বইমেলা

টিএসসির দিকের প্রবেশপথ দিয়ে সামনে এগোলেই বেশ কিছু স্টল নজরে পড়ে। বাহারি সাজসজ্জা নেই। দর্শনার্থীর আনাগোনাও কম। মেলার মূল অংশের পাশের রাস্তা পেরিয়ে যেতে হয় ওখানে। মনে হতে পারে, মেলার বাইরের কিছু। কিন্তু পুরো বইমেলার প্রতিবাদী কণ্ঠ যেন এখানেই।

স্নাতক প্রথম বর্ষ থেকে বইমেলায় বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন লামিয়া সারা হৃদিতা। তিনি শুরু থেকেই কাজ করছেন আগামী প্রকাশনীতে। হৃদিতার বইমেলার সঙ্গে পরিচয় একজন পাঠক হিসেবে। পরে বইয়ের নেশাতেই তিনি বইমেলার বিক্রয়কর্মী হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেননি। পাঠক হৃদিতা বইমেলায় আসতেন নিজের পছন্দের লেখকের বই সংগ্র

এমনটা যদি হতো তাহলে কেমন হতো—কোনো রূপকথার বই পড়ছেন, বই থেকে কোনো চরিত্র জলজ্যান্ত হয়ে সামনে এসে দাঁড়াল! এই ধারণা নিয়ে মার্কিন লেখক আর এল স্টাইন লিখেছেন ধারাবাহিক ভৌতিক উপন্যাস ‘গুজবাম্পস’। এর ওপর ভিত্তি করে অবশ্য পরে নাটক-সিনেমাও হয়েছে। যা-ই হোক, বাস্তবে

বহুদিন পর এক নিশ্বাসে পড়ে ফেলবার মতো বইটি হাতে পেলাম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ড. মোস্তফা সারওয়ার পেশায় একজন শিক্ষক কিন্তু বইটি পড়তে গিয়ে হোঁচটই খেলাম কারণ বিশেষজ্ঞ শিক্ষকের কাহিনির বর্ণনায় কোন জ্ঞান দানের প্রবণতা নেই–নেই ভাষা ও উপস্থাপনার কচকচানি ও দুর্বোধ্যতা। 

মেলায় বাড়ছে নতুন বইয়ের গন্ধ। আসছেন দর্শনার্থীরাও। কেউ কেউ এসেছেন বন্ধুদের নিয়ে দল বেঁধে। স্টলে স্টলে ঘুরছেন, বই দেখছেন, কিনছেনও কেউ কেউ। সেলফিও তুলছেন অনেকে। গতকাল সোমবার অমর একুশে বইমেলার পঞ্চম দিনে দেখা গেল এমন চিত্র। 

আরও অনেক কিছুর মতো ঢাকার বইমেলাটি বাংলাদেশ, দেশের বাঙালি ও প্রবাসী বাঙালিদের আশার প্রতীক হয়ে উঠেছে। একটি দেশের উজ্জ্বলতার প্রতীক এই মেলা আমাদের অহংকার।

গ্রিন ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের ইবনে কামাল। এবারের বইমেলায় তিনি লিখেছেন একাধিক বই। একটির নাম ‘অথবা হয়নি ঘুম বহুকাল’। পড়াশোনা করতে গিয়ে বইয়ের মূল চরিত্র ঋতুর পরিচয় হয়েছে এমন একজনের সঙ্গে, যিনি টাকার বিনিময়ে নিয়ে আসেন নতুন সব গল্প। সহকারী গবেষককে নিয়

ছুটির দিন। সকালটা ছিল শিশুদের। বইমেলার শিশুপ্রহর। বেলা ১১টার আগেই একঝাঁক শিশু ঢুকল মেলার মধ্যে। সবার পরনে স্কুলড্রেস। জানাল, আব্দুল্লাহ মেমোরিয়াল হাইস্কুলে পড়ে ওরা।

সকাল থেকেই আকাশ ভার। বিকেলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। প্রকৃতি তাতেও আটকাতে পারেনি পাঠক কিংবা দর্শনার্থীদের। দল বেঁধে তাঁরা ঢুকছিলেন প্রাণের মেলায়। কিন্তু সন্ধ্যা নামতে একেবারে ঝুম বৃষ্টি। মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে শুরু হলো দৌড়াদৌড়ি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে রেকর্ড ২১তম বারের মতো মাসব্যাপী ‘অমর একুশে বইমেলা-২০২৪’-এর উদ্বোধন করেছেন। ‘পড় বই, গড় দেশ: বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে বাংলা একাডেমির উদ্যোগে এর চত্বর এবং সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পৃথিবীর বৃহত্তম বার্ষিক এ বইম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী দেশের বৃহত্তম অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রী বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করবেন

বাঙালির প্রধান সাংস্কৃতিক উৎসবে পরিণত হয়েছে অমর একুশে বইমেলা। দেশের বাঙালি, প্রবাসী বাঙালি সবাই এই সাংস্কৃতিক উৎসবে অংশ নেয়। ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে সবার ঠিকানা—মিলনমেলার স্থান একুশের বইমেলা প্রাঙ্গণ।

বইমেলাকে ঘিরে নাশকতা ও জঙ্গি তৎপরতার অতীত ঘটনা রয়েছে। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখেই এবারের বইমেলায় নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অমর 

আসছে অমর একুশে বইমেলা। অসংখ্য স্টল, প্যাভিলিয়ন ভরে উঠবে নানা ধরনের বই-পুস্তকে। জ্ঞানচর্চার একটা জায়গা তৈরি হবে। হাজার হাজার মানুষের পদভারে, কলকাকলিতে মুখর হবে বাংলা একাডেমির মেলা প্রাঙ্গণ। নতুন লেখক, প্রকাশকদেরও আগমন ঘটবে। বই বিক্রিও হবে প্রচুর। মেলা শেষ হবে। প্রকাশক ও লেখকদের মধ্যে একটা দীর্ঘশ্বাস।

বাংলাবাজারে গতকাল বুধবার একটি প্রকাশনা সংস্থার দপ্তরে ঢুকে একজন লেখক জানালেন, তাঁর একটি পাণ্ডুলিপি আছে। বইটি প্রকাশ করা যাবে কি না জানতে চান তিনি। প্রকাশক বিনয়ের সঙ্গে জানালেন, এখন আর পাণ্ডুলিপি নেওয়ার সময় নেই। লেখক চলে গেলেন অন্য প্রকাশনীর দিকে। অমর একুশে বইমেলা সামনে রেখে বাংলাবাজারে প্রকাশনা সংস্

জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে ৭৫ তম বইমেলার আয়োজনে অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের প্যাভিলিয়নে (১৮-২২ অক্টোবর) বাংলাদেশের স্বাধীনতার, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক পাঁচ শতাধিক বই প্রদর্শন করা হয়েছে 

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের বইমেলায় হিব্রু ভাষায় রচিত তাওরাতের পাণ্ডুলিপি দেখতে ভীড় জমিয়েছেন দর্শনার্থীরা। সৌদি সংবাদমাধ্যম সাবক এক প্রতিবেদনে বলেছে, রিয়াদ আন্তর্জাতিক বইমেলায় কাচের কেসের ভেতরে প্রদর্শিত হয়েছে পাণ্ডুলিপিটি। মেলায় বিশেষ প্যাভিলিয়নে প্রদর্শনীর জন্য রাখা ২৭টি বিরল পাণ্ডুলিপির মধ্যে এটি