Ajker Patrika

স্যাংশন দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেই নিরাপত্তা চায়, এ কেমন কথা: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০২৩, ২২: ১১
স্যাংশন দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেই নিরাপত্তা চায়, এ কেমন কথা: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তায় ১৫৮ জন পুলিশ মোতায়েন করা আছে। আর আমাদের (যুক্তরাষ্ট্রে) রাষ্ট্রদূতের জন্য সিভিল ড্রেসে শুধু একজন গানম্যান দেওয়া আছে। কাজেই এখানে নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই।’ 

আজ শুক্রবার বিকেল ৪টায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনে যোগদান-পরবর্তী বিষয়ে তথ্য জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 

হলি আর্টিজানের পরে কয়েকটি দেশের দূতাবাসে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। ওই ঘটনার পর দেশে আর কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়নি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখন সারা বাংলাদেশের জন্য পুলিশ দরকার। কাজেই বাড়তি নিরাপত্তা উইথড্রো (প্রত্যাহার) করা হয়েছে। আর তাঁর সঙ্গে তো গানম্যান দেওয়া আছে। এ ছাড়া তাদের নিজস্ব নিরাপত্তাব্যবস্থা তাদের অ্যাম্বাসির ভেতরেও আছে। এটা নিয়ে বারবার প্রশ্ন হচ্ছে। কিন্তু এর কোনো অর্থ নেই। আমার অ্যাম্বাসেডর তো কোনো নিরাপত্তা পায় না।’ 

আমেরিকায় প্রতিদিনই গোলাগুলি হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্কুলে গুলি, শপিং মলে গুলি, বাড়িতে গুলি। শিশুদের মারছে, বাচ্চাদের মারছে। আমরা তো শঙ্কায় থাকি যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের দেশের মানুষকে নিয়ে। তাদের নিজেদের দেশে আগে সামাল দেওয়া উচিত। ওইখানে নিরাপত্তার সমস্যা। আমাদের দেশে এই সমস্যাটাও নাই। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট ভালো কাজ করছে। আর একদিকে আমার আইনশৃঙ্খলা সংস্থার ওপর স্যাংশন দেবে, আবার তাদের কাছ থেকে নিরাপত্তা চাইবে। এটা আবার কেমন কথা। আমি সেই প্রশ্নটাও করেছি।’ 

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষ করে গত বুধবার দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছিলেন। 

নিউইয়র্ক সফরে প্রধানমন্ত্রী ১৭-২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দেন। অধিবেশনের ফাঁকে অন্য উচ্চপর্যায়ের ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন। 

শেখ হাসিনা ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে যান। লন্ডনে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে দেওয়া সংবর্ধনায় যোগ দেন। 

এ ছাড়া বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা বিষয়ে গঠিত এপিপিজির সভাপতি এবং যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসাবিষয়ক ছায়ামন্ত্রী রুশনারা আলী এমপির নেতৃত্বে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) এক প্রতিনিধিদলসহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্টজন তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। 

ওয়াশিংটন ডিসিতে শেখ হাসিনা ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ মুজিবকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ছাত্রদল নেতার পোস্ট, শোকজ পেয়ে নিলেন অব্যাহতি

সিলেটের ডিসি হলেন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শাস্তি পাওয়া সারওয়ার আলম

আলাস্কা বৈঠকে পুতিনের দেহরক্ষীর হাতে ‘মলমূত্রবাহী স্যুটকেস’ কেন

অপারেশন সিঁদুরে নিহত প্রায় দেড় শ সেনার তালিকা প্রকাশ করে মুছে ফেলল পাকিস্তানি টিভি

মুচলেকা দিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়লেন আনন্দ মোহন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত