নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র হিসেবে আগামী মঙ্গলবার দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত। সিটি করপোরেশনের পঞ্চম পরিষদের নেতৃত্ব দিতে আর এক দিন পরই অভিষেক হবে তাঁর। এ উপলক্ষে নগরীকে নতুন করে সাজানো হয়েছে। অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশের বিভিন্ন করপোরেশনের মেয়রসহ হেভিওয়েট আওয়ামী লীগ নেতারা। এদিকে মেয়র খোকন আজ রোববার এক মতবিনিময় সভায় ‘নতুন বরিশাল’ গড়ার লক্ষ্যে গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা চেয়েছেন।
মতবিনিময় সভায় মেয়র খোকন বলেন, শেখ হাসিনা তাঁকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা বড় কঠিন। এখানে কোনো উন্নয়ন হয়নি। সেই বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী ৭৯৭ কোটি টাকার বরাদ্দ বরিশালবাসীকে উপহার দিয়েছেন। এর মাধ্যমে নগরের রাস্তাঘাট, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতা দূর করা হবে। তিনি বলেন, ‘করপোরেশনের প্রশাসনিক ব্যবস্থা পুনর্গঠন করতে হবে। আপনাদের কাছে অনুরোধ, নতুন বরিশাল গড়তে সহযোগিতা করুন।’
নতুন মেয়র আক্ষেপ করে বলেন, ‘বরিশালে দায়িত্বশীল নেতৃত্বের অভাবে উন্নয়ন হয়নি। সচিব থেকে মন্ত্রী পর্যন্ত ক্ষুব্ধ। কোনো কর্মকর্তা মান-সম্মানের ভয়ে বিসিসিতে আসতে চান না।’ তিনি বরিশাল মেডিকেল ও সদর হাসপাতালের বেহাল অবস্থা তুলে ধরে বলেন, নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এই সেক্টরে হাত দেবেন তিনি।
এদিকে নতুন মেয়রের অভিষেক উপলক্ষে নগর ভবনের সামনে মঞ্চ করে একদিকে চলছে সাজসজ্জা, অন্যদিকে চলছে নগর ভবনে সংস্কারকাজ। সদর রোড, ফজলুল হক অ্যাভিনিউতে তোরণ করা হয়েছে এক ডজন। নগরীজুড়ে ব্যানার-ফেস্টুন।
এ প্রসঙ্গে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য অসীম দেওয়ান বলেন, ‘আমরা নতুন মেয়রকে বরণ করব। এ জন্য নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বসিত। দীর্ঘদিন বঞ্চিত নেতা-কর্মীরা এখন খোকন ভাইয়ের কাছে আশ্রয় পাচ্ছেন। গোটা বরিশাল নগরবাসী খোকন ভাইয়ের সেবা পেতে তাঁর দিকে চেয়ে আছে।’
মহানগর যুবলীগ নেতা মাহমুদুল হক খান মামুন বলেন, ‘নগরবাসী আর বঞ্চিত থাকতে চান না। তাঁরা খোকন ভাইয়ের উন্নয়নের চমক দেখতে চান। এই ভালো মানুষটিকে ১৪ নভেম্বর নগরবাসী বরণ করবে।’
বিসিসির দেওয়া তথ্যমতে, অভিষেক অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন নগরের কয়েকজন মেয়র, আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা আমির হোসেন আমু, জাহাঙ্গীর কবির নানক, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক উপস্থিত থাকবেন।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র হিসেবে আগামী মঙ্গলবার দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত। সিটি করপোরেশনের পঞ্চম পরিষদের নেতৃত্ব দিতে আর এক দিন পরই অভিষেক হবে তাঁর। এ উপলক্ষে নগরীকে নতুন করে সাজানো হয়েছে। অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশের বিভিন্ন করপোরেশনের মেয়রসহ হেভিওয়েট আওয়ামী লীগ নেতারা। এদিকে মেয়র খোকন আজ রোববার এক মতবিনিময় সভায় ‘নতুন বরিশাল’ গড়ার লক্ষ্যে গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা চেয়েছেন।
মতবিনিময় সভায় মেয়র খোকন বলেন, শেখ হাসিনা তাঁকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা বড় কঠিন। এখানে কোনো উন্নয়ন হয়নি। সেই বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী ৭৯৭ কোটি টাকার বরাদ্দ বরিশালবাসীকে উপহার দিয়েছেন। এর মাধ্যমে নগরের রাস্তাঘাট, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতা দূর করা হবে। তিনি বলেন, ‘করপোরেশনের প্রশাসনিক ব্যবস্থা পুনর্গঠন করতে হবে। আপনাদের কাছে অনুরোধ, নতুন বরিশাল গড়তে সহযোগিতা করুন।’
নতুন মেয়র আক্ষেপ করে বলেন, ‘বরিশালে দায়িত্বশীল নেতৃত্বের অভাবে উন্নয়ন হয়নি। সচিব থেকে মন্ত্রী পর্যন্ত ক্ষুব্ধ। কোনো কর্মকর্তা মান-সম্মানের ভয়ে বিসিসিতে আসতে চান না।’ তিনি বরিশাল মেডিকেল ও সদর হাসপাতালের বেহাল অবস্থা তুলে ধরে বলেন, নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এই সেক্টরে হাত দেবেন তিনি।
এদিকে নতুন মেয়রের অভিষেক উপলক্ষে নগর ভবনের সামনে মঞ্চ করে একদিকে চলছে সাজসজ্জা, অন্যদিকে চলছে নগর ভবনে সংস্কারকাজ। সদর রোড, ফজলুল হক অ্যাভিনিউতে তোরণ করা হয়েছে এক ডজন। নগরীজুড়ে ব্যানার-ফেস্টুন।
এ প্রসঙ্গে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য অসীম দেওয়ান বলেন, ‘আমরা নতুন মেয়রকে বরণ করব। এ জন্য নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বসিত। দীর্ঘদিন বঞ্চিত নেতা-কর্মীরা এখন খোকন ভাইয়ের কাছে আশ্রয় পাচ্ছেন। গোটা বরিশাল নগরবাসী খোকন ভাইয়ের সেবা পেতে তাঁর দিকে চেয়ে আছে।’
মহানগর যুবলীগ নেতা মাহমুদুল হক খান মামুন বলেন, ‘নগরবাসী আর বঞ্চিত থাকতে চান না। তাঁরা খোকন ভাইয়ের উন্নয়নের চমক দেখতে চান। এই ভালো মানুষটিকে ১৪ নভেম্বর নগরবাসী বরণ করবে।’
বিসিসির দেওয়া তথ্যমতে, অভিষেক অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন নগরের কয়েকজন মেয়র, আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা আমির হোসেন আমু, জাহাঙ্গীর কবির নানক, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক উপস্থিত থাকবেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র হিসেবে আগামী মঙ্গলবার দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত। সিটি করপোরেশনের পঞ্চম পরিষদের নেতৃত্ব দিতে আর এক দিন পরই অভিষেক হবে তাঁর। এ উপলক্ষে নগরীকে নতুন করে সাজানো হয়েছে। অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশের বিভিন্ন করপোরেশনের মেয়রসহ হেভিওয়েট আওয়ামী লীগ নেতারা। এদিকে মেয়র খোকন আজ রোববার এক মতবিনিময় সভায় ‘নতুন বরিশাল’ গড়ার লক্ষ্যে গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা চেয়েছেন।
মতবিনিময় সভায় মেয়র খোকন বলেন, শেখ হাসিনা তাঁকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা বড় কঠিন। এখানে কোনো উন্নয়ন হয়নি। সেই বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী ৭৯৭ কোটি টাকার বরাদ্দ বরিশালবাসীকে উপহার দিয়েছেন। এর মাধ্যমে নগরের রাস্তাঘাট, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতা দূর করা হবে। তিনি বলেন, ‘করপোরেশনের প্রশাসনিক ব্যবস্থা পুনর্গঠন করতে হবে। আপনাদের কাছে অনুরোধ, নতুন বরিশাল গড়তে সহযোগিতা করুন।’
নতুন মেয়র আক্ষেপ করে বলেন, ‘বরিশালে দায়িত্বশীল নেতৃত্বের অভাবে উন্নয়ন হয়নি। সচিব থেকে মন্ত্রী পর্যন্ত ক্ষুব্ধ। কোনো কর্মকর্তা মান-সম্মানের ভয়ে বিসিসিতে আসতে চান না।’ তিনি বরিশাল মেডিকেল ও সদর হাসপাতালের বেহাল অবস্থা তুলে ধরে বলেন, নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এই সেক্টরে হাত দেবেন তিনি।
এদিকে নতুন মেয়রের অভিষেক উপলক্ষে নগর ভবনের সামনে মঞ্চ করে একদিকে চলছে সাজসজ্জা, অন্যদিকে চলছে নগর ভবনে সংস্কারকাজ। সদর রোড, ফজলুল হক অ্যাভিনিউতে তোরণ করা হয়েছে এক ডজন। নগরীজুড়ে ব্যানার-ফেস্টুন।
এ প্রসঙ্গে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য অসীম দেওয়ান বলেন, ‘আমরা নতুন মেয়রকে বরণ করব। এ জন্য নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বসিত। দীর্ঘদিন বঞ্চিত নেতা-কর্মীরা এখন খোকন ভাইয়ের কাছে আশ্রয় পাচ্ছেন। গোটা বরিশাল নগরবাসী খোকন ভাইয়ের সেবা পেতে তাঁর দিকে চেয়ে আছে।’
মহানগর যুবলীগ নেতা মাহমুদুল হক খান মামুন বলেন, ‘নগরবাসী আর বঞ্চিত থাকতে চান না। তাঁরা খোকন ভাইয়ের উন্নয়নের চমক দেখতে চান। এই ভালো মানুষটিকে ১৪ নভেম্বর নগরবাসী বরণ করবে।’
বিসিসির দেওয়া তথ্যমতে, অভিষেক অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন নগরের কয়েকজন মেয়র, আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা আমির হোসেন আমু, জাহাঙ্গীর কবির নানক, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক উপস্থিত থাকবেন।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র হিসেবে আগামী মঙ্গলবার দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত। সিটি করপোরেশনের পঞ্চম পরিষদের নেতৃত্ব দিতে আর এক দিন পরই অভিষেক হবে তাঁর। এ উপলক্ষে নগরীকে নতুন করে সাজানো হয়েছে। অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশের বিভিন্ন করপোরেশনের মেয়রসহ হেভিওয়েট আওয়ামী লীগ নেতারা। এদিকে মেয়র খোকন আজ রোববার এক মতবিনিময় সভায় ‘নতুন বরিশাল’ গড়ার লক্ষ্যে গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা চেয়েছেন।
মতবিনিময় সভায় মেয়র খোকন বলেন, শেখ হাসিনা তাঁকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা বড় কঠিন। এখানে কোনো উন্নয়ন হয়নি। সেই বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী ৭৯৭ কোটি টাকার বরাদ্দ বরিশালবাসীকে উপহার দিয়েছেন। এর মাধ্যমে নগরের রাস্তাঘাট, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতা দূর করা হবে। তিনি বলেন, ‘করপোরেশনের প্রশাসনিক ব্যবস্থা পুনর্গঠন করতে হবে। আপনাদের কাছে অনুরোধ, নতুন বরিশাল গড়তে সহযোগিতা করুন।’
নতুন মেয়র আক্ষেপ করে বলেন, ‘বরিশালে দায়িত্বশীল নেতৃত্বের অভাবে উন্নয়ন হয়নি। সচিব থেকে মন্ত্রী পর্যন্ত ক্ষুব্ধ। কোনো কর্মকর্তা মান-সম্মানের ভয়ে বিসিসিতে আসতে চান না।’ তিনি বরিশাল মেডিকেল ও সদর হাসপাতালের বেহাল অবস্থা তুলে ধরে বলেন, নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এই সেক্টরে হাত দেবেন তিনি।
এদিকে নতুন মেয়রের অভিষেক উপলক্ষে নগর ভবনের সামনে মঞ্চ করে একদিকে চলছে সাজসজ্জা, অন্যদিকে চলছে নগর ভবনে সংস্কারকাজ। সদর রোড, ফজলুল হক অ্যাভিনিউতে তোরণ করা হয়েছে এক ডজন। নগরীজুড়ে ব্যানার-ফেস্টুন।
এ প্রসঙ্গে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য অসীম দেওয়ান বলেন, ‘আমরা নতুন মেয়রকে বরণ করব। এ জন্য নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বসিত। দীর্ঘদিন বঞ্চিত নেতা-কর্মীরা এখন খোকন ভাইয়ের কাছে আশ্রয় পাচ্ছেন। গোটা বরিশাল নগরবাসী খোকন ভাইয়ের সেবা পেতে তাঁর দিকে চেয়ে আছে।’
মহানগর যুবলীগ নেতা মাহমুদুল হক খান মামুন বলেন, ‘নগরবাসী আর বঞ্চিত থাকতে চান না। তাঁরা খোকন ভাইয়ের উন্নয়নের চমক দেখতে চান। এই ভালো মানুষটিকে ১৪ নভেম্বর নগরবাসী বরণ করবে।’
বিসিসির দেওয়া তথ্যমতে, অভিষেক অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন নগরের কয়েকজন মেয়র, আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা আমির হোসেন আমু, জাহাঙ্গীর কবির নানক, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক উপস্থিত থাকবেন।

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেঘনা নদীতে স্থানীয় যুবদল নেতা হেলাল উদ্দিন ও মো. কবির হোসেনের নিয়ন্ত্রণে নির্বিচারে মৎস্য নিধন চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের মদদে অবৈধ ’খচ্ছি জাল’ ব্যবহার করে প্রতিদিন মণকে মণ ঝাটকা ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা মারা পড়ছে।
৬ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর বাসন ও কাশিমপুর থানা এবং জেলার শ্রীপুর থানা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে ও আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বাস তিনটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
১ ঘণ্টা আগে
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে। সে এক ভয়াল দৃশ্য।
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেকমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেঘনা নদীতে স্থানীয় যুবদল নেতা হেলাল উদ্দিন ও মো. কবির হোসেনের নিয়ন্ত্রণে নির্বিচারে মৎস্য নিধন চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের মদদে অবৈধ ’খচ্ছি জাল’ ব্যবহার করে প্রতিদিন মণকে মণ ঝাটকা ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা মারা পড়ছে। এর ফলে নদীর জীববৈচিত্র্য ও ইলিশের অভয়াশ্রম মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে।
অভিযোগ রয়েছে, যুবদল নেতা হেলাল সাহেবের হাট ও মাতাব্বর হাট এলাকায় একটি জেলে বাহিনীকে মদদ দেন। অভিযুক্ত হেলাল সাহেবের হাট ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য। এই বাহিনী বিশেষ কায়দায় জোয়ার-ভাটার গতিপথে অবৈধ ’খচ্ছি জাল’ পেতে নির্বিচারে মৎস্য সম্পদ নিধন করছে।
মতিরহাট এলাকায় যুবদল নেতা মো. কবির হোসেন এই অবৈধ কাজের নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি উপজেলা যুবদলের সদস্য। কালকিনি ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আব্দুল খালেক নিশ্চিত করেন যে, আক্কাস মাঝির নেতৃত্বে যে পাঁচটি নৌকায় মাছ ধরা হয়, তার পুরো নিয়ন্ত্রণ কবিরের হাতে। তিনি বলেন, ‘এদেরকে দিয়ে চুক্তিতে মাছ ধরানো হয় এবং প্রশাসনিক সকল ’টেবিল ম্যানেজ’ করেন কবির।’
মেঘনা নদীতে গিয়ে দেখা যায় এক ভয়াবহ চিত্র। মাতাব্বর হাটসহ আশেপাশে জেগে ওঠা চরে পাতানো হয়েছে অবৈধ ’খচ্ছি জালের ফাঁদ’। যতদূর চোখ যায়, কেবল খুঁটি আর জালে ঘেরা সেই দৃশ্য। বিস্তীর্ণ চরের চারপাশে মাটিতে পোঁতা হয়েছে শত শত খুঁটি, যার সঙ্গে বাঁধা রয়েছে মশারি জালের মতো বিশেষ জাল।
জোয়ারের সময় এই ফাঁদ পাতা জাল ডুবে যায়। কিন্তু ভাটা শুরু হতেই যখন চরের পানি নেমে যেতে থাকে, তখন জালগুলোতে আটকা পড়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এসময় মণকে মণ মাছের পোনা ও জলজ উদ্ভিদ নির্বিচারে ধ্বংস হয়।
কমলনগরের মেঘনা নদী ইলিশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অভয়াশ্রম। এখানেই মা ইলিশ ডিম ছাড়ে, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বেড়ে ওঠার আগেই ’খচ্ছি জালের’ ফাঁদে আটকে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ইলিশের সেই পোনাগুলো। এই ধ্বংসযজ্ঞ চলতে থাকলে সরকারের ‘মা ইলিশ রক্ষা’ এবং ‘জাটকা রক্ষা অভিযান’ কোনোভাবেই সফল হবে না। দিনি দিন ইলিশসহ মাছের উৎপাদন কমতে থাকবে।

স্থানীয়রা বলছেন, মেঘনার বুকে জেগে উঠা প্রায় দুই-তিন কিলোমিটার চর জুড়ে এই অবৈধ জালের ব্যবহার দিনদিন বাড়ছে। এই ফাঁদে আটকা পড়া বড় মাছ জেলেরা সংগ্রহ করলেও, বাকি মাছের পোনাগুলো চরের কাদামাটিতে আটকা পড়ে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
মাছঘাট দখল ও চাঁদাবাজির কারণে হেলালকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও পরে তিনি ‘রহস্যজনকভাবে’ স্বপদে ফিরে আসেন এবং এরপর থেকেই আরও বেপরোয়াভাবে এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন।
অভিযোগ রয়েছে, এই যুবদল নেতারা মোটা অঙ্কের টাকায় ’বিভিন্ন টেবিল ম্যানেজ’ করেই এসব করছেন। সাধারণ জেলেরা জানিয়েছেন, "নেতারা দলের ও গায়ের জোরে নদীতে অবৈধ জাল দিয়ে মাছ মারছেন। আমরা ভয়ে মুখ খুলতে পারছি না। প্রতিবাদ করলে বিপদ।"
অবৈধ জালে মাছ ধ্বংসের বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদল নেতা হেলাল মেম্বার সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে পরে একজন কথা বলবে।’ যুবদল নেতা কবির হোসেন তার সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কোনো মাছের ব্যবসা করি না, আমি কিছুই জানি না।’
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তুর্য সাহা বলেন, ‘আমি ছুটিতে ছিলাম। এসেই বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়েছি। এরই মধ্যে জালের বেশ কিছু খুঁটি অপসারণ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আবারও অভিযান দিয়ে পুরোটা অপসারণ করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মো. রাহাত উজ জামান বলেন, ‘যুবদল নেতার বিষয়ে অভিযোগ শুনেছি। মৎস্য কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
সচেতন মহল অবিলম্বে এই অবৈধ ’খচ্ছি জাল’ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, এই ধ্বংসযজ্ঞ চলতে থাকলে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমে যাবে এবং সরকারের ‘মা ইলিশ রক্ষা’ ও ‘জাটকা রক্ষা অভিযান’ সফল হবে না। মৎস্য খাতকে রক্ষায় এই চক্রের মূল হোতাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেঘনা নদীতে স্থানীয় যুবদল নেতা হেলাল উদ্দিন ও মো. কবির হোসেনের নিয়ন্ত্রণে নির্বিচারে মৎস্য নিধন চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের মদদে অবৈধ ’খচ্ছি জাল’ ব্যবহার করে প্রতিদিন মণকে মণ ঝাটকা ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা মারা পড়ছে। এর ফলে নদীর জীববৈচিত্র্য ও ইলিশের অভয়াশ্রম মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে।
অভিযোগ রয়েছে, যুবদল নেতা হেলাল সাহেবের হাট ও মাতাব্বর হাট এলাকায় একটি জেলে বাহিনীকে মদদ দেন। অভিযুক্ত হেলাল সাহেবের হাট ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য। এই বাহিনী বিশেষ কায়দায় জোয়ার-ভাটার গতিপথে অবৈধ ’খচ্ছি জাল’ পেতে নির্বিচারে মৎস্য সম্পদ নিধন করছে।
মতিরহাট এলাকায় যুবদল নেতা মো. কবির হোসেন এই অবৈধ কাজের নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি উপজেলা যুবদলের সদস্য। কালকিনি ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আব্দুল খালেক নিশ্চিত করেন যে, আক্কাস মাঝির নেতৃত্বে যে পাঁচটি নৌকায় মাছ ধরা হয়, তার পুরো নিয়ন্ত্রণ কবিরের হাতে। তিনি বলেন, ‘এদেরকে দিয়ে চুক্তিতে মাছ ধরানো হয় এবং প্রশাসনিক সকল ’টেবিল ম্যানেজ’ করেন কবির।’
মেঘনা নদীতে গিয়ে দেখা যায় এক ভয়াবহ চিত্র। মাতাব্বর হাটসহ আশেপাশে জেগে ওঠা চরে পাতানো হয়েছে অবৈধ ’খচ্ছি জালের ফাঁদ’। যতদূর চোখ যায়, কেবল খুঁটি আর জালে ঘেরা সেই দৃশ্য। বিস্তীর্ণ চরের চারপাশে মাটিতে পোঁতা হয়েছে শত শত খুঁটি, যার সঙ্গে বাঁধা রয়েছে মশারি জালের মতো বিশেষ জাল।
জোয়ারের সময় এই ফাঁদ পাতা জাল ডুবে যায়। কিন্তু ভাটা শুরু হতেই যখন চরের পানি নেমে যেতে থাকে, তখন জালগুলোতে আটকা পড়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এসময় মণকে মণ মাছের পোনা ও জলজ উদ্ভিদ নির্বিচারে ধ্বংস হয়।
কমলনগরের মেঘনা নদী ইলিশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অভয়াশ্রম। এখানেই মা ইলিশ ডিম ছাড়ে, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বেড়ে ওঠার আগেই ’খচ্ছি জালের’ ফাঁদে আটকে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ইলিশের সেই পোনাগুলো। এই ধ্বংসযজ্ঞ চলতে থাকলে সরকারের ‘মা ইলিশ রক্ষা’ এবং ‘জাটকা রক্ষা অভিযান’ কোনোভাবেই সফল হবে না। দিনি দিন ইলিশসহ মাছের উৎপাদন কমতে থাকবে।

স্থানীয়রা বলছেন, মেঘনার বুকে জেগে উঠা প্রায় দুই-তিন কিলোমিটার চর জুড়ে এই অবৈধ জালের ব্যবহার দিনদিন বাড়ছে। এই ফাঁদে আটকা পড়া বড় মাছ জেলেরা সংগ্রহ করলেও, বাকি মাছের পোনাগুলো চরের কাদামাটিতে আটকা পড়ে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
মাছঘাট দখল ও চাঁদাবাজির কারণে হেলালকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও পরে তিনি ‘রহস্যজনকভাবে’ স্বপদে ফিরে আসেন এবং এরপর থেকেই আরও বেপরোয়াভাবে এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন।
অভিযোগ রয়েছে, এই যুবদল নেতারা মোটা অঙ্কের টাকায় ’বিভিন্ন টেবিল ম্যানেজ’ করেই এসব করছেন। সাধারণ জেলেরা জানিয়েছেন, "নেতারা দলের ও গায়ের জোরে নদীতে অবৈধ জাল দিয়ে মাছ মারছেন। আমরা ভয়ে মুখ খুলতে পারছি না। প্রতিবাদ করলে বিপদ।"
অবৈধ জালে মাছ ধ্বংসের বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদল নেতা হেলাল মেম্বার সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে পরে একজন কথা বলবে।’ যুবদল নেতা কবির হোসেন তার সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কোনো মাছের ব্যবসা করি না, আমি কিছুই জানি না।’
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তুর্য সাহা বলেন, ‘আমি ছুটিতে ছিলাম। এসেই বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়েছি। এরই মধ্যে জালের বেশ কিছু খুঁটি অপসারণ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আবারও অভিযান দিয়ে পুরোটা অপসারণ করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মো. রাহাত উজ জামান বলেন, ‘যুবদল নেতার বিষয়ে অভিযোগ শুনেছি। মৎস্য কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
সচেতন মহল অবিলম্বে এই অবৈধ ’খচ্ছি জাল’ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, এই ধ্বংসযজ্ঞ চলতে থাকলে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমে যাবে এবং সরকারের ‘মা ইলিশ রক্ষা’ ও ‘জাটকা রক্ষা অভিযান’ সফল হবে না। মৎস্য খাতকে রক্ষায় এই চক্রের মূল হোতাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

নতুন মেয়র আক্ষেপ করে বলেন, ‘বরিশালে দায়িত্বশীল নেতৃত্বের অভাবে উন্নয়ন হয়নি। সচিব থেকে মন্ত্রী পর্যন্ত ক্ষুব্ধ। কোনো কর্মকর্তা মান-সম্মানের ভয়ে বিসিসিতে আসতে চান না।’ তিনি বরিশাল মেডিকেল ও সদর হাসপাতালের বেহাল অবস্থা তুলে ধরে বলেন, নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এই সেক্টরে হাত দেবেন তিনি।
১২ নভেম্বর ২০২৩
গাজীপুর মহানগরীর বাসন ও কাশিমপুর থানা এবং জেলার শ্রীপুর থানা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে ও আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বাস তিনটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
১ ঘণ্টা আগে
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে। সে এক ভয়াল দৃশ্য।
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেগাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুর মহানগরীর বাসন ও কাশিমপুর থানা এবং জেলার শ্রীপুর থানা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে ও আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বাস তিনটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, আজ বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মহানগরীর বাসন থানাধীন ভোগড়া বাইপাস সংলগ্ন পেয়ারা বাগান এলাকায় ভিআইপি পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ভিআইপি পরিবহনের বাসটিতে কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্ত পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, ঘটনাস্থলের কাছেই ফায়ার সার্ভিসের একটি স্টেশন থাকলেও আগুন লাগার পর সদস্যরা সময়মতো আগুন নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসেননি।
তবে মডার্ন ফায়ার স্টেশন, ভোগড়ার স্টেশন অফিসার ইকবাল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা নিরাপত্তার স্বার্থে প্রথমে পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস একসঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।’
তিনি আরও জানান, আগুন দেওয়ার সময় বাসে কোনো লোক ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, রাতে বাসটি সড়কের পাশে পার্ক করা ছিল।
এ ছাড়া গাজীপুরের শ্রীপুর থানাধীন বেড়াইদের চালা এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে বাসটিতে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানান, আগুনে বাসটির ইঞ্জিন ও সিট পুড়ে গেছে।
অন্যদিকে একই রাতে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জ্যোতি ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় একজন মিস্ত্রি বাসের নিচে শুয়ে মেরামতের কাজ করছিলেন। ঠিক তখনই একটি মোটরসাইকেলে করে দুই যুবক এসে বাসের পাশে থামে এবং মুহূর্তের মধ্যে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত এগিয়ে এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। ফলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে আগুনে বাসটির আসন ও কিছু যন্ত্রাংশ পুড়ে যায়। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার রাতে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল নিয়ে এসে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে কোনো প্রাণহানি হয়নি, তবে বাসের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
মনিরুজ্জামান জানান, ঘটনাটির তদন্ত চলছে এবং অগ্নিসংযোগকারীদের শনাক্তে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

গাজীপুর মহানগরীর বাসন ও কাশিমপুর থানা এবং জেলার শ্রীপুর থানা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে ও আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বাস তিনটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, আজ বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মহানগরীর বাসন থানাধীন ভোগড়া বাইপাস সংলগ্ন পেয়ারা বাগান এলাকায় ভিআইপি পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ভিআইপি পরিবহনের বাসটিতে কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্ত পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, ঘটনাস্থলের কাছেই ফায়ার সার্ভিসের একটি স্টেশন থাকলেও আগুন লাগার পর সদস্যরা সময়মতো আগুন নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসেননি।
তবে মডার্ন ফায়ার স্টেশন, ভোগড়ার স্টেশন অফিসার ইকবাল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা নিরাপত্তার স্বার্থে প্রথমে পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস একসঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।’
তিনি আরও জানান, আগুন দেওয়ার সময় বাসে কোনো লোক ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, রাতে বাসটি সড়কের পাশে পার্ক করা ছিল।
এ ছাড়া গাজীপুরের শ্রীপুর থানাধীন বেড়াইদের চালা এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে বাসটিতে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানান, আগুনে বাসটির ইঞ্জিন ও সিট পুড়ে গেছে।
অন্যদিকে একই রাতে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জ্যোতি ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় একজন মিস্ত্রি বাসের নিচে শুয়ে মেরামতের কাজ করছিলেন। ঠিক তখনই একটি মোটরসাইকেলে করে দুই যুবক এসে বাসের পাশে থামে এবং মুহূর্তের মধ্যে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত এগিয়ে এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। ফলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে আগুনে বাসটির আসন ও কিছু যন্ত্রাংশ পুড়ে যায়। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার রাতে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল নিয়ে এসে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে কোনো প্রাণহানি হয়নি, তবে বাসের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
মনিরুজ্জামান জানান, ঘটনাটির তদন্ত চলছে এবং অগ্নিসংযোগকারীদের শনাক্তে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নতুন মেয়র আক্ষেপ করে বলেন, ‘বরিশালে দায়িত্বশীল নেতৃত্বের অভাবে উন্নয়ন হয়নি। সচিব থেকে মন্ত্রী পর্যন্ত ক্ষুব্ধ। কোনো কর্মকর্তা মান-সম্মানের ভয়ে বিসিসিতে আসতে চান না।’ তিনি বরিশাল মেডিকেল ও সদর হাসপাতালের বেহাল অবস্থা তুলে ধরে বলেন, নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এই সেক্টরে হাত দেবেন তিনি।
১২ নভেম্বর ২০২৩
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেঘনা নদীতে স্থানীয় যুবদল নেতা হেলাল উদ্দিন ও মো. কবির হোসেনের নিয়ন্ত্রণে নির্বিচারে মৎস্য নিধন চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের মদদে অবৈধ ’খচ্ছি জাল’ ব্যবহার করে প্রতিদিন মণকে মণ ঝাটকা ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা মারা পড়ছে।
৬ মিনিট আগে
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে। সে এক ভয়াল দৃশ্য।
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেশিমুল চৌধুরী, ভোলা

আজ সেই ভয়াল ১২ নভেম্বর। বাংলাদেশের উপকূলবাসীর জীবনে ইতিহাসের এক শোকাবহ, বেদনাদায়ক ও বিভীষিকাময় দুঃস্বপ্নের দিন। ১৯৭০ সালের এই দিনে ১২ নম্বর মহাবিপৎসংকেত নিয়ে ধেয়ে আসা প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে লন্ডভন্ড হয়ে যায় উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার জনজীবন। দিনটি স্মরণে আজ (১২ নভেম্বর) সকালে ভোলা প্রেসক্লাবে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। স্বাধীনতার পর যে কয়টি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে, তার মধ্যে ১৯৭০-এর ঘূর্ণিঝড় সবচেয়ে ভয়াবহ ও হিংস্র ছিল বলে মনে করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
জলোচ্ছ্বাসের পর দেড় মাস ধরে স্বজন হারানোর কান্নায় উপকূলের আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে।
১৯৭০ সালের সেই ভয়াল দিনের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে নাজিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এম ফারুকুর রহমান (৮২) বলেন, ‘১১ নভেম্বর সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে থাকে। পরদিন ১২ নভেম্বর আবহাওয়া আরও খারাপ হয়। রাত ১২টার পর থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস শুরু হলো। আমার বাড়ির উঠানে প্রায় বুকসমান পানি ছিল।’
ফারুকুর রহমান আরও বলেন, পরদিন সকালে পানি কমলেও বেড়েছিল মানুষের আহাজারি। ভোলা সদর সড়কেও ছিল হাঁটুসমান পানি। বিভিন্ন গাছে মানুষের লাশ আর মৃত পশুপাখি ঝুলতে দেখা গেছে। কয়েক মাস মানুষ কোনো মাছ খায়নি।
প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের এই দিনকে প্রতিবছর ‘উপকূল দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। উপকূলবাসী দীর্ঘদিন ধরে এই দিবসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে আসছে।
কোস্টাল জার্নালিজম নেটওয়ার্ক (সিজেনেট) এবং চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের উদ্যোগে উপকূলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় একযোগে উপকূল দিবস পালিত হচ্ছে। উপকূল দিবস বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী, উপকূল সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মন্টু বলেন, উপকূলবাসীর জীবনমান উন্নয়ন ঘটানোই এই দিবসের লক্ষ্য।
ভোলা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আজিম উদ্দিন জানান, ১৯৭০ সালে দুর্যোগকালে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা দুর্বল ছিল। তাই মানুষ ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেনি এবং সচেতনতার অভাব ছিল। যার ফলে প্রাণহানি বেশি হয়।
আজিম উদ্দিন বলেন, এখন দেশে আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা ও ডিজিটাল তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে এবং মানুষ আগের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন। ভোলায়ও পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।
আজিম উদ্দিন আরও বলেন, ভোলায় বর্তমানে ২২টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের কাজ প্রায় সম্পন্ন। এ ছাড়া নতুন করে আরও ১২টি আশ্রয়কেন্দ্র দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ করা হবে। এই কেন্দ্রগুলো নির্মিত হলে উপকূলীয় এলাকার বহু মানুষ ও গবাদিপশু আশ্রয় নিতে পারবে।

আজ সেই ভয়াল ১২ নভেম্বর। বাংলাদেশের উপকূলবাসীর জীবনে ইতিহাসের এক শোকাবহ, বেদনাদায়ক ও বিভীষিকাময় দুঃস্বপ্নের দিন। ১৯৭০ সালের এই দিনে ১২ নম্বর মহাবিপৎসংকেত নিয়ে ধেয়ে আসা প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে লন্ডভন্ড হয়ে যায় উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার জনজীবন। দিনটি স্মরণে আজ (১২ নভেম্বর) সকালে ভোলা প্রেসক্লাবে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। স্বাধীনতার পর যে কয়টি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে, তার মধ্যে ১৯৭০-এর ঘূর্ণিঝড় সবচেয়ে ভয়াবহ ও হিংস্র ছিল বলে মনে করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
জলোচ্ছ্বাসের পর দেড় মাস ধরে স্বজন হারানোর কান্নায় উপকূলের আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে।
১৯৭০ সালের সেই ভয়াল দিনের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে নাজিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এম ফারুকুর রহমান (৮২) বলেন, ‘১১ নভেম্বর সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে থাকে। পরদিন ১২ নভেম্বর আবহাওয়া আরও খারাপ হয়। রাত ১২টার পর থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস শুরু হলো। আমার বাড়ির উঠানে প্রায় বুকসমান পানি ছিল।’
ফারুকুর রহমান আরও বলেন, পরদিন সকালে পানি কমলেও বেড়েছিল মানুষের আহাজারি। ভোলা সদর সড়কেও ছিল হাঁটুসমান পানি। বিভিন্ন গাছে মানুষের লাশ আর মৃত পশুপাখি ঝুলতে দেখা গেছে। কয়েক মাস মানুষ কোনো মাছ খায়নি।
প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের এই দিনকে প্রতিবছর ‘উপকূল দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। উপকূলবাসী দীর্ঘদিন ধরে এই দিবসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে আসছে।
কোস্টাল জার্নালিজম নেটওয়ার্ক (সিজেনেট) এবং চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের উদ্যোগে উপকূলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় একযোগে উপকূল দিবস পালিত হচ্ছে। উপকূল দিবস বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী, উপকূল সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মন্টু বলেন, উপকূলবাসীর জীবনমান উন্নয়ন ঘটানোই এই দিবসের লক্ষ্য।
ভোলা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আজিম উদ্দিন জানান, ১৯৭০ সালে দুর্যোগকালে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা দুর্বল ছিল। তাই মানুষ ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেনি এবং সচেতনতার অভাব ছিল। যার ফলে প্রাণহানি বেশি হয়।
আজিম উদ্দিন বলেন, এখন দেশে আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা ও ডিজিটাল তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে এবং মানুষ আগের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন। ভোলায়ও পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।
আজিম উদ্দিন আরও বলেন, ভোলায় বর্তমানে ২২টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের কাজ প্রায় সম্পন্ন। এ ছাড়া নতুন করে আরও ১২টি আশ্রয়কেন্দ্র দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ করা হবে। এই কেন্দ্রগুলো নির্মিত হলে উপকূলীয় এলাকার বহু মানুষ ও গবাদিপশু আশ্রয় নিতে পারবে।

নতুন মেয়র আক্ষেপ করে বলেন, ‘বরিশালে দায়িত্বশীল নেতৃত্বের অভাবে উন্নয়ন হয়নি। সচিব থেকে মন্ত্রী পর্যন্ত ক্ষুব্ধ। কোনো কর্মকর্তা মান-সম্মানের ভয়ে বিসিসিতে আসতে চান না।’ তিনি বরিশাল মেডিকেল ও সদর হাসপাতালের বেহাল অবস্থা তুলে ধরে বলেন, নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এই সেক্টরে হাত দেবেন তিনি।
১২ নভেম্বর ২০২৩
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেঘনা নদীতে স্থানীয় যুবদল নেতা হেলাল উদ্দিন ও মো. কবির হোসেনের নিয়ন্ত্রণে নির্বিচারে মৎস্য নিধন চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের মদদে অবৈধ ’খচ্ছি জাল’ ব্যবহার করে প্রতিদিন মণকে মণ ঝাটকা ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা মারা পড়ছে।
৬ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর বাসন ও কাশিমপুর থানা এবং জেলার শ্রীপুর থানা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে ও আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বাস তিনটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেগাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর মহানগরীর চক্রবর্তী এলাকার জ্যোতি ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি বাস দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় একজন মিস্ত্রি বাসের নিচে শুয়ে মেরামতের কাজ করছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি মোটরসাইকেলে দুজন যুবক এসে বাসের পাশে থামেন। মুহূর্তের মধ্যে তাঁরা বাসে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন দেখে দ্রুত এগিয়ে এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। বাসে যাত্রী না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে আগুনে বাসের আসন ও কিছু যন্ত্রাংশ পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি পরিদর্শন করে।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার রাতে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল নিয়ে এসে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় ব্যক্তিদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে কোনো প্রাণহানি হয়নি; তবে বাসের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে এবং দুর্বৃত্তদের শনাক্তে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।

গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর মহানগরীর চক্রবর্তী এলাকার জ্যোতি ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি বাস দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় একজন মিস্ত্রি বাসের নিচে শুয়ে মেরামতের কাজ করছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি মোটরসাইকেলে দুজন যুবক এসে বাসের পাশে থামেন। মুহূর্তের মধ্যে তাঁরা বাসে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন দেখে দ্রুত এগিয়ে এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। বাসে যাত্রী না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে আগুনে বাসের আসন ও কিছু যন্ত্রাংশ পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি পরিদর্শন করে।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার রাতে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল নিয়ে এসে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় ব্যক্তিদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে কোনো প্রাণহানি হয়নি; তবে বাসের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে এবং দুর্বৃত্তদের শনাক্তে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।

নতুন মেয়র আক্ষেপ করে বলেন, ‘বরিশালে দায়িত্বশীল নেতৃত্বের অভাবে উন্নয়ন হয়নি। সচিব থেকে মন্ত্রী পর্যন্ত ক্ষুব্ধ। কোনো কর্মকর্তা মান-সম্মানের ভয়ে বিসিসিতে আসতে চান না।’ তিনি বরিশাল মেডিকেল ও সদর হাসপাতালের বেহাল অবস্থা তুলে ধরে বলেন, নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এই সেক্টরে হাত দেবেন তিনি।
১২ নভেম্বর ২০২৩
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেঘনা নদীতে স্থানীয় যুবদল নেতা হেলাল উদ্দিন ও মো. কবির হোসেনের নিয়ন্ত্রণে নির্বিচারে মৎস্য নিধন চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের মদদে অবৈধ ’খচ্ছি জাল’ ব্যবহার করে প্রতিদিন মণকে মণ ঝাটকা ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা মারা পড়ছে।
৬ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর বাসন ও কাশিমপুর থানা এবং জেলার শ্রীপুর থানা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে ও আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বাস তিনটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
১ ঘণ্টা আগে
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, উপমহাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়। উত্তাল মেঘনা নদী এবং তার শাখা-প্রশাখা রূপান্তরিত হয়েছিল লাশের ভাগাড়ে। সে এক ভয়াল দৃশ্য।
২ ঘণ্টা আগে