কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
এক বছর আগে কলেজছাত্র মো. লিয়াকত আলীর (২০) দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে যায়। ছেলের দুরারোগ্য ব্যাধির কথা জানতে পেরে মা-বাবার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। নানা চেষ্টার পরও ছেলেকে সুস্থ করতে পরেননি তাঁরা। অবশেষে ছেলের জীবন বাঁচাতে নিজের একটি কিডনি দান করলেন ষাট বছরের বৃদ্ধ বাবা জবুর আহমেদ।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের বাসিন্দা জবুর আহমেদ। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। পরিবারের তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট লিয়াকত। বৃদ্ধ বয়সের শেষ সম্বল দিয়ে গত এক বছর ধরে ছেলে লিয়াকতের চিকিৎসা ও ডায়ালাইসিস চালান তিনি। এর জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা। সর্বশেষ চিকিৎসক জানান তাঁকে বাঁচাতে একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। অবশেষে বাবা জবুর আহমেদ সন্তানকে বাঁচাতে তাঁর শরীরের একটি কিডনি দেওয়ার জন্য মনস্থির করেন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার শ্যামলীর একটি হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় লীয়াকতের। এর তিন মাস আগে হাসপাতালে ভর্তি হন তাঁরা। সেখানেই কিডনি প্রতিস্থাপনের পর বাবা ও ছেলেকে আইসিইউতে রাখা হয়। এখনো তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন।
হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, অপারেশন পরবর্তী ১৫ দিন হাসপাতালেই থাকতে হবে তাঁদের। আগামী ৩ মাস ঢাকায় থেকে নিয়মিত চেকআপ করাতে হবে।
লিয়াকত আলীর ভাই মোহাম্মদ আলী জাবের বলেন, ‘বাবা লিয়াকতের জন্য কিডনি দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিডনি দেওয়ার জন্য তিনি সাহসীও ছিলেন। পরে পরিবারের সব সদস্য তাঁকে সমর্থন করি। লিয়াকতের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। তিনি পাঁচ লাখ টাকা সহায়তা দিয়েছিলেন। অপারেশনের জন্য সিরিয়াল পাচ্ছিলাম না। এখানেও সহযোগিতা করেন সংসদ সদস্য।’
এদিকে বৃদ্ধ বয়সে জীবনের ঝুঁকি উপেক্ষা করে ছেলেকে নিজের কিডনি দান করার মতো ত্যাগকে সাধুবাদ জানিয়েছে সুশীল সমাজের লোকজন। তাঁরা বলেন, এটি শুধু ছেলেকে বাবার কিডনি দেওয়া নয়, বর্তমান যুগে একটি অনন্য নজির। যা আমাদের এই সমাজে বাবা, সন্তান ও পরিবারের মধ্যে উদাহরণ হয়ে থাকবে।
এক বছর আগে কলেজছাত্র মো. লিয়াকত আলীর (২০) দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে যায়। ছেলের দুরারোগ্য ব্যাধির কথা জানতে পেরে মা-বাবার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। নানা চেষ্টার পরও ছেলেকে সুস্থ করতে পরেননি তাঁরা। অবশেষে ছেলের জীবন বাঁচাতে নিজের একটি কিডনি দান করলেন ষাট বছরের বৃদ্ধ বাবা জবুর আহমেদ।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের বাসিন্দা জবুর আহমেদ। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। পরিবারের তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট লিয়াকত। বৃদ্ধ বয়সের শেষ সম্বল দিয়ে গত এক বছর ধরে ছেলে লিয়াকতের চিকিৎসা ও ডায়ালাইসিস চালান তিনি। এর জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা। সর্বশেষ চিকিৎসক জানান তাঁকে বাঁচাতে একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। অবশেষে বাবা জবুর আহমেদ সন্তানকে বাঁচাতে তাঁর শরীরের একটি কিডনি দেওয়ার জন্য মনস্থির করেন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার শ্যামলীর একটি হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় লীয়াকতের। এর তিন মাস আগে হাসপাতালে ভর্তি হন তাঁরা। সেখানেই কিডনি প্রতিস্থাপনের পর বাবা ও ছেলেকে আইসিইউতে রাখা হয়। এখনো তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন।
হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, অপারেশন পরবর্তী ১৫ দিন হাসপাতালেই থাকতে হবে তাঁদের। আগামী ৩ মাস ঢাকায় থেকে নিয়মিত চেকআপ করাতে হবে।
লিয়াকত আলীর ভাই মোহাম্মদ আলী জাবের বলেন, ‘বাবা লিয়াকতের জন্য কিডনি দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিডনি দেওয়ার জন্য তিনি সাহসীও ছিলেন। পরে পরিবারের সব সদস্য তাঁকে সমর্থন করি। লিয়াকতের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। তিনি পাঁচ লাখ টাকা সহায়তা দিয়েছিলেন। অপারেশনের জন্য সিরিয়াল পাচ্ছিলাম না। এখানেও সহযোগিতা করেন সংসদ সদস্য।’
এদিকে বৃদ্ধ বয়সে জীবনের ঝুঁকি উপেক্ষা করে ছেলেকে নিজের কিডনি দান করার মতো ত্যাগকে সাধুবাদ জানিয়েছে সুশীল সমাজের লোকজন। তাঁরা বলেন, এটি শুধু ছেলেকে বাবার কিডনি দেওয়া নয়, বর্তমান যুগে একটি অনন্য নজির। যা আমাদের এই সমাজে বাবা, সন্তান ও পরিবারের মধ্যে উদাহরণ হয়ে থাকবে।
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে অবস্থিত তৈরি পোশাক কারখানা এম এম নিটওয়্যার ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সকাল ৮টায় শ্রমিকেরা কারখানার গেটে টানানো বন্ধ ঘোষণার নোটিশ দেখতে পান। নোটিশ দেখার পর শ্রমিকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা...
৩৭ মিনিট আগেকারও হাতে খাতা, কারও বইয়ের ভাঁজে গুঁজে রাখা কলম। হঠাৎ হাওয়ার ঝাপটা এসে উড়িয়ে দেয় কাগজ। মাথায় হাত দিয়ে ধরে রাখতে হয় বই। শিক্ষক একটু থেমে যান। শব্দ থেমে যায়। কয়েক সেকেন্ড পরে আবারও
১ ঘণ্টা আগে২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জন নিহত হন। হাসপাতালে মারা যান আরও একজন। রমনা বটমূলে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিক বিক্ষোভ করছেন। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে টঙ্গীর খাঁ-পাড়া এলাকার সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড নামক কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন।
১ ঘণ্টা আগে