নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদকে সরিয়ে সরকার দেশে বাক্স্বাধীনতা নেই এমন বার্তা দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। আজ শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে তিনি এ কথা বলেন।
সুলতানা কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানকে সরিয়ে দিয়ে সরকার এই বার্তাই দিচ্ছে যে, বাংলাদেশে কোনো বাক্স্বাধীনতা নেই। দুর্নীতি দমনে সরকার যে জিরো টলারেন্সের কথা বলে, সেটাও একেবারেই ফাঁকা বুলি। আসলে সরকার চায় না যে দুর্নীতি দমন হোক। বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতাতেই দুর্নীতি অনেক বেড়েছে। মনজুরের ঘটনা এমন আরেকটি উদাহরণ তৈরি করল।’
টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তদন্তসাপেক্ষে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের দায় তাঁর থাকা উচিত। কথা ছিল জনপ্রতিনিধিরা সময়ে সময়ে তাঁদের সম্পদের হিসাব দেবেন। সেই অঙ্গীকারও তাঁরা ভঙ্গ করেছেন। কোন সম্পত্তি নিয়ে তাঁরা ক্ষমতায় যান, কোন সম্পত্তি নিয়ে বেরিয়ে আসেন, সেটাওতো আমরা টের পাই না।’
এর আগে আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদকে অপসারণের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে টিআইবি।
বিবৃতিতে সংস্থাটি দাবি করে—এই পদক্ষেপ নদী রক্ষায় সরকারের অঙ্গীকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। নদী বাদ দিয়ে প্রভাবশালী দখলদারদের স্বার্থ রক্ষায় মনজুর আহমেদ চৌধুরীকে অপসারণ করা হয়েছে।
কমিশনের চেয়ারম্যানকে অপসারণের ক্ষমতা সরকারের হাতে থাকলেও, এই ক্ষমতা এমনভাবে ব্যবহার করে সরকার কী বার্তা দিতে চাইছে, সেটাই উদ্বেগের কারণ বলে মনে করে টিআইবি। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে কার্যত অকার্যকর করে রাখা হয়েছে। কমিশন কেবল সরকারকে পরামর্শ দিতে পারে। দখলদার আর দূষণকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা তাঁদের নেই। কমিশনের প্রতিবেদন বা পরামর্শ মানার বাধ্যবাধকতাও নেই।’
বিবৃতিতে বলা হয়, এতসব ‘নেই’ এর মাঝে সম্প্রতি দেশবাসী কিছুটা আশাবাদী হওয়ার সুযোগ পেয়েছিল সদ্য সাবেক চেয়ারম্যানের সাহসী অবস্থানের কারণে। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘নদী কারা দখল করছে, ধ্বংস করছে, দূষণ করছে, সেটা অন্তত আমরা জানতে পারছিলাম। একটা জনমত তৈরি হওয়ার আবহ দেখা যাচ্ছিল, বেগবান হচ্ছিল নদী রক্ষার আন্দোলন। কিন্তু সরকার দোষীকে, দোষী বলার ক্ষমতাকেও নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে, এমন আশঙ্কাই জোরদার হলো কমিশনের চেয়ারম্যানের নিয়োগ বাতিল করার মধ্য দিয়ে। বলা হচ্ছে জনস্বার্থে তাঁর নিয়োগ চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। তাহলে কী প্রভাবশালীদের স্বার্থ রক্ষাকে এখন জনস্বার্থ বিবেচনা করা হচ্ছে? নদী বাদ দিয়ে প্রভাবশালী দখলদারদের স্বার্থ রক্ষা করাই কী তবে কমিশনের কাজ?’
গত বুধবার (১৮ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে মেয়াদ শেষ হওয়ার দেড় বছর আগেই মনজুর আহমেদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের কথা জানানো হয়। এর পেছনে প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মনজুর আহমেদ সরাসরি নাম না উল্লেখ করে বলেছিলেন, ‘চাঁদপুরের এক নারী মন্ত্রী নদী দখলে সহায়তা করেন।’
তিনি বলেছিলেন, মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে যারা বালু উত্তোলন করছেন, তাঁদের সঙ্গে চাঁদপুরের একজন নারী মন্ত্রীর সম্পর্ক আছে। মেঘনা নদী থেকে নির্বিচারে বালু উত্তোলনকারীদের হায়েনার সঙ্গে তুলনা করে মনজুর আহমেদ আরও বলেছিলেন, এদের থেকে নদীকে রক্ষা করা যাচ্ছে না।
এর আগে ২০২২ সালে বিশ্ব নদী দিবসে ঢাকার খাল ও আশপাশের নদী রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় ডিএনসিসির মেয়র ও ঢাকা ওয়াসার এমডিকে মোবাইল কোর্টের (ভ্রাম্যমাণ আদালত) মাধ্যমে বিচার করে কারাগারে পাঠানোর কথা বলেছিলেন তিনি।
নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদকে সরিয়ে সরকার দেশে বাক্স্বাধীনতা নেই এমন বার্তা দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। আজ শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে তিনি এ কথা বলেন।
সুলতানা কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানকে সরিয়ে দিয়ে সরকার এই বার্তাই দিচ্ছে যে, বাংলাদেশে কোনো বাক্স্বাধীনতা নেই। দুর্নীতি দমনে সরকার যে জিরো টলারেন্সের কথা বলে, সেটাও একেবারেই ফাঁকা বুলি। আসলে সরকার চায় না যে দুর্নীতি দমন হোক। বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতাতেই দুর্নীতি অনেক বেড়েছে। মনজুরের ঘটনা এমন আরেকটি উদাহরণ তৈরি করল।’
টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তদন্তসাপেক্ষে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের দায় তাঁর থাকা উচিত। কথা ছিল জনপ্রতিনিধিরা সময়ে সময়ে তাঁদের সম্পদের হিসাব দেবেন। সেই অঙ্গীকারও তাঁরা ভঙ্গ করেছেন। কোন সম্পত্তি নিয়ে তাঁরা ক্ষমতায় যান, কোন সম্পত্তি নিয়ে বেরিয়ে আসেন, সেটাওতো আমরা টের পাই না।’
এর আগে আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদকে অপসারণের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে টিআইবি।
বিবৃতিতে সংস্থাটি দাবি করে—এই পদক্ষেপ নদী রক্ষায় সরকারের অঙ্গীকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। নদী বাদ দিয়ে প্রভাবশালী দখলদারদের স্বার্থ রক্ষায় মনজুর আহমেদ চৌধুরীকে অপসারণ করা হয়েছে।
কমিশনের চেয়ারম্যানকে অপসারণের ক্ষমতা সরকারের হাতে থাকলেও, এই ক্ষমতা এমনভাবে ব্যবহার করে সরকার কী বার্তা দিতে চাইছে, সেটাই উদ্বেগের কারণ বলে মনে করে টিআইবি। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে কার্যত অকার্যকর করে রাখা হয়েছে। কমিশন কেবল সরকারকে পরামর্শ দিতে পারে। দখলদার আর দূষণকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা তাঁদের নেই। কমিশনের প্রতিবেদন বা পরামর্শ মানার বাধ্যবাধকতাও নেই।’
বিবৃতিতে বলা হয়, এতসব ‘নেই’ এর মাঝে সম্প্রতি দেশবাসী কিছুটা আশাবাদী হওয়ার সুযোগ পেয়েছিল সদ্য সাবেক চেয়ারম্যানের সাহসী অবস্থানের কারণে। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘নদী কারা দখল করছে, ধ্বংস করছে, দূষণ করছে, সেটা অন্তত আমরা জানতে পারছিলাম। একটা জনমত তৈরি হওয়ার আবহ দেখা যাচ্ছিল, বেগবান হচ্ছিল নদী রক্ষার আন্দোলন। কিন্তু সরকার দোষীকে, দোষী বলার ক্ষমতাকেও নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে, এমন আশঙ্কাই জোরদার হলো কমিশনের চেয়ারম্যানের নিয়োগ বাতিল করার মধ্য দিয়ে। বলা হচ্ছে জনস্বার্থে তাঁর নিয়োগ চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। তাহলে কী প্রভাবশালীদের স্বার্থ রক্ষাকে এখন জনস্বার্থ বিবেচনা করা হচ্ছে? নদী বাদ দিয়ে প্রভাবশালী দখলদারদের স্বার্থ রক্ষা করাই কী তবে কমিশনের কাজ?’
গত বুধবার (১৮ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে মেয়াদ শেষ হওয়ার দেড় বছর আগেই মনজুর আহমেদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের কথা জানানো হয়। এর পেছনে প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মনজুর আহমেদ সরাসরি নাম না উল্লেখ করে বলেছিলেন, ‘চাঁদপুরের এক নারী মন্ত্রী নদী দখলে সহায়তা করেন।’
তিনি বলেছিলেন, মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে যারা বালু উত্তোলন করছেন, তাঁদের সঙ্গে চাঁদপুরের একজন নারী মন্ত্রীর সম্পর্ক আছে। মেঘনা নদী থেকে নির্বিচারে বালু উত্তোলনকারীদের হায়েনার সঙ্গে তুলনা করে মনজুর আহমেদ আরও বলেছিলেন, এদের থেকে নদীকে রক্ষা করা যাচ্ছে না।
এর আগে ২০২২ সালে বিশ্ব নদী দিবসে ঢাকার খাল ও আশপাশের নদী রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় ডিএনসিসির মেয়র ও ঢাকা ওয়াসার এমডিকে মোবাইল কোর্টের (ভ্রাম্যমাণ আদালত) মাধ্যমে বিচার করে কারাগারে পাঠানোর কথা বলেছিলেন তিনি।
মানবিক সহায়তা পাঠানোর জন্য মিয়ানমারের রাখাইনের সঙ্গে ‘করিডর’ বা ‘প্যাসেজ’ চালুর বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘নীতিগত সিদ্ধান্ত’ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
২৮ মিনিট আগেদেশে এক শর মতো শিল্পে নেই ন্যূনতম মজুরিকাঠামো। এখনো প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাননি অনেক খাতের শ্রমিকেরা। প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের ৮৫ শতাংশ শ্রমিকেরই নেই আইনি সুরক্ষা। পর্যাপ্ত মাতৃত্বকালীন ছুটি পান না নারী শ্রমিকেরা। ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের স্বাধীনতা, শ্রমিক সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য
৭ ঘণ্টা আগেআজ মহান মে দিবস। বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের ঐতিহাসিক দিন আজ। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হচ্ছে আজ। এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়বো এ দেশ নতুন করে’।
৭ ঘণ্টা আগেদেশের ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির আওতাধীন জেলাগুলোয় বিদ্যুৎ আইনে অপরাধের বিচারে আদালত রয়েছে মাত্র ১৯টি। সব জেলায় আদালত না থাকায় এক জেলার গ্রাহকদের মামলাসংক্রান্ত কাজে যেতে হচ্ছে অন্য জেলায়। আদালতের সংখ্যা কম থাকায় ভুগতে হচ্ছে মামলাজটে। সমস্যার সমাধানে আদালতের সংখ্যা বাড়াতে সম্প্রতি আইন...
৭ ঘণ্টা আগে