নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সুপ্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আজকের পত্রিকার লাইভ ধারাভাষ্যে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। ধারাভাষ্যে ছিলাম আজকের পত্রিকার প্রতিবেদক আনোয়ার সোহাগ।
শেষ বাঁশি বাজালেন রেফারি ক্লিফোর্ড দায়পুয়াত। হলো না বাংলাদেশের সমতায় ফেরা। মোরসালিনের ক্রসে শেষ চেষ্টা করেছিলেন তারিক কাজী। কিন্তু তাঁর হেড জাল খুঁজে না পেয়ে চলে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে। বাংলাদেশকেও তাই মাঠ ছাড়তে হয় ২–১ গোলের হার নিয়ে।
বক্সের ভেতর বল পেয়েছিলেন হামজা। কিন্তু তাঁর শট পায়নি জালের দেখা।
মোরসালিনের দু দুটি কর্নার আবারও কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ।
দারুণ এক ভলি মারার সুযোগ পেয়েছিলেন ফাহিম। কিন্তু তাঁর লক্ষ্যভ্রষ্ট শট হতাশই করে।
দ্বিতীয়ার্ধে ৭ মিনিট অতিরিক্ত সময় দিয়েছেন চতুর্থ রেফারি।
দুই মিনিটের ব্যবধানে টানা চারটি কর্নার পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমটিতে আল আমিনের হেড খুঁজে পায়নি জাল। দ্বিতীয়টি ফিরিয়ে দেন সিঙ্গাপুর গোলরক্ষক। তৃতীয় কর্নারে তপুর হেড ক্লিয়ার করেন হামি শিয়াহিন।
চলছে শেষ মুহূর্তের খেলা। দুটি কর্নার পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ।
হৃদয়ের জায়গায় আল আমিন ও শাকিলের জায়গায় নেমেছেন মোরসালিন শেখ। ফলে রক্ষণে তিন জনকে রেখে আক্রমণাত্মক খেলার ছক কষেছেন কাবরেরা।
রেফারির প্রতি অসন্তোষ দেখানোয় হলুদ কার্ড দেখেছেন ফাহিম ও শাকিল।
বাংলাদেশের হয়ে ব্যবধান কমালেন রাকিব। হামজার থ্রু বল ধরে এগিয়ে যান তিনি বক্সের বাইরে থেকে তাঁর শট সিঙ্গাপুর গোলরক্ষকের নিচ দিয়ে চলে যায় জালে। বাংলাদেশ ১–২ সিঙ্গাপুর।
গোলকিপারকে একা পেয়েও জালে বল ফেলতে পারেননি ইমন।
ফাহামিদুল ইসলামের জায়গায় নামলেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম।
বক্সের বাইরে থেকে হামি শিয়াহিনের শট মিতুল মারমা ঠেকিয়ে দিলেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি । বল চলে যায় সুযোগ সন্ধানী ইখসান ফান্দির দিকে। মোহাম্মদ হৃদয়ের পায়ের ফাঁক দিয়ে মাটি কামড়ানো শটে গোল করেন এই ফরোয়ার্ড।
সংকে মাটিতে ফেলে দিয়ে ফাউলের বাঁশি শুনলেন সাদ।
রাকিবের ক্রসে পা ছোঁয়াতে পারলেন না বক্সের ভেতরে থাকা ইমন।
বিরতির পর এক পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। কাজেম শাহর জায়গায় নেমেছেন শাহরিয়ার ইমন।
যোগ করা সময়ে প্রথম কর্নার পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শমিতের সেটপিস থেকে তপুর হেড পোস্টের কিছুটা বাইরে দিয়ে চলে যায়। ফলে সমতা ফেরাতে পারেনি বাংলাদেশ। ১–০ গোলে পিছিয়ে থেকেই যেতে হয় বিরতিতে।
সং উই ইয়ংয়ের গোলে এগিয়ে গেল সিঙ্গাপুর। হামজা ঠেকানো চেষ্টা করেছিলেন বটে, কিন্তু পারেননি শেষ পর্যন্ত। হ্যারিসের ক্রস থেকে ডান পায়ের ভলিতে জাল কাঁপান সং।
শমিতের আরেকটি দুর্দান্ত পাস নিয়ন্ত্রণে নেন ফাহামিদুল। কিন্তু জায়গা নিয়ে শট মারতে গিয়ে ব্যর্থ হন তিনি। তাঁর শট রুখে দেন সাফুয়ান।
বক্সের ভেতর হ্যারিসকে দারুণ এক ডজ দিলেন হামজা।
ফাহামিদুল ফাউল হওয়ায় ফ্রিকিক পায় বাংলাদেশ। তবে হামজার শট একটুর জন্য বারের ওপর দিয়ে চলে যায় ।
বাঁ প্রান্ত দিয়ে এগোতে থাকা ফাহামিদুলকে পেছন থেকে ধাক্কা মেরে হলুদ কার্ড দেখেন রায়হান।
চার ডিফেন্ডার ঘেরাও করে রাখেন শমিত শোমকে। তবে ফাঁক দিয়ে বল বাড়ান তিনি। কিন্তু বলের নাগাল পাননি রাকিব।
বাঁ পাশ থেকে নেওয়া ইখসান ফান্দির শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকালেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক মিতুল মারমা।
কিছুক্ষণ আগেই ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন তারিক কাজী। এবার ইখসান ফান্দিকে টেনে ধরতে গিয়ে কাঁধে চোট পেয়েছেন এই ডিফেন্ডার। স্ট্রেচারে করে তুলে নেওয়া হয়েছে তাঁকে। যদিও কিছুক্ষণ পর মাঠে নামেন তিনি।
রায়হান স্টুয়ার্টকে ফাউল করায় হলুদ কার্ড দেখেছেন বাংলাদেশের ফাহামিদুল ইসলাম। তবে রেফারির সিদ্ধান্ত যথার্থ মনে হয়নি সমর্থকদের।
মুখে বল লাগায় ব্যথায় কাতরাচ্ছেন বাংলাদেশের তারিক কাজী ও সিঙ্গাপুরের জর্ডান।
সিঙ্গাপুরের দুজনকে পরাস্ত করে শাকিল আহাদ তপু বল বাড়িয়েছিলেন রাকিবের দিকে। কিন্তু রাকিবের দুর্বল শট সিঙ্গাপুর গোলরক্ষকের হাতে সহজেই তালুবন্দী হয়।
হ্যারিস স্টুয়ার্টের লং থ্রো থেকে জর্ডানের হেডে বল পেয়েছিলেন সং উই ইয়াং । কিন্তু বক্সের ভেতর সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি সিঙ্গাপুরের এই মিডফিল্ডার।
এবার রাকিবকে মাটিতে ফেলে দিলেন সিঙ্গাপুরের এক ডিফেন্ডার। কিন্তু ফাউল না দেওয়ায় লাইন্সম্যানের ওপর ক্ষুব্ধ হন রাকিব।
রাইট উইং ধরে এগিয়ে যেতেই ফাউল করে বসলেন রাকিব হোসেন।
গত ২০ মে সকাল ৯টার দিকে স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি রাজবাড়ীর তামিম। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে জাতীয় সংগীতের গান বাংলাদেশ অধিনায়ক তপু বর্মণ।
ভুটান ম্যাচের মতো আজও গেট ভেঙে ঢুকেছে দর্শক। ধৈর্যের সীমা হারিয়ে জাতীয় স্টেডিয়ামের ৪ নম্বর গেট ভাঙেন দর্শকেরা। বেলা ২টার দিকে গেট খোলার কথা থাকলেও আধঘণ্টা দেরিতে খোলা হয়। বাংলাদেশ ফুটবল আল্ট্রাসের বেশ কিছু সমর্থকের ওপর লাঠিপেটাও করা হয়।
মালদ্বীপের বিপক্ষে খেলা একাদশ থেকে তিন পরিবর্তন এনেছে সিঙ্গাপুর।
সিঙ্গাপুর একাদশ: ইজওয়ান মাহবুব, আমিরুল আদলি, জর্ডান এমাভিউয়ে, রায়হান স্টুয়ার্ট, সাফুয়ান বাহারুদিন, শাহ শাহিরান, হারিস হারুন, হামি শিয়াহিন, সং উই ইয়ং, হ্যারিস স্টুয়ার্ট, ইখসান ফান্দি।
এর আগে তিনবাব মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর। দুই দল জয় পেয়েছে সমান একটি করে।
প্রথম দেখা হয়েছিল ১৯৭৩ সালে মারদেকা কাপে। মালয়েশিয়ার অনুষ্ঠিত সেই টুর্নামেন্টে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশের। গ্রুপ পর্বে চার ম্যাচের কোনোটিতেই না জিতলেও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ড্র করেছিল ১-১ ব্যবধানে। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন কাজী সালাউদ্দিন। তবে ২০ মিনিটে সমতা ফেরান সিঙ্গাপুরের শামসুদ্দিন রহমত।
একই বছর সিঙ্গাপুরের মাটিতে খেলতে যায় বাংলাদেশ। ১৩ আগস্ট প্রথম ম্যাচেই পায় জয়ের দেখাও। একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন প্রয়াত সাবেক ফুটবলার নওশেরুজ্জামান।
সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বাংলাদেশের আবার সাক্ষাৎ হয় ৪২ বছর পর। ২০১৫ সালে প্রীতি ম্যাচে ঢাকায় জাতীয় স্টেডিয়ামে ২-১ গোলের জয় পায় সফরকারীরা। যদিও নাসির উদ্দিনের গোলে চতুর্থ মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু পরে মাঠ ছাড়তে হয় হার নিয়ে। সেই ম্যাচে খেলেছিলেন জামাল ভূঁইয়া ও সোহেল রানা। এ ছাড়া বেঞ্চে ছিলেন তপু বর্মণ। তিনজনই আছেন এবারের দলে। সেই ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে সিঙ্গাপুরের বর্তমান অধিনায়ক হারিস হারুন ও সাফুয়ান বাহারুদিনেরও।
সুপ্রিয় পাঠক, আজকের পত্রিকার লাইভে আপনাদের স্বাগত। সকাল থেকেই জাতীয় স্টেডিয়ামের আশপাশে ফুটবলপ্রেমীদের আনাগোনা। একটি ফুটবল ম্যাচ ঘিরে শেষ কবে এমন উন্মাদনার দেখা মিলেছিল, তা মনে করতে স্মৃতি হাতরাতে হবে অনেক। গ্যালারি পরিণত হয়েছে সাদা সমুদ্রে। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বহুল প্রতীক্ষিত লড়াইয়ে আজ সন্ধ্যা ৭টায় সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। দুই দলই মুখিয়ে আছে ৩ পয়েন্ট অর্জনের জন্য।
বাংলাদেশ একাদশে তিন পরিবর্তন
বাংলাদেশের একাদশে তিন পরিবর্তন এনেছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। নিয়মিত অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার পরিবর্তে শমিত শোম ও সোহেল রানার জায়গায় খেলছেন মোহাম্মদ হৃদয়। ভুটানের বিপক্ষে অভিষেক হওয়া তাজ উদ্দিনের জায়গা হয়নি সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে শুরুর একাদশে।
বাংলাদেশ একাদশ (৪–২–৩–১): মিতুল মারমা, সাদ উদ্দিন, তারিক কাজী, তপু বর্মণ, শাকিল আহাদ, মোহাম্মদ হৃদয়, শমিত শোম, হামজা চৌধুরী, কাজেম শাহ, ফাহামিদুল ইসলাম, রাকিব হোসেন।