আজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দেশের সব নাগরিককে অবিলম্বে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শেখ হাসিনার পরিবারের সম্পত্তি ধ্বংস থেকে বিরত থাকা এবং ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি হওয়ায় কিংবা অন্য কোনো অজুহাতে দেশের কোনো নাগরিকের ওপর আক্রমণ না করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী শাসনের নেতারা দেশকে সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে ফেলে গেছে। যতক্ষণ আমরা সতর্ক থাকব এবং নিজেদের নীতি-নৈতিকতা বজায় রাখব, ততক্ষণ তাদের ফিরে আসার আর কোনো সুযোগ নেই। তাদের সম্পত্তিতে যেকোনো আক্রমণকে তারা আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করার এবং তাদের বানোয়াট গল্প প্রচার করার সুযোগ হিসেবে নেবে।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচার প্রক্রিয়াধীন জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সমগ্র বিশ্ব আমাদের সঙ্গে আছে। এই মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলার যেকোনো অবনতি বিশ্বকে ভুল বার্তা দেবে।’
ড. ইউনূস বলেন, শেখ হাসিনা বছরের পর বছর জনগণের ওপর অত্যাচার ও নিপীড়ন করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন, সংগত কারণেই এটি বোধগম্য যে বিক্ষোভকারী ও তাদের আত্মীয়স্বজনেরা বছরের পর বছর ধরে শেখ হাসিনার নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, ফলে তাঁদের মনে ক্ষোভ রয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা নয়াদিল্লিতে আশ্রয় নিয়েও তার দলীয় সন্ত্রাসীদের একত্রিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, দেশের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। বছরের পর বছর বাংলাদেশে নিপীড়নের শাসন কায়েম করা শেখ হাসিনা এখনো বাংলাদেশের পুনর্নির্মাণকে ক্রমাগত বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে।’
দেশের মানুষের মনে যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে, সেটি বোধগম্য জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তা সত্ত্বেও সরকার দেশের সকল নাগরিককে আইন মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছে। এতে করে আমরা নিজেদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি জাতি হিসেবে বিশ্বের কাছে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব। ফ্যাসিবাদী শাসনের অধীনে পুরোনো বাংলাদেশ থেকে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করছি, আইন মেনে চলার মধ্য দিয়েই সেটি আলাদা হবে।’
জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘আসুন, আমরা বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার অনুভূতি ক্ষুণ্ন না করি; আইনের প্রতি যেকোনো অবজ্ঞা নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তির জন্য হুমকিস্বরূপ।’
জুলাই ও আগস্টে শেখ হাসিনার শাসনকে উৎখাত করে দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য যেসব নাগরিক জেগে উঠেছিলেন, তাঁদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের নিজেদের এবং বিশ্বজুড়ে আমাদের বন্ধুদের কাছে প্রমাণ করা অপরিহার্য যে আমরা একে অপরের নাগরিক ও মানবাধিকারকে সম্মান করব এবং আইন মেনে চলব। এই নীতির প্রতি আমাদের অঙ্গীকার অটল।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশের বিজয়ীদের নিশ্চয়ই এমন কিছু করা উচিত হবে না, যা দেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং স্বৈরাচারী হাসিনার আমলের সঙ্গে তুলনা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়।’
নিরাপত্তা বাহিনী এই গুরুতর পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন বলে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং সকল বাংলাদেশির জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য সরকার দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে। সম্পত্তি ধ্বংস, ব্যক্তির ওপর আক্রমণ কিংবা কোনো ধরনের উসকানিমূলক কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা অবিলম্বে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী যে কারও বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে দায়ী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে সরকার বিচারের আওতায় আনবে।
প্রধান উপদেষ্টা সব নাগরিককে এমন একটি দেশ গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়নের আহ্বান জানান যেখানে সব বাংলাদেশি নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারবেন, আত্মনিয়ন্ত্রণের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং নিজেদের শক্তি সৃজনশীল, শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করে দেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারবেন।

দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দেশের সব নাগরিককে অবিলম্বে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শেখ হাসিনার পরিবারের সম্পত্তি ধ্বংস থেকে বিরত থাকা এবং ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি হওয়ায় কিংবা অন্য কোনো অজুহাতে দেশের কোনো নাগরিকের ওপর আক্রমণ না করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী শাসনের নেতারা দেশকে সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে ফেলে গেছে। যতক্ষণ আমরা সতর্ক থাকব এবং নিজেদের নীতি-নৈতিকতা বজায় রাখব, ততক্ষণ তাদের ফিরে আসার আর কোনো সুযোগ নেই। তাদের সম্পত্তিতে যেকোনো আক্রমণকে তারা আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করার এবং তাদের বানোয়াট গল্প প্রচার করার সুযোগ হিসেবে নেবে।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচার প্রক্রিয়াধীন জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সমগ্র বিশ্ব আমাদের সঙ্গে আছে। এই মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলার যেকোনো অবনতি বিশ্বকে ভুল বার্তা দেবে।’
ড. ইউনূস বলেন, শেখ হাসিনা বছরের পর বছর জনগণের ওপর অত্যাচার ও নিপীড়ন করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন, সংগত কারণেই এটি বোধগম্য যে বিক্ষোভকারী ও তাদের আত্মীয়স্বজনেরা বছরের পর বছর ধরে শেখ হাসিনার নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, ফলে তাঁদের মনে ক্ষোভ রয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা নয়াদিল্লিতে আশ্রয় নিয়েও তার দলীয় সন্ত্রাসীদের একত্রিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, দেশের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। বছরের পর বছর বাংলাদেশে নিপীড়নের শাসন কায়েম করা শেখ হাসিনা এখনো বাংলাদেশের পুনর্নির্মাণকে ক্রমাগত বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে।’
দেশের মানুষের মনে যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে, সেটি বোধগম্য জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তা সত্ত্বেও সরকার দেশের সকল নাগরিককে আইন মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছে। এতে করে আমরা নিজেদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি জাতি হিসেবে বিশ্বের কাছে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব। ফ্যাসিবাদী শাসনের অধীনে পুরোনো বাংলাদেশ থেকে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করছি, আইন মেনে চলার মধ্য দিয়েই সেটি আলাদা হবে।’
জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘আসুন, আমরা বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার অনুভূতি ক্ষুণ্ন না করি; আইনের প্রতি যেকোনো অবজ্ঞা নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তির জন্য হুমকিস্বরূপ।’
জুলাই ও আগস্টে শেখ হাসিনার শাসনকে উৎখাত করে দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য যেসব নাগরিক জেগে উঠেছিলেন, তাঁদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের নিজেদের এবং বিশ্বজুড়ে আমাদের বন্ধুদের কাছে প্রমাণ করা অপরিহার্য যে আমরা একে অপরের নাগরিক ও মানবাধিকারকে সম্মান করব এবং আইন মেনে চলব। এই নীতির প্রতি আমাদের অঙ্গীকার অটল।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশের বিজয়ীদের নিশ্চয়ই এমন কিছু করা উচিত হবে না, যা দেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং স্বৈরাচারী হাসিনার আমলের সঙ্গে তুলনা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়।’
নিরাপত্তা বাহিনী এই গুরুতর পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন বলে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং সকল বাংলাদেশির জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য সরকার দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে। সম্পত্তি ধ্বংস, ব্যক্তির ওপর আক্রমণ কিংবা কোনো ধরনের উসকানিমূলক কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা অবিলম্বে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী যে কারও বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে দায়ী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে সরকার বিচারের আওতায় আনবে।
প্রধান উপদেষ্টা সব নাগরিককে এমন একটি দেশ গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়নের আহ্বান জানান যেখানে সব বাংলাদেশি নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারবেন, আত্মনিয়ন্ত্রণের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং নিজেদের শক্তি সৃজনশীল, শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করে দেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারবেন।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দেশের সব নাগরিককে অবিলম্বে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শেখ হাসিনার পরিবারের সম্পত্তি ধ্বংস থেকে বিরত থাকা এবং ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি হওয়ায় কিংবা অন্য কোনো অজুহাতে দেশের কোনো নাগরিকের ওপর আক্রমণ না করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী শাসনের নেতারা দেশকে সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে ফেলে গেছে। যতক্ষণ আমরা সতর্ক থাকব এবং নিজেদের নীতি-নৈতিকতা বজায় রাখব, ততক্ষণ তাদের ফিরে আসার আর কোনো সুযোগ নেই। তাদের সম্পত্তিতে যেকোনো আক্রমণকে তারা আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করার এবং তাদের বানোয়াট গল্প প্রচার করার সুযোগ হিসেবে নেবে।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচার প্রক্রিয়াধীন জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সমগ্র বিশ্ব আমাদের সঙ্গে আছে। এই মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলার যেকোনো অবনতি বিশ্বকে ভুল বার্তা দেবে।’
ড. ইউনূস বলেন, শেখ হাসিনা বছরের পর বছর জনগণের ওপর অত্যাচার ও নিপীড়ন করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন, সংগত কারণেই এটি বোধগম্য যে বিক্ষোভকারী ও তাদের আত্মীয়স্বজনেরা বছরের পর বছর ধরে শেখ হাসিনার নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, ফলে তাঁদের মনে ক্ষোভ রয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা নয়াদিল্লিতে আশ্রয় নিয়েও তার দলীয় সন্ত্রাসীদের একত্রিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, দেশের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। বছরের পর বছর বাংলাদেশে নিপীড়নের শাসন কায়েম করা শেখ হাসিনা এখনো বাংলাদেশের পুনর্নির্মাণকে ক্রমাগত বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে।’
দেশের মানুষের মনে যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে, সেটি বোধগম্য জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তা সত্ত্বেও সরকার দেশের সকল নাগরিককে আইন মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছে। এতে করে আমরা নিজেদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি জাতি হিসেবে বিশ্বের কাছে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব। ফ্যাসিবাদী শাসনের অধীনে পুরোনো বাংলাদেশ থেকে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করছি, আইন মেনে চলার মধ্য দিয়েই সেটি আলাদা হবে।’
জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘আসুন, আমরা বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার অনুভূতি ক্ষুণ্ন না করি; আইনের প্রতি যেকোনো অবজ্ঞা নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তির জন্য হুমকিস্বরূপ।’
জুলাই ও আগস্টে শেখ হাসিনার শাসনকে উৎখাত করে দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য যেসব নাগরিক জেগে উঠেছিলেন, তাঁদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের নিজেদের এবং বিশ্বজুড়ে আমাদের বন্ধুদের কাছে প্রমাণ করা অপরিহার্য যে আমরা একে অপরের নাগরিক ও মানবাধিকারকে সম্মান করব এবং আইন মেনে চলব। এই নীতির প্রতি আমাদের অঙ্গীকার অটল।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশের বিজয়ীদের নিশ্চয়ই এমন কিছু করা উচিত হবে না, যা দেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং স্বৈরাচারী হাসিনার আমলের সঙ্গে তুলনা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়।’
নিরাপত্তা বাহিনী এই গুরুতর পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন বলে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং সকল বাংলাদেশির জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য সরকার দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে। সম্পত্তি ধ্বংস, ব্যক্তির ওপর আক্রমণ কিংবা কোনো ধরনের উসকানিমূলক কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা অবিলম্বে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী যে কারও বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে দায়ী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে সরকার বিচারের আওতায় আনবে।
প্রধান উপদেষ্টা সব নাগরিককে এমন একটি দেশ গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়নের আহ্বান জানান যেখানে সব বাংলাদেশি নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারবেন, আত্মনিয়ন্ত্রণের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং নিজেদের শক্তি সৃজনশীল, শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করে দেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারবেন।

দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দেশের সব নাগরিককে অবিলম্বে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শেখ হাসিনার পরিবারের সম্পত্তি ধ্বংস থেকে বিরত থাকা এবং ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি হওয়ায় কিংবা অন্য কোনো অজুহাতে দেশের কোনো নাগরিকের ওপর আক্রমণ না করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী শাসনের নেতারা দেশকে সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে ফেলে গেছে। যতক্ষণ আমরা সতর্ক থাকব এবং নিজেদের নীতি-নৈতিকতা বজায় রাখব, ততক্ষণ তাদের ফিরে আসার আর কোনো সুযোগ নেই। তাদের সম্পত্তিতে যেকোনো আক্রমণকে তারা আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করার এবং তাদের বানোয়াট গল্প প্রচার করার সুযোগ হিসেবে নেবে।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচার প্রক্রিয়াধীন জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সমগ্র বিশ্ব আমাদের সঙ্গে আছে। এই মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলার যেকোনো অবনতি বিশ্বকে ভুল বার্তা দেবে।’
ড. ইউনূস বলেন, শেখ হাসিনা বছরের পর বছর জনগণের ওপর অত্যাচার ও নিপীড়ন করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন, সংগত কারণেই এটি বোধগম্য যে বিক্ষোভকারী ও তাদের আত্মীয়স্বজনেরা বছরের পর বছর ধরে শেখ হাসিনার নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, ফলে তাঁদের মনে ক্ষোভ রয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা নয়াদিল্লিতে আশ্রয় নিয়েও তার দলীয় সন্ত্রাসীদের একত্রিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, দেশের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। বছরের পর বছর বাংলাদেশে নিপীড়নের শাসন কায়েম করা শেখ হাসিনা এখনো বাংলাদেশের পুনর্নির্মাণকে ক্রমাগত বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে।’
দেশের মানুষের মনে যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে, সেটি বোধগম্য জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তা সত্ত্বেও সরকার দেশের সকল নাগরিককে আইন মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছে। এতে করে আমরা নিজেদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি জাতি হিসেবে বিশ্বের কাছে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব। ফ্যাসিবাদী শাসনের অধীনে পুরোনো বাংলাদেশ থেকে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করছি, আইন মেনে চলার মধ্য দিয়েই সেটি আলাদা হবে।’
জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘আসুন, আমরা বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার অনুভূতি ক্ষুণ্ন না করি; আইনের প্রতি যেকোনো অবজ্ঞা নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তির জন্য হুমকিস্বরূপ।’
জুলাই ও আগস্টে শেখ হাসিনার শাসনকে উৎখাত করে দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য যেসব নাগরিক জেগে উঠেছিলেন, তাঁদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের নিজেদের এবং বিশ্বজুড়ে আমাদের বন্ধুদের কাছে প্রমাণ করা অপরিহার্য যে আমরা একে অপরের নাগরিক ও মানবাধিকারকে সম্মান করব এবং আইন মেনে চলব। এই নীতির প্রতি আমাদের অঙ্গীকার অটল।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশের বিজয়ীদের নিশ্চয়ই এমন কিছু করা উচিত হবে না, যা দেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং স্বৈরাচারী হাসিনার আমলের সঙ্গে তুলনা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়।’
নিরাপত্তা বাহিনী এই গুরুতর পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন বলে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং সকল বাংলাদেশির জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য সরকার দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে। সম্পত্তি ধ্বংস, ব্যক্তির ওপর আক্রমণ কিংবা কোনো ধরনের উসকানিমূলক কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা অবিলম্বে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী যে কারও বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে দায়ী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে সরকার বিচারের আওতায় আনবে।
প্রধান উপদেষ্টা সব নাগরিককে এমন একটি দেশ গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়নের আহ্বান জানান যেখানে সব বাংলাদেশি নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারবেন, আত্মনিয়ন্ত্রণের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং নিজেদের শক্তি সৃজনশীল, শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করে দেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারবেন।

ঠিকাদারদের প্রস্তাবিত দর বেশি হওয়ায় মেট্রোরেলের লাইন ৫-এর একটি ও লাইন ১-এর দুটি প্যাকেজের চুক্তি বাতিল করতে চায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘লাইন ৫-এর একটা ও লাইন ১-এর দুটি প্যাকেজের চুক্তি বাতিল
১ ঘণ্টা আগে
মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় রায়ের তারিখ ঘোষণা উপলক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় পর্যাপ্তসংখ্যক সেনাসদস্য মোতায়েন করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সীমানার ভেতর থেকে চারটি বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। এতে ইসির কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এর আগে ইসিতে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছিল।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারতীয় কূটনীতিককে অনুরোধ জানানো হয়, যেন তিনি নয়াদিল্লিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার গণমাধ্যমে প্রবেশাধিকার তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করার অনুরোধ পৌঁছে দেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঠিকাদারদের প্রস্তাবিত দর বেশি হওয়ায় মেট্রোরেলের লাইন ৫-এর একটি ও লাইন ১-এর দুটি প্যাকেজের চুক্তি বাতিল করতে চায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘লাইন ৫-এর একটা ও লাইন ১-এর দুটি প্যাকেজের চুক্তি বাতিল করার জন্য আমরা জানিয়েছি, কারণ, প্যাকেজগুলোর দর অনেক বেশি। আমরা শুধু কন্ট্যাক্ট প্যাকেজগুলোর রিভিউ করছি। প্রকল্প বাতিল করছি না।’
আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে মেট্রোরেলের উত্তরা ডিপোতে রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোডের (আরআরআর) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ।
ফারুক আহমেদ বলেন, ‘এমআরটি লাইন ৫-এর একটি প্যাকেজে এখন পর্যন্ত ঠিকাদারের কাছ থেকে যে দর প্রস্তাব পাওয়া গেছে, তা ডিপিপির প্রাক্কলিত ব্যয় থেকে প্রায় আড়াই শ গুণ বেশি। লাইন ১-এর সবগুলো প্যাকেজেরই ডিপিপি থেকে ৩০ থেকে ৪০ গুণ বেশি দর ধরা হয়েছে। এখন এত বেশি মূল্যে মেট্রো করা উচিত কি না, সে প্রশ্ন আমার-আপনাদের কাছে।’
ফারুক আহমেদ আরও বলেন, ‘লাইন ৫ ও ২—দুটি প্রকল্পেরই সবগুলো প্যাকেজ রিভিউ করা হচ্ছে, ব্যয় কমানোর জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করা হচ্ছে। তবে লাইন ৫-এর একটা ও লাইন ১-এর দুটি প্যাকেজের চুক্তি বাতিল করার জন্য আমরা জানিয়েছি, কারণ, প্যাকেজগুলোর দর অনেক বেশি। আমরা শুধু কন্ট্যাক্ট প্যাকেজগুলোর রিভিউ করছি। প্রকল্প বাতিল করছি না।’
মেট্রোতে মনিটরিং টিম করা হচ্ছে জানিয়ে ডিএমটিসিএল এমডি বলেন, ‘লাইন ১ ও ৫-এর ব্যয় মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এর জন্য একটা শক্তিশালী মনিটরিং টিম তৈরি করা হচ্ছে। তারা শুধু কাজের পারফরম্যান্স, অগ্রগতি ও ব্যয় মনিটরিং করবে। আশা করছি, আগামী বছর থেকে এটা করতে পারব।’
মেট্রোর এমডি নিয়োগের বিষয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমি বাংলাদেশি নাগরিক, আমার যদি এখানে কাজ করার অধিকার না থাকে, অন্য অনেক সংস্থার এমডি-সিও আছে, যারা বিদেশি। আধার কার্ড হলো আইডেন্টি কার্ড। ভারতে যেকোনো বিদেশি থাকতে হলে এ কার্ড নিতে হয়। এটার সঙ্গে নাগরিকত্বের কোনো সম্পর্ক নাই। আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করেছি। বাংলাদেশে আমার নিয়োগ সবচেয়ে স্বচ্ছ হয়েছে।’
মেট্রো বেয়ারিং প্যাড পড়ার তদন্ত কমিটির বিষয়ে এমডি বলেন, ‘তদন্ত কমিটির মেয়াদ আর দুই সপ্তাহের মতো বাড়ানো হয়েছে এবং তদন্ত কমিটিতে তিনজন সদস্য নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দিলে বোঝা যাবে কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছিল। তা ছাড়া আমাদের হাতে কোনো অতিরিক্ত বেয়ারিং প্যাড নেই। নতুন বেয়ারিং প্যাড আনার অর্ডার দেওয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারির মধ্যে চলে আসবে।’
মেট্রোর সাম্প্রতিক সময়ের নিরাপত্তার বিষয়ে এমডি বলেন, ‘মেট্রোর সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সবাইকে স্টেশনে পাঠানো হচ্ছে নজরদারি করার জন্য। মেট্রো স্টেশনে বডি চেক করে ঢোকানো হচ্ছে যাত্রীদের। পুলিশ-আর্মির সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। স্টেশনের নিচে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
মেট্রোর কমলাপুর ট্রেন চালুর বিষয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল ২০২৭ সালের জানুয়ারি মাসে বাণিজ্যিকভাবে চালু হতে পারে। ২০২৬ সালে ট্রায়াল রানসহ বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হবে।
লাইন ৬-এর অপারেশনের বিষয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘মেট্রো অপারেশনের ক্ষেত্রে আগে পিক টাইম ছয় মিনিট ছিল, সেটাকে নামিয়ে পাঁচ মিনিট করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের শেষে এটাকে ৪.১৫ মিনিটের মধ্যে আনার চেষ্টা করছি। এর জন্য ট্রায়াল চলছে। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ এক দিনে ৪ লাখ ৮০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে। এটা আগামী দিনে ৫ লাখে যাবে। এ ছাড়া এমআরটি পাস আরও কেনার জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে।’
আলোচনা সভায় ডিএমটিএমএলের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও আরআরআর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ওকে/কবির
ফাইল ছবি
জাতীয়
৫

ঠিকাদারদের প্রস্তাবিত দর বেশি হওয়ায় মেট্রোরেলের লাইন ৫-এর একটি ও লাইন ১-এর দুটি প্যাকেজের চুক্তি বাতিল করতে চায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘লাইন ৫-এর একটা ও লাইন ১-এর দুটি প্যাকেজের চুক্তি বাতিল করার জন্য আমরা জানিয়েছি, কারণ, প্যাকেজগুলোর দর অনেক বেশি। আমরা শুধু কন্ট্যাক্ট প্যাকেজগুলোর রিভিউ করছি। প্রকল্প বাতিল করছি না।’
আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে মেট্রোরেলের উত্তরা ডিপোতে রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোডের (আরআরআর) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ।
ফারুক আহমেদ বলেন, ‘এমআরটি লাইন ৫-এর একটি প্যাকেজে এখন পর্যন্ত ঠিকাদারের কাছ থেকে যে দর প্রস্তাব পাওয়া গেছে, তা ডিপিপির প্রাক্কলিত ব্যয় থেকে প্রায় আড়াই শ গুণ বেশি। লাইন ১-এর সবগুলো প্যাকেজেরই ডিপিপি থেকে ৩০ থেকে ৪০ গুণ বেশি দর ধরা হয়েছে। এখন এত বেশি মূল্যে মেট্রো করা উচিত কি না, সে প্রশ্ন আমার-আপনাদের কাছে।’
ফারুক আহমেদ আরও বলেন, ‘লাইন ৫ ও ২—দুটি প্রকল্পেরই সবগুলো প্যাকেজ রিভিউ করা হচ্ছে, ব্যয় কমানোর জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করা হচ্ছে। তবে লাইন ৫-এর একটা ও লাইন ১-এর দুটি প্যাকেজের চুক্তি বাতিল করার জন্য আমরা জানিয়েছি, কারণ, প্যাকেজগুলোর দর অনেক বেশি। আমরা শুধু কন্ট্যাক্ট প্যাকেজগুলোর রিভিউ করছি। প্রকল্প বাতিল করছি না।’
মেট্রোতে মনিটরিং টিম করা হচ্ছে জানিয়ে ডিএমটিসিএল এমডি বলেন, ‘লাইন ১ ও ৫-এর ব্যয় মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এর জন্য একটা শক্তিশালী মনিটরিং টিম তৈরি করা হচ্ছে। তারা শুধু কাজের পারফরম্যান্স, অগ্রগতি ও ব্যয় মনিটরিং করবে। আশা করছি, আগামী বছর থেকে এটা করতে পারব।’
মেট্রোর এমডি নিয়োগের বিষয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমি বাংলাদেশি নাগরিক, আমার যদি এখানে কাজ করার অধিকার না থাকে, অন্য অনেক সংস্থার এমডি-সিও আছে, যারা বিদেশি। আধার কার্ড হলো আইডেন্টি কার্ড। ভারতে যেকোনো বিদেশি থাকতে হলে এ কার্ড নিতে হয়। এটার সঙ্গে নাগরিকত্বের কোনো সম্পর্ক নাই। আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করেছি। বাংলাদেশে আমার নিয়োগ সবচেয়ে স্বচ্ছ হয়েছে।’
মেট্রো বেয়ারিং প্যাড পড়ার তদন্ত কমিটির বিষয়ে এমডি বলেন, ‘তদন্ত কমিটির মেয়াদ আর দুই সপ্তাহের মতো বাড়ানো হয়েছে এবং তদন্ত কমিটিতে তিনজন সদস্য নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দিলে বোঝা যাবে কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছিল। তা ছাড়া আমাদের হাতে কোনো অতিরিক্ত বেয়ারিং প্যাড নেই। নতুন বেয়ারিং প্যাড আনার অর্ডার দেওয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারির মধ্যে চলে আসবে।’
মেট্রোর সাম্প্রতিক সময়ের নিরাপত্তার বিষয়ে এমডি বলেন, ‘মেট্রোর সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সবাইকে স্টেশনে পাঠানো হচ্ছে নজরদারি করার জন্য। মেট্রো স্টেশনে বডি চেক করে ঢোকানো হচ্ছে যাত্রীদের। পুলিশ-আর্মির সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। স্টেশনের নিচে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
মেট্রোর কমলাপুর ট্রেন চালুর বিষয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল ২০২৭ সালের জানুয়ারি মাসে বাণিজ্যিকভাবে চালু হতে পারে। ২০২৬ সালে ট্রায়াল রানসহ বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হবে।
লাইন ৬-এর অপারেশনের বিষয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘মেট্রো অপারেশনের ক্ষেত্রে আগে পিক টাইম ছয় মিনিট ছিল, সেটাকে নামিয়ে পাঁচ মিনিট করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের শেষে এটাকে ৪.১৫ মিনিটের মধ্যে আনার চেষ্টা করছি। এর জন্য ট্রায়াল চলছে। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ এক দিনে ৪ লাখ ৮০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে। এটা আগামী দিনে ৫ লাখে যাবে। এ ছাড়া এমআরটি পাস আরও কেনার জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে।’
আলোচনা সভায় ডিএমটিএমএলের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও আরআরআর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ওকে/কবির
ফাইল ছবি
জাতীয়
৫

দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার জন্য সব নাগরিকের প্রতি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, অবিলম্বে সম্পূর্ণ আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করতে হবে এবং শেখ হাসিনা ও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ দলের রাজনীতিবিদদের পরিবারের সম্পত্তির ওপর বা কোনো নাগরিকের
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় রায়ের তারিখ ঘোষণা উপলক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় পর্যাপ্তসংখ্যক সেনাসদস্য মোতায়েন করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সীমানার ভেতর থেকে চারটি বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। এতে ইসির কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এর আগে ইসিতে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছিল।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারতীয় কূটনীতিককে অনুরোধ জানানো হয়, যেন তিনি নয়াদিল্লিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার গণমাধ্যমে প্রবেশাধিকার তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করার অনুরোধ পৌঁছে দেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় রায়ের তারিখ ঘোষণা উপলক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় পর্যাপ্তসংখ্যক সেনাসদস্য মোতায়েন করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে সেনাসদরে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সূত্র বলছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও মামলাটির সংবেদনশীলতার কারণে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। এতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি বা নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যার কারণে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যাপ্তসংখ্যক সেনাসদস্য মোতায়েন করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় রায়ের তারিখ ঘোষণা উপলক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় পর্যাপ্তসংখ্যক সেনাসদস্য মোতায়েন করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে সেনাসদরে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সূত্র বলছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও মামলাটির সংবেদনশীলতার কারণে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। এতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি বা নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যার কারণে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যাপ্তসংখ্যক সেনাসদস্য মোতায়েন করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার জন্য সব নাগরিকের প্রতি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, অবিলম্বে সম্পূর্ণ আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করতে হবে এবং শেখ হাসিনা ও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ দলের রাজনীতিবিদদের পরিবারের সম্পত্তির ওপর বা কোনো নাগরিকের
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ঠিকাদারদের প্রস্তাবিত দর বেশি হওয়ায় মেট্রোরেলের লাইন ৫-এর একটি ও লাইন ১-এর দুটি প্যাকেজের চুক্তি বাতিল করতে চায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘লাইন ৫-এর একটা ও লাইন ১-এর দুটি প্যাকেজের চুক্তি বাতিল
১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সীমানার ভেতর থেকে চারটি বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। এতে ইসির কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এর আগে ইসিতে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছিল।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারতীয় কূটনীতিককে অনুরোধ জানানো হয়, যেন তিনি নয়াদিল্লিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার গণমাধ্যমে প্রবেশাধিকার তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করার অনুরোধ পৌঁছে দেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সীমানার ভেতর থেকে চারটি বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। এতে ইসির কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
এর আগে ইসিতে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছিল।
এ বিষয়ে ইসির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সহিদ আব্দুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন, সকাল ১০টার দিকে চকলেট বোমাসদৃশ চারটি বস্তু দেখা যায়। পরে পুলিশ এসে সেগুলো উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘লাল টেপ মোড়ানো চারটি বোমাসদ্যৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা সেগুলোর বিস্ফোরণ ঘটিয়েছি। বিস্ফোরণের মাত্রা দেখে বুঝেছি, সেগুলো পটকা। এগুলোর শব্দের মাত্রা কম ছিল।’
ওসি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, স্থানীয়ভাবে এগুলো তৈরি। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে কেউ এসব পটকা রেখে গেছে।
জানা গেছে, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশনের বাউন্ডারির ভেতরে চারটি চকলেট বোমা পড়ে ছিল। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সেখানে কাজ করার সময় সেগুলো দেখতে পেয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। পরে শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করে।
এর আগে ২৫ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে ‘ককটেল বিস্ফোরণের’ পর ‘ধাওয়া দিয়ে’ এক যুবককে আটক করার কথা জানায় পুলিশ। এসব ঘটনায় স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানটির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সীমানার ভেতর থেকে চারটি বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। এতে ইসির কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
এর আগে ইসিতে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছিল।
এ বিষয়ে ইসির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সহিদ আব্দুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন, সকাল ১০টার দিকে চকলেট বোমাসদৃশ চারটি বস্তু দেখা যায়। পরে পুলিশ এসে সেগুলো উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘লাল টেপ মোড়ানো চারটি বোমাসদ্যৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা সেগুলোর বিস্ফোরণ ঘটিয়েছি। বিস্ফোরণের মাত্রা দেখে বুঝেছি, সেগুলো পটকা। এগুলোর শব্দের মাত্রা কম ছিল।’
ওসি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, স্থানীয়ভাবে এগুলো তৈরি। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে কেউ এসব পটকা রেখে গেছে।
জানা গেছে, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশনের বাউন্ডারির ভেতরে চারটি চকলেট বোমা পড়ে ছিল। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সেখানে কাজ করার সময় সেগুলো দেখতে পেয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। পরে শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করে।
এর আগে ২৫ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে ‘ককটেল বিস্ফোরণের’ পর ‘ধাওয়া দিয়ে’ এক যুবককে আটক করার কথা জানায় পুলিশ। এসব ঘটনায় স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানটির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার জন্য সব নাগরিকের প্রতি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, অবিলম্বে সম্পূর্ণ আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করতে হবে এবং শেখ হাসিনা ও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ দলের রাজনীতিবিদদের পরিবারের সম্পত্তির ওপর বা কোনো নাগরিকের
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ঠিকাদারদের প্রস্তাবিত দর বেশি হওয়ায় মেট্রোরেলের লাইন ৫-এর একটি ও লাইন ১-এর দুটি প্যাকেজের চুক্তি বাতিল করতে চায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘লাইন ৫-এর একটা ও লাইন ১-এর দুটি প্যাকেজের চুক্তি বাতিল
১ ঘণ্টা আগে
মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় রায়ের তারিখ ঘোষণা উপলক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় পর্যাপ্তসংখ্যক সেনাসদস্য মোতায়েন করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতীয় কূটনীতিককে অনুরোধ জানানো হয়, যেন তিনি নয়াদিল্লিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার গণমাধ্যমে প্রবেশাধিকার তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করার অনুরোধ পৌঁছে দেন।
৩ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

ভারত সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত ও পলাতক নেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশটির মূলধারার গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়ের সুযোগ দেওয়ায় বাংলাদেশ আজ ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার পবন বাদেহকে আনুষ্ঠানিকভাবে তলব করে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় এক উচ্চপদস্থ কূটনৈতিক সূত্র বাসসকে এ খবর জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায় যে, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচারাধীন এক কুখ্যাত পলাতক আসামিকে আশ্রয় দেওয়া এবং তাঁকে বাংলাদেশবিরোধী বিদ্বেষ ছড়ানো ও দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উসকানি দেওয়ার মতো বক্তব্য প্রচারের সুযোগ করে দেওয়া দুই দেশের গঠনমূলক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য ‘অসহায়ক ও অনভিপ্রেত’।
ভারতীয় কূটনীতিককে অনুরোধ জানানো হয়, যেন তিনি নয়াদিল্লিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার গণমাধ্যমে প্রবেশাধিকার তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করার অনুরোধ পৌঁছে দেন।

ভারত সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত ও পলাতক নেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশটির মূলধারার গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়ের সুযোগ দেওয়ায় বাংলাদেশ আজ ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার পবন বাদেহকে আনুষ্ঠানিকভাবে তলব করে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় এক উচ্চপদস্থ কূটনৈতিক সূত্র বাসসকে এ খবর জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায় যে, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচারাধীন এক কুখ্যাত পলাতক আসামিকে আশ্রয় দেওয়া এবং তাঁকে বাংলাদেশবিরোধী বিদ্বেষ ছড়ানো ও দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উসকানি দেওয়ার মতো বক্তব্য প্রচারের সুযোগ করে দেওয়া দুই দেশের গঠনমূলক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য ‘অসহায়ক ও অনভিপ্রেত’।
ভারতীয় কূটনীতিককে অনুরোধ জানানো হয়, যেন তিনি নয়াদিল্লিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার গণমাধ্যমে প্রবেশাধিকার তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করার অনুরোধ পৌঁছে দেন।

দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার জন্য সব নাগরিকের প্রতি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, অবিলম্বে সম্পূর্ণ আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করতে হবে এবং শেখ হাসিনা ও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ দলের রাজনীতিবিদদের পরিবারের সম্পত্তির ওপর বা কোনো নাগরিকের
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ঠিকাদারদের প্রস্তাবিত দর বেশি হওয়ায় মেট্রোরেলের লাইন ৫-এর একটি ও লাইন ১-এর দুটি প্যাকেজের চুক্তি বাতিল করতে চায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘লাইন ৫-এর একটা ও লাইন ১-এর দুটি প্যাকেজের চুক্তি বাতিল
১ ঘণ্টা আগে
মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় রায়ের তারিখ ঘোষণা উপলক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় পর্যাপ্তসংখ্যক সেনাসদস্য মোতায়েন করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সীমানার ভেতর থেকে চারটি বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। এতে ইসির কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এর আগে ইসিতে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছিল।
৩ ঘণ্টা আগে