Ajker Patrika

হাটবাজারের ইজারা নিয়ে নোয়াখালীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

নোয়াখালী প্রতিনিধি
কবিরহাট উপজেলা পরিষদের সামনে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ।  ছবি: আজকের পত্রিকা
কবিরহাট উপজেলা পরিষদের সামনে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা পরিষদের সামনে হাটবাজার ইজারার দরপত্র মূল্যায়ন শেষে বিএনপির দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

আজ বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কবিরহাট উপজেলার বার্ষিক হাটবাজার ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে উপজেলা প্রশাসন। এরপর শিডিউল ক্রয় করে অনেক নতুন ও পুরোনো দরদাতা দরপত্র জমা দেন। আজ বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ওই দরপত্র মূল্যায়ন শেষে বাজার ইজারার প্রথম ধাপের কার্যক্রম শেষ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূদম পুষ্প চাকমা। দরপত্র মূল্যায়ন শেষে সর্বোচ্চ দর ২৩ লাখ টাকায় উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের আমিন বাজারের ইজারা পান চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুল হাসান আকাশ।

পরে ইউএনও কার্যালয়ের সামনে কামরুল হাসান আকাশের অনুসারী এবং পুরোনো ইজারাদার বিএনপির নেতা ধনু মেম্বার ও তাঁর ছেলে ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব সুজনের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে তাঁরা ইউএনও কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। উপজেলা পরিষদের মাঠে তাঁদের মধ্যে আবার সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় কমপক্ষে ১২ ব্যক্তি আহত হন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত ব্যক্তিদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালসহ স্থানীয় একাধিক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুল হাসান আকাশ বলেন, ‘ইজারা না পেয়ে ধনু মেম্বার ও তাঁর ছেলে যুবদল নেতা সুজন গায়ে পড়ে মারামারি করতে চেয়েছে। এতে আমার একজন লোকের হাত ভেঙে যায় এবং আরও কয়েকজন আহত হয়।’  

ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব মো. সুজনের ছোট ভাই সাবেক ছাত্রদল নেতা মিরাজুল ইসলাম মিরাজ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘আমাদের প্রায় ৯-১০ জন লোক প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় আহত হয়েছে।’

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া বলেন, ইজারা এক পক্ষ পেয়েছে, আরেক পক্ষ পায়নি। এটা নিয়ে মনোমালিন্য ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে বের করে দেয়।  

কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূদম পুষ্প চাকমা বলেন, ‘দরপত্র মূল্যায়নে অনেক মানুষ এসেছে। দরপত্র মূল্যায়ন শেষে জটলা হয়েছে। তখন আমি আমার অফিসে ছিলাম। তবে মারামারির কোনো ঘটনা দেখিনি।’ হাটবাজার ইজারার প্রথম ধাপের কার্যক্রম শেষ হয়েছে বলে তিনি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

মানিকগঞ্জে রাতের আঁধারে স্থানান্তর করা বিদ্যালয় ভবন পরিদর্শনে কর্মকর্তারা

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত