Ajker Patrika

যৌতুকের মামলায় লক্ষ্মীপুরে আইনজীবী কারাগারে

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক স্ত্রীর করা যৌতুক ও নির্যাতন মামলায় লক্ষ্মীপুরে মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক আইনজীবীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি অঞ্চল (রায়পুর) আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম এই আদেশ দেন।

মোস্তাফিজুর রহমান রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী গ্রামের মৃত তোফায়েল আহাম্মদের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. সাইফুদ্দিন বলেন, স্ত্রীর মামলায় আদালত থেকে ৩ জুন আসামি মোস্তাফিজুর রহমান জামিন নেন। আজ জামিন মেয়াদের শেষ দিন ছিল। এরই মধ্যে ঘটনাটি মীমাংসা করার কথা ছিল। কিন্তু আইনজীবী তা করেননি।

এতে তিনি পুনরায় জামিন আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তাঁর পক্ষে অন্য কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তিনি নিজেই শুনানি করেন।

আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমানের অভিযোগ, তাঁদের বিয়ের কাবিনে দেনমোহর ছিল ১ লাখ টাক। কিন্তু প্রতারণার মাধ্যমে ২১ লাখ টাকা বানিয়ে আদালতে মামলায় দেনমোহরের কথা উল্লেখ করা হয়। এ জন্য তালাকের নোটিশ দিলেও ঘটনাটি মীমাংসা হয়নি।

এতে তিনি আদালতের কাবিননামার মূল কপি ও কাজির প্রত্যয়নপত্র দাখিল করেছেন। কাবিননামার সঠিক তথ্য যাচাইয়ের জন্য তিনি আদালতে আবেদন করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি মোস্তাফিজ ও বাদী সেলিনার বিয়ের কথা হয়। ২০২০ সারের ২৮ জানুয়ারি ২১ লাখ টাকার দেনমোহরে সামাজিকভাবে তাঁরা বিয়ে করেন। তাঁদের সংসারে একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। ব্যবসার কথা বলে টাকা চাইলে সেলিনা তাঁর স্বামীকে ১২ লাখ টাকা ধার দেন। ওই টাকা না দিয়েই ফের ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন মোস্তাফিজ।

ওই টাকার জন্য ২০২৫ সালের ১৪ মার্চ মারধর করে সেলিনাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর থেকে শিশুসন্তানকে নিয়ে সেলিনা বাবার বাড়িতে আছেন। মোস্তাফিজ তাঁদের কোনো খোঁজখবর নিচ্ছেন না। এ ঘটনায় ২৮ এপ্রিল যৌতুক আইনে আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন সেলিনা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত