শাকিব হুসাইন
পাঁচ-পাঁচটি ঋতু চলে গেল। এক মাস হয়ে গেল গ্রীষ্ম চলে যাওয়ার। তবুও কোনো বৃষ্টি নামার নাম নেই। চারদিক খাঁ খাঁ করছে। রাতের বেলা প্রাসাদের ভেতর সবাই চুপচাপ হয়ে বসে আছে। প্রাসাদটা ইট বা পাথরের নয়। গাছের গুঁড়ির। কদমগাছের। ওরা খুবই চিন্তিত। ওরা মানে ব্যাঙেরা।
এক ফোঁটা বৃষ্টির জন্য সবাই উন্মুখ হয়ে চেয়ে আছে আকাশের দিকে। কিন্তু আকাশ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ব্যাঙ জ্যোতিষী ভাবে, আকাশটা আমাদের ওপর অভিমান করে বসে আছে না তো? মানুষেরা এত এত রকেট আকাশটাতে পাঠাচ্ছে, তবুও ফুটো হচ্ছে না কেন? নাকি এখন আকাশ ফুটো হলেও বৃষ্টি নামে না? আকাশ বুড়ো রেইনকোট পরে নেই তো?
এসব কল্পনা করতে করতে সে গোল করা কচুপাতার ফাঁক দিয়ে আকাশের দিকে তাকায়। ওটাই তার দুরবিন। আজও তারা ভরা আকাশ। তার মানে আগামীকালও বৃষ্টি নামার সম্ভাবনা নেই।
এমন সময় কোথা থেকে বর্ষাপুর বর্ষাপুর বলে চেঁচাতে চেঁচাতে এক পুঁচকে ব্যাঙ হাজির। হাঁপাতে হাঁপাতে বলল, বর্ষাপুরে বৃষ্টি নেমেছে।
বৃষ্টির কথা শুনে সবাই তো আনন্দে আত্মহারা। ব্যাঙ রাজা বলে, কোথায় রে পুঁচকে? পুঁচকে ব্যাঙ বলে, এখান থেকে চার মাইল দূরে বর্ষাপুর। সেখানে একটা শানবাঁধানো পুকুরে বৃষ্টি নেমেছে। সে কী বৃষ্টি! অবিরাম ঝরছে। একমুহূর্তের জন্যও থামার নাম নেই।
পুঁচকের কথা শুনে সবাই সেখানে যাওয়ার জন্য তড়িঘড়ি করতে লাগল। ওদিকে ব্যাঙ জ্যোতিষী ভাবে, বর্ষাপুরের আকাশ বুড়োর রেইনকোট ফুটো হয়ে গেল নাকি? সে কিছুতেই হিসাব মেলাতে পারে না।
সকাল-সকাল সবাই চলল বর্ষাপুরের উদ্দেশে। সবার সে কী লম্ফঝম্প! একসময় তারা বর্ষাপুরে পৌঁছে গেল। সেখানে পৌঁছেই তাদের চোখ কপালে উঠে গেল। সে কী! এত বড় শানবাঁধানো একটা পুকুরে অবিরাম বৃষ্টি ঝরছে। বৃষ্টি দেখে তো ব্যাঙেরা মহাখুশি। একে একে লাফ দিতে লাগল পুকুরে। এত দিন পর পানি পেয়ে সবার সে কী আনন্দ! কেউ সাঁতার কাটছে। কেউবা লম্ফঝম্প করছে। আজ সবার মনে আনন্দ আর আনন্দ। পুঁচকেকে মাথায় তুলে নাচতে থাকে ব্যাঙের দল।
তোমরা কী ভাবছ পুঁচকে আসলেই বর্ষাপুরে ব্যাঙেদের নিয়ে এসেছে? জানি তোমরা বুঝতে পেরেছ যে বর্ষাপুর হচ্ছে ঝরনা। সে যা-ই হোক, ব্যাঙেরা অনেক দিন পর বৃষ্টি পেয়ে আনন্দ করছে—এটা তাদের বর্ষাপুর।
পাঁচ-পাঁচটি ঋতু চলে গেল। এক মাস হয়ে গেল গ্রীষ্ম চলে যাওয়ার। তবুও কোনো বৃষ্টি নামার নাম নেই। চারদিক খাঁ খাঁ করছে। রাতের বেলা প্রাসাদের ভেতর সবাই চুপচাপ হয়ে বসে আছে। প্রাসাদটা ইট বা পাথরের নয়। গাছের গুঁড়ির। কদমগাছের। ওরা খুবই চিন্তিত। ওরা মানে ব্যাঙেরা।
এক ফোঁটা বৃষ্টির জন্য সবাই উন্মুখ হয়ে চেয়ে আছে আকাশের দিকে। কিন্তু আকাশ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ব্যাঙ জ্যোতিষী ভাবে, আকাশটা আমাদের ওপর অভিমান করে বসে আছে না তো? মানুষেরা এত এত রকেট আকাশটাতে পাঠাচ্ছে, তবুও ফুটো হচ্ছে না কেন? নাকি এখন আকাশ ফুটো হলেও বৃষ্টি নামে না? আকাশ বুড়ো রেইনকোট পরে নেই তো?
এসব কল্পনা করতে করতে সে গোল করা কচুপাতার ফাঁক দিয়ে আকাশের দিকে তাকায়। ওটাই তার দুরবিন। আজও তারা ভরা আকাশ। তার মানে আগামীকালও বৃষ্টি নামার সম্ভাবনা নেই।
এমন সময় কোথা থেকে বর্ষাপুর বর্ষাপুর বলে চেঁচাতে চেঁচাতে এক পুঁচকে ব্যাঙ হাজির। হাঁপাতে হাঁপাতে বলল, বর্ষাপুরে বৃষ্টি নেমেছে।
বৃষ্টির কথা শুনে সবাই তো আনন্দে আত্মহারা। ব্যাঙ রাজা বলে, কোথায় রে পুঁচকে? পুঁচকে ব্যাঙ বলে, এখান থেকে চার মাইল দূরে বর্ষাপুর। সেখানে একটা শানবাঁধানো পুকুরে বৃষ্টি নেমেছে। সে কী বৃষ্টি! অবিরাম ঝরছে। একমুহূর্তের জন্যও থামার নাম নেই।
পুঁচকের কথা শুনে সবাই সেখানে যাওয়ার জন্য তড়িঘড়ি করতে লাগল। ওদিকে ব্যাঙ জ্যোতিষী ভাবে, বর্ষাপুরের আকাশ বুড়োর রেইনকোট ফুটো হয়ে গেল নাকি? সে কিছুতেই হিসাব মেলাতে পারে না।
সকাল-সকাল সবাই চলল বর্ষাপুরের উদ্দেশে। সবার সে কী লম্ফঝম্প! একসময় তারা বর্ষাপুরে পৌঁছে গেল। সেখানে পৌঁছেই তাদের চোখ কপালে উঠে গেল। সে কী! এত বড় শানবাঁধানো একটা পুকুরে অবিরাম বৃষ্টি ঝরছে। বৃষ্টি দেখে তো ব্যাঙেরা মহাখুশি। একে একে লাফ দিতে লাগল পুকুরে। এত দিন পর পানি পেয়ে সবার সে কী আনন্দ! কেউ সাঁতার কাটছে। কেউবা লম্ফঝম্প করছে। আজ সবার মনে আনন্দ আর আনন্দ। পুঁচকেকে মাথায় তুলে নাচতে থাকে ব্যাঙের দল।
তোমরা কী ভাবছ পুঁচকে আসলেই বর্ষাপুরে ব্যাঙেদের নিয়ে এসেছে? জানি তোমরা বুঝতে পেরেছ যে বর্ষাপুর হচ্ছে ঝরনা। সে যা-ই হোক, ব্যাঙেরা অনেক দিন পর বৃষ্টি পেয়ে আনন্দ করছে—এটা তাদের বর্ষাপুর।
জার্মানিতে নির্বাসিত বাংলাদেশের প্রখ্যাত কবি দাউদ হায়দার বার্লিনের শ্যোনেবের্গ ক্লিনিকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টায় (বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত ১টায়) তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। কবি বার্লিনের...
৩ দিন আগেধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে আগামীকাল শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে আলোকচিত্রী সাংবাদিক, গবেষক সাহাদাত পারভেজ সম্পাদিত ‘আলোকচিত্রপুরাণ’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। বইটি প্রকাশ করেছে কথাপ্রকাশ।
৬ দিন আগেনোবেলজয়ী পেরুভিয়ান সাহিত্যিক মারিও বার্গাস যোসা শুধু কথাসাহিত্যের জন্যই নন, মানবিকতা ও বিশ্ব রাজনীতির প্রতি গভীর মনোযোগের জন্যও পরিচিত। বাংলাদেশে এসিড হামলার শিকার নারীদের নিয়ে তাঁর লেখা হৃদয়বিদারক প্রবন্ধ ‘Weaker sex’ প্রমাণ করে, কীভাবে যোসার কলম ছুঁয়ে গিয়েছিল বাংলার পীড়িত নারীদের কান্না ও সংগ্রাম।
১৬ দিন আগেনোবেলজয়ী পেরুভিয়ান সাহিত্যিক মারিও বার্গাস যোসা মারা গেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার পেরুর রাজধানী লিমায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তাঁর ছেলে আলভারো বার্গাস যোসা মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
১৬ দিন আগে