Ajker Patrika

নির্বাচনকে সামনে রেখে কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা শঙ্কা পর্যালোচনা করবে ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নির্বাচনকে সামনে রেখে কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা শঙ্কা পর্যালোচনা করবে ইসি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরাপত্তা নিয়ে নিজস্ব কর্মকর্তাদের শঙ্কা ও রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবি পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা। আজ রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। 

গতকাল শনিবার মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভায় কর্মকর্তাদের মতামতের বিষয়ে কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘ভোট কীভাবে সুষ্ঠু করা যায় এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দুর্গম অঞ্চলে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো, মিক্সড করে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া, চরাঞ্চল ও দুর্গম অঞ্চলে ব্যয় বাড়ানো, প্রমোশন, অনেক অফিসে জনবল নেই এসবসহ বিভিন্ন দাবি ছিল।’ 

তিনি বলেন, ‘এটা সত্যি কথা, সব সময় রিটার্নিং অফিসার প্রশাসন থেকে ডিসিদের দেওয়া হয়। ওদের (ইসির নিজস্ব কর্মকর্তা) দাবি থাকলেও ৩০০ আসনে দেওয়ার মতো আমদের সামর্থ্য নেই। তবে বাছাই করে কিছু দেওয়া যায়, ওরা ওই রকম কিছু চাচ্ছে।’ 

কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা শঙ্কার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘যদি সব দল অংশ না নেয়, ২০১৪ সালে ভোটের সময় কিছু জায়গায় আক্রমণ হয়েছিল—এই উদাহরণ দিয়ে বলেছিল। যদি সব দল না আসে তবে সেফটি ম্যাজারমেন্ট রাখা হয়। অফিসের নিরাপত্তার কথা বলেছে, তবে ২০১৪ সালে কী হয়েছিল আমি জানি না। যদি আগুন দেয়, লুটপাট করে ফেলল, এই অফিস যেন নিরাপদ থাকে। তাঁদের দাবি দাওয়া নিয়ে বসে পর্যালোচনা করা হবে।’ 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, ‘রাজনৈতিক সমঝোতা আমাদের কাজ না। সংবিধান অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। রাজনৈতিক সমঝোতা বড় কথা না। যে দলগুলো আসবে আমরা তাদের নিয়ে নির্বাচন করব। আমরা আমাদের মতো করে কাজ করে যাচ্ছি। আস্থার বিষয়ে আমাদের উদ্যোগের কমতি নেই। আমাদের আস্থায় নিতে তাঁদের (যাদের ইসির প্রতি আস্থা নেই) মানসিকতার উন্নয়ন করতে হবে।’ 

তিনি বলেন, ‘আমরা শপথ নিয়েছি ভালো নির্বাচনই করব। এটা বিশ্বাস করা, না করা তাদের ব্যাপার। এখানে আমাদের কিছু করার নাই। একটা ভালো নির্বাচন করতে নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের আন্তরিকতার কোনো কমতি নেই।’ 

সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকারের সহায়তা নিতেই হবে উল্লেখ করে কমিশনার রাশেদা বলেন, ‘ওনারা (সরকার) সহায়তা না দিলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। সরকারও চায় একটা ভালো নির্বাচন হোক। আমরা সেটায় বিশ্বাস রাখি। ভবিষ্যতে কী হবে আগে বলা যাবে না। আমাদের চাওয়া ও লক্ষ্য একটাই—সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন। কী ঘটে যাবে, কী ঘটবে না এটা বলা কঠিন। নির্বাচন আগে হোক ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছু বলা যাবে না।’ 

এদিকে সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) প্রশিক্ষণ আগামী ১৪ অক্টোবর শুরু হবে। দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনের দিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। ডিসি ও এসপিদের দুই ধাপে প্রশিক্ষণ হবে। প্রথম ধাপে আগামী শনি এবং রোববার ৩৩ জন এসপি এবং ৩২ জন ডিসিকে প্রশিক্ষণ দেবে নির্বাচন কমিশন। 

প্রথমবারের মতো ডিসি, এসপি ও ইউএনওদের তফসিলের আগেই দুই দিন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ইসি। আগে তফসিল ঘোষণার পর একদিনের সংক্ষিপ্ত ব্রিফ করা হতো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ মুজিবকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ছাত্রদল নেতার পোস্ট, শোকজ পেয়ে নিলেন অব্যাহতি

সিলেটের ডিসি হলেন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শাস্তি পাওয়া সারওয়ার আলম

আলাস্কা বৈঠকে পুতিনের দেহরক্ষীর হাতে ‘মলমূত্রবাহী স্যুটকেস’ কেন

অপারেশন সিঁদুরে নিহত প্রায় দেড় শ সেনার তালিকা প্রকাশ করে মুছে ফেলল পাকিস্তানি টিভি

মুচলেকা দিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়লেন আনন্দ মোহন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত