ভোলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ
শিমুল চৌধুরী, ভোলা
ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগে অর্ধেকের বেশি পদ শূন্য পড়ে আছে। জনবলসংকটে ব্যাহত হচ্ছে কার্যক্রম। কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন খামারি ও পশু পালনকারীরা। পাওয়া যাচ্ছে না প্রয়োজনীয় ওষুধও। অচলাবস্থা নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দফায় দফায় চিঠি দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভোলার সাত উপজেলায় ১০৯টি পদের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত ৪২ জন। শূন্য পদ রয়েছে ৬৭টি। এর মধ্যে জেলা কার্যালয়ে ১১ পদের বিপরীতে তিন, জেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালে সাত পদের বিপরীতে দুই, ভোলা হ্যাচারিসহ আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারে পাঁচ পদের জায়গায়
একজন কর্মরত। অন্যদিকে জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রে ৯ পদের সবগুলোই শূন্য।
এ ছাড়া সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে পাঁচ, দৌলতখানে সাত, বোরহানউদ্দিনে আট, তজুমদ্দিনে আট, লালমোহনে পাঁচ, চরফ্যাশনে তিন ও মনপুরায় পাঁচটি পদ খালি আছে। যেখানে প্রতি উপজেলায় ১১ জন কর্মরত থাকার কথা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে গত রোববার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, গৃহপালিত একটি গরু নিয়ে আসেন গৃহবধূ মাহমুদা খানম। গরুটিকে প্রথমে কার্যালয়ের এক কর্মচারী চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শাহিন মাহমুদকে নিয়ে আসা হলে তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওষুধ লিখে দেন এবং তা বাইরে থেকে কিনে নিতে বলেন।
মাহমুদা বলেন, এ অফিসে এসে ঠিকমতো পশুর ডাক্তার পাওয়া যায় না। লোকজন নেই, ওষুধ নেই। সকালে বেশ কয়েকজন গরু-ছাগল নিয়ে এলে ওই পশুদের চিকিৎসাসেবা দেন অফিসের স্টাফরা।
দপ্তর থেকে জানা গেছে, কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ, পশুপাখিকে টিকাদান, চিকিৎসাদান, মাঠ পরিদর্শন, খামারিদের মধ্যে উন্নত প্রযুক্তি বিতরণ, পশুপাখির সুস্থতার সনদ দেওয়া, উন্নত জাতের ঘাস চাষ সম্প্রসারণ, খামার নিবন্ধন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে জরুরি সেবাদানের কাজগুলো এই দপ্তরের অধীনে পরিচালিত হয়। কিন্তু জনবলসংকট থাকায় বাকিদেরই সব দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এতে পশু পালনকারীরা চাহিদামতো সেবা না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন।
কর্মরত ব্যক্তিরা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে অনেক পদ খালি। ফলে কার্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। গাড়িচালক না থাকায় কর্মকর্তারা যেতে পারছেন না মাঠপর্যায়ে। এতে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রান্তিক পশু পালনকারীরা।
সেবা কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে জনবল নিয়োগের জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম খান। তাঁর তথ্য অনুযায়ী, শূন্য পদে পদায়ন না হওয়ায় প্রাণিসম্পদসংশ্লিষ্ট অন্য যাঁরা আছেন, তাঁদের সহযোগিতায় সেবা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
এই কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলায় বর্তমানে ১০৯টি পদের বিপরীতে ৬৭টি পদ শূন্য। যেসব পদে লোক নেই, সেসব পদে লোকবল দেওয়া হলে আমাদের সার্বিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগে অর্ধেকের বেশি পদ শূন্য পড়ে আছে। জনবলসংকটে ব্যাহত হচ্ছে কার্যক্রম। কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন খামারি ও পশু পালনকারীরা। পাওয়া যাচ্ছে না প্রয়োজনীয় ওষুধও। অচলাবস্থা নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দফায় দফায় চিঠি দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভোলার সাত উপজেলায় ১০৯টি পদের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত ৪২ জন। শূন্য পদ রয়েছে ৬৭টি। এর মধ্যে জেলা কার্যালয়ে ১১ পদের বিপরীতে তিন, জেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালে সাত পদের বিপরীতে দুই, ভোলা হ্যাচারিসহ আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারে পাঁচ পদের জায়গায়
একজন কর্মরত। অন্যদিকে জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রে ৯ পদের সবগুলোই শূন্য।
এ ছাড়া সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে পাঁচ, দৌলতখানে সাত, বোরহানউদ্দিনে আট, তজুমদ্দিনে আট, লালমোহনে পাঁচ, চরফ্যাশনে তিন ও মনপুরায় পাঁচটি পদ খালি আছে। যেখানে প্রতি উপজেলায় ১১ জন কর্মরত থাকার কথা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে গত রোববার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, গৃহপালিত একটি গরু নিয়ে আসেন গৃহবধূ মাহমুদা খানম। গরুটিকে প্রথমে কার্যালয়ের এক কর্মচারী চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শাহিন মাহমুদকে নিয়ে আসা হলে তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওষুধ লিখে দেন এবং তা বাইরে থেকে কিনে নিতে বলেন।
মাহমুদা বলেন, এ অফিসে এসে ঠিকমতো পশুর ডাক্তার পাওয়া যায় না। লোকজন নেই, ওষুধ নেই। সকালে বেশ কয়েকজন গরু-ছাগল নিয়ে এলে ওই পশুদের চিকিৎসাসেবা দেন অফিসের স্টাফরা।
দপ্তর থেকে জানা গেছে, কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ, পশুপাখিকে টিকাদান, চিকিৎসাদান, মাঠ পরিদর্শন, খামারিদের মধ্যে উন্নত প্রযুক্তি বিতরণ, পশুপাখির সুস্থতার সনদ দেওয়া, উন্নত জাতের ঘাস চাষ সম্প্রসারণ, খামার নিবন্ধন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে জরুরি সেবাদানের কাজগুলো এই দপ্তরের অধীনে পরিচালিত হয়। কিন্তু জনবলসংকট থাকায় বাকিদেরই সব দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এতে পশু পালনকারীরা চাহিদামতো সেবা না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন।
কর্মরত ব্যক্তিরা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে অনেক পদ খালি। ফলে কার্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। গাড়িচালক না থাকায় কর্মকর্তারা যেতে পারছেন না মাঠপর্যায়ে। এতে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রান্তিক পশু পালনকারীরা।
সেবা কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে জনবল নিয়োগের জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম খান। তাঁর তথ্য অনুযায়ী, শূন্য পদে পদায়ন না হওয়ায় প্রাণিসম্পদসংশ্লিষ্ট অন্য যাঁরা আছেন, তাঁদের সহযোগিতায় সেবা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
এই কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলায় বর্তমানে ১০৯টি পদের বিপরীতে ৬৭টি পদ শূন্য। যেসব পদে লোক নেই, সেসব পদে লোকবল দেওয়া হলে আমাদের সার্বিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
যশোরের চৌগাছায় পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ৩৬ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার (৭ মে) বিকেলে সাতজনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
১৬ মিনিট আগেফরিদপুরে দেড়লাখ টাকায় বিক্রি করা ৮ মাসের শিশু তানহাকে উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। আদালতের আদেশে ওই শিশুর মাকে নিয়ে আজ বুধবার নগরকান্দা উপজেলার ফুলসূতি ইউনিয়নে কুবাত শেখের বাড়িতে এই অভিযান চালানো হয়।
২৩ মিনিট আগেরাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে আফতাব আহমেদ আবির (২০) নামের এক শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে ছিনতাইকারীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
৩৫ মিনিট আগেগাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজিপিপি) অন্তর্ভুক্ত শ্রমিকদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। টাকা না পেয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদস্যরা এমন কাজটি করছেন বলে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে