পিবিআই

প্রায় ১০ মাস আগে পটিয়ায় নবী হোসেন হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মায়ের সঙ্গে পরকীয়ার কারণে মায়ের প্রেমিককে রগ কেটে হত্যা করে ছেলে

শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে আদেশের অনুলিপি প্রেরণের কথাও আদেশে বলা হয়েছে...

রাজশাহীর তানোরে শামীম হোসেন (২৮) নামে এক ভুয়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অফিসারকে গ্রেপ্তার করেছে থানা-পুলিশ। আজ রোববার দুপুরে তাঁকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতের মাধ্যমে রাজশাহীর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শেষ মুহূর্তে গিয়ে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হননি বাবুল আক্তার। আজ সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে আনা হয়। জবানবন্দি দিতে রাজি না হলে বেলা ২টা ৫১ মিনিটে বিচারকের খাসকামরা থেকে তাকে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।

তিনি ইচ্ছাকৃত ভুল ঠিকানা দিয়েছেন কি–না, সেটি আমরা আবারও জানতে চেয়েছি। বাবুল আক্তারের পরিবার ও তার বর্তমান স্ত্রীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। 

এই মামলায় পিবিআইয়ের পক্ষ থেকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন চাওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেন আসামীপক্ষের আইনজীবী। শুনানি শেষে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে পাঁচদিনের রিমান্ড দেন।

মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যাকাণ্ডে তার স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় সব অভিযুক্তকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ বুধবার দুপুরে চট্রগ্রামের সিএমএম আদালতে ৫৭৫ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

মেয়ের হত্যাকারী বাবুল আক্তারের ফাঁসি চান না মিতুর মা। তার দাবি, সারাজীবন জেলে আটকে রাখা হোক স্ত্রী হন্তারক বাবুলকে। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ফাঁসি দিলে তো মইরাই গেল, কষ্ট কম হইলো। জেলে ধুঁইকা ধুঁইকা মরুক।’

মিতু খুন হওয়ার মিনিট দশেকের মধ্যে মুছার ফোনে একটি কল আসে। ২৭ সেকেন্ডের কথোপকথনের মূল কথা ছিল, 'তুই কোপালি ক্যান!' তদন্তে বেরিয়ে আসে, মুছাকে ফোন করেছিলেন বাবুল আক্তার নিজে। কেন?

মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডে তার স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা রয়েছে। রাজধানীর ধানমণ্ডিতে পিবিআই সদরদপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান সংস্থাটির প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।

বাবুলের শ্বশুর পুলিশের সাবেক পরিদর্শক মোশররফ হোসেন বাসায় নেই বলে দাবি করেন তার স্ত্রী। ফোন করার পর তিনি জানান, পারিবারিক কাজে বাইরে আছেন। বাসায় ফিরতে সন্ধ্যা হবে। তবে বাবুল আক্তারকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।