কাঠালিয়া (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে প্রসূতির জরায়ু কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই নারীর সি-সেকশন অপারেশন করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তাপস কুমার তালুকদার। অবশেষে ভুক্তভোগী সেই নারীর উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। গত বৃহস্পতিবার তাঁকে ঢাকার শ্যামলী সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। মাহিনুর বেগম (২৩) নামে ওই প্রসূতি বেতাগী উপজেলার নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী। তিনি কাঠালিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাঠালিয়া গ্রামের শাহজাহানের (মৃত) মেয়ে।
জানা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর প্রসবব্যথা নিয়ে মাহিনুরকে আমুয়া অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। এ সময় সিজার করতে গিয়ে মাহিনুরের জরায়ু কেটে ফেলার অভিযোগ করেন স্বজনেরা। এতে রোগী মাহিনুর বেগমের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তাঁকে ১১ ব্যাগ রক্ত দেন। পরে ১৫ ডিসেম্বর অন্যত্র চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে ক্লিনিকের রেজিস্টার থেকে মাহিনুরের নাম কেটে দেওয়া হয়। মাহিনুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসকে দেখানো হয়। সেখানে শয্যা না পাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকার শ্যামলী সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তাপস কুমার তালুকদার বলেন, ‘আগে মাহিনুরের সিজার করা থাকায় ফুলটা পজিশনে ছিল না এবং জরায়ুর মধ্যে একটা টিউমার ছিল। এ কারণে অপারেশন করতে গেলে খুব ব্লিডিং হয়। এটা আগে আলট্রাসনোগ্রাফিতে ধরা পড়েনি। অপারেশন করে বাচ্চা বের করার পরে যখন ফুলটা জরায়ু থেকে আলাদা করতে হয় তখন ফুলটা জরায়ুর মধ্যে ঢুকে থাকে। ওটা ছাড়ালেও ব্লিডিং হয় এবং না ছাড়ালেও ব্লিডিং হয়। না ছাড়ালে ফুলটা থেকে গেলে প্রচুর ব্লিডিং হয়। সেই মুহূর্তে জরায়ুর কিছু অংশ কেটে ফেলে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। ওটা করতে গেলে যেহেতু তাঁর প্রচুর ব্লিডিং হয়েছিল তখন জরুরিভিত্তিতে অনেক ব্যাগ রক্ত দিয়ে রোগীকে সেভ করা হয়েছে। কয়েক দিন পরে রোগীর ইনফেকশন হলে রোগীর আত্মীয়স্বজন মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ ছড়ায়। আমি মানবিক দিক বিবেচনায় এবং অসহায় মাহিনুর বেগমের পাশে দাঁড়িয়েছি এবং রোগী ও তাঁর স্বজনদের পছন্দের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে তাঁর উন্নত চিকিৎসা করাচ্ছি। এখন সে অনেকটা সুস্থ।’
মাহিনুর বেগমের বোন শাহিনুর বেগম বলেন, ‘ডা. তাপস স্যারের মাধ্যমে ঢাকার শ্যামলী সেন্ট্রাল হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছে। চিকিৎসাসহ সমস্ত খরচ তিনিই দিচ্ছেন। বর্তমানে এখানে তাঁর বিভিন্ন টেস্ট করানো হচ্ছে। বোন আগের থেকে একটু ভালো।’
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে প্রসূতির জরায়ু কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই নারীর সি-সেকশন অপারেশন করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তাপস কুমার তালুকদার। অবশেষে ভুক্তভোগী সেই নারীর উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। গত বৃহস্পতিবার তাঁকে ঢাকার শ্যামলী সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। মাহিনুর বেগম (২৩) নামে ওই প্রসূতি বেতাগী উপজেলার নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী। তিনি কাঠালিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাঠালিয়া গ্রামের শাহজাহানের (মৃত) মেয়ে।
জানা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর প্রসবব্যথা নিয়ে মাহিনুরকে আমুয়া অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। এ সময় সিজার করতে গিয়ে মাহিনুরের জরায়ু কেটে ফেলার অভিযোগ করেন স্বজনেরা। এতে রোগী মাহিনুর বেগমের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তাঁকে ১১ ব্যাগ রক্ত দেন। পরে ১৫ ডিসেম্বর অন্যত্র চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে ক্লিনিকের রেজিস্টার থেকে মাহিনুরের নাম কেটে দেওয়া হয়। মাহিনুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসকে দেখানো হয়। সেখানে শয্যা না পাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকার শ্যামলী সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তাপস কুমার তালুকদার বলেন, ‘আগে মাহিনুরের সিজার করা থাকায় ফুলটা পজিশনে ছিল না এবং জরায়ুর মধ্যে একটা টিউমার ছিল। এ কারণে অপারেশন করতে গেলে খুব ব্লিডিং হয়। এটা আগে আলট্রাসনোগ্রাফিতে ধরা পড়েনি। অপারেশন করে বাচ্চা বের করার পরে যখন ফুলটা জরায়ু থেকে আলাদা করতে হয় তখন ফুলটা জরায়ুর মধ্যে ঢুকে থাকে। ওটা ছাড়ালেও ব্লিডিং হয় এবং না ছাড়ালেও ব্লিডিং হয়। না ছাড়ালে ফুলটা থেকে গেলে প্রচুর ব্লিডিং হয়। সেই মুহূর্তে জরায়ুর কিছু অংশ কেটে ফেলে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। ওটা করতে গেলে যেহেতু তাঁর প্রচুর ব্লিডিং হয়েছিল তখন জরুরিভিত্তিতে অনেক ব্যাগ রক্ত দিয়ে রোগীকে সেভ করা হয়েছে। কয়েক দিন পরে রোগীর ইনফেকশন হলে রোগীর আত্মীয়স্বজন মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ ছড়ায়। আমি মানবিক দিক বিবেচনায় এবং অসহায় মাহিনুর বেগমের পাশে দাঁড়িয়েছি এবং রোগী ও তাঁর স্বজনদের পছন্দের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে তাঁর উন্নত চিকিৎসা করাচ্ছি। এখন সে অনেকটা সুস্থ।’
মাহিনুর বেগমের বোন শাহিনুর বেগম বলেন, ‘ডা. তাপস স্যারের মাধ্যমে ঢাকার শ্যামলী সেন্ট্রাল হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছে। চিকিৎসাসহ সমস্ত খরচ তিনিই দিচ্ছেন। বর্তমানে এখানে তাঁর বিভিন্ন টেস্ট করানো হচ্ছে। বোন আগের থেকে একটু ভালো।’
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৪ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৪ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৪ ঘণ্টা আগে