Ajker Patrika

শেষ মুহূর্তে তপুর গোলে আফগানদের রুখে দিল বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ০৪ জুন ২০২১, ১৭: ১৬
শেষ মুহূর্তে তপুর গোলে আফগানদের রুখে দিল বাংলাদেশ

ঢাকা: পরিসংখ্যান বলবে, ম্যাচের দখলে ছিল আফগানিস্তান। বলের দখল থেকে শুরু করে আক্রমণ—সবকিছুতেই ছড়ি ঘুরিয়েছে তাঁরাই। যা লেখা থাকবে না তা হলো, ৪২ বছর পর আফগানদের হারানোর দারুণ এক সুযোগ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। ৩৬ শতাংশ বলের দখল আর ৪৮ মিনিটে ১–০ গোলে পিছিয়ে পড়েও পেয়েছে জয়ের সমান ১–১ গোলের ড্র।

দোহার জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে আজ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান, যাদের বিপক্ষে ১৯৭৯ সালের পর আর জয় পাওয়া হয়নি। ৪৮ মিনিটে গোল করে সেই রেকর্ডকে আরও দীর্ঘ করেছে আফগানরা। ৮৫ মিনিটে তপু বর্মণের শটে ১-১ গোলে ড্র করে বাংলাদেশ আফগানদের রুখে দিলেও জয়ের একটা আফসোস ঠিকই থেকে গেল। শেষ ১০ মিনিটে যে গতিতে আক্রমণ করে গেছেন জামাল ভূঁইয়ারা, ম্যাচের অর্ধেকও সেই ধারা অব্যাহত থাকলে হয়তো পাল্টে যেত ম্যাচের ফল!

দারুণ ড্র করলেও পাল্টাচ্ছে না পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশের অবস্থান। ছয় ম্যাচে দুই ড্রয়ে জেমি ডে শিষ্যদের পয়েন্ট দুই। আছে টেবিলের তলানিতে। সমান ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আফগানরা।

ম্যাচের শুরুতে জেমি ডের পছন্দের ৪-২-৩-১ ফরমেশনে বাংলাদেশের রক্ষণে সেন্টার ব্যাক হিসেবে ছিলেন তপু বর্মণ ও রিয়াদুল হাসান রাফি। অভিজ্ঞ রাইটব্যাক বিশ্বনাথ ঘোষের জায়গায় অভিষেক হয়েছে ফিনল্যান্ড প্রবাসী তারিক কাজী। লেফটব্যাকে ছিলেন রহমত মিয়া। মাঝমাঠের খানিকটা নিচে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার সঙ্গে আরেক ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার মাসুক মিয়া জনি। অ্যাটাকিং মিডফিল্ডে সোহেল রানা, বিপলু আহমেদ ও মতিন মিয়া। দলের একমাত্র ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলেছেন রাকিব হোসেন।

বিপরীতে আফগানিস্তানের ফরমেশন ছিল সোজাসাপ্টা, ৪-৩-৩। প্রথম ৪৫ মিনিটে ৭৮ শতাংশ বলের দখল রাখা আফগানদের গোল করতে না দেওয়াই বাংলাদেশের কৃতিত্ব। ২০১৯ সালে দুশানবতে জয়সূচক গোলটি করেছিলেন আফগান অধিনায়ক ফারশাদ নূর। আজও প্রায় বিপদে ফেলে দিয়েছিলেন জামালদের। ২৯ মিনিট ডি-বক্সের বাইরে তাঁর ডান পায়ের উড়িয়ে মারা শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। নইলে প্রথমার্ধেই পিছিয়ে পড়ত বাংলাদেশ।

বিরতির পর আর আটকে রাখা যায়নি আফগানিস্তানকে। ৪৮ মিনিটে প্রায় মাঝমাঠ থেকে ডেভিড নাজিমকে বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ শরিফ। নাজিম কাটব্যাক করেন আমির শরিফির পায়ে। ডিফেন্ডার রহমত মিয়া ছিলেন মার্কিংয়ের দায়িত্বে। তাঁকে ছিটকে দিয়ে জায়গায় দাঁড়িয়ে ঠান্ডা মাথায় বল জালে পাঠান আমির শরিফি।

৬১ মিনিটে বাংলাদেশকে আবারও প্রায় বিপদে ফেলে দিয়েছিলেন আমির শরিফি। ডি–বক্সের বাইরে থেকে গোলার বেগে এক শট নিয়েছিলেন। বাংলাদেশের ভাগ্য ভালো, লক্ষ্যে ছিল না সে শট।

গোল পাওয়ার পর অধিনায়ক নূরকে তুলে নেন আফগান কোচ আনুশ দস্তগির। মাঠে নামান একাধিক ডিফেন্ডারকে। ম্যাচে প্রথমবারের আফগানদের মতো রক্ষণাত্মক হওয়ার সুযোগে দুই ফরোয়ার্ডসহ আক্রমণের তিন খেলোয়াড়কে নামান জেমি ডে। তাতেই পাল্টে যায় ম্যাচের মোড়।

ম্যাচের ৭৯ মিনিটে রাকিব হোসেনের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন অভিষিক্ত মিডফিল্ডার মো. আবদুল্লাহ। পরের মিনিটেই হাতছাড়া করেছেন সমতায় ফেরার বড় সুযোগ। মানিক মোল্লার বাড়ানো লম্বা শটে আফগান গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন, কিন্তু বল মেরেছেন গোলরক্ষকের গায়ে।

৫ মিনিট পরই অবশ্য আক্ষেপ মেটান তপু বর্মণ। ডিফেন্ডার হয়েও আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোল করার কীর্তি আছে তাঁর। বাংলাদেশকে বাঁচালেন আফগানদের বিপক্ষেও। সেট পিস থেকে রিয়াদুল হাসান রাফির হেড থেকে ডি-বক্সে বল পেয়েছিলেন তপু। তাঁকে ঘিরে ছিলেন আফগানদের তিন খেলোয়াড়। তিনজনকেই দারুণভাবে বোকা বানিয়ে ডান পায়ের শটে বল জালে পাঠিয়ে বাংলাদেশ ড্র এনে দেন অভিজ্ঞ সেন্টারব্যাক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

নতুন মেট্রো নয়, রুট বাড়ানোর চিন্তা

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত