নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রমে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে জরিপ চালানো হবে। একই সঙ্গে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মতামত জানাতে পারবেন আগ্রহীরা। আজ সোমবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে এবি পার্টির সঙ্গে হওয়া সংলাপে এ কথা জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
কমিশনের সহসভাপতি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের বাইরেও সাধারণ নাগরিকদের অংশগ্রহণের জন্য শিগগির ওয়েবসাইটে মতামত নেওয়া হবে। এর বাইরে সবার মতামত নেওয়ার জন্য আমরা একটা জরিপ করব।’
জাতীয় ঐকমত্য জাতীয়ভাবে হতে হবে বলে মনে করেন আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘শুধু কোনো সমাজের বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর, বিশেষ কোনো অংশের প্রতিনিধিত্ব না করে রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। এর বাইরেও যাঁরা আছেন, তাঁদের মতামত আমরা নিতে চাই। সেই পথ আমরা খুব শিগগির শুরু করব। আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা হচ্ছে, সবার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা; যাতে সংস্কার কার্যক্রমের মধ্যে মনোনিবেশ করতে পারি।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে ২৯টি রাজনৈতিক দল মতামত দিয়েছে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে। আশা করি, মে মাসের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ রাজনৈতিক দল ও জোটগতভাবে প্রথম পর্যায়ের সংলাপ শেষ হবে।’
মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘সে ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য দেখব, এর বাইরেও কিছু কিছু বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের প্রয়োজন রয়েছে। তা নিয়ে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে আলোচনা করতে পারব বলে আশা করছি।’
বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জুর নেতৃত্বে দলটির ১৩ জন সদস্য অংশ নেন।
এমসিকিউ আকারে প্রশ্ন ওঠার বিষয়ে মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘আমাদের কাছে এমসিকিউ মনে হয়নি; কারণ, এখানে সব ধরনের মতামত দেওয়ার সুযোগ ছিল। তাই এটাকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবনা আমাদের পছন্দ হয়েছে। যেসব বিষয়ে দ্বিমত ও আংশিকভাবে ঐকমত্য রয়েছে, সেসব বিষয়ে আজকে আলোচনা হতে পারে।’
জাতীয় সংকট নিরসনে আনুষ্ঠানিক আলোচনার বাইরেও পর্দার অন্তরালে আলোচনা করতে হবে জানিয়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘অনেক বিষয়ে আমরা হয়তো একমত হইনি, কিন্তু ভবিষ্যতে সংলাপের মাধ্যমে একমত হব। অথবা আমাদের মতামতের ভিত্তিতে আপনাদের মতামত প্রত্যাহার করে একটি জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছাব। আমাদের দলের অবস্থান ফ্লেক্সিবল। আমাদের মতামতের ওপরই যে আমরা স্থির থাকব, তা নয়; যৌক্তিকতার আলোকে যেকোনো আলোচনাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। এটা আমাদের নীতিগত অবস্থান।’
মুজিবুর রহমান আরও বলেন, ‘আনুষ্ঠানিক বৈঠকের বাইরেও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে তৎপরতা চালাতে হবে। কারণ, মানুষকে একমতে নিয়ে আসার মতো কঠিন কাজ কিছু হতে পারে না। তার পরেও আমরা আশাবাদী, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সফল হবে, বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে। সঠিক দিকনির্দেশনায় চলবে।’
রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রমে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে জরিপ চালানো হবে। একই সঙ্গে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মতামত জানাতে পারবেন আগ্রহীরা। আজ সোমবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে এবি পার্টির সঙ্গে হওয়া সংলাপে এ কথা জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
কমিশনের সহসভাপতি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের বাইরেও সাধারণ নাগরিকদের অংশগ্রহণের জন্য শিগগির ওয়েবসাইটে মতামত নেওয়া হবে। এর বাইরে সবার মতামত নেওয়ার জন্য আমরা একটা জরিপ করব।’
জাতীয় ঐকমত্য জাতীয়ভাবে হতে হবে বলে মনে করেন আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘শুধু কোনো সমাজের বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর, বিশেষ কোনো অংশের প্রতিনিধিত্ব না করে রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। এর বাইরেও যাঁরা আছেন, তাঁদের মতামত আমরা নিতে চাই। সেই পথ আমরা খুব শিগগির শুরু করব। আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা হচ্ছে, সবার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা; যাতে সংস্কার কার্যক্রমের মধ্যে মনোনিবেশ করতে পারি।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে ২৯টি রাজনৈতিক দল মতামত দিয়েছে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে। আশা করি, মে মাসের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ রাজনৈতিক দল ও জোটগতভাবে প্রথম পর্যায়ের সংলাপ শেষ হবে।’
মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘সে ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য দেখব, এর বাইরেও কিছু কিছু বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের প্রয়োজন রয়েছে। তা নিয়ে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে আলোচনা করতে পারব বলে আশা করছি।’
বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জুর নেতৃত্বে দলটির ১৩ জন সদস্য অংশ নেন।
এমসিকিউ আকারে প্রশ্ন ওঠার বিষয়ে মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘আমাদের কাছে এমসিকিউ মনে হয়নি; কারণ, এখানে সব ধরনের মতামত দেওয়ার সুযোগ ছিল। তাই এটাকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবনা আমাদের পছন্দ হয়েছে। যেসব বিষয়ে দ্বিমত ও আংশিকভাবে ঐকমত্য রয়েছে, সেসব বিষয়ে আজকে আলোচনা হতে পারে।’
জাতীয় সংকট নিরসনে আনুষ্ঠানিক আলোচনার বাইরেও পর্দার অন্তরালে আলোচনা করতে হবে জানিয়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘অনেক বিষয়ে আমরা হয়তো একমত হইনি, কিন্তু ভবিষ্যতে সংলাপের মাধ্যমে একমত হব। অথবা আমাদের মতামতের ভিত্তিতে আপনাদের মতামত প্রত্যাহার করে একটি জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছাব। আমাদের দলের অবস্থান ফ্লেক্সিবল। আমাদের মতামতের ওপরই যে আমরা স্থির থাকব, তা নয়; যৌক্তিকতার আলোকে যেকোনো আলোচনাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। এটা আমাদের নীতিগত অবস্থান।’
মুজিবুর রহমান আরও বলেন, ‘আনুষ্ঠানিক বৈঠকের বাইরেও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে তৎপরতা চালাতে হবে। কারণ, মানুষকে একমতে নিয়ে আসার মতো কঠিন কাজ কিছু হতে পারে না। তার পরেও আমরা আশাবাদী, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সফল হবে, বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে। সঠিক দিকনির্দেশনায় চলবে।’
প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন এবং গবেষণার মাধ্যমে শ্রম অধিকার, শ্রম নীতিমালা, শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক, শ্রম অসন্তোষ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের...
১ ঘণ্টা আগেবিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডন থেকে ঢাকায় আনার জন্য কাতার সরকারের কাছে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স চেয়েছে সরকার। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত করা হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগেবিচারকদের নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের বিষয়ে জারি করা রুলের ওপর দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তাঁকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী সাদ্দাম
৩ ঘণ্টা আগেতথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, সাংবাদিকদের জন্য সুরক্ষা আইনের পাশাপাশি সাংবাদিকতার দায়িত্ব ও নৈতিকতাবিষয়ক আইন হওয়া প্রয়োজন। কোনো সাংবাদিক দায়িত্বশীল ও পেশাদার না হলে তিনি আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন না।
৩ ঘণ্টা আগে