বরগুনা ও পাথরঘাটা প্রতিনিধি
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় কোস্ট গার্ডের নাম ব্যবহার করে একটি অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতন করতে আজ রোববার (২২ জুন) বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হয়।
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড মাইকিংয়ের মাধ্যমে স্পষ্ট জানিয়েছে, তারা কখনোই কোনো সাধারণ নাগরিকের কাছ থেকে চাঁদা দাবি বা আদায় করে না। এতে আরও বলা হয়, কোস্ট গার্ডের নাম ব্যবহার করে কেউ চাঁদা দাবি করলে তা একটি গুরুতর প্রতারণামূলক অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
কোস্ট গার্ড সাধারণ জনগণকে আহ্বান জানিয়েছে, কেউ যদি এ ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হন বা চক্রের সন্ধান পান, তাহলে দ্রুত ১৬১১১ নম্বরে ফোন করে অথবা সরাসরি পাথরঘাটা কোস্ট গার্ড স্টেশনে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেন।
জানা গেছে, কোস্ট গার্ডের সোর্স পরিচয়ে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে বরগুনার পাথরঘাটায় মাছ ধরার ট্রলার, নদীপথে মালবাহী নৌযান ও উপকূলবর্তী এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ‘কোস্ট গার্ডের অনুমোদন’ বা ‘রক্ষার’ নামে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করছে। এমন অভিযোগ উপকূলীয় মৎস্য ব্যবসায়ীদের। মূলত এমন অভিযোগের বিষয়ে কোস্ট গার্ডের অবস্থান স্পষ্ট করতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সতর্ক করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে কোস্ট গার্ডের একজন কর্মকর্তা জানান, কোস্ট গার্ডের সঙ্গে এই অপরাধীদের কোনো সম্পর্ক নেই। তাঁরা জনগণকে আহ্বান জানান, কেউ এমন চাঁদাবাজির মুখোমুখি হলে যেন তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসনকে জানানো হয়।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মেহেদী হাসান জানান, কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে এলাকায় সতর্কতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, ১৭ জুন বেলা ১টার দিকে কোস্ট গার্ড স্টেশন পাথরঘাটা কর্তৃক বরগুনার পাথরঘাটা থানায় একটি অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দুটি অবৈধ আর্টিসানাল ট্রলিং বোট জব্দ করা হয় এবং তল্লাশি করে ২০০ কেজি সামুদ্রিক মাছ উদ্ধার করা হয়। বোটে থাকা অভিযুক্ত ২৪ জন জেলেকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জব্দ মাছ গরিব ও অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
ওই অভিযানকে কেন্দ্র করে ১৭ জুন রাত ৯টার দিকে আনুমানিক ৩০০ জন স্থানীয় দুষ্কৃতকারী কোস্ট গার্ডের স্থাপনায় হামলা চালায়। দুষ্কৃতকারীরা কোস্ট গার্ড সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা করে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং কোস্ট গার্ডের একটি পিকআপ ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এ ছাড়া টহলকার্যে ব্যবহৃত একটি কাঠের বোট নদীতে ডুবিয়ে দেয়। পরে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও পুলিশের সমন্বিত প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানা গেছে, আটক জেলেরা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ট্রলিংবোটের মাধ্যমে অগভীর পানিতে কাদা নিংড়ে মাছের পোনা ধ্বংস করে আসছেন। এর ফলে সাগরে মাছ বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। ছোট মাছ ধরার পাশাপাশি ট্রলিং গিয়ারের আঘাতে প্রতিবছর কোটি কোটি মাছের পোনা ধ্বংস হচ্ছে। এতে অগভীর পানি বিষাক্ত হয়ে ডিম ও মাছের প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে তাঁদের এই ধ্বংসাত্মক কাজের ফলে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ আজ হুমকির মুখে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে সাগর মৎস্যশূন্য হয়ে পড়বে।
কোস্ট গার্ডের স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ১৯ জুন কোস্ট গার্ড পাথরঘাটা স্টেশন কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো. মাইনুদ্দিন খান বাদী হয়ে ৩২ জনের নাম উল্লেখসহ ৭০০ থেকে ৮০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে পাথরঘাটা থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় পাথরঘাটা থানা-পুলিশ ইতিমধ্যে সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার এজাহারনামীয় আসামিদের মধ্য রয়েছেন মো. নাসির মেম্বার (৫০)। তিনি বাদুরতলা এলাকার বাসিন্দা। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছেন স্থানীয় শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মো. কামাল হোসেন (৬০), মো. সালাম (৪২), খলিল (৩২), সোহাগ (৩৫), আল-আমিন ও রুবেল নামের ছয়জন। তাঁরা সবাই পাথরঘাটার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। এ ঘটনার পরে জেলেরা গ্রেপ্তার আতঙ্কে আছেন।
আজ সকালে পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, ঘাটে তেমন কোনো ট্রলার ভিড়ছে না। ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গভীর সাগরে জাল ফেলে মাছ নিয়ে জেলেদের ফেরার কথা থাকলেও বিএফডিসি ঘাটে নেই আগের মতো গভীর সমুদ্র থেকে ফিরে আসা ইলিশবোঝাই ট্রলার।
গভীর সমুদ্র থেকে ইলিশ নিয়ে কেন ঘাটে ট্রলার ভিড়ছে না—জানতে চাইলে বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দুলাল মাস্টার আজকের পত্রিকাকে জানান, পাথরঘাটায় অবৈধ ট্রলিং বোটের মালিক ও জেলেদের সঙ্গে কোস্ট গার্ডর সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে আসামি করেছে কোস্ট গার্ড। ফলে গ্রেপ্তার আতঙ্কে বিএফডিসি ঘাটে সাগর থেকে ইলিশ নিয়ে ট্রলার এ ঘাটে আসছে না। অনেক ট্রলার পটুয়াখালীর মহিপুর, কলাপাড়া, কিছু ট্রলার বাগেরহাটের পাড়েরহাট ও শরণখোলা, আর কিছু ট্রলার বরগুনার তালতলী ঘাটে মাছ বিক্রি করছে। ফলে বিএফডিসিতে এখন নেই কেনাবেচা। অবৈধ ট্রলিং বোটের কারণে পাথরঘাটা মৎস্য সেক্টর ধ্বংসের পথে।
দুলাল মাস্টার বলেন, ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড আমাদের জেলেদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। তবে কিছু অসাধু জেলে অবৈধ ট্রলিং ট্রলারে মাছ শিকার করেন। তাঁদের সঙ্গে মূলত এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কোস্ট গার্ড কোনো বৈধ জেলেদের হয়রানি করছে না।’
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা কোস্ট গার্ডের স্টেশন কমান্ডার (মিডিয়া সেল) মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘কোস্ট গার্ডের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও নাশকতার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আমরা ঘটনার সময় বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আসামিদের শনাক্ত করে মামলা দিয়েছি। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়—এমন কোনো নিরীহ জেলেদের নামে মামলা দেওয়া হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘অবৈধ ট্রলিং বোট জব্দে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যেখানেই এসব নৌকা পাওয়া যাবে, সেগুলো আটক করা হবে।’
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় কোস্ট গার্ডের নাম ব্যবহার করে একটি অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতন করতে আজ রোববার (২২ জুন) বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হয়।
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড মাইকিংয়ের মাধ্যমে স্পষ্ট জানিয়েছে, তারা কখনোই কোনো সাধারণ নাগরিকের কাছ থেকে চাঁদা দাবি বা আদায় করে না। এতে আরও বলা হয়, কোস্ট গার্ডের নাম ব্যবহার করে কেউ চাঁদা দাবি করলে তা একটি গুরুতর প্রতারণামূলক অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
কোস্ট গার্ড সাধারণ জনগণকে আহ্বান জানিয়েছে, কেউ যদি এ ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হন বা চক্রের সন্ধান পান, তাহলে দ্রুত ১৬১১১ নম্বরে ফোন করে অথবা সরাসরি পাথরঘাটা কোস্ট গার্ড স্টেশনে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেন।
জানা গেছে, কোস্ট গার্ডের সোর্স পরিচয়ে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে বরগুনার পাথরঘাটায় মাছ ধরার ট্রলার, নদীপথে মালবাহী নৌযান ও উপকূলবর্তী এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ‘কোস্ট গার্ডের অনুমোদন’ বা ‘রক্ষার’ নামে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করছে। এমন অভিযোগ উপকূলীয় মৎস্য ব্যবসায়ীদের। মূলত এমন অভিযোগের বিষয়ে কোস্ট গার্ডের অবস্থান স্পষ্ট করতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সতর্ক করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে কোস্ট গার্ডের একজন কর্মকর্তা জানান, কোস্ট গার্ডের সঙ্গে এই অপরাধীদের কোনো সম্পর্ক নেই। তাঁরা জনগণকে আহ্বান জানান, কেউ এমন চাঁদাবাজির মুখোমুখি হলে যেন তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসনকে জানানো হয়।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মেহেদী হাসান জানান, কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে এলাকায় সতর্কতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, ১৭ জুন বেলা ১টার দিকে কোস্ট গার্ড স্টেশন পাথরঘাটা কর্তৃক বরগুনার পাথরঘাটা থানায় একটি অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দুটি অবৈধ আর্টিসানাল ট্রলিং বোট জব্দ করা হয় এবং তল্লাশি করে ২০০ কেজি সামুদ্রিক মাছ উদ্ধার করা হয়। বোটে থাকা অভিযুক্ত ২৪ জন জেলেকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জব্দ মাছ গরিব ও অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
ওই অভিযানকে কেন্দ্র করে ১৭ জুন রাত ৯টার দিকে আনুমানিক ৩০০ জন স্থানীয় দুষ্কৃতকারী কোস্ট গার্ডের স্থাপনায় হামলা চালায়। দুষ্কৃতকারীরা কোস্ট গার্ড সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা করে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং কোস্ট গার্ডের একটি পিকআপ ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এ ছাড়া টহলকার্যে ব্যবহৃত একটি কাঠের বোট নদীতে ডুবিয়ে দেয়। পরে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও পুলিশের সমন্বিত প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানা গেছে, আটক জেলেরা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ট্রলিংবোটের মাধ্যমে অগভীর পানিতে কাদা নিংড়ে মাছের পোনা ধ্বংস করে আসছেন। এর ফলে সাগরে মাছ বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। ছোট মাছ ধরার পাশাপাশি ট্রলিং গিয়ারের আঘাতে প্রতিবছর কোটি কোটি মাছের পোনা ধ্বংস হচ্ছে। এতে অগভীর পানি বিষাক্ত হয়ে ডিম ও মাছের প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে তাঁদের এই ধ্বংসাত্মক কাজের ফলে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ আজ হুমকির মুখে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে সাগর মৎস্যশূন্য হয়ে পড়বে।
কোস্ট গার্ডের স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ১৯ জুন কোস্ট গার্ড পাথরঘাটা স্টেশন কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো. মাইনুদ্দিন খান বাদী হয়ে ৩২ জনের নাম উল্লেখসহ ৭০০ থেকে ৮০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে পাথরঘাটা থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় পাথরঘাটা থানা-পুলিশ ইতিমধ্যে সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার এজাহারনামীয় আসামিদের মধ্য রয়েছেন মো. নাসির মেম্বার (৫০)। তিনি বাদুরতলা এলাকার বাসিন্দা। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছেন স্থানীয় শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মো. কামাল হোসেন (৬০), মো. সালাম (৪২), খলিল (৩২), সোহাগ (৩৫), আল-আমিন ও রুবেল নামের ছয়জন। তাঁরা সবাই পাথরঘাটার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। এ ঘটনার পরে জেলেরা গ্রেপ্তার আতঙ্কে আছেন।
আজ সকালে পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, ঘাটে তেমন কোনো ট্রলার ভিড়ছে না। ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গভীর সাগরে জাল ফেলে মাছ নিয়ে জেলেদের ফেরার কথা থাকলেও বিএফডিসি ঘাটে নেই আগের মতো গভীর সমুদ্র থেকে ফিরে আসা ইলিশবোঝাই ট্রলার।
গভীর সমুদ্র থেকে ইলিশ নিয়ে কেন ঘাটে ট্রলার ভিড়ছে না—জানতে চাইলে বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দুলাল মাস্টার আজকের পত্রিকাকে জানান, পাথরঘাটায় অবৈধ ট্রলিং বোটের মালিক ও জেলেদের সঙ্গে কোস্ট গার্ডর সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে আসামি করেছে কোস্ট গার্ড। ফলে গ্রেপ্তার আতঙ্কে বিএফডিসি ঘাটে সাগর থেকে ইলিশ নিয়ে ট্রলার এ ঘাটে আসছে না। অনেক ট্রলার পটুয়াখালীর মহিপুর, কলাপাড়া, কিছু ট্রলার বাগেরহাটের পাড়েরহাট ও শরণখোলা, আর কিছু ট্রলার বরগুনার তালতলী ঘাটে মাছ বিক্রি করছে। ফলে বিএফডিসিতে এখন নেই কেনাবেচা। অবৈধ ট্রলিং বোটের কারণে পাথরঘাটা মৎস্য সেক্টর ধ্বংসের পথে।
দুলাল মাস্টার বলেন, ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড আমাদের জেলেদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। তবে কিছু অসাধু জেলে অবৈধ ট্রলিং ট্রলারে মাছ শিকার করেন। তাঁদের সঙ্গে মূলত এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কোস্ট গার্ড কোনো বৈধ জেলেদের হয়রানি করছে না।’
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা কোস্ট গার্ডের স্টেশন কমান্ডার (মিডিয়া সেল) মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘কোস্ট গার্ডের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও নাশকতার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আমরা ঘটনার সময় বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আসামিদের শনাক্ত করে মামলা দিয়েছি। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়—এমন কোনো নিরীহ জেলেদের নামে মামলা দেওয়া হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘অবৈধ ট্রলিং বোট জব্দে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যেখানেই এসব নৌকা পাওয়া যাবে, সেগুলো আটক করা হবে।’
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মুদিদোকানির ১ মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৩ টাকা। এই অস্বাভাবিক বিল দেখে হতবাক হন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তালম ইউনিয়নের তালম খাসপাড়া গ্রামে।
১ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় একটি কাঁঠালের জন্য ভাবি শোভা বেগমকে (৩৫) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত দেবর রাকিব (২৮) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার (২২ জুন) দুপুরে তাঁকে মানিকগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এ হাজির করা হলে বিচারক রাহুল দে ১৬৪ ধারায় তাঁর জবানবন্দি গ্রহণ করে
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর রামপুরা এলাকায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) লিমিটেডের গুরুত্বপূর্ণ সাবস্টেশনে বৈদ্যুতিক গোলযোগ দেখা দিয়েছে। এর জেরে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। আজ রোববার রাত ১০টার দিকে এই গোলযোগের সূত্রপাত হয়। ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)
২ ঘণ্টা আগেরাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) নিয়মিত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও জীবনবিমা সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের সেমিনার রুমে বিমা কোম্পানি জেনিথ ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্সের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কর্তৃপক্ষ।
৩ ঘণ্টা আগে