদীর পাড় ধরে হেঁটে যেতে পড়ে যান ড্রেজিংয়ে তোলা বালুর অথই গর্তে। পরে মৃত্যু হয় তার। তা ছাড়া বাঁকখালীর রাজুর ঘাট পার হওয়ার সময় বহু মানুষ দুর্ঘটনায় পড়েছেন।
বালু তোলার কারণে পূর্ব রাজারকুল বড়ুয়াপাড়া দফায় দফায় পড়েছে নদীভাঙনের মুখে। নদীভাঙনের কারণে নিঃস্ব হয়েছে একাধিক পরিবার। গ্রামছাড়া হয়েছেন অনেকে। নদীভাঙনের শিকার অ্যাডভোকেট শিরূপণ বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রায় ৩০টির অধিক ঘর ও একমাত্র বৌদ্ধমন্দির চোখের সামনেই ভেঙে যেতে দেখেছি। ঘর ভাঙলে কী নিদারুণ কষ্ট মানুষের, তা বলে বোঝানো যাবে না। দেখলাম বর্তমানে আবারও শ্যালোমেশিন বসিয়ে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।’ তিনি ওই এলাকা আবারও ভাঙনের কবলে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
১৯৯৭-৯৮ সালের দিকে নদীভাঙনের পর পাড়ে পাথর আর সিমেন্টের জমানো ব্লক দেওয়া হয়েছিল। গত কয়েক বছরের ড্রেজিং ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে ইতিমধ্যেই অনেকগুলো ব্লক সরে গেছে।
রাজারকুল গ্রামের তীরবর্তী এক বাসিন্দা জানান, এসব কারণে তাঁদের গ্রামের প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার ঝুঁকিতে আছে। চলতি বর্ষায় আবারও তাঁদের ভাঙনের কবলে পড়তে হতে পারে।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০–এর ৪ ও ৫ ধারা অনুযায়ী ড্রেজিং মেশিনের মাধ্যমে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলনকে অবৈধ হিসেবে উল্লেখ করা আছে। তা ছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে এই আইনের অধীন অপরাধ আমলে নেওয়ার ক্ষমতা ওই আইনে দেখা যায়।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে বলেন, ‘কে বা কারা বালু উত্তোলন করছেন, জানি না। ইজারাদারদের নিয়মমাফিকই চলতে হবে, ওখানে কোনো ধরনের যদি ড্রেজিং মেশিন বসে থাকে তাহলে ওয়ার্নিং দিচ্ছি, এর পরে আর যাতে না বসায়। ইজারার নীতিমালায় বলাই আছে, কোনো ধরনের ড্রেজিং মেশিন বসানো যাবে না।’
শিশুদের কলকাকলিতে মুখর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারি। গ্যালারির দেয়ালজুড়ে সাজানো তাদেরই পছন্দের অনেক ছবি। বইয়ে যে ছবি দেখে পড়া শিখেছে, সেগুলোই ঝুলছিল দেয়ালে। কী নেই সেখানে! নানা নকশায় লেখা বাংলা বর্ণমালা। গাছের ছবি, প্রাণীর ছবি, ফুলের ছবি, পাখির ছবি। বাচ্চারা সেগুলো দেখছে, পরস্পর আলাপ করছে।
৬ ঘণ্টা আগেসংস্কার শুরু হয়েছে রাজশাহী মহানগরীর জামালপুর-চকপাড়া ও হড়গ্রাম এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার বাড়ির সামনের সড়ক। পুরোনো ইট-খোয়া সরিয়ে নতুন উপকরণ দিয়ে করার কথা কাজ। কিন্তু ঠিকাদার সড়ক দুটি খুঁড়ে পাওয়া পুরোনো ইট-খোয়া দিয়েই কাজ করছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করলেও পরিদর্শনেই যাননি
৬ ঘণ্টা আগেবান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদর ইউনিয়নে ভুয়া কাগজপত্রে ভোটার হচ্ছেন রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা ভুয়া নাগরিক সনদ ও ‘রোহিঙ্গা নয়’ মর্মে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৬ ঘণ্টা আগেইতিহাস, ঐতিহ্য আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বাংলাদেশ বেতারের পুরোনো সদর দপ্তর ভবন। রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত এই ভবনের অবস্থা এখন করুণ। বেতারের স্মৃতি-ঐতিহ্যের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। প্রায় পরিত্যক্ত এই ভবন এখন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক বিএসএমএমইউ/পিজি) জন্য কাজ করা আনসার সদস্যদের
৬ ঘণ্টা আগে