Ajker Patrika

ভেঙে পড়ল বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের সিঁড়ি

গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
ভেঙে পড়ল বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের সিঁড়ি

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার চাঁদশী ইউনিয়নের নরসিংহলপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন দ্বিতল ভবনের সিঁড়ি ভেঙে পড়েছে। গতকাল রোববারের এই দুর্ঘটনায় দুজন নির্মাণশ্রমিক সামান্য আহত হয়েছেন।

জানা গেছে, উপজেলার চাঁদশী ইউনিয়নের নরসিংহলপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন দ্বিতল ভবন নির্মাণকাজ চলছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বরিশাল এলজিইডি জিপিএস প্রকল্পের অধীনে চার কক্ষের দ্বিতল ভবন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২০২০ সালে কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ২০২১ সালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাদার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের নামে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে মো. দেলোয়ার হোসেন নামের মাদারীপুরের এক ঠিকাদার প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু করেন।

নরসিংহলপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, গত ডিসেম্বরে ঠিকাদার দেলোয়ার হোসেন নতুন দ্বিতল ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করেন। জানুয়ারি মাসে প্রথম তলার সিঁড়িসহ একতলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়। গত ফেব্রুয়ারি মাসে দোতলার সিঁড়িসহ ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়। যার দ্বিতীয় তলার সেন্টারিং এখনো খোলা হয়নি। বর্তমানে প্রথম তলার গাঁথুনির কাজ চলছে।

খায়রুল ইসলাম আরও বলেন, ‘গতকাল ২৬ মার্চ স্কুল বন্ধ থাকলেও মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান ছিল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নির্মাণাধীন ভবনের গোটা সিঁড়িটি ভেঙে পড়ে। তাতে দুজন নির্মাণশ্রমিক সামান্য আহত হয়েছেন।’

বিদ্যালয়ের অভিভাবক কমিটির সভাপতি মো. অলিউর রহমান বলেন, ‘গতকাল রোববার নির্মাণাধীন ভবনের সিঁড়ি ভেঙে পড়ে। এতে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিদ্যালয়ে আসা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। তিনি অভিযোগ করেন, প্রভাবশালী ঠিকাদার নিজের ইচ্ছেমতো অনিয়মের মাধ্যমে নির্মাণকাজ করছেন। কাজের মান অত্যন্ত খারাপ। ভবনের কাজ শেষ হয়নি, এখনই সিঁড়ি ভেঙে পড়েছে। না জানি ভবিষ্যতে ভবন ভেঙে কোন ট্র্যাজেডির সৃষ্টি হয়!’

তবে প্রকল্পের ঠিকাদার মো. দেলোয়ার হোসেন দাবি করেন সিঁড়ি ধসে পড়েনি। তিনি বলেন, কাজে কিছু ত্রুটি ছিল। তাই উপজেলা প্রকৌশলীর নির্দেশে সিঁড়ি ভেঙে নতুন করে করা হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অন্যান্য অভিযোগও মিথ্যা বলে তিনি দাবি করেন।

এ প্রসঙ্গে গৌরনদী উপজেলা প্রকৌশলী মো. অহিদুজ্জামান বলেন, ভার বহনের ক্ষমতা না থাকায় সিঁড়িটি ভেঙে পড়েছে। কাজে কিছু ত্রুটি থাকায় সিঁড়িটি নতুন করে নির্মাণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জমি নিয়ে বিরোধ, ফুফাতো ভাইয়ের হাতে মামাতো ভাই খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ওয়ারিশসূত্রে পাওয়া জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ফুফাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে মামাতো ভাই যিশু মোহাম্মদ (২৫) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর ফুফাতো ভাই বাবর আলীকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আজ সোমবার বিকেলে উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের পাইটখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যিশু মোহাম্মদ পাইটখালী গ্রামের রবিন ইসলাম রবির ছেলে এবং বাবর আলী একই গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যিশুর দাদা ও বাবরের নানা হেলাল উদ্দিনের দুই বিঘা জমি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ওয়ারিশসূত্রে পাওয়া এই জমি বাবরের পরিবার তাঁর নানার কাছে থেকে কিনেছে বলে দাবি করে আসছিল। অপর দিকে যিশুও বাবার সূত্রে সেই জমি নিজের বলে দাবি করে আসছিলেন। জমিটি বাবরদের দখলে ছিল, আদালতে জমিটি নিয়ে একাধিক মামলাও চলমান ছিল।

আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে যিশু তাঁর পরিবারের সদস্যদের ও কিছু লোকজন নিয়ে সেই জমির দখল নিতে যান। এ সময় বাবরও লোকজন নিয়ে তা প্রতিহত করতে আসেন। দুই পক্ষের তর্কাতর্কির একপর্যায়ে বাবর তাঁর মামাতো ভাই যিশুকে ছুরি দিয়ে ঘাড়ে ও পেটে আঘাত করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা যিশুকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

নিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, জমিটা নিয়ে আদালতে চার-পাঁচটি মামলা চলমান ছিল। এর মধ্যে আজকে দখলকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা মূল অভিযুক্ত বাবরকে অবরুদ্ধ করলে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হবে। মূল আসামিকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডিউটিতে ইনচার্জ ছাড়া পুলিশ সদস্যদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করল ডিএমপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘোষিত কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সই করা এক আদেশে এই নির্দেশনা জারি করা হয়। নির্দেশনা অমান্য করলে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট সদস্যের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।

নির্দেশনার বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন জানান, মাঠে দায়িত্ব পালনের সময় কোনো পুলিশ সদস্য ব্যক্তিগত মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে প্রতিটি টিমের ইনচার্জ—যে পদেই থাকুন না কেন—দায়িত্ব পালনসংক্রান্ত যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য তাঁর মোবাইল ফোন সক্রিয় রাখবেন।

ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘিরে যেকোনো নাশকতা বা বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শান্ত ও স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখা এখন অগ্রাধিকার।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, দায়িত্ব পালনের সময় মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকার কারণে অনেক ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া, অপরাধ প্রতিরোধ বা জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ব্যাহত হয়। এই পরিস্থিতি ঠেকাতে মাঠপর্যায়ে মোবাইল ফোন ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

ডিএমপির এক কর্মকর্তা বলেন, মাঠে দায়িত্ব পালনের সময় অনেক সদস্যকে মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। এতে অনেক ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে দেরি হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সমস্যা দেখা দেয়। তাই দায়িত্ব পালনের সময় মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন সন্ত্রাসী ছিলেন না, দাবি ছোট ভাইয়ের

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
ছবি ভিডিও থেকে নেওয়া
ছবি ভিডিও থেকে নেওয়া

রাজধানীর সূত্রাপুরে একটি হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে গুলিতে নিহত তারিক সাইফ মামুন সন্ত্রাসী ছিলেন না বলে দাবি করেছেন তাঁর ছোট ভাই আকরাম হোসেন সুমন।

আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দৈনিক আজকের পত্রিকাকে আকরাম হোসেন সুমন জানান, তাঁর ভাই তারিক সাইফ মামুন কখনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন না বা সন্ত্রাসী ছিলেন না। মিডিয়া ও পুলিশ তাঁকে সন্ত্রাসী বানিয়েছে। এর বিচারও হবে একদিন। মামুন ঢাকায় ব্যবসা করতেন। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে আদায় করার চেষ্টা করতেন। তিনি অনেক ভালো মানুষ ছিলেন।

মামুন বিএনপির একজন কর্মী ছিলেন জানিয়ে ছোট ভাই বলেন, ঢাকায় তিনি ব্যবসা করতেন। আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন। এ সময় তাঁকে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর দাফন করার ইচ্ছার কথাও জানান ছোট ভাই।

মামুনের জাতীয় পরিচয়পত্রে ঠিকানা লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মোবারক কলোনি রয়েছে। মূলত গ্রামের বাড়ি মিরিকপুর। ছোটবেলা থেকে ঢাকায় বসবাস করতেন মামুন। গ্রামে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে ঢাকায় চলে আসেন। এরপর মাঝেমধ্যে বাড়িতে এলেও থাকতেন না।

নিহত মামুনের গ্রামের বাড়িতে পরিবারের তেমন কেউ থাকেন না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইউএনওর লেখা কবিতার বই কিনে নিতে হলো শিক্ষকদের

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি 
সমন্বয় সভায় বই হাতে শিক্ষকেরা। ছবি: সংগৃহীত
সমন্বয় সভায় বই হাতে শিক্ষকেরা। ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের নেছারাবাদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) লেখা একটি কবিতার বই বাধ্য হয়ে শিক্ষকদের কিনতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার উপজেলা পরিষদ হলরুমে প্রধান শিক্ষকদের মাসিক সমন্বয় সভায় ইউএনওর লেখা বই শিক্ষকদের কাছে বিক্রি করা হয়। শিক্ষকেরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার জসিম আহমেদের নির্দেশে মাসিক সমন্বয় সভা ও স্যানিটেশনবিষয়ক সভায় ১৬৯ জন প্রধান শিক্ষকের হাতে ওই বই তুলে দেওয়া হয়। প্রতিটি বইয়ের মূল্য হিসেবে নেওয়া হয় নগদ ১৫০ টাকা। শিক্ষকদের কাছে ২৫ হাজার ৩৫০ টাকার বই বিক্রি করা হয়।

শিক্ষকদের কাছে বিক্রি করা বইটির মলাটে লেখকের নাম বলা হয়েছে ‘মো. জাহিদুল ইসলাম শামীম’, যিনি নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। বইয়ের নাম ‘পথহীন প্রান্তরে’, যা একটি কবিতার বই।

৭০ নম্বর পাথুলীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অপূর্ব কুমার মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের সমন্বয় সভায় বইটি নিতে হয়েছে। শিক্ষা কর্মকর্তা মহোদয় সভায় উপস্থিত সব শিক্ষকের হাতে একটি করে বই দিয়েছেন এবং ১৫০ টাকা করে মূল্য নিয়েছেন। যেহেতু ইউএনও স্যারের লেখা বই, না কিনলে চাকরিতে সমস্যা হতে পারে। এই ভয়ে বইটি নিয়েছি।’

দক্ষিণ কামারকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার দাস বলেন, ‘আমাকে বই নিতে বলা হয়। আমি চাইনি, কিন্তু দেখি, সবাই টাকা দিয়ে ইউএনওর লেখা বই নিচ্ছে। তাই আমিও ১৫০ টাকা দিয়ে বই নিয়েছি।’

৩২ নম্বর ঘনমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজমিন আক্তার বলেন, ‘সমন্বয় সভায় উপস্থিত সবাইকে বই নিতে হয়েছে। শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে বই হাতে দেওয়া হয় এবং ১৫০ টাকা মূল্য দিতে হয়। যেহেতু ইউএনও স্যারের লেখা বই, তাই নেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।’

এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার জসিম আহমদ বলেন, ‘আমাদের ইউএনও স্যার তাঁর লেখা বই শিক্ষকদের হাতে দিতে বলেছেন। তাই বই দিয়ে প্রতি বইয়ে ১৫০ টাকা করে নিয়েছি।’ বই বিক্রি করে কোনো কমিশন পেয়েছেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো কমিশন খাইনি। ইউএনও ডেকে আমার হাতে বিক্রির জন্য বইগুলো দিয়েছেন।’

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম শামীম বলেন, ‘আমার লেখা বই কাউকে চাপিয়ে দেওয়া বা বিক্রি করা হচ্ছে, তা আমার জানা নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত