চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
ঐতিহ্যবাহী ‘তালপাতার পাখা’ ব্যবহারের সুযোগ সবার না থাকলেও কম-বেশি সবারই জানা এই হাতপাখার নাম। বর্তমানে হাতে তৈরি এ পাখার প্রচলন তেমন আর নেই বললেও চলে, নেই এ হাতপাখা তৈরির প্রবীণ কারিগরেরাও। তবে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘির মেলাকে কেন্দ্র করে তালপাতার হাতপাখা তৈরি করছেন চন্দনাইশ পৌরসভার দক্ষিণ জোয়ারা এলাকার জিহস ফকিরপাড়া গ্রামের একদল কারিগর। জানা যায়, তাঁদের বাপ-দাদার মূল ব্যবসা ছিল হাতপাখা তৈরি। পূর্বপুরুষদের পেশাটাকে ধরে রাখার জন্য এখনো তাঁরা পাখা তৈরির কাজ করে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঐতিহ্য ধরে রাখতে লালদিঘির মেলায় বিক্রির জন্য তালপাতার পাখা তৈরিতে ব্যস্ত এই এলাকার একদল কারিগর। আগে পুরো গ্রামেই এ পাখার কারিগরদের বাস থাকলেও এখন এই পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছে শতাধিক পরিবার। একেকটি পরিবারের সবাই মিলে একজন পাতা কেটে প্রস্তুত করছেন অন্যজন সেলাই করছেন। কেউ আবার সুতা ও বাঁশের শলাতে রং করছেন। কেউ তৈরি করা পাখাগুলোকে একসঙ্গে বাঁধছেন। এভাবে একটি পাখা তৈরি করতে প্রায় ১৮টি হাতের ছোঁয়া লাগে বলে জানাচ্ছেন কারিগরেরা।
কারিগরেরা বলছেন, তালপাতার পাখা তৈরির জন্য বিখ্যাত দক্ষিণ চট্টগ্রামের এই এলাকা। হাতপাখা তৈরির প্রধান উপকরণ হচ্ছে তালপাতা, ডলু বাঁশ, নিতা বাঁশ, বেত ও রং। কোনো আধুনিক মেশিন ছাড়াই শুধু দা, ছুরির সাহায্যে তৈরি হচ্ছে এই দৃষ্টিনন্দন হাতপাখা। প্রতিটি পাখা প্রকারভেদে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। আধুনিকতার ছোঁয়ায় এবং কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই এই ব্যবসা থেকে ছিটকে পড়ছেন।
চন্দনাইশ পৌরসভার জিহস ফকিরপাড়ার পাখা তৈরির কারিগর মো. সেলিম উদ্দিন (৩৬) বলেন, তাঁদের বাপ-দাদার মূল ব্যবসা ছিল হাতপাখা তৈরি। পূর্বপুরুষদের পেশাটাকে ধরে রাখার জন্য এখনো তাঁরা পাখা তৈরির কাজ করে যাচ্ছেন। এই এলাকার শতাধিক পরিবার তালপাখা তৈরি করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে।
সেলিম আরও বলেন, চৈত্র-বৈশাখ এই দুই মাস পাখা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় কাটান। একজন প্রতিদিন ৫ থেকে ৬টি পর্যন্ত পাখা তৈরি করতে পারেন। একটি বাঁশের সামান্য অংশ, বেত দিয়ে পাখা তৈরি করা হয়। আর বাঁশ ও বেতের দাম বেশি হওয়ায় পাখার দামও কিছুটা বাড়িয়ে দিতে হয়েছে।
জিহস ফকির পাড়ার ৭০ বছর বয়সী মমতাজ মিয়া ও ৬৫ বছর বয়সী আলী হোসেনও জানালেন একই কথা। তাঁরা বলেন, পূর্বপুরুষের স্মৃতি ধরে রাখতে এখনো হাতপাখা তৈরি করে যাচ্ছেন।
ওই দুজন আরও জানান, লাভ কমে যাওয়ায় দিন দিন এ ব্যবসা থেকে সরে পড়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন অনেকে। সরকারিভাবে এ শিল্পকে ধরে রাখতে সহজ শর্তে ঋণ, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ শিল্পের কদর দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যাবে বলে আশাবাদী তাঁরা। যুগের পরিবর্তনের কারণে এখন হাতপাখার শোভা পাচ্ছে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের ড্রয়িংরুমে ও দর্শনীয় স্থানে। হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালি জাতির ঐতিহ্য। এ শিল্পকে ধরে রাখতে সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
ঐতিহ্যবাহী ‘তালপাতার পাখা’ ব্যবহারের সুযোগ সবার না থাকলেও কম-বেশি সবারই জানা এই হাতপাখার নাম। বর্তমানে হাতে তৈরি এ পাখার প্রচলন তেমন আর নেই বললেও চলে, নেই এ হাতপাখা তৈরির প্রবীণ কারিগরেরাও। তবে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘির মেলাকে কেন্দ্র করে তালপাতার হাতপাখা তৈরি করছেন চন্দনাইশ পৌরসভার দক্ষিণ জোয়ারা এলাকার জিহস ফকিরপাড়া গ্রামের একদল কারিগর। জানা যায়, তাঁদের বাপ-দাদার মূল ব্যবসা ছিল হাতপাখা তৈরি। পূর্বপুরুষদের পেশাটাকে ধরে রাখার জন্য এখনো তাঁরা পাখা তৈরির কাজ করে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঐতিহ্য ধরে রাখতে লালদিঘির মেলায় বিক্রির জন্য তালপাতার পাখা তৈরিতে ব্যস্ত এই এলাকার একদল কারিগর। আগে পুরো গ্রামেই এ পাখার কারিগরদের বাস থাকলেও এখন এই পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছে শতাধিক পরিবার। একেকটি পরিবারের সবাই মিলে একজন পাতা কেটে প্রস্তুত করছেন অন্যজন সেলাই করছেন। কেউ আবার সুতা ও বাঁশের শলাতে রং করছেন। কেউ তৈরি করা পাখাগুলোকে একসঙ্গে বাঁধছেন। এভাবে একটি পাখা তৈরি করতে প্রায় ১৮টি হাতের ছোঁয়া লাগে বলে জানাচ্ছেন কারিগরেরা।
কারিগরেরা বলছেন, তালপাতার পাখা তৈরির জন্য বিখ্যাত দক্ষিণ চট্টগ্রামের এই এলাকা। হাতপাখা তৈরির প্রধান উপকরণ হচ্ছে তালপাতা, ডলু বাঁশ, নিতা বাঁশ, বেত ও রং। কোনো আধুনিক মেশিন ছাড়াই শুধু দা, ছুরির সাহায্যে তৈরি হচ্ছে এই দৃষ্টিনন্দন হাতপাখা। প্রতিটি পাখা প্রকারভেদে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। আধুনিকতার ছোঁয়ায় এবং কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই এই ব্যবসা থেকে ছিটকে পড়ছেন।
চন্দনাইশ পৌরসভার জিহস ফকিরপাড়ার পাখা তৈরির কারিগর মো. সেলিম উদ্দিন (৩৬) বলেন, তাঁদের বাপ-দাদার মূল ব্যবসা ছিল হাতপাখা তৈরি। পূর্বপুরুষদের পেশাটাকে ধরে রাখার জন্য এখনো তাঁরা পাখা তৈরির কাজ করে যাচ্ছেন। এই এলাকার শতাধিক পরিবার তালপাখা তৈরি করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে।
সেলিম আরও বলেন, চৈত্র-বৈশাখ এই দুই মাস পাখা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় কাটান। একজন প্রতিদিন ৫ থেকে ৬টি পর্যন্ত পাখা তৈরি করতে পারেন। একটি বাঁশের সামান্য অংশ, বেত দিয়ে পাখা তৈরি করা হয়। আর বাঁশ ও বেতের দাম বেশি হওয়ায় পাখার দামও কিছুটা বাড়িয়ে দিতে হয়েছে।
জিহস ফকির পাড়ার ৭০ বছর বয়সী মমতাজ মিয়া ও ৬৫ বছর বয়সী আলী হোসেনও জানালেন একই কথা। তাঁরা বলেন, পূর্বপুরুষের স্মৃতি ধরে রাখতে এখনো হাতপাখা তৈরি করে যাচ্ছেন।
ওই দুজন আরও জানান, লাভ কমে যাওয়ায় দিন দিন এ ব্যবসা থেকে সরে পড়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন অনেকে। সরকারিভাবে এ শিল্পকে ধরে রাখতে সহজ শর্তে ঋণ, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ শিল্পের কদর দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যাবে বলে আশাবাদী তাঁরা। যুগের পরিবর্তনের কারণে এখন হাতপাখার শোভা পাচ্ছে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের ড্রয়িংরুমে ও দর্শনীয় স্থানে। হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালি জাতির ঐতিহ্য। এ শিল্পকে ধরে রাখতে সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ২ নম্বর চরবাটা ইউনিয়নের চরমজিদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত দুই শিশুর নাম সাইম (৪) ও লাবিব (২)। তারা আপন দুই ভাই। তারা চরমজিদ গ্রামের রেনু বাজারের উত্তর পাশে কুট্টিয়াবাড়ির সাহেদের ছেলে।
৩৩ মিনিট আগেরাজশাহীতে জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছরের বেশি সময় পর একটি মামলা হয়েছে। মামলায় ১৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৫০০ থেকে ৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সময়ের ব্যবধান ছাড়াও এজাহারভুক্ত আসামিদের পরিচয় এ মামলা নিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আসামিদের অনেকেই ‘পয়সাওয়ালা ব্যক্তি’ হিসেবে পরিচিত হওয়ায় অভিযোগ...
৭ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এই প্রতিষ্ঠান ঘিরে নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। একাডেমিতে মৈতৈ, বিষ্ণুপ্রিয়া এবং পাঙন—এই তিন সম্প্রদায়ের সমান সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা থাকলেও শুধু বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীদের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এতে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে...
৮ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে ভূমি অফিসের সহায়ক রশিদুজ্জামান বিপ্লবের ঘুষ নেওয়ার ভিডিও দিয়ে জিম্মি করে চাঁদাবাজির অভিযোগকে ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাল্টাপাল্টি বিবৃতিতে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে ছাত্রদল ও জামায়াত। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি...
৮ ঘণ্টা আগে