প্রাণিসম্পদের ওষুধ কেনা
সাইফুল মাসুম, ঢাকা
সরকারের প্রাণিসম্পদ ঔষধাগারের জন্য প্রায় ২৫ কোটি টাকার ওষুধ কেনার টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, টেন্ডারগুলোতে এমন শর্ত দেওয়া হয়েছে, যাতে গত ১৫ বছরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সব টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করা ‘আওয়ামী সিন্ডিকেটরা’ই কাজ পায়। গত ৪ ডিসেম্বর আহ্বান করা এই টেন্ডারে কারসাজির অভিযোগ তুলে তা বাতিলের দাবি জানিয়ে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছে বঞ্চিত বলে দাবিদার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
টুডে অ্যাগ্রো ট্রেডিং নামে একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. রেদোয়ান রিশাদ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগে টেন্ডার বাতিলের পক্ষে তাঁর যুক্তি তুলে ধরেছেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘টেন্ডারে বৈষম্যমূলক শর্ত থাকায় আমরা অংশ নিতে পারি নাই। প্রাণিসম্পদ ঔষধাগারের পরিচালক ডা. এস এম আমিনুল ইসলাম একটি গোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষায় এমন টেন্ডারের আয়োজন করেছেন।’
টুডে অ্যাগ্রো ট্রেডিংয়ের লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, টেন্ডারের ৩০টি লটের প্রতিটিতে একটি একচেটিয়া পণ্য দেওয়া হয়েছে, যা কোনো একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কেউ সরবরাহ করতে পারবে না। যেমন, ভেটেরিনারি ওষুধ এবং কেমিক্যাল কোড ৩২৫২১০৫-এর অন্তর্ভুক্ত ৪ নম্বর লটের ইমিডাক্লোপ্রাইড বিপি-২০ গ্রাম এবং সিআইএস-৯-ট্রাইকোসিন বিপি-২ গ্রাম শুধু ব্রিজ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড তৈরি করে। প্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে কিছু লটে একচেটিয়া প্যাকিংয়ের শর্ত দেওয়া হয়েছে, যা নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কেউ সরবরাহ করতে পারবে না। কিছু লটে একটি করে আমদানিকৃত একচেটিয়া পণ্য দেওয়া হয়েছে। টেন্ডারে আরেকটি বৈষম্যমূলক শর্ত ছিল, বিগত ১৫ বছর যেসব প্রতিষ্ঠান পণ্য সরবরাহ করতে পেরেছে, তারাই শুধু এতে অংশ নিতে পারবে। মো. রেদোয়ান রিশাদ অভিযোগ করেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের দেড় দশকের শাসনামলে মূলত তাদের ঘনিষ্ঠরাই টেন্ডার পেয়ে এসেছে।
প্রাণিসম্পদ ঔষধাগারের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দুটি কোম্পানিকে কাজ দিতে এই টেন্ডারের আয়োজন করা হয়েছে। কোম্পানিগুলো হচ্ছে মো. রেদোয়ানের অভিযোগে উল্লেখ করা ব্রিজ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও সুপার পাওয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ব্রিজ ফার্মাসিউটিক্যালসের মালিকানায় রয়েছেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি গাজী মো. মোজাম্মেল হকের স্ত্রী ফারজানা মোজাম্মেল, মীর শহীদুল হক প্রমুখ। আর সুপার পাওয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের মালিক প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক উপপরিচালক ডা. হাবিবুর রহমান। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোম্পানি দুটি দাপটের সঙ্গে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করত।
টেন্ডারে কারসাজির অভিযোগের সম্মুখীন প্রাণিসম্পদ ঔষধাগারের পরিচালক ডা. এস এম আমিনুল ইসলাম আগে প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ছিলেন। গত ২৫ আগস্ট ৪১০ জনকে টপকে তাঁকে পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়। আমিনুল ইসলামের গ্রেডেশন নম্বর ১৩৬১। মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে দেখা যায়, গ্রেডেশন নম্বর ৯৪৭-এর পরেই তিনি পদোন্নতি পেয়েছেন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, যে সিন্ডিকেটের তদবিরে আমিনুল ইসলাম বিধি লঙ্ঘন করে বিশেষ পদোন্নতি পেয়েছেন, এখন তিনি তাদের স্বার্থরক্ষাতেই সক্রিয় রয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আমিনুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করে ও মেসেজ দিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সদ্য সাবেক মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক জসিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টেন্ডার নিয়ে সংক্ষুব্ধ পক্ষের অভিযোগ আমরা খতিয়ে দেখব। অভিযোগপত্রে উপস্থাপিত দাবিগুলো সত্যি হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
সরকারের প্রাণিসম্পদ ঔষধাগারের জন্য প্রায় ২৫ কোটি টাকার ওষুধ কেনার টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, টেন্ডারগুলোতে এমন শর্ত দেওয়া হয়েছে, যাতে গত ১৫ বছরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সব টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করা ‘আওয়ামী সিন্ডিকেটরা’ই কাজ পায়। গত ৪ ডিসেম্বর আহ্বান করা এই টেন্ডারে কারসাজির অভিযোগ তুলে তা বাতিলের দাবি জানিয়ে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছে বঞ্চিত বলে দাবিদার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
টুডে অ্যাগ্রো ট্রেডিং নামে একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. রেদোয়ান রিশাদ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগে টেন্ডার বাতিলের পক্ষে তাঁর যুক্তি তুলে ধরেছেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘টেন্ডারে বৈষম্যমূলক শর্ত থাকায় আমরা অংশ নিতে পারি নাই। প্রাণিসম্পদ ঔষধাগারের পরিচালক ডা. এস এম আমিনুল ইসলাম একটি গোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষায় এমন টেন্ডারের আয়োজন করেছেন।’
টুডে অ্যাগ্রো ট্রেডিংয়ের লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, টেন্ডারের ৩০টি লটের প্রতিটিতে একটি একচেটিয়া পণ্য দেওয়া হয়েছে, যা কোনো একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কেউ সরবরাহ করতে পারবে না। যেমন, ভেটেরিনারি ওষুধ এবং কেমিক্যাল কোড ৩২৫২১০৫-এর অন্তর্ভুক্ত ৪ নম্বর লটের ইমিডাক্লোপ্রাইড বিপি-২০ গ্রাম এবং সিআইএস-৯-ট্রাইকোসিন বিপি-২ গ্রাম শুধু ব্রিজ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড তৈরি করে। প্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে কিছু লটে একচেটিয়া প্যাকিংয়ের শর্ত দেওয়া হয়েছে, যা নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কেউ সরবরাহ করতে পারবে না। কিছু লটে একটি করে আমদানিকৃত একচেটিয়া পণ্য দেওয়া হয়েছে। টেন্ডারে আরেকটি বৈষম্যমূলক শর্ত ছিল, বিগত ১৫ বছর যেসব প্রতিষ্ঠান পণ্য সরবরাহ করতে পেরেছে, তারাই শুধু এতে অংশ নিতে পারবে। মো. রেদোয়ান রিশাদ অভিযোগ করেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের দেড় দশকের শাসনামলে মূলত তাদের ঘনিষ্ঠরাই টেন্ডার পেয়ে এসেছে।
প্রাণিসম্পদ ঔষধাগারের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দুটি কোম্পানিকে কাজ দিতে এই টেন্ডারের আয়োজন করা হয়েছে। কোম্পানিগুলো হচ্ছে মো. রেদোয়ানের অভিযোগে উল্লেখ করা ব্রিজ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও সুপার পাওয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ব্রিজ ফার্মাসিউটিক্যালসের মালিকানায় রয়েছেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি গাজী মো. মোজাম্মেল হকের স্ত্রী ফারজানা মোজাম্মেল, মীর শহীদুল হক প্রমুখ। আর সুপার পাওয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের মালিক প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক উপপরিচালক ডা. হাবিবুর রহমান। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোম্পানি দুটি দাপটের সঙ্গে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করত।
টেন্ডারে কারসাজির অভিযোগের সম্মুখীন প্রাণিসম্পদ ঔষধাগারের পরিচালক ডা. এস এম আমিনুল ইসলাম আগে প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ছিলেন। গত ২৫ আগস্ট ৪১০ জনকে টপকে তাঁকে পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়। আমিনুল ইসলামের গ্রেডেশন নম্বর ১৩৬১। মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে দেখা যায়, গ্রেডেশন নম্বর ৯৪৭-এর পরেই তিনি পদোন্নতি পেয়েছেন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, যে সিন্ডিকেটের তদবিরে আমিনুল ইসলাম বিধি লঙ্ঘন করে বিশেষ পদোন্নতি পেয়েছেন, এখন তিনি তাদের স্বার্থরক্ষাতেই সক্রিয় রয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আমিনুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করে ও মেসেজ দিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সদ্য সাবেক মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক জসিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টেন্ডার নিয়ে সংক্ষুব্ধ পক্ষের অভিযোগ আমরা খতিয়ে দেখব। অভিযোগপত্রে উপস্থাপিত দাবিগুলো সত্যি হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘এবারের নির্বাচন যাতে উৎসবমুখর ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়, সে জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তরুণ ভোটারদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও তাদের আকৃষ্ট করার জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে তাদের জন্য আলাদা বুথ থাকবে।’
৩ মিনিট আগেপ্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ সোমবার দুপুর ২টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে করে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।
২৫ মিনিট আগেআগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর পাশাপাশি ৮০ হাজারেরও বেশি সেনাসদস্য মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১ ঘণ্টা আগেযান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ইতালি থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকাগামী ফ্লাইট (বিজি ৩৫৬) বাতিল করা হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি ফিউমিসিনো বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল।
৫ ঘণ্টা আগে