কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও সন্তানদের সমর্থন আর উৎসাহেই শুরু রাইসা মানিজা আক্তারের উদ্যোক্তা জীবন। আঁকার প্রতি ভালোবাসা এবং সেটি নিয়ে ‘কিছু একটা’ করার স্বপ্ন আর তার প্রতি ভালোবাসাই ছিল তাঁর পুঁজি। তার ওপর ভর করে বিলুপ্তপ্রায় রিকশাচিত্রের ধারা অনুসরণ করে বিভিন্ন জিনিসের ওপর নকশা করার কাজ শুরু করেন রাইসা। তিনি জানেন, হস্তশিল্প কখনোই মেশিনে তৈরি পণ্যের সঙ্গে পেরে উঠবে না। তবু নিজের কাজের প্রতি আত্মবিশ্বাসই তাঁকে প্রতিদিন এগিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু এখন স্বপ্ন দেখেন, একদিন একটা কারখানা এবং শোরুম হবে নিজের।
২০১০ সালে ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ (ইউডা) থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর করেন রাইসা মানিজা আক্তার। এরপর নিজের ভালো লাগার বিষয় রিকশাচিত্র দিয়ে অল্পবিস্তর নকশার কাজ শুরু করেন। ছোটবেলা থেকে রাইসা ছবি আঁকতে ভালোবাসতেন। পরিবারেরও উৎসাহ ছিল এ বিষয়ে। তাই দেশ-বিদেশে বিভিন্ন প্রদর্শনীতে জায়গা পেয়েছিল তাঁর হাতে আঁকা ছবি। ২০১৯ সালে নড়াইলের এস এম সুলতান মেলায় পুরস্কৃত হন তিনি। এটাকে জীবনের বড় অর্জনগুলোর একটি বলে মনে করেন রাইসা।
সেই বছর থেকেই শুরু তাঁর উদ্যোক্তা জীবন।
নিজের ছবি আঁকার ইচ্ছা আর প্রতিভার সঙ্গে কিছু প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করতে মাঠে নামেন রাইসা। উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করতে গিয়ে দেশীয় রিকশাচিত্রকে বেছে নেন তিনি। এ সময় তিনি ফেসবুকে একটি পেজ খোলেন আর্টজেনিক্স নামে। সেই পেজের মাধ্যমে তিনি ক্রেতাদের কাছে পৌঁছানো শুরু করেন খুব অল্প দিনের মধ্যে। এ পর্যায়ে তিনি শুধু উদ্যোক্তার পরিচয়েই সীমাবদ্ধ থাকেননি। কাজ শুরু করেন একজন ট্রেইনার হিসেবেও। প্রথমে একটি এনজিওর মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত কিশোরীদের ট্রেনিং করান তিনি। করোনার সময় হ্যান্ড পেইন্ট, ফেব্রিকস পেইন্ট, রিকশা পেইন্ট এবং গয়না বানানোর প্রশিক্ষণ দেন রাইসা। তিনি বলেন, ‘শেখানোতে যে আনন্দ আছে,
সেটা আমি এখান থেকেই বুঝতে পেরেছি।’ এরপর থেকে অনলাইন ও অফলাইনে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন তিনি।
বর্তমানে রাইসা তাঁর মোহাম্মদপুরের বাড়িতেই কিছুটা জায়গাজুড়ে কারখানা বানিয়েছেন। সেখানেই চলে তাঁর পণ্য তৈরির কাজ। কিছু শিক্ষার্থী সেখানে তাঁর সঙ্গে কাজ করেন। এ ছাড়া ফ্রিল্যান্সার শিল্পীদের কাছে কাজ করিয়ে নেন রাইসা। অনলাইন ও অফলাইনে তাল মিলিয়ে পণ্য বিক্রি করেন এই উদ্যোক্তা।
আর্টজেনিক্সের পণ্য জয়িতাসহ বেশ কয়েকটি শোরুমে পাওয়া যায়। এ ছাড়া দেশের বাইরে থেকেও অনেকে তাঁর কাছ থেকে পণ্য কেনেন। ঘর সাজানোর বিভিন্ন জিনিসে রিকশাচিত্রের মাধ্যমে নকশা করেন তিনি। এ ছাড়া শাড়ি, গয়নাও তৈরি করেন রাইসা ও তাঁর সহকর্মীরা। রিকশাচিত্রের বিভিন্ন পণ্যের মধ্যে আছে স্টিলের চায়ের কেটলি, হারিকেন, কাচ ও মাটির চায়ের কাপ-পিরিচ, বোতলসহ নানা কিছু। যেগুলোর দাম ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকার মধ্যে। এ ছাড়া শাড়িতেও রিকশা পেইন্টের নকশা করেন রাইসা। আর্টজেনিক্সের রিকশা পেইন্টের শাড়িগুলো ২ হাজার ৫০০ থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে। এ ছাড়া গয়নার মধ্যে পাওয়া যাবে দুল, মালা ও চুড়ি। এগুলো মাটি দিয়ে তৈরি করা। গয়নাগুলোর দাম ২৫০ টাকা থেকে শুরু। এ ছাড়া
কিছু চুলের ক্লিপ, কাঠের আয়না, নোটবুকও নকশা করে বিক্রি হয় আর্টজেনিক্সে।
রাইসা মনে করেন, একজন উদ্যোক্তার জানার আগ্রহ থাকতে হবে। নিজে কী পারেন, সেটি বুঝে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি।
নারী উদ্যোক্তাদের নিজের পেজের নাম, লোগো ও সৌন্দর্য নিয়ে ভাবা এবং ট্রেড লাইসেন্স করার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন রাইসা মানিজা আক্তার। বিভিন্ন ট্রেনিংয়েও অংশগ্রহণ করাও জরুরি বলে মনে করেন এই উদ্যোক্তা।
পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও সন্তানদের সমর্থন আর উৎসাহেই শুরু রাইসা মানিজা আক্তারের উদ্যোক্তা জীবন। আঁকার প্রতি ভালোবাসা এবং সেটি নিয়ে ‘কিছু একটা’ করার স্বপ্ন আর তার প্রতি ভালোবাসাই ছিল তাঁর পুঁজি। তার ওপর ভর করে বিলুপ্তপ্রায় রিকশাচিত্রের ধারা অনুসরণ করে বিভিন্ন জিনিসের ওপর নকশা করার কাজ শুরু করেন রাইসা। তিনি জানেন, হস্তশিল্প কখনোই মেশিনে তৈরি পণ্যের সঙ্গে পেরে উঠবে না। তবু নিজের কাজের প্রতি আত্মবিশ্বাসই তাঁকে প্রতিদিন এগিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু এখন স্বপ্ন দেখেন, একদিন একটা কারখানা এবং শোরুম হবে নিজের।
২০১০ সালে ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ (ইউডা) থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর করেন রাইসা মানিজা আক্তার। এরপর নিজের ভালো লাগার বিষয় রিকশাচিত্র দিয়ে অল্পবিস্তর নকশার কাজ শুরু করেন। ছোটবেলা থেকে রাইসা ছবি আঁকতে ভালোবাসতেন। পরিবারেরও উৎসাহ ছিল এ বিষয়ে। তাই দেশ-বিদেশে বিভিন্ন প্রদর্শনীতে জায়গা পেয়েছিল তাঁর হাতে আঁকা ছবি। ২০১৯ সালে নড়াইলের এস এম সুলতান মেলায় পুরস্কৃত হন তিনি। এটাকে জীবনের বড় অর্জনগুলোর একটি বলে মনে করেন রাইসা।
সেই বছর থেকেই শুরু তাঁর উদ্যোক্তা জীবন।
নিজের ছবি আঁকার ইচ্ছা আর প্রতিভার সঙ্গে কিছু প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করতে মাঠে নামেন রাইসা। উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করতে গিয়ে দেশীয় রিকশাচিত্রকে বেছে নেন তিনি। এ সময় তিনি ফেসবুকে একটি পেজ খোলেন আর্টজেনিক্স নামে। সেই পেজের মাধ্যমে তিনি ক্রেতাদের কাছে পৌঁছানো শুরু করেন খুব অল্প দিনের মধ্যে। এ পর্যায়ে তিনি শুধু উদ্যোক্তার পরিচয়েই সীমাবদ্ধ থাকেননি। কাজ শুরু করেন একজন ট্রেইনার হিসেবেও। প্রথমে একটি এনজিওর মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত কিশোরীদের ট্রেনিং করান তিনি। করোনার সময় হ্যান্ড পেইন্ট, ফেব্রিকস পেইন্ট, রিকশা পেইন্ট এবং গয়না বানানোর প্রশিক্ষণ দেন রাইসা। তিনি বলেন, ‘শেখানোতে যে আনন্দ আছে,
সেটা আমি এখান থেকেই বুঝতে পেরেছি।’ এরপর থেকে অনলাইন ও অফলাইনে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন তিনি।
বর্তমানে রাইসা তাঁর মোহাম্মদপুরের বাড়িতেই কিছুটা জায়গাজুড়ে কারখানা বানিয়েছেন। সেখানেই চলে তাঁর পণ্য তৈরির কাজ। কিছু শিক্ষার্থী সেখানে তাঁর সঙ্গে কাজ করেন। এ ছাড়া ফ্রিল্যান্সার শিল্পীদের কাছে কাজ করিয়ে নেন রাইসা। অনলাইন ও অফলাইনে তাল মিলিয়ে পণ্য বিক্রি করেন এই উদ্যোক্তা।
আর্টজেনিক্সের পণ্য জয়িতাসহ বেশ কয়েকটি শোরুমে পাওয়া যায়। এ ছাড়া দেশের বাইরে থেকেও অনেকে তাঁর কাছ থেকে পণ্য কেনেন। ঘর সাজানোর বিভিন্ন জিনিসে রিকশাচিত্রের মাধ্যমে নকশা করেন তিনি। এ ছাড়া শাড়ি, গয়নাও তৈরি করেন রাইসা ও তাঁর সহকর্মীরা। রিকশাচিত্রের বিভিন্ন পণ্যের মধ্যে আছে স্টিলের চায়ের কেটলি, হারিকেন, কাচ ও মাটির চায়ের কাপ-পিরিচ, বোতলসহ নানা কিছু। যেগুলোর দাম ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকার মধ্যে। এ ছাড়া শাড়িতেও রিকশা পেইন্টের নকশা করেন রাইসা। আর্টজেনিক্সের রিকশা পেইন্টের শাড়িগুলো ২ হাজার ৫০০ থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে। এ ছাড়া গয়নার মধ্যে পাওয়া যাবে দুল, মালা ও চুড়ি। এগুলো মাটি দিয়ে তৈরি করা। গয়নাগুলোর দাম ২৫০ টাকা থেকে শুরু। এ ছাড়া
কিছু চুলের ক্লিপ, কাঠের আয়না, নোটবুকও নকশা করে বিক্রি হয় আর্টজেনিক্সে।
রাইসা মনে করেন, একজন উদ্যোক্তার জানার আগ্রহ থাকতে হবে। নিজে কী পারেন, সেটি বুঝে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি।
নারী উদ্যোক্তাদের নিজের পেজের নাম, লোগো ও সৌন্দর্য নিয়ে ভাবা এবং ট্রেড লাইসেন্স করার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন রাইসা মানিজা আক্তার। বিভিন্ন ট্রেনিংয়েও অংশগ্রহণ করাও জরুরি বলে মনে করেন এই উদ্যোক্তা।
গত বছর আমার বিয়ে হয় ছেলের ইচ্ছার বিরুদ্ধে। বিয়ের কয়েক দিন পরে সে আমাকে ছেড়ে চলে যায়। আর কখনো খোঁজখবর নেয়নি। তখন আমাদের বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়েছিল। কিন্তু তখন আমার স্বামীর বয়স কম ছিল। তার বিরুদ্ধে আমি মামলা করতে চাইলে কাজি সাহেব আমাদের বিয়ের কাবিলনামা অস্বীকার করেন। তখন আমি আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আই
৫ দিন আগেগ্রহ-নক্ষত্র আর মহাবিশ্বের মতিগতি বোঝার জন্য রাজপরিবারে একজন জ্যোতির্বিদ থাকবেন না, তা কি হয়? সে কারণে প্রায় ৩৫০ বছর আগে, ১৬৭৫ সালে রাজা দ্বিতীয় চার্লস ব্রিটিশ রাজপরিবারে একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানীকে নিয়োগ দেন। এই মর্যাদাপূর্ণ পদকে বলা হয় ‘অ্যাস্ট্রোনমার রয়্যাল’।
৫ দিন আগেচাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ জান্নাতুল মাওয়া। তাঁকে অনেকে চেনে অনলাইনে চাঁদপুরের ইলিশ ও নদীর সুস্বাদু তাজা মাছ বিক্রির জন্য। এখন তিনি ‘ইলিশ রানি’ নামে বেশ পরিচিত। জীবন তাঁকে টেনে এনেছে এখানে।
৫ দিন আগেচলতি বছরের জুলাই মাসে ২৩৫ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জানিয়েছে, তাদের মধ্যে ৮৬ জন কন্যা ও ১৪৯ জন নারী। মহিলা পরিষদের দেওয়া মাসিক প্রতিবেদনের তথ্য পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৭৯০ জন নারী ও কন্যাশিশু সহিংসতা...
৫ দিন আগে