মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী
পটুয়াখালীতে 'আউট অব স্কুল চিলড্রেন' শিক্ষা কর্মসূচির আওতায় মাঠ পর্যায়ে জনবল নিয়োগসহ নানাবিধ অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। জেলা প্রশাসনের তদন্ত ও সুপারিশের ভিত্তিতে এ কর্মসূচির লিড এনজিও পিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (পিডিও) বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোকে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়ার ২৩ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
জানা যায়, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো কর্তৃক পিইডিপি-৪ সাব-কম্পোনেন্ট ২ দশমিক ৫ এর আওতায় পটুয়াখালীতে আউট অব স্কুল চিলড্রেন শিক্ষা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সে লক্ষ্যে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সঙ্গে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালীর লিড এনজিও পিডিও’র সঙ্গে ৩৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকার প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু প্রায় এক বছর শেষ হতে চললেও এ প্রকল্পের এক ভাগ কাজও সম্পন্ন হয়নি। উল্টো চুক্তিপত্রের শর্তাবলি লঙ্ঘন করেছে লিড এনজিও পিডিও।
এ ছাড়াও পিডিওর প্রস্তাব অনুযায়ী ৪টি এনজিওর সঙ্গে প্রকল্পের অর্ধেক কাজ ভাগ করে নেওয়ার জন্য অনুমোদন দেয় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো। এ চারটি এনজিও হচ্ছে—সোসাইটি ফর ডেভেলপমেন্ট পিপল এগ্রিকালচার (এসডিএ), উর্বার ডেভেলপমেন্ট ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন (উডিউও), ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশন এবং সেইভ দ্যা পিপল। কিন্তু কয়েক মাস গেলেও লিড এনজিও এদের সঙ্গে চুক্তি করেনি। প্রকল্পের কাজও শুরু করেনি। এমন পরিস্থিতিতে মন্ত্রণালয় থেকে পার্টনার এনজিওর সঙ্গে চুক্তি করে কাজ শুরু করার জন্য কয়েকবার চিঠি দিয়েছে। এই নির্দেশনাও অমান্য করে ৪টি এনজিও-র বদলে নতুন কয়েকটি এনজিওকে পার্টনার হিসেবে নেওয়ার প্রস্তাব দেয় পিডিও। এ সংক্রান্ত কাগজপত্র আজকের পত্রিকার হাতে রয়েছে।
এদিকে জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো লিড এনজিও পিডিওকে পাঁচবার চিঠি দিলেও কোনো সাড়া পায়নি। এমনকি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে জেলার উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো’র সহকারী পরিচালকের অনুমোদন নেওয়ার বিধান থাকলেও তার তোয়াক্কা না করেই স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় নামমাত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জনবল নিয়োগ করেছে পিডিও। যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার শর্ত পূরণ না করেই প্রোগ্রাম হেড পদে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এএইচ মুনসুরের ছেলে মো. নজরুল ইসলামকে, ডেপুটি ম্যানেজার (মনিটরিং) পদে মেয়ে জামাই (জামাতা) কামরুল ইসলামকে, উপজেলা প্রোগ্রাম ম্যানেজার পদে ভাতিজা রাকিবুল ইসলাম, নিকট আত্মীয় আসমা আক্তার ও প্রোগ্রামিং হেড পদে ছেলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মিজানুর রহমানকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় দৈনিকের চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি দেওয়া নামমাত্র বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের শেষ তারিখ ছিল ১৪ জানুয়ারি। কিন্তু প্রোগ্রাম হেড পদে নিয়োগ পাওয়া নজরুল ইসলাম এমবিএ করেছেন চলতি বছর ১২ ফেব্রুয়ারি। অর্থাৎ, এই পদে নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর ও সমমানের পদে ১০ বছরের অভিজ্ঞতার ছাড়াই নজরুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়োগে চুক্তিপত্রের টার্মস অব রেফারেন্স মানা হয়নি।
এদিকে চলতি বছরের মার্চে জেলা প্রশাসকের কাছে বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম. জামান আহমেদসহ একাধিক ব্যক্তি লিড এনজিও পিডিও’র বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতিসহ মাঠ পর্যায়ে জনবল নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক বিষয়টির তদন্তের দায়িত্ব দেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মানস চন্দ্র দাসকে। দায়িত্ব পেয়ে তদন্ত কর্মকর্তা মানস চন্দ্র দাস ২০২১ সালের ২৭ মে তদন্ত শেষ করেন। ওই তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়। এ ছাড়া পিডিও’র কোন কার্যক্রমে সরকারি নির্দেশনা যথাযথভাবে মেনে চলা হয়নি উল্লেখ করে ১০ জুন জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
তদন্ত কমিটির এ প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক গত ১৩ জুলাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে চিঠি পাঠান। চিঠির স্মারক নম্বর-০৫.১০. ৭৮০০.০০৬. ১২.০০১. ২০-৫১)। এতে নিয়োগ প্রক্রিয়াসহ পিডিও’র আউট অব স্কুল চিলড্রেন কর্মসূচি’র উক্ত নিয়োগ বাতিল করে স্বচ্ছতার সঙ্গে নতুন নিয়োগসহ সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করার সুপারিশ করা হয়। জেলা প্রশাসকের ওই চিঠির প্রেক্ষিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে লিড এনজিও পিডিও’র বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়। মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ডা. ফারজানা আরজুমান্দ স্বাক্ষরিত এই চিঠিটি দেওয়া হয় ১৮ জুলাই। যার স্মারক নম্বর-৩৮.০০. ০০০০.০১১. ২৭.০০২. ২০.১৪৭।
এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত লিড এনজিও পিডিও’র নির্বাহী পরিচালক এ. এইচ মুনসুর বলেন, ‘প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়মনীতি অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। কমিটির রেজুলেশন মোতাবেক জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পার্টনার সংস্থা নেওয়ার এখতিয়ার এডি’র নয়, এটি সম্পূর্ণ লিড এনজিও’র বিষয়। আমরা কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি করিনি।’
পটুয়াখালীর উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক পারভেজ আখতার খান বলেন, ‘লিড এনজিও পিডিও’র এমন অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনা নতুন নয়, ২০১৮ সালে ডিসেম্বরে ‘মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প’ বাস্তবায়নেও ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে দশমিনা উপজেলার তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত প্রতিবেদনও দাখিল করেছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন কর্মসূচির চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনসহ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় লিড এনজিও পিডিও’র বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই পিডিও’র বিরুদ্ধে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ওই লিড এনজিও সংস্থা ‘পিডিও’র বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছে। ওই নির্দেশের কপিও তারা পেয়েছেন। তবে, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তা এখনো জানা যায়নি।
পটুয়াখালীতে 'আউট অব স্কুল চিলড্রেন' শিক্ষা কর্মসূচির আওতায় মাঠ পর্যায়ে জনবল নিয়োগসহ নানাবিধ অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। জেলা প্রশাসনের তদন্ত ও সুপারিশের ভিত্তিতে এ কর্মসূচির লিড এনজিও পিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (পিডিও) বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোকে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়ার ২৩ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
জানা যায়, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো কর্তৃক পিইডিপি-৪ সাব-কম্পোনেন্ট ২ দশমিক ৫ এর আওতায় পটুয়াখালীতে আউট অব স্কুল চিলড্রেন শিক্ষা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সে লক্ষ্যে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সঙ্গে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালীর লিড এনজিও পিডিও’র সঙ্গে ৩৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকার প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু প্রায় এক বছর শেষ হতে চললেও এ প্রকল্পের এক ভাগ কাজও সম্পন্ন হয়নি। উল্টো চুক্তিপত্রের শর্তাবলি লঙ্ঘন করেছে লিড এনজিও পিডিও।
এ ছাড়াও পিডিওর প্রস্তাব অনুযায়ী ৪টি এনজিওর সঙ্গে প্রকল্পের অর্ধেক কাজ ভাগ করে নেওয়ার জন্য অনুমোদন দেয় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো। এ চারটি এনজিও হচ্ছে—সোসাইটি ফর ডেভেলপমেন্ট পিপল এগ্রিকালচার (এসডিএ), উর্বার ডেভেলপমেন্ট ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন (উডিউও), ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশন এবং সেইভ দ্যা পিপল। কিন্তু কয়েক মাস গেলেও লিড এনজিও এদের সঙ্গে চুক্তি করেনি। প্রকল্পের কাজও শুরু করেনি। এমন পরিস্থিতিতে মন্ত্রণালয় থেকে পার্টনার এনজিওর সঙ্গে চুক্তি করে কাজ শুরু করার জন্য কয়েকবার চিঠি দিয়েছে। এই নির্দেশনাও অমান্য করে ৪টি এনজিও-র বদলে নতুন কয়েকটি এনজিওকে পার্টনার হিসেবে নেওয়ার প্রস্তাব দেয় পিডিও। এ সংক্রান্ত কাগজপত্র আজকের পত্রিকার হাতে রয়েছে।
এদিকে জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো লিড এনজিও পিডিওকে পাঁচবার চিঠি দিলেও কোনো সাড়া পায়নি। এমনকি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে জেলার উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো’র সহকারী পরিচালকের অনুমোদন নেওয়ার বিধান থাকলেও তার তোয়াক্কা না করেই স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় নামমাত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জনবল নিয়োগ করেছে পিডিও। যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার শর্ত পূরণ না করেই প্রোগ্রাম হেড পদে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এএইচ মুনসুরের ছেলে মো. নজরুল ইসলামকে, ডেপুটি ম্যানেজার (মনিটরিং) পদে মেয়ে জামাই (জামাতা) কামরুল ইসলামকে, উপজেলা প্রোগ্রাম ম্যানেজার পদে ভাতিজা রাকিবুল ইসলাম, নিকট আত্মীয় আসমা আক্তার ও প্রোগ্রামিং হেড পদে ছেলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মিজানুর রহমানকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় দৈনিকের চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি দেওয়া নামমাত্র বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের শেষ তারিখ ছিল ১৪ জানুয়ারি। কিন্তু প্রোগ্রাম হেড পদে নিয়োগ পাওয়া নজরুল ইসলাম এমবিএ করেছেন চলতি বছর ১২ ফেব্রুয়ারি। অর্থাৎ, এই পদে নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর ও সমমানের পদে ১০ বছরের অভিজ্ঞতার ছাড়াই নজরুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়োগে চুক্তিপত্রের টার্মস অব রেফারেন্স মানা হয়নি।
এদিকে চলতি বছরের মার্চে জেলা প্রশাসকের কাছে বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম. জামান আহমেদসহ একাধিক ব্যক্তি লিড এনজিও পিডিও’র বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতিসহ মাঠ পর্যায়ে জনবল নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক বিষয়টির তদন্তের দায়িত্ব দেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মানস চন্দ্র দাসকে। দায়িত্ব পেয়ে তদন্ত কর্মকর্তা মানস চন্দ্র দাস ২০২১ সালের ২৭ মে তদন্ত শেষ করেন। ওই তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়। এ ছাড়া পিডিও’র কোন কার্যক্রমে সরকারি নির্দেশনা যথাযথভাবে মেনে চলা হয়নি উল্লেখ করে ১০ জুন জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
তদন্ত কমিটির এ প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক গত ১৩ জুলাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে চিঠি পাঠান। চিঠির স্মারক নম্বর-০৫.১০. ৭৮০০.০০৬. ১২.০০১. ২০-৫১)। এতে নিয়োগ প্রক্রিয়াসহ পিডিও’র আউট অব স্কুল চিলড্রেন কর্মসূচি’র উক্ত নিয়োগ বাতিল করে স্বচ্ছতার সঙ্গে নতুন নিয়োগসহ সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করার সুপারিশ করা হয়। জেলা প্রশাসকের ওই চিঠির প্রেক্ষিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে লিড এনজিও পিডিও’র বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়। মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ডা. ফারজানা আরজুমান্দ স্বাক্ষরিত এই চিঠিটি দেওয়া হয় ১৮ জুলাই। যার স্মারক নম্বর-৩৮.০০. ০০০০.০১১. ২৭.০০২. ২০.১৪৭।
এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত লিড এনজিও পিডিও’র নির্বাহী পরিচালক এ. এইচ মুনসুর বলেন, ‘প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়মনীতি অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। কমিটির রেজুলেশন মোতাবেক জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পার্টনার সংস্থা নেওয়ার এখতিয়ার এডি’র নয়, এটি সম্পূর্ণ লিড এনজিও’র বিষয়। আমরা কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি করিনি।’
পটুয়াখালীর উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক পারভেজ আখতার খান বলেন, ‘লিড এনজিও পিডিও’র এমন অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনা নতুন নয়, ২০১৮ সালে ডিসেম্বরে ‘মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প’ বাস্তবায়নেও ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে দশমিনা উপজেলার তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত প্রতিবেদনও দাখিল করেছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন কর্মসূচির চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনসহ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় লিড এনজিও পিডিও’র বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই পিডিও’র বিরুদ্ধে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ওই লিড এনজিও সংস্থা ‘পিডিও’র বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছে। ওই নির্দেশের কপিও তারা পেয়েছেন। তবে, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তা এখনো জানা যায়নি।
প্রাইম মুভার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম খান ও সংগঠনের দুই সদস্যকে মারধরের প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার সকাল (১৫ মে) থেকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছে প্রাইম মুভার শ্রমিক ইউনিয়ন। এর ফলে আজ সকাল ৬টা থেকে চট্টগ্রাম বন্দর ও বেসরকারি আইসিডি থেকে কন্টেইনার পরিবহন বন্ধ হয়ে গেছে। এতে অপারেটর কেন্দ্রিক
৩ মিনিট আগেজাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদের পৈতৃক বাড়ি সুন্দর মহল ও নির্মাণাধীন বাণিজ্যিক স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ওয়ালিদ আহমেদের নেতৃত্বে একটি দল
৭ মিনিট আগেঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের শ্বশুর মো. সোলায়মানসহ ঘনিষ্ঠ তিনজনের বাড়ি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নির্দেশ দেন।
১২ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদে নেত্রকোনায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা।
৩০ মিনিট আগে