নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচলসহ তিন দফা দাবিতে আগামী রোববার সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী এ বিক্ষোভের ডাক দেন। এসময় তিনি বলেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ৫০ লাখ শ্রমিক দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। তাঁরা রাস্তায় নেমে এলে এর দায়িত্ব সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন নেবে না।
সংবাদ সম্মেলনে গণপরিবহন ও সবধরনের পণ্যপরিবহন চালুসহ সড়ক পরিবহন ও শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করা এবং সারাদেশে বাস-ট্রাক টার্মিনালগুলোতে পরিবহন শ্রমিকদের জন্য ১০ টাকায় ওএমএসের চাল বিক্রির ব্যবস্থা করার দাবিও জানানো হয়েছে।
একইসঙ্গে পরিবহন সেক্টরের জন্য সরকারের তহবিল থেকে থোক বরাদ্দ দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা। এছাড়া দাবি বাস্তবায়নে ২ মে সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল এবং ৪ মে সারাদেশে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণাও দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, গণপরিবহন চালুর বিষয়ে কি ভাবছে সরকার?
শ্রমিক ফেডারেশনের বিক্ষোভের ঘোষণায় গণপরিবহন চালুর বিষয়ে কি ভাবছে সরকার জানতে চাইলে শুক্রবার দুপুরে মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী লকডাউন চলবে। গণপরিবহন চালু করতে এখন পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেই।’
ঈদের আগে গণপরিবহন চালুর বিষয়টি সরকার ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করছে বলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, ‘তাহলে ওই বিষয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারেন, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে এখনো এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেই।’
তবে এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঈদ সামনে রেখে এবং করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে দূরপাল্লার বাস চালু হবে কি-না সেটা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে পরবর্তী মিটিংয়ে পরিবহন চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।’
দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ৫ এপ্রিল সারাদেশে আন্তঃজেলাসহ সব ধরণের বাস সার্ভিস বন্ধ করে দেয় সরকার। এরপর জন-বিক্ষোভ এবং পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের চাপের মুখে ৭ এপ্রিল থেকে ঢাকাসহ ১১ সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চালু করে সরকার। ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়িয়ে অর্ধেক আসনে যাত্রী নিয়ে সিটি করপোরেশন এলাকায় বাস চলেছে ৭ থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর থেকে বিভিন্ন ধাপে বেড়েছে লকডাউন। ফলে ১৪ এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন যা আগামী ৫ মে পর্যন্ত চলবে।
এদিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, ‘সড়ক পরিবহনের প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক পরিবার-পরিজন নিয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। তাঁরা রাস্তায় নেমে এলে তার দায়দায়িত্ব সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন নেবে না। তাই আগামী ২ মে’র আগেই গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহন চালু করতে হবে।’
সংগঠনের সিনিয়র সহ–সভাপতি ছাদিকুর রহমান হীরু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সব কিছু খোলা রেখে গণপরিবহন বন্ধ রাখা কেমন লকডাউন আমাদের জানা নেই। আমরা লক্ষ্য করছি সারাদেশেই সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। এই অবস্থায় সবচেয়ে দুর্দশার মধ্যে আছে পরিবহন শ্রমিকরা।’
এদিকে গণপরিবহন চালুর ব্যাপারে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনসহ পরিবহনের অন্যান্য সংগঠনগুলো। তাঁরা সরকারকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, গণপরিবহনে মাস্ক ছাড়া কোনও যাত্রী তোলা হবে না। একই সঙ্গে অর্ধেক আসনে যাত্রী বহন করা হবে। যদি কোনও যাত্রী এবং পরিবহন শ্রমিক স্বাস্থ্যবিধি না মানে তাহলে সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু তারপরেও গণপরিবহন চালুর কথা বলছে এই সংগঠনটি।
ঢাকা: স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচলসহ তিন দফা দাবিতে আগামী রোববার সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী এ বিক্ষোভের ডাক দেন। এসময় তিনি বলেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ৫০ লাখ শ্রমিক দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। তাঁরা রাস্তায় নেমে এলে এর দায়িত্ব সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন নেবে না।
সংবাদ সম্মেলনে গণপরিবহন ও সবধরনের পণ্যপরিবহন চালুসহ সড়ক পরিবহন ও শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করা এবং সারাদেশে বাস-ট্রাক টার্মিনালগুলোতে পরিবহন শ্রমিকদের জন্য ১০ টাকায় ওএমএসের চাল বিক্রির ব্যবস্থা করার দাবিও জানানো হয়েছে।
একইসঙ্গে পরিবহন সেক্টরের জন্য সরকারের তহবিল থেকে থোক বরাদ্দ দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা। এছাড়া দাবি বাস্তবায়নে ২ মে সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল এবং ৪ মে সারাদেশে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণাও দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, গণপরিবহন চালুর বিষয়ে কি ভাবছে সরকার?
শ্রমিক ফেডারেশনের বিক্ষোভের ঘোষণায় গণপরিবহন চালুর বিষয়ে কি ভাবছে সরকার জানতে চাইলে শুক্রবার দুপুরে মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী লকডাউন চলবে। গণপরিবহন চালু করতে এখন পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেই।’
ঈদের আগে গণপরিবহন চালুর বিষয়টি সরকার ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করছে বলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, ‘তাহলে ওই বিষয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারেন, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে এখনো এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেই।’
তবে এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঈদ সামনে রেখে এবং করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে দূরপাল্লার বাস চালু হবে কি-না সেটা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে পরবর্তী মিটিংয়ে পরিবহন চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।’
দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ৫ এপ্রিল সারাদেশে আন্তঃজেলাসহ সব ধরণের বাস সার্ভিস বন্ধ করে দেয় সরকার। এরপর জন-বিক্ষোভ এবং পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের চাপের মুখে ৭ এপ্রিল থেকে ঢাকাসহ ১১ সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চালু করে সরকার। ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়িয়ে অর্ধেক আসনে যাত্রী নিয়ে সিটি করপোরেশন এলাকায় বাস চলেছে ৭ থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর থেকে বিভিন্ন ধাপে বেড়েছে লকডাউন। ফলে ১৪ এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন যা আগামী ৫ মে পর্যন্ত চলবে।
এদিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, ‘সড়ক পরিবহনের প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক পরিবার-পরিজন নিয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। তাঁরা রাস্তায় নেমে এলে তার দায়দায়িত্ব সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন নেবে না। তাই আগামী ২ মে’র আগেই গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহন চালু করতে হবে।’
সংগঠনের সিনিয়র সহ–সভাপতি ছাদিকুর রহমান হীরু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সব কিছু খোলা রেখে গণপরিবহন বন্ধ রাখা কেমন লকডাউন আমাদের জানা নেই। আমরা লক্ষ্য করছি সারাদেশেই সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। এই অবস্থায় সবচেয়ে দুর্দশার মধ্যে আছে পরিবহন শ্রমিকরা।’
এদিকে গণপরিবহন চালুর ব্যাপারে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনসহ পরিবহনের অন্যান্য সংগঠনগুলো। তাঁরা সরকারকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, গণপরিবহনে মাস্ক ছাড়া কোনও যাত্রী তোলা হবে না। একই সঙ্গে অর্ধেক আসনে যাত্রী বহন করা হবে। যদি কোনও যাত্রী এবং পরিবহন শ্রমিক স্বাস্থ্যবিধি না মানে তাহলে সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু তারপরেও গণপরিবহন চালুর কথা বলছে এই সংগঠনটি।
সাদাপাথর, জাফলং, বিছনাকান্দির পর এবার লুটপাটে অস্তিত্ব হারানোর পথে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার রাংপানি। সেখান থেকেও শুরু হয়েছে পাথর চুরি। দিনদুপুরে ঘটছে এসব ঘটনা। রাংপানি পর্যটনকেন্দ্র একসময় শ্রীপুর নামে পরিচিত ছিল। সালমান শাহসহ বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় নায়কের সিনেমার শুটিং হয়েছিল সেই সময়।
১৬ মিনিট আগেনদ-নদীতে পানি বাড়ায় রাজশাহী বিভাগের পাঁচ জেলায় কমপক্ষে সাড়ে ছয় হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে অনেক বাড়িঘর। গতকাল রোববার সকাল থেকে পদ্মার পানি কমছে। এর ফলে ভাঙন আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে নদীপারের মানুষ। এদিকে রংপুরের পীরগাছায় অর্ধশত পরিবার এখন নদীভাঙনের কারণে অসহায় দিন পার করছে
৩৪ মিনিট আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালেই ডেঙ্গুর হটস্পট রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা।
৩৮ মিনিট আগেকক্সবাজারের রামু উপজেলা সদর থেকে বাঁকখালী নদীর তীরের তিন কিলোমিটার আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে গেলেই রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কের জাদিপাড়া। সড়কের পাশ ঘেঁষে ৩০০ ফুট উঁচু পাহাড়চূড়ায় অবস্থিত প্রায় ২৫০ বছরের প্রাচীন লাওয়ে জাদি (প্যাগোডা)।
৪৩ মিনিট আগে