নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব, আত্মীয়স্বজনের প্রার্থিতা ও আচরণবিধি মানাতে গিয়ে নানা ধরনের অভিযোগের মধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কোনোভাবে বেকায়দায় নেই দাবি করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘বেকায়দায় থাকার তো প্রশ্নই ওঠে না। আমরা কোনো বেকায়দায় নেই।’
আজ মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এসব কথা বলেন সিইসি।
সিইসি বলেন, ‘এটা একটা ভালো দিক—রাজনৈতিক সদিচ্ছা যখন বিকশিত হয়েছে, স্পষ্ট হয়েছে, সেটা নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। তার পরও বলে থাকে, কোনো সংসদ সদস্য প্রভাব বিস্তার করছেন কি না, যদি করে থাকেন, অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করি। ভোটের দিন আমরা সতর্ক থাকব, কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করব।’
স্থানীয় নির্বাচনে এবার দলীয়ভাবে অংশগ্রহণ না থাকার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সিইসি বলেন, ‘এটা কোনোভাবে নিয়ম রক্ষার ভোট নয়। নির্বাচনটা করতে হবে। কে কোন দল করে আমরা জানি না। নির্বাচন আয়োজন করা আমাদের কাজ। কে দাঁড়াল, কে দাঁড়াল না, আমাদের কাছে সবাই প্রার্থী। আমরা দেখছি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। কেউ এল কি এল না, তা নয়। প্রতিটি উপজেলায় অন্তত চারজন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে যাচ্ছি না, প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। অবাধ হচ্ছে কি না, তা দেখব।’
সিইসি বলেন, ‘জাতীয় সংসদের ভোট আর স্থানীয় সরকারের ভোটে তো পার্থক্য থাকবেই। স্থানীয় সরকারের ভোটে কনটেস্টটা একটু বেশি হয়ে থাকে। সেদিক থেকে উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উত্তেজনা—এগুলো স্থানীয় নির্বাচনে বেশি হয়ে থাকে। সে জন্য আমরাও সতর্ক অবস্থায় থাকি। যেন উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উত্তেজনা থেকে কোনো সংঘর্ষ-সহিংসতা না হয়।’
এই নির্বাচনে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে না, তাদের অনুসারীরাও অংশ নিচ্ছে না। ফলে এটি জাতীয় নির্বাচনের মতোই নিয়ম রক্ষার নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে কি না—এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘আমরা এটা জানি না। আমাদের কাজ হচ্ছে নির্বাচন আয়োজন করা। কে কোন দল থেকে দাঁড়াল কি দাঁড়াল না, যারা নির্বাচন করবেন তাঁদের প্রার্থী বলা হয়। এক-দুজন, চার-পাঁচজন প্রার্থী হতে পারে, আমাদের কাছে থাকবে প্রার্থী। প্রার্থীকে ভোট দেবে। তিনি কোন দলের প্রার্থী, সেদিক থেকে এটা মোটেও নিয়ম রক্ষার ভোট না। নির্বাচন অনিবার্যভাবে প্রয়োজন। কোনো একটি দেশের শাসনব্যবস্থা চালু রাখতে হলে সেটা কারও পছন্দ হোক বা না হোক এবং স্থানীয় সরকারগুলোকে যদি আমরা চালু রাখতে চাই, সেই নির্বাচনটা কারও পছন্দ হোক বা কেউ বর্জন করুক, একটা নির্বাচন হতে হবে। সেই দায়িত্বটা আমাদের ওপর অর্পিত হয়েছে। আমরা সেই দায়িত্বটা পালন করতে পারি। কে কীভাবে নির্বাচনটাকে দেখবেন, সেটা আমাদের বিষয় নয়। আমরা আমাদের মতো করে দেখব।
নির্বাচনে এত আয়োজন ঠিকঠাক করার পরও একটা বড় অংশ নির্বাচনে আসেনি। এই যে ভোটে এল না, এটা বিএনপির লোকসান, রাজনৈতিক দলগুলোর লোকসান; নাকি আপনাদের লোকসান—এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো ব্যাখ্যা দেব না। আমরা দেখছি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে কি না। সেই নির্বাচনে কেউ এল কি এল না, তা আমরা দেখছি না। আমরা এভারেজে দেখেছি, একটি পদের জন্য চারজন করে প্রতিদ্বন্দ্বী। কাজেই সেটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন আমরা বলব না।’
প্রথম ধাপের প্রস্তুতির বিষয়ে সিইসি বলেন, বুধবারের ভোট অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কোনো ধরনের অনিয়ম যাতে না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
স্থানীয় ভোটে প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে সিইসি বলেন, মন্ত্রী-এমপিদের নিবৃত করা হয়েছে, প্রভাব বিস্তারের কারণে কিছু কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচনের দিন কেউ যেন ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশ করতে না পারে এবং সেখানে যেন অনিয়ম না হয় সে বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ভোটের দিন আমরা সতর্ক থাকব, কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করব। অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ইতিমধ্যে ভোটের সব ধরনের আয়োজন শেষ হয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, এ নির্বাচনের জন্য যা যা করণীয়, সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি , যাতে নির্বাচনটা অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়। আইনশৃঙ্খলা সঠিকভাবে তদারকিতে কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন ভবনে পরিস্থিতি মনিটরিং করা হবে।
সিইসি জানান, যাতে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সেই লক্ষ্যে বিভাগ, জেলা পর্যায়ে কমিশন মতবিনিময়ও করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ও টহলের সুবিধার্থে এই ধাপে ধাপে ভোটের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রথম ধাপে ১৫২টি উপজেলার তফসিল ঘোষণার পর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা, স্থগিত ও ধাপ পরিবর্তনের কারণে কিছু বাদ দেওয়ার পর বুধবার ১৪০টি উপজেলায় হবে।
সাধারণ প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ জন করে এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ জন আর পার্বত্য এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে অন্তত ২১ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
নির্বাচনে সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করে সিইসি বলেন, সংশ্লিষ্টরা নিয়মকানুন প্রতিপালন করলে নির্বাচনটা সহজ হবে; তারা যদি বিশৃঙ্খল তৈরি করে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা দুরূহ হবে। এবার কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং প্রার্থীসহ সবার সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে। নির্বাচনটা স্বচ্ছ করার চেষ্টা করছি।
ইতিমধ্যে মাঠ পর্যায়ের নানা ধরনের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান সিইসি।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী অনেকে নিবৃত করতে পেরেছি। হয়তো বা অনেকে এলাকায় আছেন। সরকারের তরফ থেকে যত দূর দেখেছি, দলীয়ভাবে হোক বা সরকারের পক্ষ থেকে হোক, যাতে নির্বাচনটা অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়, কেউ যেন প্রভাব বিস্তার না করেন, সে বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তটা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সিইসি বলেন, ‘দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের সুযোগ থাকলেও দলীয় মনোনয়ন না থাকায় স্বতন্ত্র হয়ে লড়ছেন প্রার্থীরা। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। দেখা যাক, কতটুকু হয়। প্রভাব বিস্তারের কারণে কিছু কিছু অ্যাকশন নিয়েছি। বিভিন্ন ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করা হয়, এ জন্য একজনকে ডাকিয়ে এনে বক্তব্য নিয়েছি, প্রার্থিতা বাতিল করেছি।’
সিইসি জানান, মাঠ পর্যায়ের পরিস্থিতি প্রতিদিনই সব সময় খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কথা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এটা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচনটা যেন অবাধ, নিরপেক্ষ হয়। বিশেষ করে নির্বাচনের দিন কেউ যেন ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশ করতে না পারে এবং সেখানে যেন অনিয়ম না হয়, সেই বার্তা রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের দেওয়া হয়েছে।
এ সময় নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, ফরহাদ আহাম্মদ খান, জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব, আত্মীয়স্বজনের প্রার্থিতা ও আচরণবিধি মানাতে গিয়ে নানা ধরনের অভিযোগের মধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কোনোভাবে বেকায়দায় নেই দাবি করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘বেকায়দায় থাকার তো প্রশ্নই ওঠে না। আমরা কোনো বেকায়দায় নেই।’
আজ মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এসব কথা বলেন সিইসি।
সিইসি বলেন, ‘এটা একটা ভালো দিক—রাজনৈতিক সদিচ্ছা যখন বিকশিত হয়েছে, স্পষ্ট হয়েছে, সেটা নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। তার পরও বলে থাকে, কোনো সংসদ সদস্য প্রভাব বিস্তার করছেন কি না, যদি করে থাকেন, অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করি। ভোটের দিন আমরা সতর্ক থাকব, কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করব।’
স্থানীয় নির্বাচনে এবার দলীয়ভাবে অংশগ্রহণ না থাকার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সিইসি বলেন, ‘এটা কোনোভাবে নিয়ম রক্ষার ভোট নয়। নির্বাচনটা করতে হবে। কে কোন দল করে আমরা জানি না। নির্বাচন আয়োজন করা আমাদের কাজ। কে দাঁড়াল, কে দাঁড়াল না, আমাদের কাছে সবাই প্রার্থী। আমরা দেখছি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। কেউ এল কি এল না, তা নয়। প্রতিটি উপজেলায় অন্তত চারজন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে যাচ্ছি না, প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। অবাধ হচ্ছে কি না, তা দেখব।’
সিইসি বলেন, ‘জাতীয় সংসদের ভোট আর স্থানীয় সরকারের ভোটে তো পার্থক্য থাকবেই। স্থানীয় সরকারের ভোটে কনটেস্টটা একটু বেশি হয়ে থাকে। সেদিক থেকে উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উত্তেজনা—এগুলো স্থানীয় নির্বাচনে বেশি হয়ে থাকে। সে জন্য আমরাও সতর্ক অবস্থায় থাকি। যেন উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উত্তেজনা থেকে কোনো সংঘর্ষ-সহিংসতা না হয়।’
এই নির্বাচনে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে না, তাদের অনুসারীরাও অংশ নিচ্ছে না। ফলে এটি জাতীয় নির্বাচনের মতোই নিয়ম রক্ষার নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে কি না—এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘আমরা এটা জানি না। আমাদের কাজ হচ্ছে নির্বাচন আয়োজন করা। কে কোন দল থেকে দাঁড়াল কি দাঁড়াল না, যারা নির্বাচন করবেন তাঁদের প্রার্থী বলা হয়। এক-দুজন, চার-পাঁচজন প্রার্থী হতে পারে, আমাদের কাছে থাকবে প্রার্থী। প্রার্থীকে ভোট দেবে। তিনি কোন দলের প্রার্থী, সেদিক থেকে এটা মোটেও নিয়ম রক্ষার ভোট না। নির্বাচন অনিবার্যভাবে প্রয়োজন। কোনো একটি দেশের শাসনব্যবস্থা চালু রাখতে হলে সেটা কারও পছন্দ হোক বা না হোক এবং স্থানীয় সরকারগুলোকে যদি আমরা চালু রাখতে চাই, সেই নির্বাচনটা কারও পছন্দ হোক বা কেউ বর্জন করুক, একটা নির্বাচন হতে হবে। সেই দায়িত্বটা আমাদের ওপর অর্পিত হয়েছে। আমরা সেই দায়িত্বটা পালন করতে পারি। কে কীভাবে নির্বাচনটাকে দেখবেন, সেটা আমাদের বিষয় নয়। আমরা আমাদের মতো করে দেখব।
নির্বাচনে এত আয়োজন ঠিকঠাক করার পরও একটা বড় অংশ নির্বাচনে আসেনি। এই যে ভোটে এল না, এটা বিএনপির লোকসান, রাজনৈতিক দলগুলোর লোকসান; নাকি আপনাদের লোকসান—এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো ব্যাখ্যা দেব না। আমরা দেখছি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে কি না। সেই নির্বাচনে কেউ এল কি এল না, তা আমরা দেখছি না। আমরা এভারেজে দেখেছি, একটি পদের জন্য চারজন করে প্রতিদ্বন্দ্বী। কাজেই সেটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন আমরা বলব না।’
প্রথম ধাপের প্রস্তুতির বিষয়ে সিইসি বলেন, বুধবারের ভোট অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কোনো ধরনের অনিয়ম যাতে না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
স্থানীয় ভোটে প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে সিইসি বলেন, মন্ত্রী-এমপিদের নিবৃত করা হয়েছে, প্রভাব বিস্তারের কারণে কিছু কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচনের দিন কেউ যেন ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশ করতে না পারে এবং সেখানে যেন অনিয়ম না হয় সে বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ভোটের দিন আমরা সতর্ক থাকব, কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করব। অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ইতিমধ্যে ভোটের সব ধরনের আয়োজন শেষ হয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, এ নির্বাচনের জন্য যা যা করণীয়, সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি , যাতে নির্বাচনটা অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়। আইনশৃঙ্খলা সঠিকভাবে তদারকিতে কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন ভবনে পরিস্থিতি মনিটরিং করা হবে।
সিইসি জানান, যাতে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সেই লক্ষ্যে বিভাগ, জেলা পর্যায়ে কমিশন মতবিনিময়ও করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ও টহলের সুবিধার্থে এই ধাপে ধাপে ভোটের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রথম ধাপে ১৫২টি উপজেলার তফসিল ঘোষণার পর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা, স্থগিত ও ধাপ পরিবর্তনের কারণে কিছু বাদ দেওয়ার পর বুধবার ১৪০টি উপজেলায় হবে।
সাধারণ প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ জন করে এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ জন আর পার্বত্য এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে অন্তত ২১ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
নির্বাচনে সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করে সিইসি বলেন, সংশ্লিষ্টরা নিয়মকানুন প্রতিপালন করলে নির্বাচনটা সহজ হবে; তারা যদি বিশৃঙ্খল তৈরি করে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা দুরূহ হবে। এবার কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং প্রার্থীসহ সবার সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে। নির্বাচনটা স্বচ্ছ করার চেষ্টা করছি।
ইতিমধ্যে মাঠ পর্যায়ের নানা ধরনের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান সিইসি।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী অনেকে নিবৃত করতে পেরেছি। হয়তো বা অনেকে এলাকায় আছেন। সরকারের তরফ থেকে যত দূর দেখেছি, দলীয়ভাবে হোক বা সরকারের পক্ষ থেকে হোক, যাতে নির্বাচনটা অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়, কেউ যেন প্রভাব বিস্তার না করেন, সে বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তটা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সিইসি বলেন, ‘দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের সুযোগ থাকলেও দলীয় মনোনয়ন না থাকায় স্বতন্ত্র হয়ে লড়ছেন প্রার্থীরা। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। দেখা যাক, কতটুকু হয়। প্রভাব বিস্তারের কারণে কিছু কিছু অ্যাকশন নিয়েছি। বিভিন্ন ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করা হয়, এ জন্য একজনকে ডাকিয়ে এনে বক্তব্য নিয়েছি, প্রার্থিতা বাতিল করেছি।’
সিইসি জানান, মাঠ পর্যায়ের পরিস্থিতি প্রতিদিনই সব সময় খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কথা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এটা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচনটা যেন অবাধ, নিরপেক্ষ হয়। বিশেষ করে নির্বাচনের দিন কেউ যেন ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশ করতে না পারে এবং সেখানে যেন অনিয়ম না হয়, সেই বার্তা রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের দেওয়া হয়েছে।
এ সময় নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, ফরহাদ আহাম্মদ খান, জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, তৃতীয় গ্রেড বা যুগ্মসচিব এবং তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মচারীরা প্রতি ঘণ্টার সেশনে প্রশিক্ষক সম্মানী পাবেন ৩ হাজার ৬০০ টাকা। এর আগে আগে ২০১৯ সালের মে মাসে পুনঃনির্ধারণ করা সম্মানী ছিল ২ হাজার ৫০০ টাকা। অর্থাৎ প্রায় পাঁচ বছরের ব্যবধানে এ ভাতা বাড়ল ১ হাজার ১০০ টাকা। তারও আগে এ ভাতা ছ
১২ মিনিট আগেনিরাপত্তা হুমকিতে পড়া ওই সাক্ষীর বিষয়ে প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন।
৩৭ মিনিট আগেরাজধানীর কেরানীগঞ্জে ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে কর্মরত ১৫ জন গাড়িচালকের নামে সাময়িক বরাদ্দ করা প্লটসমূহের বরাদ্দ বাতিল করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাউজক) এ প্রকল্পে বিধিমালার ব্যত্যয় করে নিয়মবহির্ভূতভাবে তাঁদের নামে প্লট বরাদ্দ
১ ঘণ্টা আগেনিয়োগের শর্তগুলো হলো—কেস টু কেস ভিত্তিতে পারিশ্রমিক নির্ধারণ হবে; এ নিয়োগে থাকাকালে দুদকের বিরুদ্ধে কোনো মামলা পরিচালনা করা যাবে না; রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া যাবে না; প্রয়োজনে অনুসন্ধান বা তদন্তকারী কর্মকর্তাকে এজাহার প্রস্তুত ও চার্জশিট দাখিলে সহযোগিতা করতে হবে। এ ছাড়া এ
১ ঘণ্টা আগে