মার্শাল আর্ট-এ দক্ষতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কুংফুতে নিজস্ব কিছু স্টাইল আনেন লি। সেই কৌশলের তিনি নাম দেন ‘জিৎ কুনে দো’ অর্থাৎ ঘুষির সাহায্যে শত্রুকে পরাজিত করা। ব্রুসের এই নতুন কৌশল ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। হলিউডের তারকা অভিনেতা স্টিভ ম্যাককুইন এবং জেমস কোবার্ন ছিলেন তার ছাত্র। এক ঘণ্টা মারামারি শেখানোর পারিশ্রমিক হিসেবে তিনি নিতেন ২৫০ ডলার। ছবি:আইএমডিবি
ব্রুস লি বাতাসের চেয়েও বেশি গতিতে ফাইট করতে পারতেন। এত ক্ষিপ্র গতিতে তিনি হাত চালাতেন যে প্রতিপক্ষ তাঁর আঘাত প্রতিহত করারও সময় পেত না। ১৯৬২ সালে একটি ফাইটে তিনি মাত্র ১১ সেকেন্ডে তাঁর প্রতিপক্ষকে পরাজিত করেন। এই ১১ সেকেন্ডে তিনি ১৫টি ঘুষি আর একটি কিক মেরেছিলেন প্রতিপক্ষকে। মানে এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে একটির বেশি ঘুষি মেরেছিলেন ব্রুস। ছবি: আইএমডিবি
মাত্র ১৮ বছর বয়সেই বিশটিরও বেশি হংকং-এর চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ফেলেছিলেন ব্রুস লি। দর্শকদের কাছে তিনি ‘লি সিউ লুং’ বা ‘খুদে ড্রাগন’ হিসেবে পরিচিতি পান। ধীরে ধীরে যখন তার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে, তখন এশিয়ার প্রভাবশালী প্রযোজক রান লিকে তাঁর ছবিতে কাজ করার প্রস্তাব দেন।ছবি:আইএমডিবি
তখন তাঁর বয়স মাত্র বত্রিশ, প্রচুর পরিশ্রম করে হংকং এ ‘গেম অফ ডেথ’ ছবিটি করেছিলেন এবং সে সময়ই করুণ ঘটনাটি ঘটে। ১৯৭৩ সালের ২০ জুলাই হংকংয়ের একটি অ্যাপার্টমেন্টে তার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। তাঁর এ মৃত্যু এখনো রহস্যে মোড়া। মার্শাল আর্টকে বহির্বিশ্বে জনপ্রিয় করে তোলা, পশ্চিমা সংস্কৃতির সঙ্গে এশীয় সংস্কৃতির এক অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটিয়েছিলেন ব্রুস লি। তাঁর কারণে চলচ্চিত্র জগতে তৈরি হয়েছিল নতুন এক ধারা। এ ক্ষণজন্মা শিল্পীর মৃত্যুর এত বছর পরও তার ভক্তের সংখ্যা কমেনি, বরং দিনদিন বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের কাছে তিনি এ
সত্তর দশকের শুরুর দিকে অভিনয়ের জগতে তার পথচলার সূচনা ঘটে। কিন্তু মাত্র দু’বছরের মধ্যে অসাধারণ কলাকৌশল আর অভিনয় দক্ষতায় বিশ্বের স্বনামধন্য তারকাদের সারিতে নিজের নামটি অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলেন ব্রুস লি। তিনিই এশিয়ার প্রথম অ্যাকশন হিরো, যিনি পারিশ্রমিক পেতেন মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। ছবি:আইএমডিবি
ছাত্র জীবনের সময়টুকু লি আমেরিকাতেই কাটান। সেখানে হাই স্কুলের পড়া শেষ করে তিনি ভর্তি হন ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটনে। সেখানে কুংফু শিখিয়ে পড়ার খরচ জোগাড় করতেন তিনি। সেই সময় লিন্ডা এমেরি নামের এক সুইডিশ ছাত্রী কুংফু শিখতে ব্রুস লি-র কাছে আসে। আর সেখান তাদের থেকেই প্রেম, অতঃপর বিয়ে। মায়ের আপত্তি সত্ত্বেও ১৯৬৪ সালে লিন্ডাকে বিয়ে করে লি চলে আসেন ক্যালিফোর্নিয়াতে। ১৯৬৫ সালে জন্ম নেয় তাদের প্রথম সন্তান ব্র্যানডন। ছবি:আইএমডিবি
‘দ্য বিগ বস’-এর মুক্তির পরে ব্রুস লি’র ‘দ্য চাইনিজ কানেকশান’ মুক্তি পায় ১৯৭২ সালে এবং ‘রিটার্ন অফ দ্য ড্রাগন’ ১৯৭৩ সালে। এসব ছবি বক্স অফিসে এতটাই হিট হয় যে ব্রুস লি’র জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়তে থাকে। তিনি প্রথম সারির এশিয়ান ফিল্ম স্টার হয়ে ওঠেন। সেই সঙ্গে ইউরোপ এবং আমেরিকায়ও তার ভক্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। লি সে সময় শুধু অভিনয় নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন না, তিনি চিত্রনাট্য লেখাও শিখেছিলেন এবং ছবি পরিচালনাও করছিলেন। ছবি:আইএমডিবি
ব্রুস লি’র বাবা লি হো-চুং ছিলেন একজন জনপ্রিয় পেশাদার নাট্যশিল্পী ও চলচ্চিত্র তারকা। বাবার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুবাদে মাত্র তিন মাস বয়সে ‘গোল্ডেন গেইটগার্ল’ ছবিতে ব্রুস লিকে দেখা যায়। তাঁর জন্ম আমেরিকাতে হলেও তিনি বেড়ে ওঠেন হংকংয়ের কাউলুনে। কুংফুর পাশাপাশি ছোটবেলা থেকেই তার অভিনয়ের নেশা জন্মায়। বাবার সঙ্গে স্টুডিওতে যেতেন। স্টুডিওতে শিল্পীদের অভিনয় দেখে তার অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মায়। মাত্র ছয়’বছর বয়সেই ব্রুস লি ‘দ্য বিগিনিং অফ অ্যা বয়’ ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পান।