নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পরিকল্পিতভাবে জাতিকে মেধাহীন করে গড়তে বর্তমান শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ‘শিক্ষা, সংস্কৃতি, সভ্যতা ও ট্রান্সজেন্ডার বিতর্ক: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভার বক্তারা। তাঁরা বলেছেন, দেশে শিক্ষিত মূর্খ তৈরি করা হচ্ছে, যাতে স্বৈরাচারী শাসন জারি রাখা যায়।
আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে ভয়েস অব ল’ইয়ার্স বাংলাদেশ আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার বলেন, ‘শিক্ষাব্যবস্থা পরিকল্পিতভাবে বর্তমান অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। শিক্ষিত মূর্খ তৈরি করা হচ্ছে, যাতে এখানকার মানুষকে শোষণ করা যায়। তাদের ওপর স্বৈরাচারী শাসন জারি রাখা যায়।’
অধ্যাপক ইউসুফ হায়দার আরও বলেন, ‘এখানকার যাঁরা পলিসি মেকার, তাঁরা চান না এখানকার মানুষ শিক্ষিত হোক। তাঁদের ছেলেমেয়েদের বিদেশে পড়াচ্ছেন। আমার ছেলেমেয়েকে এখানেই পড়াতে হবে—এই চিন্তা না থাকলে কখনোই এখানকার শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাব না। পলিসি মেকারদের, অর্থাৎ সরকারকে পরিবর্তন করতে হবে।’
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুল লতিফ মাসুম বলেন, ‘এই সরকার যেমন ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত নয়, তেমনি তারা একটি আরোপিত শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে এই জাতিকে শাসন করতে চায়। আজ যে ট্রান্সজেন্ডারের কথা আসছে, তা পাশ্চাত্যের ক্ল্যাশ অব সিভিলাইজেশনের আলোকে আসছে।’
সাবেক এই উপাচার্য আরও বলেন, ‘পাশ্চাত্য যেমন তাদের সংস্কৃতি আমাদের ওপর চাপাতে চাইছে, তেমনি সরকারও আমাদের ইসলামের ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করছে। এখন বলা হচ্ছে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ভালো করতে হবে। এই সরকার যদি থাকে, তাহলে দেশের স্বাধীনতা আর থাকবে না।’
সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রম লিঙ্গ পরিচয় সংকট তৈরি করবে, যা সামাজিক বিশৃঙ্খলার দিকে নিয়ে যাবে। এর ফলে পরিবারব্যবস্থায় ভাঙন, মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ও মানসিক রোগ বৃদ্ধি, অপরাধ ও আত্মহত্যা বৃদ্ধি পাবে।’
এ ছাড়া সমগ্র কারিকুলাম সংশোধন, পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তু পুনরায় লেখা, শরীফার গল্প বাদ দেওয়া, দেশে এলজিবিটিকিউ কার্যক্রম বন্ধ করা, ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ অর্থে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দ ব্যবহার না করা, ট্রান্সজেন্ডারদের ধূর্ততা থেকে হিজড়াদের রক্ষা করা, হিজড়াদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং তাদের চিকিৎসাব্যবস্থা উন্নত করাসহ ট্রান্সজেন্ডারদের কাউন্সেলিং ব্যবস্থার দাবি জানান আরিফুল ইসলাম।
সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রধান ব্যক্তিদের কেউই এই দেশে পড়াশোনা করে না। তাই তাঁরা দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে ভাবেন না। রাজনৈতিক পরিবর্তন ছাড়া এই অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব নয়। আমরা একটা কমিশন করে নতুন শিক্ষানীতি তৈরি করব।’
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বিচারপতি আব্দুস সালাম মামুন, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার ইকতেদার আহমেদ, ঢাকা ট্যাক্সেস বারের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন প্রমুখ।
পরিকল্পিতভাবে জাতিকে মেধাহীন করে গড়তে বর্তমান শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ‘শিক্ষা, সংস্কৃতি, সভ্যতা ও ট্রান্সজেন্ডার বিতর্ক: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভার বক্তারা। তাঁরা বলেছেন, দেশে শিক্ষিত মূর্খ তৈরি করা হচ্ছে, যাতে স্বৈরাচারী শাসন জারি রাখা যায়।
আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে ভয়েস অব ল’ইয়ার্স বাংলাদেশ আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার বলেন, ‘শিক্ষাব্যবস্থা পরিকল্পিতভাবে বর্তমান অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। শিক্ষিত মূর্খ তৈরি করা হচ্ছে, যাতে এখানকার মানুষকে শোষণ করা যায়। তাদের ওপর স্বৈরাচারী শাসন জারি রাখা যায়।’
অধ্যাপক ইউসুফ হায়দার আরও বলেন, ‘এখানকার যাঁরা পলিসি মেকার, তাঁরা চান না এখানকার মানুষ শিক্ষিত হোক। তাঁদের ছেলেমেয়েদের বিদেশে পড়াচ্ছেন। আমার ছেলেমেয়েকে এখানেই পড়াতে হবে—এই চিন্তা না থাকলে কখনোই এখানকার শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাব না। পলিসি মেকারদের, অর্থাৎ সরকারকে পরিবর্তন করতে হবে।’
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুল লতিফ মাসুম বলেন, ‘এই সরকার যেমন ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত নয়, তেমনি তারা একটি আরোপিত শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে এই জাতিকে শাসন করতে চায়। আজ যে ট্রান্সজেন্ডারের কথা আসছে, তা পাশ্চাত্যের ক্ল্যাশ অব সিভিলাইজেশনের আলোকে আসছে।’
সাবেক এই উপাচার্য আরও বলেন, ‘পাশ্চাত্য যেমন তাদের সংস্কৃতি আমাদের ওপর চাপাতে চাইছে, তেমনি সরকারও আমাদের ইসলামের ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করছে। এখন বলা হচ্ছে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ভালো করতে হবে। এই সরকার যদি থাকে, তাহলে দেশের স্বাধীনতা আর থাকবে না।’
সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রম লিঙ্গ পরিচয় সংকট তৈরি করবে, যা সামাজিক বিশৃঙ্খলার দিকে নিয়ে যাবে। এর ফলে পরিবারব্যবস্থায় ভাঙন, মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ও মানসিক রোগ বৃদ্ধি, অপরাধ ও আত্মহত্যা বৃদ্ধি পাবে।’
এ ছাড়া সমগ্র কারিকুলাম সংশোধন, পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তু পুনরায় লেখা, শরীফার গল্প বাদ দেওয়া, দেশে এলজিবিটিকিউ কার্যক্রম বন্ধ করা, ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ অর্থে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দ ব্যবহার না করা, ট্রান্সজেন্ডারদের ধূর্ততা থেকে হিজড়াদের রক্ষা করা, হিজড়াদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং তাদের চিকিৎসাব্যবস্থা উন্নত করাসহ ট্রান্সজেন্ডারদের কাউন্সেলিং ব্যবস্থার দাবি জানান আরিফুল ইসলাম।
সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রধান ব্যক্তিদের কেউই এই দেশে পড়াশোনা করে না। তাই তাঁরা দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে ভাবেন না। রাজনৈতিক পরিবর্তন ছাড়া এই অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব নয়। আমরা একটা কমিশন করে নতুন শিক্ষানীতি তৈরি করব।’
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বিচারপতি আব্দুস সালাম মামুন, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার ইকতেদার আহমেদ, ঢাকা ট্যাক্সেস বারের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন প্রমুখ।
নিখোঁজ হওয়া তুরাগ থানা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মামুনুর রশিদের অবস্থান চিহ্নিত করে তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি অভিযোগ করেন, মামুনের পরিবার প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সত্ত্বেও প্রশাসনের ভূম
৮ মিনিট আগেএখানে ‘উপরের অনুমতি’ বা ‘উত্তরের সিগন্যাল’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে, তার ব্যাখ্যা অবশ্য দেননি এনসিপির এ নেতা।
১ ঘণ্টা আগেরফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যারা একসময় সমমনা ছিলাম, ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি, তারা এখন নতুন নতুন ইস্যু তৈরি করছে। আর এসব ইস্যু তৈরি করার মাধ্যমে তারা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। যে নির্বাচন নিয়ে সরকার এগোতে চাচ্ছে, সেই নির্বাচনকে তারা প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
২ ঘণ্টা আগেনির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদের সই করা সনদে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব (আরপিও) অনুযায়ী বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের গত ২৯ মে তারিখের রায় ও আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ লেবার পার্টিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন করেছে। দলটির নিবন্ধন নম্বর ৫৬।
৪ ঘণ্টা আগে