Ajker Patrika

বঙ্গোপসাগরে শৈবাল ও গ্যাসের সন্ধান, সাশ্রয় হবে ১৬ হাজার কোটি টাকা 

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২২, ২০: ৩৮
বঙ্গোপসাগরে শৈবাল ও গ্যাসের সন্ধান, সাশ্রয় হবে ১৬ হাজার কোটি টাকা 

বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশে সি উইডস বা সামুদ্রিক শৈবাল এবং গ্যাস হাইড্রেটের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। এটিকে বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতির জন্য মাইল হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি। 

আজ বুধবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সমুদ্রে সামুদ্রিক শৈবাল এবং গ্যাস হাইড্রেটের সন্ধান বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্সের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শিল্পের কাঁচামাল আমরা কিনি। বর্তমানে সি উইডস ও কসমেটিকস বাবদে সাবান, শ্যাম্পু, পোলট্রি ফিড তৈরিতে ২৮ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। আমরা যদি সি উইড নিজেরাই করতে পারি তাহলে ১৬ হাজার কোটি টাকা এখানে ব্যবহার করতে পারব। বাকিটুকু আমরা বিদেশে রপ্তানি করতে পারব। এটি আরেকটি সোনার খনির মত।’

এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে বাংলাদেশের প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকার খরচ হয়ে থাকে। দেড় হাজার কোটি টাকার সাবানের কাঁচামাল, সাড়ে ৭ কোটি টাকার শ্যাম্পু, ফিশ ফিড ৫ হাজার কোটি এবং পোলট্রি ১০ হাজার কোটি টাকার কাঁচামাল আমদানি করা হয় বাংলাদেশে। এগুলো যোগ করা হলে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার মত হয়। শৈবাল ব্যবহারে ১৬ হাজার কোটি টাকার সাশ্রয় হবে।

সম্প্রতি সমুদ্রে ভারতের দেওয়া আপত্তির অংশে কোন গবেষণা করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে সচিব মো. খুরশেদ আলম বলেন, ২০১০ সালে সমুদ্রে গবেষণাটি করা হয়েছিল। তখনো আদালতের মাধ্যমে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ হয়নি। ফলে আদালতের নির্ধারণের আগেই সমুদ্রে আমাদের যে এলাকা, পুরো এলাকাতেই আমরা গবেষণা করতে পেরেছি। যে এলাকা ভারত দাবি করে সেখানেও আমরা গবেষণা করেছি।

খুরশেদ আলম বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্র সীমার মধ্যে কোন দেশ আমাদের বাঁধা দেবে বা সেটি আমরা মেনে নেব সেটাতো হবে পারে না।

গ্যাস হাইড্রেটের সন্ধান নিয়ে মো. খুরশেদ আলম বলেন, যৌথভাবে গবেষণা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় সমুদ্রে ও তলদেশে গ্যাস হাইড্রেটের উপস্থিতি পাওয়া গেছে এবং এর অবস্থান, প্রকৃতি ও মজুতের ব্যাপারে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) অনুযায়ী, সমুদ্রের তলদেশে গ্যাস ও পানির সংমিশ্রণে তৈরি হওয়া স্ফটিককে গ্যাস হাইড্রেট বলা হয়। এটা দেখতে বরফের মতো হলেও এতে প্রচুর পরিমাণে মিথেন থাকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে ‘প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের’ নির্দেশ

কাশ্মীরে বিধ্বস্ত বিমানের অংশবিশেষ ফরাসি কোম্পানির তৈরি, হতে পারে রাফাল

সীমান্তে সাদা পতাকা উড়িয়ে আত্মসমর্পণের ইঙ্গিত দিয়েছে ভারত: পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী

পাকিস্তানে হামলায় ‘লোইটারিং মিউনিশনস’ ব্যবহারের দাবি ভারতের, এটি কীভাবে কাজ করে

নিজ কার্যালয়ে র‍্যাব কর্মকর্তার গুলিবিদ্ধ লাশ, পাশে চিরকুট

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত