Ajker Patrika

নারী শ্রমিকদের ৬ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ ১১ দাবিতে বিক্ষোভ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানবাধিকার সংগঠন ক্ষুব্ধ নারীসমাজের সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানবাধিকার সংগঠন ক্ষুব্ধ নারীসমাজের সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

সরকারি নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৬ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি থাকলেও শ্রমজীবী নারীরা তা পান না। ফলে শ্রমজীবী নারীরা মাতৃত্বকালীন সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হন।

‘ক্ষুব্ধ নারীসমাজ’-এর ব্যানারে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ বিষয় তুলে ধরে শ্রম আইনে নারীর ন্যায্য অধিকার ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়। আজ সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে ১১ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

১১ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—সব নারী শ্রমিকের আইনি স্বীকৃতি, অভিন্ন গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, ৬ মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি, কারখানা-কর্মস্থলে যৌন নিপীড়নবিরোধী নীতিমালা ও অভিযোগ সেলের যথাযথ বাস্তবায়ন, যৌনজীবীদের ওপর হয়রানি বন্ধ ও তাঁদের নিরাপত্তা এবং অধিকার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন ইত্যাদি।

২০২৩ সালের নভেম্বরে শ্রম আইনের বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংশোধনী এনে ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল-২০২৩’ পাস হয়। বিলে নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ১১২ দিন থেকে বাড়িয়ে ১২০ দিন (চার মাস) করার প্রস্তাব করা হয়। তবে ওই বিল এখনো কার্যকর হয়নি। এদিকে সরকারি চাকরিতে কর্মরত নারীরা মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস চূড়ান্ত করে গেজেট আগেই প্রকাশ হয়েছে।

সমাবেশে গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান ও শ্রম কমিশনের সদস্য তাসলিমা আখতার বলেন, ‘আমরা চাই, নারীদের জন্য যেন একটা নিরাপদ কর্মপরিবেশ থাকে। দীর্ঘ সময় ধরে যৌন নিপীড়নবিরোধী নীতি ও শাস্তির বিধানের দাবি করা হলেও এখনো সব প্রতিষ্ঠানে এটি কার্যকর হয়নি। হাইকোর্টের ২০০৯ সালের রায় এবং আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুসারে সব শ্রমিকের জন্য যৌন নিপীড়নবিরোধী নীতিমালা এবং সর্বত্র অভিযোগ সেল হয়নি। আমরা হাইকোর্টের রায়ের বাস্তবায়ন চাই।’

ক্ষুব্ধ নারীসমাজের সদস্য অপরাজিতা দেব এতে পরিচালনা করেন। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন নারীপক্ষের সংগঠক রওশন আরা, নারী সংহতির সভাপ্রধান শ্যামলী শীল, নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা সহসভাপ্রধান সীমা দাস শিমু প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, শ্রম আইনের নতুন অধ্যাদেশ তৈরি হতে যাচ্ছে। গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বিশেষ সময় নারীর অধিকারহীনতা দূর করতে শ্রম আইনের অসংগতি ও নতুন আইন চিহ্নিত করার বিকল্প নেই। নারী শ্রমিকেরা বরাবর কাজের স্বীকৃতি, সম মজুরি, মাতৃত্বকালীন ছুটি, যৌন নিপীড়নবিরোধী নীতি, ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার থেকে বঞ্চিত। এ থেকে রেহাই পেতে আইনকে রক্ষাকবচ হিসেবে তৈরি করতে হবে। এক দেশে দুই আইন (২০০৬ শ্রম আইন আবার ইপিজেডে আলাদা আইন) শ্রমিকের জন্য বিশেষভাবে নারীর অধিকার ক্ষুণ্ন করে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও ট্রেড ইউনিয়ন চর্চার সুযোগ সংকুচিত করে।

বক্তারা গৃহশ্রমিক, যৌনজীবী, নির্মাণশ্রমিকসহ বিভিন্ন অনানুষ্ঠানিক খাতে নারী শ্রমিকের নিরাপত্তা ও অধিকারের বিষয় তুলে ধরেন। তাঁরা শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করে অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণের সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপনের আহ্বান জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লির সংকটকালে ভারতীয়-আমেরিকানদের বিস্ময়কর নীরবতা

শুধু ডিজিএফআইয়ের লোগোর সঙ্গে মিল থাকায় শাপলা না দেওয়া বৈষম্যমূলক: এনসিপি

মানচিত্র থেকে পাকিস্তানকে মুছে ফেলার হুমকি দিলেন ভারতের সেনাপ্রধান

তোফায়েল আহমেদের শারীরিক অবস্থা ‘অপরিবর্তিত’

জনসংখ্যার সংকট, তারপরও বিদেশিদের প্রতি ঘৃণা এখন তীব্র জাপানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত