ডা. ফারজানা রহমান
খুব সম্প্রতি আমার ডিভোর্স হয়েছে। আমি নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু ডিভোর্সের কথা পরিবারে জানানোর পর চারপাশ থেকে আবার বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছে। এতে আমি ট্রমাটাইজ হয়ে যাচ্ছি। আমি এত বোঝানোর চেষ্টা করছি যে আমার সময় লাগবে, কেউ আসলে বোঝার চেষ্টাই করছে না। কীভাবে সবাইকে বিষয়টি বোঝাতে পারি? এ ছাড়া ট্রমা থেকে বের হওয়ার জন্য কী করতে পারি? আমি কাজটাকে গুরুত্ব দিতে চাই। কিন্তু সেখানেও মনোযোগ দিতে পারছি না।
ইসরাত জাহান ইমা, কুমিল্লা
উত্তর: ডিভোর্স হওয়ার পর একটি একক নারীকে নিয়ে যে পারিবারিক সমস্যা বা দুশ্চিন্তার সূত্রপাত ঘটে, আপনার সমস্যা তারই বহিঃপ্রকাশ। শুধু পরিবার নয়, আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীসহ পুরো সমাজ খুব ব্যস্ত হয়ে ওঠে নারীর বিয়ের ব্যাপারে। যেন বিয়ে হলেই সব সমস্যার ইতি ঘটবে।
গবেষণালব্ধ ফল ও তথ্যমতে, বিবাহবিচ্ছেদের পর অন্তত ছয় মাসের মধ্যে নতুন কোনো সম্পর্কে না জড়ানোই ভালো। কারণ, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর সেই সম্পর্কের স্মৃতি, তা তিক্ত বা মধুর—যা-ই হোক না কেন, আমাদের হৃদয়ে গভীর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এতে আমাদের শারীরবৃত্তীয় কাজে তার প্রভাব পড়ে। সে জন্য স্ট্রেস হরমোনের আধিক্য দেখা দেয়, যা আমাদের মনকে আরও চাপের মধ্যে রাখে আরও ট্রমাটিক করে তোলে। পরিবারের মানুষদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করুন। তাঁদের জানান, একটি সম্পর্ক থেকে বের হতে না হতেই আরেকটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে তার ফল অনেক ক্ষেত্রে শুভ হয় না।
নিজের মন ভালো রাখতে অনেক কিছুই করা যেতে পারে। হাঁটা, শরীরচর্চা, ভালো বই পড়ার চর্চা রাখা, প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানো, ভালো নাটক-সিনেমা বা যেকোনো সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকা যেতে পারে। তবে ভালো হয়, যদি আপনার নিজের কোনো শখ বা প্যাশনের জায়গা থাকে। সেটি শিখতে থাকুন অথবা সেটির চর্চা করতে থাকুন। নিষ্ঠা আর ভালোবাসার সঙ্গে কাজ করে গেলে তার ফল কিন্তু হয় সুখকর।
আশা করি সঠিক পথটি বেছে নেওয়া আপনার জন্য এখন সহজ হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন, ফারজানা রহমান, সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
খুব সম্প্রতি আমার ডিভোর্স হয়েছে। আমি নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু ডিভোর্সের কথা পরিবারে জানানোর পর চারপাশ থেকে আবার বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছে। এতে আমি ট্রমাটাইজ হয়ে যাচ্ছি। আমি এত বোঝানোর চেষ্টা করছি যে আমার সময় লাগবে, কেউ আসলে বোঝার চেষ্টাই করছে না। কীভাবে সবাইকে বিষয়টি বোঝাতে পারি? এ ছাড়া ট্রমা থেকে বের হওয়ার জন্য কী করতে পারি? আমি কাজটাকে গুরুত্ব দিতে চাই। কিন্তু সেখানেও মনোযোগ দিতে পারছি না।
ইসরাত জাহান ইমা, কুমিল্লা
উত্তর: ডিভোর্স হওয়ার পর একটি একক নারীকে নিয়ে যে পারিবারিক সমস্যা বা দুশ্চিন্তার সূত্রপাত ঘটে, আপনার সমস্যা তারই বহিঃপ্রকাশ। শুধু পরিবার নয়, আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীসহ পুরো সমাজ খুব ব্যস্ত হয়ে ওঠে নারীর বিয়ের ব্যাপারে। যেন বিয়ে হলেই সব সমস্যার ইতি ঘটবে।
গবেষণালব্ধ ফল ও তথ্যমতে, বিবাহবিচ্ছেদের পর অন্তত ছয় মাসের মধ্যে নতুন কোনো সম্পর্কে না জড়ানোই ভালো। কারণ, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর সেই সম্পর্কের স্মৃতি, তা তিক্ত বা মধুর—যা-ই হোক না কেন, আমাদের হৃদয়ে গভীর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এতে আমাদের শারীরবৃত্তীয় কাজে তার প্রভাব পড়ে। সে জন্য স্ট্রেস হরমোনের আধিক্য দেখা দেয়, যা আমাদের মনকে আরও চাপের মধ্যে রাখে আরও ট্রমাটিক করে তোলে। পরিবারের মানুষদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করুন। তাঁদের জানান, একটি সম্পর্ক থেকে বের হতে না হতেই আরেকটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে তার ফল অনেক ক্ষেত্রে শুভ হয় না।
নিজের মন ভালো রাখতে অনেক কিছুই করা যেতে পারে। হাঁটা, শরীরচর্চা, ভালো বই পড়ার চর্চা রাখা, প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানো, ভালো নাটক-সিনেমা বা যেকোনো সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকা যেতে পারে। তবে ভালো হয়, যদি আপনার নিজের কোনো শখ বা প্যাশনের জায়গা থাকে। সেটি শিখতে থাকুন অথবা সেটির চর্চা করতে থাকুন। নিষ্ঠা আর ভালোবাসার সঙ্গে কাজ করে গেলে তার ফল কিন্তু হয় সুখকর।
আশা করি সঠিক পথটি বেছে নেওয়া আপনার জন্য এখন সহজ হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন, ফারজানা রহমান, সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ক্রিস্ট্রুন মজল ফ্রস্টাডোত্তির। ৩৬ বছর বয়সে তিনি আইসল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এদিকে নিজের দেশ থেকে নির্বাসিত হয়ে দেশে ফিরে দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন নামিবিয়ার সাবেক
২ দিন আগেআমি এইচএসসি পরীক্ষার্থী। আমার বাবা-মা প্রায় চার বছর ধরে আলাদা থাকছেন। বাবা একাধিক নারীতে আসক্ত ছিলেন। সে কারণে মাকে মারধর করতেন। শেষমেশ মা বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন। এর পর থেকে বাবা আমার খরচ দেওয়া বন্ধ করে দেন। তবে কখনো কখনো পারিবারিক চাপের কারণে কিছু দেন, আবার বন্ধ করে দেন।
২ দিন আগেতার কোনো সাম্রাজ্য নেই, রাজপ্রাসাদ নেই। কখনো স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ল্যাট্রিন বানানো, কখনো বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি, কখনো ইভ টিজিং, বাল্যবিবাহ, যৌতুক প্রথা বন্ধসহ বিভিন্ন বিষয়ে সতর্কতা গড়ে তোলাতেই তার আগ্রহ বেশি। মেয়েটির নাম মীনা। আমরা জানি না মীনার বয়স কত, তার বাড়ি কোথায়। কোথায় সেই
২ দিন আগেদক্ষিণ আফ্রিকার সমাজকর্মী, রাজনীতিবিদ ও বর্ণবাদবিরোধী সংগ্রামের নেত্রী উইনি ম্যান্ডেলা। তিনি ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্যবিরোধী সংগ্রামের এক কিংবদন্তি চরিত্র। তিনি নেলসন ম্যান্ডেলার দ্বিতীয় স্ত্রী। যখন ম্যান্ডেলা প্রায় ২৭ বছর কারাবন্দী ছিলেন, তখন উইনি বাইরে থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
২ দিন আগে