নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে এক শর মতো শিল্পে নেই ন্যূনতম মজুরিকাঠামো। এখনো প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাননি অনেক খাতের শ্রমিকেরা। প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের ৮৫ শতাংশ শ্রমিকেরই নেই আইনি সুরক্ষা। পর্যাপ্ত মাতৃত্বকালীন ছুটি পান না নারী শ্রমিকেরা। ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের স্বাধীনতা, শ্রমিক সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য কোনো নীতিমালা নেই। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি, সব শ্রমিকের আইনি সুরক্ষা ও স্বীকৃতি নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা শ্রম সংস্কার কমিশন। শ্রমিকদের এখন মূল দাবি, শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন হোক। তাঁরা চাইছেন, মে দিবসের উপহার হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ন্যূনতম মজুরির সুপারিশ বাস্তবায়নের ঘোষণাটি আসুক।
শ্রম সংস্কার কমিশন তাদের ৪০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে প্রতি তিন বছর পর পর জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার প্রস্তাব ছাড়াও সব শ্রমিকের আইনি সুরক্ষা, প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক সব ক্ষেত্রে প্রত্যেক শ্রমিককে নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র বা প্রমাণপত্র দেওয়া বাধ্যতামূলক করার কথা বলেছে। এ ছাড়া জাতীয় পেনশন স্কিমের অধীনে শ্রমিকবান্ধব পেনশন স্কিম চালু করার পাশাপাশি শিল্পাঞ্চল ও গ্রামীণ এলাকায় শ্রমিকদের জন্য কার্ডভিত্তিক রেশন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মজুরি না দিলে শ্রমিককে ক্ষতিপূরণ, মূল্যস্ফীতির ভিত্তিতে বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধি, রপ্তানিমুখী শিল্প খাতের জন্য আপৎকালীন তহবিল, ট্রেড ইউনিয়ন করার শর্ত শিথিল, স্থায়ী কাজের জন্য আউটসোর্সিং নিয়োগ বন্ধ, নারী শ্রমিকের মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস, স্থায়ী শ্রম কমিশন প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেছে কমিশন।
গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, ‘যে সুপারিশগুলো করা হয়েছে, তা সবই আমাদের বহুদিনের দাবি। আগেও এ ধরনের অনেক সুপারিশ করেছে বিভিন্ন কমিশন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। তাই এখন বাস্তবায়নই আসল কাজ।’
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গত ৩০ নভেম্বর প্রকাশিত ‘গ্লোবাল ওয়েজ রিপোর্ট ২০২৪-২৫’ অনুসারে, শ্রমিকদের স্বল্প মজুরি দেওয়ার দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কা ও ভুটানের পর তৃতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সব শ্রমিকের মধ্যে স্বল্প মজুরির শ্রমিকের অংশ ১১ দশমিক ২ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জানুয়ারির পর থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো মাসেই মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারেনি মজুরি বৃদ্ধির হার। কারণ যে হারে খরচ বেড়েছে, সে হারে মজুরি বাড়েনি। ২০২২ সালের শুরুতে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। তখন জাতীয় মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। অর্থাৎ মূল্যস্ফীতি বাড়লেও মজুরি বেড়েছে তার চেয়ে বেশি হারে। তবে বছরের মাঝামাঝি থেকে চিত্র উল্টে যেতে থাকে। সর্বশেষ ২০২৪ সাল শেষে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। বিপরীতে বছরের ১২ মাসের মধ্যে প্রথম আট মাসই মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৭ শতাংশের কাছাকাছি। আর শেষ চার মাস ছিল ৮ শতাংশের কিছু বেশি।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে শ্রমিকের সমস্যা অনেক। এখনো প্রায় ৯০ শতাংশ শ্রমিক কাজ করেন অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে, যাদের ন্যূনতম মজুরি, আইনি সুরক্ষায় কোনো কিছুই নেই। অথচ শ্রমিকেরা আছেন বলেই এখনো আমরা প্রতিযোগিতামূলক রপ্তানির বাজারে টিকে আছি। প্রাতিষ্ঠানিক শিল্প খাতেও আমাদের ন্যূনতম মজুরি একেবারেই কম। আইএলও কনভেনশনের অনেক কিছুই বাস্তবে নেই।’
আতিকুর রহমান বলেন, ‘কমিশন যে সুপারিশগুলো দিয়েছে, তা যেন পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়, এখন সেটিই আমাদের বড় দাবি। আমরা আশাবাদী যে মালিক-শ্রমিকের ঐকমত্যের ভিত্তিতেই এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত হবে। এবং সেটা যত দ্রুত হয় আমাদের অর্থনীতির জন্য ততই ভালো।’
দেশে এক শর মতো শিল্পে নেই ন্যূনতম মজুরিকাঠামো। এখনো প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাননি অনেক খাতের শ্রমিকেরা। প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের ৮৫ শতাংশ শ্রমিকেরই নেই আইনি সুরক্ষা। পর্যাপ্ত মাতৃত্বকালীন ছুটি পান না নারী শ্রমিকেরা। ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের স্বাধীনতা, শ্রমিক সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য কোনো নীতিমালা নেই। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি, সব শ্রমিকের আইনি সুরক্ষা ও স্বীকৃতি নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা শ্রম সংস্কার কমিশন। শ্রমিকদের এখন মূল দাবি, শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন হোক। তাঁরা চাইছেন, মে দিবসের উপহার হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ন্যূনতম মজুরির সুপারিশ বাস্তবায়নের ঘোষণাটি আসুক।
শ্রম সংস্কার কমিশন তাদের ৪০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে প্রতি তিন বছর পর পর জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার প্রস্তাব ছাড়াও সব শ্রমিকের আইনি সুরক্ষা, প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক সব ক্ষেত্রে প্রত্যেক শ্রমিককে নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র বা প্রমাণপত্র দেওয়া বাধ্যতামূলক করার কথা বলেছে। এ ছাড়া জাতীয় পেনশন স্কিমের অধীনে শ্রমিকবান্ধব পেনশন স্কিম চালু করার পাশাপাশি শিল্পাঞ্চল ও গ্রামীণ এলাকায় শ্রমিকদের জন্য কার্ডভিত্তিক রেশন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মজুরি না দিলে শ্রমিককে ক্ষতিপূরণ, মূল্যস্ফীতির ভিত্তিতে বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধি, রপ্তানিমুখী শিল্প খাতের জন্য আপৎকালীন তহবিল, ট্রেড ইউনিয়ন করার শর্ত শিথিল, স্থায়ী কাজের জন্য আউটসোর্সিং নিয়োগ বন্ধ, নারী শ্রমিকের মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস, স্থায়ী শ্রম কমিশন প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেছে কমিশন।
গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, ‘যে সুপারিশগুলো করা হয়েছে, তা সবই আমাদের বহুদিনের দাবি। আগেও এ ধরনের অনেক সুপারিশ করেছে বিভিন্ন কমিশন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। তাই এখন বাস্তবায়নই আসল কাজ।’
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গত ৩০ নভেম্বর প্রকাশিত ‘গ্লোবাল ওয়েজ রিপোর্ট ২০২৪-২৫’ অনুসারে, শ্রমিকদের স্বল্প মজুরি দেওয়ার দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কা ও ভুটানের পর তৃতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সব শ্রমিকের মধ্যে স্বল্প মজুরির শ্রমিকের অংশ ১১ দশমিক ২ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জানুয়ারির পর থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো মাসেই মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারেনি মজুরি বৃদ্ধির হার। কারণ যে হারে খরচ বেড়েছে, সে হারে মজুরি বাড়েনি। ২০২২ সালের শুরুতে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। তখন জাতীয় মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। অর্থাৎ মূল্যস্ফীতি বাড়লেও মজুরি বেড়েছে তার চেয়ে বেশি হারে। তবে বছরের মাঝামাঝি থেকে চিত্র উল্টে যেতে থাকে। সর্বশেষ ২০২৪ সাল শেষে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। বিপরীতে বছরের ১২ মাসের মধ্যে প্রথম আট মাসই মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৭ শতাংশের কাছাকাছি। আর শেষ চার মাস ছিল ৮ শতাংশের কিছু বেশি।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে শ্রমিকের সমস্যা অনেক। এখনো প্রায় ৯০ শতাংশ শ্রমিক কাজ করেন অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে, যাদের ন্যূনতম মজুরি, আইনি সুরক্ষায় কোনো কিছুই নেই। অথচ শ্রমিকেরা আছেন বলেই এখনো আমরা প্রতিযোগিতামূলক রপ্তানির বাজারে টিকে আছি। প্রাতিষ্ঠানিক শিল্প খাতেও আমাদের ন্যূনতম মজুরি একেবারেই কম। আইএলও কনভেনশনের অনেক কিছুই বাস্তবে নেই।’
আতিকুর রহমান বলেন, ‘কমিশন যে সুপারিশগুলো দিয়েছে, তা যেন পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়, এখন সেটিই আমাদের বড় দাবি। আমরা আশাবাদী যে মালিক-শ্রমিকের ঐকমত্যের ভিত্তিতেই এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত হবে। এবং সেটা যত দ্রুত হয় আমাদের অর্থনীতির জন্য ততই ভালো।’
আজ মহান মে দিবস। বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের ঐতিহাসিক দিন আজ। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হচ্ছে আজ। এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়বো এ দেশ নতুন করে’।
৬ ঘণ্টা আগেদেশের ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির আওতাধীন জেলাগুলোয় বিদ্যুৎ আইনে অপরাধের বিচারে আদালত রয়েছে মাত্র ১৯টি। সব জেলায় আদালত না থাকায় এক জেলার গ্রাহকদের মামলাসংক্রান্ত কাজে যেতে হচ্ছে অন্য জেলায়। আদালতের সংখ্যা কম থাকায় ভুগতে হচ্ছে মামলাজটে। সমস্যার সমাধানে আদালতের সংখ্যা বাড়াতে সম্প্রতি আইন...
৬ ঘণ্টা আগেসরকারি চাকরির নিয়োগপ্রক্রিয়া সহজ করতে ১০-১২তম গ্রেডের নিয়োগে অপেক্ষমাণ তালিকা রাখা বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে সরকার। প্রতিটি পদের বিপরীতে দুজন প্রার্থীকে অপেক্ষমাণ রাখা হবে। মূল তালিকা থেকে কেউ চাকরিতে যোগ না দিলে বা যোগ দেওয়ার পর কেউ চাকরি ছাড়লে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এই তালিকার মেয়াদ
৭ ঘণ্টা আগেপুলিশ সপ্তাহ ২০২৫-এর দ্বিতীয় দিনে পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিক দাবির কথা তুলে ধরা হয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো—ওভারটাইম ভাতা চালুর প্রস্তাব। কনস্টেবল থেকে শুরু করে আইজিপি পর্যন্ত সব পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের নির্ধারিত ৮ কর্মঘণ্টার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য ভাতা প্রদানের দাবিটি এসেছে...
৯ ঘণ্টা আগে