সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
‘নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চল সুবর্ণচরে ছিল সুপেয় পানির ভান্ডার। খাল-বিল-ডোবায় ভরপুর ছিল এই জনপদ। কৃষির আঁতুড়ঘর বলা হয় সুবর্ণচরকে। কখনো ভাবিনি যে এখানে একদিন সুপেয় পানির জন্য হাহাকার হবে। সাতসকালে উঠেই পরিবারের সদস্যদের পানির তৃষ্ণা মেটাতে যুদ্ধ করতে হয়। কোথাও একটু খাবার পানি দেখলেই মনে হয় যেন শত সাধনার ফল পেলাম। খুশিতে মন ভরে যায়।’
সুবর্ণচর উপজেলা মিলনায়তনে পানির সংকট নিরসনে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় ক্ষুব্ধ কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন চরবাটা ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল মালেক। গতকাল রোববারের এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় মানুষের কথা শোনেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমিন খান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলমসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এ সময় ভুক্তভোগী বাসিন্দা, কৃষক, এনজিও প্রতিনিধি, পরিবেশবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ এলাকাবাসী জানান, বোরো আবাদে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বেড়ে যাওয়াই এই সংকটের প্রধান কারণ। গত চার-পাঁচ বছর ধরে সুপেয় পানির জন্য হাহাকার চলছে। দিন দিন পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। তাই এ ক্ষেত্রে বিকল্প উৎসের ব্যবস্থা করা না গেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। এখনই সমন্বিত উদ্যোগ না নিলে কৃষি ধ্বংসের পাশাপাশি সুপেয় পানির অভাবে উপকূলের মানুষ এলাকা ছাড়বে।
বক্তারা সুবর্ণচরকে পানি সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা, বিশেষ পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া, পানযোগ্য পানির টেকসই ও স্থায়ী সমাধানসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।
পরিবেশকর্মী ও পরিবেশবিষয়ক সংগঠন চন্দ্রকলির নির্বাহী পরিচালক সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, মাত্র চার-পাঁচ বছর আগেও সুবর্ণচরে এমন চিত্র ছিল না। তখন এলাকায় বোরো চাষ হতো কম। বেশির ভাগ মানুষ রবি শস্য উৎপাদন করত। তাতে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার তেমন ছিল না। এখন কৃষিকাজের জন্য ২৪৫টি সেচপাম্পের অনুমতি থাকলেও অপরিকল্পিতভাবে বসানো হয়েছে আরও ৩ হাজারের বেশি পাম্প। এতে দিন দিন ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ বেড়েছে।
উপকূলীয় পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন নোয়াখালীর সভাপতি আবদুল বারি বাবলু বলেন, একদিকে বোরো ধানে পানি ব্যবহার হচ্ছে, অন্যদিকে উপজেলার অর্ধশত ইটভাটায় পানি যাচ্ছে। ভূগর্ভের পানির সংকট দেখা দিলে ভবিষ্যতে লবণাক্ততা বাড়বে। সুবর্ণচরে পানির উৎস হতে পারে মেঘনার শাখা নদী। এই নদীকে সেচের আওতায় আনা যেতে পারে। দখল হয়ে যাওয়া অসংখ্য খাল–বিল উদ্ধার করতে হবে।
স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার প্রধান নির্বাহী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মেঘনার খাল পুনর্খনন, স্লুসগেট নির্মাণ ও পুকুর-দিঘি খনন করে ভূ-উপরিস্থ পানি সংরক্ষণ করতে হবে। একই সঙ্গে পানির সংকট মোকাবিলায় ধান চাষের বিকল্প ডালজাতীয় শস্য উৎপাদন করার পরামর্শ দেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় স্থানীয় মানুষের কথা শোনার পর সংকট নিরসনে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন কৃষিসচিব এমদাদ উল্লাহ ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান। তাঁরা জানান, দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থার অংশ হিসেবে তাঁরা সুবর্ণচরে এসেছেন। পানির বিকল্প উৎসগুলো তাঁরা সরেজমিনে দেখেছেন। খাল খনন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, মেঘনা নদীকে সেচের আওতায় আনাসহ সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাতে কৃষি টিকে থাকে, সুপেয় পানির অভাবও না হয়।
দুই সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গত শনিবার থেকে গতকাল পর্যন্ত পানি সংকটাপন্ন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। তাঁরা পানির উৎস নদী ও খাল পরিদর্শন এবং এগুলোর দখল হয়ে যাওয়া অংশ উদ্ধারে জোর দেন।
‘নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চল সুবর্ণচরে ছিল সুপেয় পানির ভান্ডার। খাল-বিল-ডোবায় ভরপুর ছিল এই জনপদ। কৃষির আঁতুড়ঘর বলা হয় সুবর্ণচরকে। কখনো ভাবিনি যে এখানে একদিন সুপেয় পানির জন্য হাহাকার হবে। সাতসকালে উঠেই পরিবারের সদস্যদের পানির তৃষ্ণা মেটাতে যুদ্ধ করতে হয়। কোথাও একটু খাবার পানি দেখলেই মনে হয় যেন শত সাধনার ফল পেলাম। খুশিতে মন ভরে যায়।’
সুবর্ণচর উপজেলা মিলনায়তনে পানির সংকট নিরসনে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় ক্ষুব্ধ কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন চরবাটা ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল মালেক। গতকাল রোববারের এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় মানুষের কথা শোনেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমিন খান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলমসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এ সময় ভুক্তভোগী বাসিন্দা, কৃষক, এনজিও প্রতিনিধি, পরিবেশবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ এলাকাবাসী জানান, বোরো আবাদে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বেড়ে যাওয়াই এই সংকটের প্রধান কারণ। গত চার-পাঁচ বছর ধরে সুপেয় পানির জন্য হাহাকার চলছে। দিন দিন পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। তাই এ ক্ষেত্রে বিকল্প উৎসের ব্যবস্থা করা না গেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। এখনই সমন্বিত উদ্যোগ না নিলে কৃষি ধ্বংসের পাশাপাশি সুপেয় পানির অভাবে উপকূলের মানুষ এলাকা ছাড়বে।
বক্তারা সুবর্ণচরকে পানি সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা, বিশেষ পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া, পানযোগ্য পানির টেকসই ও স্থায়ী সমাধানসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।
পরিবেশকর্মী ও পরিবেশবিষয়ক সংগঠন চন্দ্রকলির নির্বাহী পরিচালক সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, মাত্র চার-পাঁচ বছর আগেও সুবর্ণচরে এমন চিত্র ছিল না। তখন এলাকায় বোরো চাষ হতো কম। বেশির ভাগ মানুষ রবি শস্য উৎপাদন করত। তাতে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার তেমন ছিল না। এখন কৃষিকাজের জন্য ২৪৫টি সেচপাম্পের অনুমতি থাকলেও অপরিকল্পিতভাবে বসানো হয়েছে আরও ৩ হাজারের বেশি পাম্প। এতে দিন দিন ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ বেড়েছে।
উপকূলীয় পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন নোয়াখালীর সভাপতি আবদুল বারি বাবলু বলেন, একদিকে বোরো ধানে পানি ব্যবহার হচ্ছে, অন্যদিকে উপজেলার অর্ধশত ইটভাটায় পানি যাচ্ছে। ভূগর্ভের পানির সংকট দেখা দিলে ভবিষ্যতে লবণাক্ততা বাড়বে। সুবর্ণচরে পানির উৎস হতে পারে মেঘনার শাখা নদী। এই নদীকে সেচের আওতায় আনা যেতে পারে। দখল হয়ে যাওয়া অসংখ্য খাল–বিল উদ্ধার করতে হবে।
স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার প্রধান নির্বাহী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মেঘনার খাল পুনর্খনন, স্লুসগেট নির্মাণ ও পুকুর-দিঘি খনন করে ভূ-উপরিস্থ পানি সংরক্ষণ করতে হবে। একই সঙ্গে পানির সংকট মোকাবিলায় ধান চাষের বিকল্প ডালজাতীয় শস্য উৎপাদন করার পরামর্শ দেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় স্থানীয় মানুষের কথা শোনার পর সংকট নিরসনে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন কৃষিসচিব এমদাদ উল্লাহ ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান। তাঁরা জানান, দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থার অংশ হিসেবে তাঁরা সুবর্ণচরে এসেছেন। পানির বিকল্প উৎসগুলো তাঁরা সরেজমিনে দেখেছেন। খাল খনন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, মেঘনা নদীকে সেচের আওতায় আনাসহ সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাতে কৃষি টিকে থাকে, সুপেয় পানির অভাবও না হয়।
দুই সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গত শনিবার থেকে গতকাল পর্যন্ত পানি সংকটাপন্ন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। তাঁরা পানির উৎস নদী ও খাল পরিদর্শন এবং এগুলোর দখল হয়ে যাওয়া অংশ উদ্ধারে জোর দেন।
নাঙ্গলকোট থেকে সাইফুলসহ সাত বন্ধু কেনাকাটা করার জন্য তিনটি মোটরসাইকেলে করে ফেনীতে আসেন। ফেরার পথে দেবীপুর এলাকায় বৃষ্টির কারণে সড়ক পিচ্ছিল ছিল। মোটরসাইকেলের চাকা পিছলে সাইফুল রাস্তায় পড়ে গেলে পেছন থেকে আসা একটি ট্রাক তাঁকে চাপা দেয়।
৬ মিনিট আগেরংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সংসদ সদস্য (এমপি) পদপ্রার্থী হিসেবে দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রংপুরের কাউনিয়া বাসস্ট্যান্ডে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির পথসভায় এ ঘোষণা দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
১ ঘণ্টা আগেরাঙামাটি শহরের একটি বাসা থেকে মহিমা ইসলাম ঊর্মি (৩০) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি রাঙামাটির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রায়হান চৌধুরীর স্ত্রী। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় শহরের আলম ডক ইয়ার্ডের ভাড়া বাসা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর ওয়ারীতে একটি কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লেগেছে। আজ বুধবার ভোর ৫টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিটের দুই ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল ৭টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
২ ঘণ্টা আগে