নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ডেঙ্গুর বর্তমান পরিস্থিতি মহামারির দিকে যাচ্ছে। তাই ডেঙ্গু মহামারি প্রতিরোধে এডিস মশার লার্ভা নিধনের চেয়ে পূর্ণাঙ্গ এডিস মশা নিধনের ওপর জোর দিয়েছেন কীটতত্ত্ববিদেরা। আজ বুধবার সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তাঁরা এ কথা বলেন।
বুধবার ‘ঢাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি এবং ডেঙ্গু মহামারি প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এ প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেন সিজিএস। এতে বক্তব্য রাখেন সিজিএসের চেয়ারম্যান ও কীটতত্ত্ববিদ ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, মেডিকেল কীটতত্ত্ববিদ ও আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তৌহিদ উদ্দিন আহমেদ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জি এম সাইফুর রহমান।
ডেঙ্গু মহামারির শঙ্কার কথা জানিয়ে ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, চলমান কোভিড-১৯ মহামারির সময় আরেকটা ডেঙ্গু মহামারি হলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। লার্ভা নিধন না করে পূর্ণাঙ্গ এডিস মশা নিধনের ওপর জোর দেওয়া উচিত। বিশ্বের অন্য দেশগুলো ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এডিস মশার বিস্তার রোধে যেসব কার্যক্রম গ্রহণের দিকে নজর দিয়েছে, সেগুলো প্রয়োগের জন্য বিশেষ আহ্বান জানান তিনি।
শিশুরা সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিশুদের প্রতি বেশি যত্ন নিতে হবে। শিশুদের মশারি ছাড়া ঘুমাতে দেওয়া যাবে না। শরীর ঢেকে রাখে—এমন পোশাক পরিধান করাতে হবে। জ্বর হলে অবিলম্বে ডেঙ্গু ও করোনা দুটিই পরীক্ষা করাতে হবে। সপ্তাহে একদিন শনিবার ঘরের আশপাশে, ঘরের ভেতরে পরিষ্কার করতে হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘মশা বেশি থাকে বাড়ির নিচতলা, গ্যারেজ ইত্যাদির মতো পেরিডোমেস্টিক এলাকায়। এসব এলাকার দিকে বেশি নজর দিতে হবে। সরকার শুধু নির্মাণাধীন ভবনগুলোকে জরিমানা করেই ক্ষান্ত হয়। কিন্তু জরিমানা করার পর লোকবল দিয়ে ভবনগুলোকে পরিষ্কার করতে হবে। সরকারি ভবনগুলোতেও অভিযান চালাতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘ডেঙ্গুকে এখনো মহামারি বলা যাচ্ছে না। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এটি মহামারিতে (পরিণত) হওয়ার পর্যায়ে আছে। করোনা মহামারির কারণে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো থেকে বিস্তারিত কোনো তথ্য না আসায় সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।’
মেডিকেল কীটতত্ত্ববিদ ও আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তৌহিদ উদ্দিন আহমেদ ডেঙ্গুর সংক্রমণ বিষয়ে পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য জরিপ করার দিকে বেশি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ডেঙ্গু সংক্রমণ এক ধরনের ঢেউয়ের মতো। প্রতি বছরই যে একই রকম হবে, তা নয়। ২০০০ সালে শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ বছর পর্যন্ত আমরা বিভিন্নভাবে এর সংক্রমণ দেখেছি। কোনো বছর কম, কোনো বছর বেশি। তবে এই বছর করোনা মহামারির সময় আগে থেকেই এই বিষয়ে আমাদের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত ছিল। বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার ওপর ভিত্তি করে জরিপ করা উচিত ছিল। কারণ, এই বছর অনেক আগে থেকেই বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে এবং তাপমাত্রাও বেশি ছিল, যা এডিস মশার বংশবিস্তারের জন্য আদর্শ পরিস্থিতি।
স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে কিছুটা জরিপ করা হলেও সিটি করপোরেশনগুলো থেকে কোনো জরিপের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি উল্লেখ করে তৌহিদ উদ্দিন বলেন, ডেঙ্গু রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ঢাকার কোন এলাকা থেকে তারা এসেছে, সেটি জানা গেলে সেই এলাকাভিত্তিক মানুষকে সচেতন করা যাবে। পূর্ণাঙ্গ এডিস মশা নিধনের ওপর জোর দিতে হবে। ডেঙ্গু মহামারি প্রতিরোধে কীটতত্ত্ববিদদের সঙ্গে আলোচনা করে সরকারকে কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে জনগণকেও সচেতন করতে হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জি এম সাইফুর রহমান বলেন, প্রজনন সময়ের আগেই এডিস মশার বিস্তারকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বিশেষত ঢাকা শহরে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে বছরের শুরু থেকেই বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামা জরুরি। শুধু ড্রেনে, ঝোপঝাড়ে কীটনাশক স্প্রে করলে হবে না। বাসা-বাড়ির ভেতরে, আনাচে-কানাচে ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে।
ডেঙ্গুর বর্তমান পরিস্থিতি মহামারির দিকে যাচ্ছে। তাই ডেঙ্গু মহামারি প্রতিরোধে এডিস মশার লার্ভা নিধনের চেয়ে পূর্ণাঙ্গ এডিস মশা নিধনের ওপর জোর দিয়েছেন কীটতত্ত্ববিদেরা। আজ বুধবার সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তাঁরা এ কথা বলেন।
বুধবার ‘ঢাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি এবং ডেঙ্গু মহামারি প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এ প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেন সিজিএস। এতে বক্তব্য রাখেন সিজিএসের চেয়ারম্যান ও কীটতত্ত্ববিদ ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, মেডিকেল কীটতত্ত্ববিদ ও আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তৌহিদ উদ্দিন আহমেদ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জি এম সাইফুর রহমান।
ডেঙ্গু মহামারির শঙ্কার কথা জানিয়ে ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, চলমান কোভিড-১৯ মহামারির সময় আরেকটা ডেঙ্গু মহামারি হলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। লার্ভা নিধন না করে পূর্ণাঙ্গ এডিস মশা নিধনের ওপর জোর দেওয়া উচিত। বিশ্বের অন্য দেশগুলো ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এডিস মশার বিস্তার রোধে যেসব কার্যক্রম গ্রহণের দিকে নজর দিয়েছে, সেগুলো প্রয়োগের জন্য বিশেষ আহ্বান জানান তিনি।
শিশুরা সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিশুদের প্রতি বেশি যত্ন নিতে হবে। শিশুদের মশারি ছাড়া ঘুমাতে দেওয়া যাবে না। শরীর ঢেকে রাখে—এমন পোশাক পরিধান করাতে হবে। জ্বর হলে অবিলম্বে ডেঙ্গু ও করোনা দুটিই পরীক্ষা করাতে হবে। সপ্তাহে একদিন শনিবার ঘরের আশপাশে, ঘরের ভেতরে পরিষ্কার করতে হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘মশা বেশি থাকে বাড়ির নিচতলা, গ্যারেজ ইত্যাদির মতো পেরিডোমেস্টিক এলাকায়। এসব এলাকার দিকে বেশি নজর দিতে হবে। সরকার শুধু নির্মাণাধীন ভবনগুলোকে জরিমানা করেই ক্ষান্ত হয়। কিন্তু জরিমানা করার পর লোকবল দিয়ে ভবনগুলোকে পরিষ্কার করতে হবে। সরকারি ভবনগুলোতেও অভিযান চালাতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘ডেঙ্গুকে এখনো মহামারি বলা যাচ্ছে না। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এটি মহামারিতে (পরিণত) হওয়ার পর্যায়ে আছে। করোনা মহামারির কারণে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো থেকে বিস্তারিত কোনো তথ্য না আসায় সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।’
মেডিকেল কীটতত্ত্ববিদ ও আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তৌহিদ উদ্দিন আহমেদ ডেঙ্গুর সংক্রমণ বিষয়ে পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য জরিপ করার দিকে বেশি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ডেঙ্গু সংক্রমণ এক ধরনের ঢেউয়ের মতো। প্রতি বছরই যে একই রকম হবে, তা নয়। ২০০০ সালে শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ বছর পর্যন্ত আমরা বিভিন্নভাবে এর সংক্রমণ দেখেছি। কোনো বছর কম, কোনো বছর বেশি। তবে এই বছর করোনা মহামারির সময় আগে থেকেই এই বিষয়ে আমাদের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত ছিল। বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার ওপর ভিত্তি করে জরিপ করা উচিত ছিল। কারণ, এই বছর অনেক আগে থেকেই বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে এবং তাপমাত্রাও বেশি ছিল, যা এডিস মশার বংশবিস্তারের জন্য আদর্শ পরিস্থিতি।
স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে কিছুটা জরিপ করা হলেও সিটি করপোরেশনগুলো থেকে কোনো জরিপের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি উল্লেখ করে তৌহিদ উদ্দিন বলেন, ডেঙ্গু রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ঢাকার কোন এলাকা থেকে তারা এসেছে, সেটি জানা গেলে সেই এলাকাভিত্তিক মানুষকে সচেতন করা যাবে। পূর্ণাঙ্গ এডিস মশা নিধনের ওপর জোর দিতে হবে। ডেঙ্গু মহামারি প্রতিরোধে কীটতত্ত্ববিদদের সঙ্গে আলোচনা করে সরকারকে কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে জনগণকেও সচেতন করতে হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জি এম সাইফুর রহমান বলেন, প্রজনন সময়ের আগেই এডিস মশার বিস্তারকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বিশেষত ঢাকা শহরে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে বছরের শুরু থেকেই বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামা জরুরি। শুধু ড্রেনে, ঝোপঝাড়ে কীটনাশক স্প্রে করলে হবে না। বাসা-বাড়ির ভেতরে, আনাচে-কানাচে ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে।
নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, তৃতীয় গ্রেড বা যুগ্মসচিব এবং তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মচারীরা প্রতি ঘণ্টার সেশনে প্রশিক্ষক সম্মানী পাবেন ৩ হাজার ৬০০ টাকা। এর আগে আগে ২০১৯ সালের মে মাসে পুনঃনির্ধারণ করা সম্মানী ছিল ২ হাজার ৫০০ টাকা। অর্থাৎ প্রায় পাঁচ বছরের ব্যবধানে এ ভাতা বাড়ল ১ হাজার ১০০ টাকা। তারও আগে এ ভাতা ছ
১০ মিনিট আগেনিরাপত্তা হুমকিতে পড়া ওই সাক্ষীর বিষয়ে প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন।
৩৫ মিনিট আগেরাজধানীর কেরানীগঞ্জে ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে কর্মরত ১৫ জন গাড়িচালকের নামে সাময়িক বরাদ্দ করা প্লটসমূহের বরাদ্দ বাতিল করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাউজক) এ প্রকল্পে বিধিমালার ব্যত্যয় করে নিয়মবহির্ভূতভাবে তাঁদের নামে প্লট বরাদ্দ
১ ঘণ্টা আগেনিয়োগের শর্তগুলো হলো—কেস টু কেস ভিত্তিতে পারিশ্রমিক নির্ধারণ হবে; এ নিয়োগে থাকাকালে দুদকের বিরুদ্ধে কোনো মামলা পরিচালনা করা যাবে না; রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া যাবে না; প্রয়োজনে অনুসন্ধান বা তদন্তকারী কর্মকর্তাকে এজাহার প্রস্তুত ও চার্জশিট দাখিলে সহযোগিতা করতে হবে। এ ছাড়া এ
১ ঘণ্টা আগে