রাসেল মাহমুদ, ঢাকা
অবশেষে ডোপ টেস্টের (শরীরে মাদকের উপস্থিতি শনাক্তকরণ পরীক্ষা) খসড়া বিধিমালা তৈরি হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এটি তৈরি করে অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর সেখান থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিং হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গেজেট জারি করবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রতিরক্ষা বাহিনী ছাড়া সরকারি সব কর্মচারীর জন্য এই খসড়া বিধিমালা প্রযোজ্য। এটি অনুমোদন পেলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোও ডোপ টেস্ট করতে পারবে। বর্তমানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি নির্দেশনার মাধ্যমে ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, ডোপ টেস্টের খসড়া বিধিমালা চূড়ান্ত হয়েছে। শিগগির অনুমোদন করা হবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইনে ডোপ টেস্টের কথা বলা হলেও কোনো বিধিমালা নেই। বিধিমালাটি অনুমোদন হলে নিয়মসম্মতভাবে পরীক্ষা করতে পারব। কাজটি নিয়মের মধ্যে করতে এটা সহায়ক হবে। আশা করছি, আগামী মাসের মধ্যেই ডোপ টেস্ট বিধিমালা অনুমোদন পাবে।’
২০১৮ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন করা হয়। ওই আইনের ২৪(৪) ধারায় মাদকাসক্ত ব্যক্তি শনাক্তের জন্য ডোপ টেস্টের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু নানা কারণে প্রায় ছয় বছরেও এই বিধিমালা চূড়ান্ত হয়নি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, জৈব নমুনায় মাদকদ্রব্য শনাক্তকরণ পরীক্ষা (ডোপ টেস্ট) বিধিমালা, ২০২৪-এর খসড়ায় মোট ৩৯টি বিধি এবং ৬টি ফরম রয়েছে। এই খসড়া চূড়ান্ত করতে গত ২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে একটি সভা হয়। সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় সংযোজন ও বিয়োজন করে সংশোধিত খসড়া বিধিমালা দ্রুত সুরক্ষা সেবা বিভাগে দিতে বলা হয়। অধিদপ্তর ১৪ অক্টোবর খসড়া বিধিমালা তৈরি করে সুরক্ষা সেবা বিভাগে পাঠায়। সেখান থেকে এটি ভেটিংয়ের (অনুমোদন) জন্য ৪ নভেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
খসড়ায় বলা হয়েছে, শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়া সব সরকারি কর্মচারীর জন্য ডোপ টেস্ট প্রযোজ্য হবে। মানবদেহের জৈবিক নমুনা হিসেবে মূত্র, রক্ত, চুল, ঘাম, নখ, নিশ্বাস, লালা অথবা মানবদেহের যেকোনো অঙ্গ বা অঙ্গের অংশবিশেষ বা দেহ-তরলের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে মাদকদ্রব্য অথবা মাদকের উপস্থিতি কিংবা অনুপস্থিতি নির্ণয় করা হবে। ফল ইতিবাচক হলে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতিতে একই নমুনার চূড়ান্ত পরীক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে চুল অথবা নখ ব্যবহার করে সরকার অনুমোদিত পরীক্ষাগারে চূড়ান্ত পরীক্ষা করা যাবে। পরীক্ষার ফল ইতিবাচক হলে ওই ব্যক্তি মাদকদ্রব্য গ্রহণ করেছে বলে ঘোষণা করা হবে। সংগ্রহ করা জৈব নমুনার অবশিষ্টাংশ ডোপ টেস্টের পর ৩০ দিন সংরক্ষণ করতে হবে।
খসড়া বিধিমালায় আরও বলা হয়েছে, ডোপ টেস্টের জন্য একটি টেকনিক্যাল কমিটি থাকবে। কমিটির সভাপতি হবেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সদস্যসচিব হবেন অধিদপ্তরের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন পরিচালক। কমিটির সদস্য থাকবেন সুরক্ষা সেবা বিভাগের মাদক অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব বা উপসচিব, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ পুলিশের সিআইডির ডিআইজি (ফরেনসিক), ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারের পরিচালক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের চিফ কনসালট্যান্ট, প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক। কমিটি বছরে অন্তত দুটি সভা করবে। তবে প্রয়োজনে সরকার নির্বাহী আদেশে ডোপ টেস্টের নতুন ক্ষেত্র নির্ধারণ করতে পারবে।
খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে নিয়োগ, চাকরিরত অবস্থায় কারও বিরুদ্ধে মাদক গ্রহণের সন্দেহ হলে যানবাহনের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন, কর্মরত অবস্থায় গাড়িচালকদের বিরুদ্ধে মাদক গ্রহণের সন্দেহ হলে, সরকারি-বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাদকদ্রব্য গ্রহণের সন্দেহ হলে, বিদেশ গমনে ইচ্ছুক ব্যক্তি, আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন, স্থলযান, নৌযান ও আকাশযান চালানোর লাইসেন্স প্রদান ও নবায়নের ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট করা যাবে। এ ছাড়া চিকিৎসকের চিকিৎসার প্রয়োজনে এবং টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশের নতুন ক্ষেত্র নির্ধারণ করা যাবে।
অধিদপ্তরের সূত্র বলেছে, বর্তমানে ঢাকায় কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ডোপ টেস্ট কার্যক্রম চলছে। রংপুর ছাড়া অন্য সব বিভাগে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ডোপ টেস্ট করার সুযোগ থাকলেও প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে এই কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের উপপরিচালক মো. মানজুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডোপ টেস্ট-সংক্রান্ত খসড়া বিধিমালা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং হওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গেজেট জারি হলে বিধি অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক হলে অনেকে মাদকদ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকবে। এ ছাড়া যারা মাদকাসক্ত, তাদের ডোপ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্ত করে চিকিৎসার আওতায় আনা যাবে।
অবশেষে ডোপ টেস্টের (শরীরে মাদকের উপস্থিতি শনাক্তকরণ পরীক্ষা) খসড়া বিধিমালা তৈরি হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এটি তৈরি করে অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর সেখান থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিং হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গেজেট জারি করবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রতিরক্ষা বাহিনী ছাড়া সরকারি সব কর্মচারীর জন্য এই খসড়া বিধিমালা প্রযোজ্য। এটি অনুমোদন পেলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোও ডোপ টেস্ট করতে পারবে। বর্তমানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি নির্দেশনার মাধ্যমে ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, ডোপ টেস্টের খসড়া বিধিমালা চূড়ান্ত হয়েছে। শিগগির অনুমোদন করা হবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইনে ডোপ টেস্টের কথা বলা হলেও কোনো বিধিমালা নেই। বিধিমালাটি অনুমোদন হলে নিয়মসম্মতভাবে পরীক্ষা করতে পারব। কাজটি নিয়মের মধ্যে করতে এটা সহায়ক হবে। আশা করছি, আগামী মাসের মধ্যেই ডোপ টেস্ট বিধিমালা অনুমোদন পাবে।’
২০১৮ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন করা হয়। ওই আইনের ২৪(৪) ধারায় মাদকাসক্ত ব্যক্তি শনাক্তের জন্য ডোপ টেস্টের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু নানা কারণে প্রায় ছয় বছরেও এই বিধিমালা চূড়ান্ত হয়নি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, জৈব নমুনায় মাদকদ্রব্য শনাক্তকরণ পরীক্ষা (ডোপ টেস্ট) বিধিমালা, ২০২৪-এর খসড়ায় মোট ৩৯টি বিধি এবং ৬টি ফরম রয়েছে। এই খসড়া চূড়ান্ত করতে গত ২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে একটি সভা হয়। সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় সংযোজন ও বিয়োজন করে সংশোধিত খসড়া বিধিমালা দ্রুত সুরক্ষা সেবা বিভাগে দিতে বলা হয়। অধিদপ্তর ১৪ অক্টোবর খসড়া বিধিমালা তৈরি করে সুরক্ষা সেবা বিভাগে পাঠায়। সেখান থেকে এটি ভেটিংয়ের (অনুমোদন) জন্য ৪ নভেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
খসড়ায় বলা হয়েছে, শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়া সব সরকারি কর্মচারীর জন্য ডোপ টেস্ট প্রযোজ্য হবে। মানবদেহের জৈবিক নমুনা হিসেবে মূত্র, রক্ত, চুল, ঘাম, নখ, নিশ্বাস, লালা অথবা মানবদেহের যেকোনো অঙ্গ বা অঙ্গের অংশবিশেষ বা দেহ-তরলের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে মাদকদ্রব্য অথবা মাদকের উপস্থিতি কিংবা অনুপস্থিতি নির্ণয় করা হবে। ফল ইতিবাচক হলে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতিতে একই নমুনার চূড়ান্ত পরীক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে চুল অথবা নখ ব্যবহার করে সরকার অনুমোদিত পরীক্ষাগারে চূড়ান্ত পরীক্ষা করা যাবে। পরীক্ষার ফল ইতিবাচক হলে ওই ব্যক্তি মাদকদ্রব্য গ্রহণ করেছে বলে ঘোষণা করা হবে। সংগ্রহ করা জৈব নমুনার অবশিষ্টাংশ ডোপ টেস্টের পর ৩০ দিন সংরক্ষণ করতে হবে।
খসড়া বিধিমালায় আরও বলা হয়েছে, ডোপ টেস্টের জন্য একটি টেকনিক্যাল কমিটি থাকবে। কমিটির সভাপতি হবেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সদস্যসচিব হবেন অধিদপ্তরের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন পরিচালক। কমিটির সদস্য থাকবেন সুরক্ষা সেবা বিভাগের মাদক অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব বা উপসচিব, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ পুলিশের সিআইডির ডিআইজি (ফরেনসিক), ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারের পরিচালক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের চিফ কনসালট্যান্ট, প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক। কমিটি বছরে অন্তত দুটি সভা করবে। তবে প্রয়োজনে সরকার নির্বাহী আদেশে ডোপ টেস্টের নতুন ক্ষেত্র নির্ধারণ করতে পারবে।
খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে নিয়োগ, চাকরিরত অবস্থায় কারও বিরুদ্ধে মাদক গ্রহণের সন্দেহ হলে যানবাহনের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন, কর্মরত অবস্থায় গাড়িচালকদের বিরুদ্ধে মাদক গ্রহণের সন্দেহ হলে, সরকারি-বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাদকদ্রব্য গ্রহণের সন্দেহ হলে, বিদেশ গমনে ইচ্ছুক ব্যক্তি, আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন, স্থলযান, নৌযান ও আকাশযান চালানোর লাইসেন্স প্রদান ও নবায়নের ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট করা যাবে। এ ছাড়া চিকিৎসকের চিকিৎসার প্রয়োজনে এবং টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশের নতুন ক্ষেত্র নির্ধারণ করা যাবে।
অধিদপ্তরের সূত্র বলেছে, বর্তমানে ঢাকায় কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ডোপ টেস্ট কার্যক্রম চলছে। রংপুর ছাড়া অন্য সব বিভাগে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ডোপ টেস্ট করার সুযোগ থাকলেও প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে এই কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের উপপরিচালক মো. মানজুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডোপ টেস্ট-সংক্রান্ত খসড়া বিধিমালা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং হওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গেজেট জারি হলে বিধি অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক হলে অনেকে মাদকদ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকবে। এ ছাড়া যারা মাদকাসক্ত, তাদের ডোপ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্ত করে চিকিৎসার আওতায় আনা যাবে।
‘এক ঠিকানায় সকল নাগরিক সেবা’ স্লোগান নিয়ে এই সেবা আউটলেটের যাত্রা শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে কার্যকর সরকারি সেবা দিয়ে জনগণের ক্ষমতায়ন করা হবে। ওয়েবসাইটটিতে গিয়ে দেখা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ বিল, বয়স্ক ভাতা, স্কুলে ভর্তি, জলবায়ু কর্মসূচির তথ্যও পাওয়া যাবে।
১১ মিনিট আগেসেবা প্রদানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে এবং দ্রুততম সময়ে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আগামী ১৬ মে থেকে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের আবেদন শতভাগ অনলাইনে গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করা হবে।
৩৮ মিনিট আগেসব ধরনের ওষুধের মধ্যে দেশে পরিপাকতন্ত্রের জটিলতাবিষয়ক ওষুধ বিক্রিতে রয়েছে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্থানে। সরকারি গবেষণায় উঠে এসেছে, এসব ওষুধ বিক্রির অঙ্ক বছরে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, জনসংখ্যার একটা বিশাল অংশ পরিপাকতন্ত্রের সমস্যায় ভুগছে।
১১ ঘণ্টা আগেবর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই পুলিশকে স্বাধীন ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য পদক্ষেপ নিতে প্রস্তাব দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এ জন্য তাঁরা দ্রুত স্বাধীন কমিশন গঠনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জোর দাবি জানান। পুলিশ সংস্কার কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে ‘স্বাধীন কমিশন’ গঠনের...
১১ ঘণ্টা আগে