ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন
আমি কাবিনে ৫ লাখ টাকা মোহরানা উল্লেখ করে বিয়ে করি। তবে আমি জানতাম, তাঁর আগের স্ত্রীকে তিনি ডিভোর্স দিয়েছেন। এমনকি তিনি আমাকে একটা ডিভোর্স পেপারও দেখিয়েছিলেন। বিয়েটা কাজি অফিসে হয়। আমার পরিবারের কেউ বিষয়টি জানেন না। পরে আমি পরিবারকে জানাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বিয়ের এক মাসের মাথায় জানতে পারি, তাঁর আরও তিন স্ত্রী আছেন। এখন আমি তাঁকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে ক্ষেত্রে কি কাবিনের টাকা আমি পাব? আর আমার পরিবার এখনো বিষয়টি সম্পর্কে কিছু জানে না। আসলে কীভাবে আমি তাঁকে ডিভোর্স দিলে কাবিনের টাকাটা পেতে পারি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, মেহেরপুর।
উত্তর: আপনার প্রশ্নটি বেশ সংবেদনশীল এবং এর মধ্যে ইসলামিক পারস্পেক্টিভ, আইনগত দিক এবং সামাজিক বাস্তবতা—সবকিছুই জড়িত আছে।
আপনি অবশ্যই কাবিনের টাকা পাওয়ার অধিকার রাখেন, যদি আপনার বিয়ে শরিয়ত ও আইন অনুযায়ী সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়ে থাকে। আপনি বলছেন,
» কাজি অফিসে বিয়ে হয়েছে। এই বিয়েকে আইনগতভাবে বৈধ বলে ধরে নেওয়া যায়।
» কাবিনে ৫ লাখ টাকা নির্ধারিত ছিল।
» বিয়ের সময় আপনি জানতেন, আপনার
ইসলামি আইন অনুযায়ী, কাবিন হলো স্ত্রীর অধিকার। যদি স্বামী প্রতারণা করে থাকেন (যেমন আগের বিয়ের কথা গোপন রেখে বিয়ে করা ইত্যাদি), তাহলেও কাবিনের টাকা স্ত্রী দাবি করতে পারেন।
হবু স্বামী তালাকপ্রাপ্ত। কিন্তু পরে আপনি জানতে পারেন যে তাঁর আরও তিন স্ত্রী রয়েছেন।
ইসলামি আইন অনুযায়ী, কাবিন হলো স্ত্রীর অধিকার। যদি স্বামী প্রতারণা করে থাকেন (যেমন আগের বিয়ের কথা গোপন রেখে বিয়ে করা ইত্যাদি), তাহলেও কাবিনের টাকা স্ত্রী দাবি করতে পারেন।
দ্বিতীয়ত, যেহেতু স্বামী বিয়ের সময় সত্য গোপন করেছেন (তাঁর আগের বিয়েগুলোর বিষয়ে), এটাকে প্রতারণা হিসেবে ধরা যেতে পারে। এ ধরনের প্রতারণায় আপনি চাইলে,
» আইনগতভাবে মামলা করতে পারেন এবং এতে আপনি কাবিনসহ অন্যান্য ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন।
» ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকেও প্রতারণার কারণে আপনি বিচ্ছেদ চাইলে ন্যায্য পাওনা দাবি করতে পারেন।
কাজেই এই অবস্থায় আপনার পরবর্তী করণীয় হবে, প্রথমে একজন বিশ্বস্ত আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করে বিস্তারিত আলোচনা করা। বিয়ের নিকাহনামা, কাবিননামা এবং অন্যান্য প্রমাণপত্র সংরক্ষণ করা। আপনার স্বামীর আগের স্ত্রীরা যদি সাক্ষ্য দিতে পারেন, তাহলে সেটিও ভবিষ্যতে কাজে লাগতে পারে।
পরামর্শ দিয়েছেন, ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
আমি কাবিনে ৫ লাখ টাকা মোহরানা উল্লেখ করে বিয়ে করি। তবে আমি জানতাম, তাঁর আগের স্ত্রীকে তিনি ডিভোর্স দিয়েছেন। এমনকি তিনি আমাকে একটা ডিভোর্স পেপারও দেখিয়েছিলেন। বিয়েটা কাজি অফিসে হয়। আমার পরিবারের কেউ বিষয়টি জানেন না। পরে আমি পরিবারকে জানাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বিয়ের এক মাসের মাথায় জানতে পারি, তাঁর আরও তিন স্ত্রী আছেন। এখন আমি তাঁকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে ক্ষেত্রে কি কাবিনের টাকা আমি পাব? আর আমার পরিবার এখনো বিষয়টি সম্পর্কে কিছু জানে না। আসলে কীভাবে আমি তাঁকে ডিভোর্স দিলে কাবিনের টাকাটা পেতে পারি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, মেহেরপুর।
উত্তর: আপনার প্রশ্নটি বেশ সংবেদনশীল এবং এর মধ্যে ইসলামিক পারস্পেক্টিভ, আইনগত দিক এবং সামাজিক বাস্তবতা—সবকিছুই জড়িত আছে।
আপনি অবশ্যই কাবিনের টাকা পাওয়ার অধিকার রাখেন, যদি আপনার বিয়ে শরিয়ত ও আইন অনুযায়ী সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়ে থাকে। আপনি বলছেন,
» কাজি অফিসে বিয়ে হয়েছে। এই বিয়েকে আইনগতভাবে বৈধ বলে ধরে নেওয়া যায়।
» কাবিনে ৫ লাখ টাকা নির্ধারিত ছিল।
» বিয়ের সময় আপনি জানতেন, আপনার
ইসলামি আইন অনুযায়ী, কাবিন হলো স্ত্রীর অধিকার। যদি স্বামী প্রতারণা করে থাকেন (যেমন আগের বিয়ের কথা গোপন রেখে বিয়ে করা ইত্যাদি), তাহলেও কাবিনের টাকা স্ত্রী দাবি করতে পারেন।
হবু স্বামী তালাকপ্রাপ্ত। কিন্তু পরে আপনি জানতে পারেন যে তাঁর আরও তিন স্ত্রী রয়েছেন।
ইসলামি আইন অনুযায়ী, কাবিন হলো স্ত্রীর অধিকার। যদি স্বামী প্রতারণা করে থাকেন (যেমন আগের বিয়ের কথা গোপন রেখে বিয়ে করা ইত্যাদি), তাহলেও কাবিনের টাকা স্ত্রী দাবি করতে পারেন।
দ্বিতীয়ত, যেহেতু স্বামী বিয়ের সময় সত্য গোপন করেছেন (তাঁর আগের বিয়েগুলোর বিষয়ে), এটাকে প্রতারণা হিসেবে ধরা যেতে পারে। এ ধরনের প্রতারণায় আপনি চাইলে,
» আইনগতভাবে মামলা করতে পারেন এবং এতে আপনি কাবিনসহ অন্যান্য ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন।
» ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকেও প্রতারণার কারণে আপনি বিচ্ছেদ চাইলে ন্যায্য পাওনা দাবি করতে পারেন।
কাজেই এই অবস্থায় আপনার পরবর্তী করণীয় হবে, প্রথমে একজন বিশ্বস্ত আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করে বিস্তারিত আলোচনা করা। বিয়ের নিকাহনামা, কাবিননামা এবং অন্যান্য প্রমাণপত্র সংরক্ষণ করা। আপনার স্বামীর আগের স্ত্রীরা যদি সাক্ষ্য দিতে পারেন, তাহলে সেটিও ভবিষ্যতে কাজে লাগতে পারে।
পরামর্শ দিয়েছেন, ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে গ্রাফিক ডিজাইনে পড়ার সময়ের কথা। অনেকটা শখের বশে শুরু করেন শরদিন্দু নামে একটি শপ। বিক্রি করেছেন হাতে আঁকা টি-শার্ট। ক্রেতা ছিলেন তাঁরই পরিচিত লোকজন। এরই মধ্যে চারুকলায় পড়াশোনা শেষ হলে লন্ডনের ইউনিভার্সিটি ফর দ্য ক্রিয়েটিভ আর্টসে স্নাতকোত্তর করতে পাড়ি জমান। তত দিনে
৩ ঘণ্টা আগেকথাসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং একাত্তরের ঘাতক দালালবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী জাহানারা ইমাম। ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি ১০১ সদস্যবিশিষ্ট একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত হয় তাঁর নেতৃত্বে। জাহানারা ইমামের জন্ম ১৯২৯ সালের ৩ মে।
৩ ঘণ্টা আগেবিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১২ মে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক নার্স দিবস। তবে যুক্তরাষ্ট্র ৬ মে থেকে ১২ মে পর্যন্ত পালন করে জাতীয় নার্স সপ্তাহ। সপ্তাহ কিংবা দিবস—যা-ই হোক না কেন, এর মূল লক্ষ্য হলো নার্সদের কঠোর পরিশ্রম, মানবিকতা ও স্বাস্থ্যসেবায় অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া। এই সময় দেশগুলো নার্সিং পেশাজীবীদের সম্মা
৪ ঘণ্টা আগেফ্রান্সের একটি বিদ্যুৎ কোম্পানির একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ছিলেন ডমিনিক পেলিকট। তিনি ১৯৭৩ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন গিসেল নামের এক নারীর সঙ্গে। ৫০ বছরের সংসারজীবনে তাঁরা তিনটি সন্তানের জনক-জননী হন। সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের নিয়ে যদিও ছবির মতো নিখুঁত একটি পারিবারিক জীবন ছিল তাঁদের।
৪ ঘণ্টা আগে