প্রতিনিধি, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
ইলিশের ভরা মৌসুমে বুক ভরা আশা নিয়ে সমুদ্রে গেছে জেলেরা। কিন্তু এখন পর্যন্ত ইলিশের দেখা পায়নি কোন ট্রলার। সাগর চষে ইতিমধ্যে কয়েকটি ট্রলার ঘাটে ফিরে এসেছে শূন্য হাতে। দীর্ঘ ৬৫ দিনের অবরোধের পর সমুদ্রে বড় সাইজের ইলিশ ধরার আশা ছিল জেলেদের। কিন্তু কারও জালেই ধরা পড়েনি বড় ইলিশ। সামান্য কিছু ছোট সাইজের ইলিশ পেয়েছে কয়েকটি ট্রলার। কিন্তু তাতে বাজার খরচ ওঠেনি বলে জানান জেলেরা।
জানা গেছে, ৬৫ দিনের অবরোধ শেষ হয়েছে গত ২৩ জুলাই। ২৪ জুলাই জেলেদের সমুদ্রে মাছ শিকার করতে যাওয়ার প্রস্তুতি থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে যেতে পারেননি। এরপর গত ২৭-২৮ জুলাই মাছ ধরা ট্রলারগুলো সমুদ্রে যায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ট্রলারই ইলিশের সন্ধান পায়নি।
গত রোববার রাতে দেড় লাখ টাকার বাজার সওদা নিয়ে পাথরঘাটা ঘাট থেকে সমুদ্রে যায় এফ. বি. তাওহীদ নামের একটি মাছ ধরা ট্রলার। দুই দিন সমুদ্র চষে ইঞ্জিনের নাট ভেঙে আলীপুর ঘাটে এসে ৫৫ হাজার টাকার ছোট সাইজের ইলিশ বিক্রয় করে। আলীপুর ঘাটে কথা হয় এফ. বি. তাওহীদ নামের মাছ ধরা ওই ট্রলারের মিস্ত্রি ছগির হোসেন গাজীর সঙ্গে। ছগির হোসেন বলেন, দেড় লাখ টাকার বাজার নিয়ে গেলাম সমুদ্রে, মাছ বিক্রয় করলাম ৫৫ হাজার টাকা। এই লসের (লোকসান) বোঝা মাথায় নিয়ে আবার সমুদ্রে যাব।
অন্যদিকে পৌনে দুই লাখ টাকার বাজার নিয়ে ৭ দিন সমুদ্রে চষে ইঞ্জিনের ত্রুটি নিয়ে ঘাটে ফিরেছে এফ বি জিহাদ নামের আরেকটি মাছ ধরা ট্রলার। ১৬ কেজি ইলিশ,৪টি গোলপাতাসহ সামান্য কিছু টুনা ফিস নিয়ে ঘাটে ফিরে ৪০ হাজার টাকা বিক্রয় করেছেন এই ফিশিং বোর্ড।
দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের অন্যতম মৎস্য বন্দর আলীপুর আড়ত পল্লিতে কথা হয় ট্রলারের মাঝি জব্বারের সঙ্গে। চোখে মুখে হতাশার ছাপ নিয়ে তিনি বলেন, ৬৫ দিনের অবরোধ শেষে বড় আশা নিয়ে সমুদ্রে গিয়েছিলাম। কিন্তু ফিরে এসে ৪০ হাজার টাকা বিক্রয় করেছি। ট্রলারের ১৮ জন জেলের পরিবার কেমনে চলবে!
ট্রলার মালিক আল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘আমার একটি ট্রলার সমুদ্রে আছে। গত সাত দিনে ১০টি ইলিশ পেয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে ট্রলার বিক্রয় করা ছাড়া উপায় থাকবে না।’
`আল্লাহ ভরসা' মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী ব্যবসায়ী তানভীর আহমেদ লুনা আকন বলেন, আড়ত পল্লির আড়তদারেরা তাঁদের স্ত্রীর স্বর্ণালংকার বন্ধক রেখে বর্তমানে ব্যবসা ঠিক রাখছেন। এখন মাছ না পেলে পালিয়ে এলাকা ছাড়তে হবে।
আলীপুর মৎস্য বন্দর ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতি আনছার উদ্দিন মোল্লা আজকের পত্রিকাকে জানান, অবরোধ পরবর্তী অনেক আশা নিয়ে সমুদ্রে গিয়েছিল জেলেরা। কিন্তু মাছ না পাওয়ায় একদিকে দাদন এবং ঋণের বোঝা বইতে হবে তাঁদের। অবরোধের সময় ভারতীয় এবং বার্মার জেলেরা সমুদ্র সীমানা থেকে মাছ আহরণ করায় এই আকাল হতে পারে বলে তিনি জানান।
মহিপুর মৎস্য বন্দর আড়ত সমবায় সমিতির সভাপতি দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম আজকের পত্রিকাকে জানান, সমুদ্রে জেলেদের জালে আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। যা পাওয়া যায় তা ছোট আকারের এবং পরিমাণে কম। তিনি আরও জানান, এই পরিস্থিতিতে আমরা মৎস্য ব্যবসায়ীরা হতাশ।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রাকৃতিক কারণে তাপমাত্রা কম থাকায় মাছের উৎপাদন কম হচ্ছে। ভৌগোলিক বিভিন্ন পরিবর্তন এবং সামুদ্রিক প্যারামিটার পরিবর্তনের কারণে বর্তমানে সাগরে মাছ কম। তিনি আরও জানান, তাপমাত্রা বেড়ে গেলে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে আসলে সমুদ্রে অনেক মাছ পাওয়া যাবে।
ইলিশের ভরা মৌসুমে বুক ভরা আশা নিয়ে সমুদ্রে গেছে জেলেরা। কিন্তু এখন পর্যন্ত ইলিশের দেখা পায়নি কোন ট্রলার। সাগর চষে ইতিমধ্যে কয়েকটি ট্রলার ঘাটে ফিরে এসেছে শূন্য হাতে। দীর্ঘ ৬৫ দিনের অবরোধের পর সমুদ্রে বড় সাইজের ইলিশ ধরার আশা ছিল জেলেদের। কিন্তু কারও জালেই ধরা পড়েনি বড় ইলিশ। সামান্য কিছু ছোট সাইজের ইলিশ পেয়েছে কয়েকটি ট্রলার। কিন্তু তাতে বাজার খরচ ওঠেনি বলে জানান জেলেরা।
জানা গেছে, ৬৫ দিনের অবরোধ শেষ হয়েছে গত ২৩ জুলাই। ২৪ জুলাই জেলেদের সমুদ্রে মাছ শিকার করতে যাওয়ার প্রস্তুতি থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে যেতে পারেননি। এরপর গত ২৭-২৮ জুলাই মাছ ধরা ট্রলারগুলো সমুদ্রে যায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ট্রলারই ইলিশের সন্ধান পায়নি।
গত রোববার রাতে দেড় লাখ টাকার বাজার সওদা নিয়ে পাথরঘাটা ঘাট থেকে সমুদ্রে যায় এফ. বি. তাওহীদ নামের একটি মাছ ধরা ট্রলার। দুই দিন সমুদ্র চষে ইঞ্জিনের নাট ভেঙে আলীপুর ঘাটে এসে ৫৫ হাজার টাকার ছোট সাইজের ইলিশ বিক্রয় করে। আলীপুর ঘাটে কথা হয় এফ. বি. তাওহীদ নামের মাছ ধরা ওই ট্রলারের মিস্ত্রি ছগির হোসেন গাজীর সঙ্গে। ছগির হোসেন বলেন, দেড় লাখ টাকার বাজার নিয়ে গেলাম সমুদ্রে, মাছ বিক্রয় করলাম ৫৫ হাজার টাকা। এই লসের (লোকসান) বোঝা মাথায় নিয়ে আবার সমুদ্রে যাব।
অন্যদিকে পৌনে দুই লাখ টাকার বাজার নিয়ে ৭ দিন সমুদ্রে চষে ইঞ্জিনের ত্রুটি নিয়ে ঘাটে ফিরেছে এফ বি জিহাদ নামের আরেকটি মাছ ধরা ট্রলার। ১৬ কেজি ইলিশ,৪টি গোলপাতাসহ সামান্য কিছু টুনা ফিস নিয়ে ঘাটে ফিরে ৪০ হাজার টাকা বিক্রয় করেছেন এই ফিশিং বোর্ড।
দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের অন্যতম মৎস্য বন্দর আলীপুর আড়ত পল্লিতে কথা হয় ট্রলারের মাঝি জব্বারের সঙ্গে। চোখে মুখে হতাশার ছাপ নিয়ে তিনি বলেন, ৬৫ দিনের অবরোধ শেষে বড় আশা নিয়ে সমুদ্রে গিয়েছিলাম। কিন্তু ফিরে এসে ৪০ হাজার টাকা বিক্রয় করেছি। ট্রলারের ১৮ জন জেলের পরিবার কেমনে চলবে!
ট্রলার মালিক আল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘আমার একটি ট্রলার সমুদ্রে আছে। গত সাত দিনে ১০টি ইলিশ পেয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে ট্রলার বিক্রয় করা ছাড়া উপায় থাকবে না।’
`আল্লাহ ভরসা' মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী ব্যবসায়ী তানভীর আহমেদ লুনা আকন বলেন, আড়ত পল্লির আড়তদারেরা তাঁদের স্ত্রীর স্বর্ণালংকার বন্ধক রেখে বর্তমানে ব্যবসা ঠিক রাখছেন। এখন মাছ না পেলে পালিয়ে এলাকা ছাড়তে হবে।
আলীপুর মৎস্য বন্দর ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতি আনছার উদ্দিন মোল্লা আজকের পত্রিকাকে জানান, অবরোধ পরবর্তী অনেক আশা নিয়ে সমুদ্রে গিয়েছিল জেলেরা। কিন্তু মাছ না পাওয়ায় একদিকে দাদন এবং ঋণের বোঝা বইতে হবে তাঁদের। অবরোধের সময় ভারতীয় এবং বার্মার জেলেরা সমুদ্র সীমানা থেকে মাছ আহরণ করায় এই আকাল হতে পারে বলে তিনি জানান।
মহিপুর মৎস্য বন্দর আড়ত সমবায় সমিতির সভাপতি দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম আজকের পত্রিকাকে জানান, সমুদ্রে জেলেদের জালে আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। যা পাওয়া যায় তা ছোট আকারের এবং পরিমাণে কম। তিনি আরও জানান, এই পরিস্থিতিতে আমরা মৎস্য ব্যবসায়ীরা হতাশ।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রাকৃতিক কারণে তাপমাত্রা কম থাকায় মাছের উৎপাদন কম হচ্ছে। ভৌগোলিক বিভিন্ন পরিবর্তন এবং সামুদ্রিক প্যারামিটার পরিবর্তনের কারণে বর্তমানে সাগরে মাছ কম। তিনি আরও জানান, তাপমাত্রা বেড়ে গেলে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে আসলে সমুদ্রে অনেক মাছ পাওয়া যাবে।
একসময় নদী ছিল এই দেশের মেরুদণ্ড। নৌকাই ছিল চলাচলের প্রধান মাধ্যম। সময় বদলেছে, নদী সরে গেছে পেছনে, তবে নৌকার চাহিদা হারিয়ে যায়নি। বরং প্রকৃতির আচমকা রূপে যখন আগাম বৃষ্টি নামে, তখন আবার ফিরেও আসে নৌকার প্রয়োজন। ঠিক যেমনটা ঘটেছে এ বছর।
১২ মিনিট আগেঅসুস্থ মাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেরি হওয়ায় পরীক্ষা দিতে না পারা শিক্ষার্থীর বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে ডুবে আদিবা নামে ১৯ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাত ৮টায় উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়নের ছাতিয়ানী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া শিশু আদিবা ওই গ্রামের রাজ্জাক মাস্টার বাড়ির কাপড় ব্যবসায়ী মুমিত মুনসীর মেয়ে।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় রেলের জমি থেকে অস্থায়ী মণ্ডপ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। উচ্ছেদের বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাধ্যমে অনেকে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে অভিযোগ করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
২ ঘণ্টা আগে