প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম
মৌসুমের শেষ ভাগে এসে ইলিশ উৎসবে মেতেছেন চট্টগ্রামের জেলেরা। এবার পূর্ণিমায় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়েছে। জেলেরা বলছেন, ইলিশের ঝাঁক সাগরের একেবারে কিনারে চলে এসেছে। মাছ ধরতে দূর সাগরে যেতে হচ্ছে না। কিনারে জাল ফেললেই নৌকা ভর্তি হয়ে যাচ্ছে ছোট বড় ইলিশে। তাই এখন সাগরপাড়ে পাইকারিতে ২০০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে তাজা রুপালী ইলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর কাট্টলী, আনন্দবাজার, কাটগড়, পতেঙ্গা সাগরপাড়ে সরেজমিনে দেখা যায়, ধুম পড়েছে ইলিশ কেনার। প্রায় ১৩ হাজার জেলেসহ ৫০ হাজার মৎস্যজীবী রাত দিন ব্যস্ত সময় পার করছেন। এক একটি জোয়ার শেষ হলেই ট্রলার ভর্তি ইলিশ নিয়ে পাড়ে ভিড়ছেন মাঝি মাল্লারা। জেলে, আড়তদার, মাছের ক্রেতা, বিক্রেতা সবাই ছুটছেন ইলিশের পেছনে। দম ফেলার সময় নেই শ্রমিক আর বরফ বিক্রেতাদের। ট্রলার আর নৌকা থেকে ঝুড়ি ভর্তি ইলিশ কাঁধে তুলে আড়তে ছুটছেন শ্রমিকেরা। সেখানে ইলিশ কেনাবেচায় সারা দেশ থেকে জড়ো হয়েছেন শত শত ক্রেতা।
কাট্টলী জেলে পাড়ার সর্দার খেলন দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, পূর্ণিমার কারণে সাগর তীরেই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ চলে এসেছে। এক একটি নৌকা যারা অন্য সময় ১০-১২ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করে তারাও গত দুই দিন অন্তত দুই থেকে তিন লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছেন। এ বছর এটিই শেষ মৌসুম। ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে।
সুজিত দাশ নামে আরেক জেলে বলেন, গতকাল বুধবার সবচেয়ে বেশি ইলিশ পেয়েছেন তিনি। বস্তায় বস্তায় ইলিশ পড়েছিল নগরীর কাটগড় সাগরপাড়ে। ভোর ৪টা পর্যন্ত নারী ক্রেতারাও এসেছেন ইলিশ কিনতে। সারা রাত ঘুমাতে পারেননি জেলেরা। আজও একই অবস্থা।
এদিকে আড়তে মণ হিসাবে ইলিশের নিলাম হচ্ছে। মাছের দাম হাঁকাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ক্রেতারা। সবচেয়ে ছোট আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার ৫০০ টাকা মণ। অর্থাৎ প্রতিকেজি মাত্র ১৩৭ টাকা। দুটিতে এক কেজি হবে এমন আকারের ইলিশ পাইকারিতে কেজি চলছে ২০০-৩০০ টাকা। এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ চলছে ৬০০ টাকা কেজি।
আড়তদার মামুনুর রশিদ বলেন, দুই বছর আগে একবার এ রকম ইলিশ পেয়েছিলাম। আমাদের কাট্টলী ঘাটে শতাধিক আড়ত আছে। এক একটি আড়ত থেকে গত দুই দিন অন্তত ৫০ লাখ টাকার ইলিশ বিক্রি হয়েছে। এত ইলিশ ধরা পড়েছে যে বরফের সংকট পড়ে গেছে। বরফের দামও বেড়ে গেছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতি অমাবস্যা ও পূর্ণিমার সময় সাগরে জেলেদের জালে বেশি মাছ ধরা পড়ে। এটাকে স্থানীয়রা ‘জো’ বলেন। এখন পূর্ণিমার জো চলছে। আরও একদিন মাছ পাওয়া যাবে। চট্টগ্রামে কী পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়েছে তা ১৫ দিনের একটি হিসাব তৈরি করব আমরা। এখানে প্রত্যেকটি ঘাট আর আড়তে আমরা কঠোর নজরদারি করছি, যাতে কেউ জাটকা বিক্রি করতে না পারে। সরকারের উদ্যোগের কারণে গত কয়েক বছর ইলিশের পরিমাণ বেড়েছে। আশা করি, সামনেও এটা অব্যাহত থাকবে।
মৌসুমের শেষ ভাগে এসে ইলিশ উৎসবে মেতেছেন চট্টগ্রামের জেলেরা। এবার পূর্ণিমায় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়েছে। জেলেরা বলছেন, ইলিশের ঝাঁক সাগরের একেবারে কিনারে চলে এসেছে। মাছ ধরতে দূর সাগরে যেতে হচ্ছে না। কিনারে জাল ফেললেই নৌকা ভর্তি হয়ে যাচ্ছে ছোট বড় ইলিশে। তাই এখন সাগরপাড়ে পাইকারিতে ২০০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে তাজা রুপালী ইলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর কাট্টলী, আনন্দবাজার, কাটগড়, পতেঙ্গা সাগরপাড়ে সরেজমিনে দেখা যায়, ধুম পড়েছে ইলিশ কেনার। প্রায় ১৩ হাজার জেলেসহ ৫০ হাজার মৎস্যজীবী রাত দিন ব্যস্ত সময় পার করছেন। এক একটি জোয়ার শেষ হলেই ট্রলার ভর্তি ইলিশ নিয়ে পাড়ে ভিড়ছেন মাঝি মাল্লারা। জেলে, আড়তদার, মাছের ক্রেতা, বিক্রেতা সবাই ছুটছেন ইলিশের পেছনে। দম ফেলার সময় নেই শ্রমিক আর বরফ বিক্রেতাদের। ট্রলার আর নৌকা থেকে ঝুড়ি ভর্তি ইলিশ কাঁধে তুলে আড়তে ছুটছেন শ্রমিকেরা। সেখানে ইলিশ কেনাবেচায় সারা দেশ থেকে জড়ো হয়েছেন শত শত ক্রেতা।
কাট্টলী জেলে পাড়ার সর্দার খেলন দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, পূর্ণিমার কারণে সাগর তীরেই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ চলে এসেছে। এক একটি নৌকা যারা অন্য সময় ১০-১২ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করে তারাও গত দুই দিন অন্তত দুই থেকে তিন লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছেন। এ বছর এটিই শেষ মৌসুম। ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে।
সুজিত দাশ নামে আরেক জেলে বলেন, গতকাল বুধবার সবচেয়ে বেশি ইলিশ পেয়েছেন তিনি। বস্তায় বস্তায় ইলিশ পড়েছিল নগরীর কাটগড় সাগরপাড়ে। ভোর ৪টা পর্যন্ত নারী ক্রেতারাও এসেছেন ইলিশ কিনতে। সারা রাত ঘুমাতে পারেননি জেলেরা। আজও একই অবস্থা।
এদিকে আড়তে মণ হিসাবে ইলিশের নিলাম হচ্ছে। মাছের দাম হাঁকাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ক্রেতারা। সবচেয়ে ছোট আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার ৫০০ টাকা মণ। অর্থাৎ প্রতিকেজি মাত্র ১৩৭ টাকা। দুটিতে এক কেজি হবে এমন আকারের ইলিশ পাইকারিতে কেজি চলছে ২০০-৩০০ টাকা। এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ চলছে ৬০০ টাকা কেজি।
আড়তদার মামুনুর রশিদ বলেন, দুই বছর আগে একবার এ রকম ইলিশ পেয়েছিলাম। আমাদের কাট্টলী ঘাটে শতাধিক আড়ত আছে। এক একটি আড়ত থেকে গত দুই দিন অন্তত ৫০ লাখ টাকার ইলিশ বিক্রি হয়েছে। এত ইলিশ ধরা পড়েছে যে বরফের সংকট পড়ে গেছে। বরফের দামও বেড়ে গেছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতি অমাবস্যা ও পূর্ণিমার সময় সাগরে জেলেদের জালে বেশি মাছ ধরা পড়ে। এটাকে স্থানীয়রা ‘জো’ বলেন। এখন পূর্ণিমার জো চলছে। আরও একদিন মাছ পাওয়া যাবে। চট্টগ্রামে কী পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়েছে তা ১৫ দিনের একটি হিসাব তৈরি করব আমরা। এখানে প্রত্যেকটি ঘাট আর আড়তে আমরা কঠোর নজরদারি করছি, যাতে কেউ জাটকা বিক্রি করতে না পারে। সরকারের উদ্যোগের কারণে গত কয়েক বছর ইলিশের পরিমাণ বেড়েছে। আশা করি, সামনেও এটা অব্যাহত থাকবে।
ওসি আরও বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে আমরা কাজ করছি।”
২৭ মিনিট আগেরাবেয়া আক্তার সাথী এলাকার একজন চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী। তাঁর হাত ধরে গ্রামের যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে চারজন যুবক একটি নিরিবিলি স্থানে বসে ইয়াবা সেবন করছিল। বিষয়টি টের পেয়ে আমরা ধাওয়া দিয়ে কাইয়ুম ও মোরসালিনকে ধরে ফেলি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, বিশ পিস ইয়াবা কিনেছে রাবেয়ার কাছ থেকে।
৩১ মিনিট আগেখুলনার রূপসায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে সাব্বির (২৭) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মো. সাদ্দাম হোসেন (২৯) নামের আরেক যুবক। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাত ৯টার দিকে রূপসা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের পপুলার এলাকার...
৩৪ মিনিট আগেসবুজ পাহাড়ে শোভা বাড়াচ্ছে বিদেশি এক ফল—রাম্বুটান। লিচুর মতো দেখতে, লোমশ ত্বকের এই রসালো ফল এখন পাহাড়ে নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে। খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার বিহারটিলা এলাকায় আড়াই একর জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে রাম্বুটান বাগান। এই ফল পাহাড়ে অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলছে বলে মনে করছেন কৃষিবিদেরা।
৩৫ মিনিট আগে