দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
সরকারি কবি নজরুল কলেজে শিক্ষার্থী জিহাদ হোসেন। গত ১৯ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন তিনি। মেধাবী এই ছাত্রের মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। কান্নার রোল যেন থামছেই না। ছেলের ছবি বুকে চেপে রেখেছেন মা। বাবা শোকে বাকরুদ্ধ। বড় এক ভাই ও দুই বোনও যেন শোকে পাথর।
২৫ বছরের যুবক জিহাদ পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা সদরের মোল্লা পট্টি এলাকার নুরুল আমিন মোল্লা ছেলে। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট ছিলেন। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী কোনাপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থেকে সরকারি কবি নজরুল কলেজে ইতিহাস বিভাগে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত ছিলেন।
জিহাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মা শাহিনুর বেগম আদরের ছোট ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায়। ছেলের ছবি বুকে জড়িয়ে অসহায়ের মতো ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছেন। চিৎকার করে বলছেন, ‘বাবা জিহাদ, মৃত্যুর সময় তুমি কেমন করছিলা! আমাকে মা মা করে ডাকছিলা! বাবাগো আমিতো বাড়িতে ছিলাম। তোমার ডাকে সাড়া দিতে পারি নাই।’
জিহাদকে হারিয়ে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন তাঁর বাবা নুরুল আমিন। শোকে বাকরুদ্ধ বড় ভাই জিন্নাত হোসেন এবং দুই বোন জান্নাতুল ও জয়নব। তাঁকে ঘিরে অনেক স্বপ্ন ছিল পরিবারের। এমন মৃত্যু কিছুতেই মানতে পারছেন না।
প্রত্যক্ষদর্শী সহপাঠী, স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই (শুক্রবার) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে যাত্রাবাড়ী এলাকায় দনিয়া কলেজ ও কাজলা ফুটওভার ব্রিজের মাঝামাঝি রাস্তায় বুকের ডান পাঁজরে গুলিবিদ্ধ হন জিহাদ। গুরুতর আহত অবস্থায় সহপাঠী ও বন্ধুরা তাঁকে উদ্ধার করে ওই এলাকার সালমান হাসপাতালে নেন। সেখানকার চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠান। সেখানে ভর্তির কিছুক্ষণ পর বিকেল পৌনে ৫টার দিকে মারা যান।
ঢামেক মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে ২০ জুলাই (শনিবার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় আবৃত কফিনে জিহাদের মরদেহ আসে বাড়িতে। এ সময়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং থানার ওসিসহ বিপুলসংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। পরে ২১ জুলাই (রোববার) ভোরে দশমিনা সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় চত্বরে জিহাদের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জিহাদ দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পাশ করে। রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় স্যার সলিমুল্লাহ কলেজ থেকে ২০১৮ সালে এইচএসসি শেষে সরকারি কবি নজরুল কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতক করেন এবং একই কলেজে ওই বিষয়ে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হন।
কান্না জড়িত কণ্ঠে জিহাদের বাবা নুরুল আমিন মোল্লা বলেন, ‘আমার ছেলে জিহাদ মেধাবী ছাত্র ছিল। কেমনে কি হয়ে গেল জানি না। আমার ছেলেকে যারা খুন করেছে আমি তাদের বিচারের দাবি জানাই।’
মা শাহিনুর বেগম বলেন, ‘আমার মতো আর কোনো মায়ের বুক যেন এভাবে খালি না হয়। আপনারা আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন।’
বড় বোন জান্নাতুল বলেন, ‘দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় করতে গিয়ে আমার ছোট ভাই জীবন উৎসর্গ করেছে।’
বড় ভাই জিন্নাত হোসেন আজকের পত্রিকা প্রতিনিধিকে বলেন, ‘১৯ জুলাই বিকেলে ফোন করে বলে আমার বুকে গুলি লেগেছে বাবা-মাকে বলিস না। ওই ছিল ছোট ভাই জিহাদের সঙ্গে শেষ কথা। জিহাদ অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে প্রাণ দিয়েছে। দেশে বিদ্যমান স্বৈর সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, আন্দোলন করেছে। আগামীর বাংলাদেশ যেন সুন্দর হয়, দুর্নীতিমুক্ত হয়। যুগ যুগ ধরে আগামী প্রজন্ম যেন আমার ভাইয়ের এ অবদান মনে রাখে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে স্বৈরতন্ত্র শেখ হাসিনা কায়েম করেছিল অন্য কোনো দল ভবিষ্যতে এ ধরনের চেষ্টা যেন না করে। তাহলেই আমার ভাই ভালো থাকবে। আমার ভাইয়ের আত্মাও শান্তি পাবে।’
সরকারি কবি নজরুল কলেজে শিক্ষার্থী জিহাদ হোসেন। গত ১৯ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন তিনি। মেধাবী এই ছাত্রের মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। কান্নার রোল যেন থামছেই না। ছেলের ছবি বুকে চেপে রেখেছেন মা। বাবা শোকে বাকরুদ্ধ। বড় এক ভাই ও দুই বোনও যেন শোকে পাথর।
২৫ বছরের যুবক জিহাদ পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা সদরের মোল্লা পট্টি এলাকার নুরুল আমিন মোল্লা ছেলে। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট ছিলেন। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী কোনাপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থেকে সরকারি কবি নজরুল কলেজে ইতিহাস বিভাগে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত ছিলেন।
জিহাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মা শাহিনুর বেগম আদরের ছোট ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায়। ছেলের ছবি বুকে জড়িয়ে অসহায়ের মতো ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছেন। চিৎকার করে বলছেন, ‘বাবা জিহাদ, মৃত্যুর সময় তুমি কেমন করছিলা! আমাকে মা মা করে ডাকছিলা! বাবাগো আমিতো বাড়িতে ছিলাম। তোমার ডাকে সাড়া দিতে পারি নাই।’
জিহাদকে হারিয়ে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন তাঁর বাবা নুরুল আমিন। শোকে বাকরুদ্ধ বড় ভাই জিন্নাত হোসেন এবং দুই বোন জান্নাতুল ও জয়নব। তাঁকে ঘিরে অনেক স্বপ্ন ছিল পরিবারের। এমন মৃত্যু কিছুতেই মানতে পারছেন না।
প্রত্যক্ষদর্শী সহপাঠী, স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই (শুক্রবার) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে যাত্রাবাড়ী এলাকায় দনিয়া কলেজ ও কাজলা ফুটওভার ব্রিজের মাঝামাঝি রাস্তায় বুকের ডান পাঁজরে গুলিবিদ্ধ হন জিহাদ। গুরুতর আহত অবস্থায় সহপাঠী ও বন্ধুরা তাঁকে উদ্ধার করে ওই এলাকার সালমান হাসপাতালে নেন। সেখানকার চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠান। সেখানে ভর্তির কিছুক্ষণ পর বিকেল পৌনে ৫টার দিকে মারা যান।
ঢামেক মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে ২০ জুলাই (শনিবার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় আবৃত কফিনে জিহাদের মরদেহ আসে বাড়িতে। এ সময়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং থানার ওসিসহ বিপুলসংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। পরে ২১ জুলাই (রোববার) ভোরে দশমিনা সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় চত্বরে জিহাদের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জিহাদ দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পাশ করে। রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় স্যার সলিমুল্লাহ কলেজ থেকে ২০১৮ সালে এইচএসসি শেষে সরকারি কবি নজরুল কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতক করেন এবং একই কলেজে ওই বিষয়ে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হন।
কান্না জড়িত কণ্ঠে জিহাদের বাবা নুরুল আমিন মোল্লা বলেন, ‘আমার ছেলে জিহাদ মেধাবী ছাত্র ছিল। কেমনে কি হয়ে গেল জানি না। আমার ছেলেকে যারা খুন করেছে আমি তাদের বিচারের দাবি জানাই।’
মা শাহিনুর বেগম বলেন, ‘আমার মতো আর কোনো মায়ের বুক যেন এভাবে খালি না হয়। আপনারা আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন।’
বড় বোন জান্নাতুল বলেন, ‘দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় করতে গিয়ে আমার ছোট ভাই জীবন উৎসর্গ করেছে।’
বড় ভাই জিন্নাত হোসেন আজকের পত্রিকা প্রতিনিধিকে বলেন, ‘১৯ জুলাই বিকেলে ফোন করে বলে আমার বুকে গুলি লেগেছে বাবা-মাকে বলিস না। ওই ছিল ছোট ভাই জিহাদের সঙ্গে শেষ কথা। জিহাদ অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে প্রাণ দিয়েছে। দেশে বিদ্যমান স্বৈর সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, আন্দোলন করেছে। আগামীর বাংলাদেশ যেন সুন্দর হয়, দুর্নীতিমুক্ত হয়। যুগ যুগ ধরে আগামী প্রজন্ম যেন আমার ভাইয়ের এ অবদান মনে রাখে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে স্বৈরতন্ত্র শেখ হাসিনা কায়েম করেছিল অন্য কোনো দল ভবিষ্যতে এ ধরনের চেষ্টা যেন না করে। তাহলেই আমার ভাই ভালো থাকবে। আমার ভাইয়ের আত্মাও শান্তি পাবে।’
শিশুদের কলকাকলিতে মুখর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারি। গ্যালারির দেয়ালজুড়ে সাজানো তাদেরই পছন্দের অনেক ছবি। বইয়ে যে ছবি দেখে পড়া শিখেছে, সেগুলোই ঝুলছিল দেয়ালে। কী নেই সেখানে! নানা নকশায় লেখা বাংলা বর্ণমালা। গাছের ছবি, প্রাণীর ছবি, ফুলের ছবি, পাখির ছবি। বাচ্চারা সেগুলো দেখছে, পরস্পর আলাপ করছে।
৪ ঘণ্টা আগেসংস্কার শুরু হয়েছে রাজশাহী মহানগরীর জামালপুর-চকপাড়া ও হড়গ্রাম এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার বাড়ির সামনের সড়ক। পুরোনো ইট-খোয়া সরিয়ে নতুন উপকরণ দিয়ে করার কথা কাজ। কিন্তু ঠিকাদার সড়ক দুটি খুঁড়ে পাওয়া পুরোনো ইট-খোয়া দিয়েই কাজ করছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করলেও পরিদর্শনেই যাননি
৪ ঘণ্টা আগেবান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদর ইউনিয়নে ভুয়া কাগজপত্রে ভোটার হচ্ছেন রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা ভুয়া নাগরিক সনদ ও ‘রোহিঙ্গা নয়’ মর্মে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৫ ঘণ্টা আগেইতিহাস, ঐতিহ্য আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বাংলাদেশ বেতারের পুরোনো সদর দপ্তর ভবন। রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত এই ভবনের অবস্থা এখন করুণ। বেতারের স্মৃতি-ঐতিহ্যের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। প্রায় পরিত্যক্ত এই ভবন এখন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক বিএসএমএমইউ/পিজি) জন্য কাজ করা আনসার সদস্যদের
৫ ঘণ্টা আগে