মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রগুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কার বা মেরামত করতে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছে ইসি। নির্বাচনে ব্যবহৃত সামগ্রী কিনতে দরপত্রপ্রক্রিয়াও শুরু করেছে।
সূত্র বলছে, সরকার থেকে ইঙ্গিত পেলে সময়মতো সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতেই ইসির এসব উদ্যোগ।
জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের বসে থাকার সময় নেই। সব কাজ করতে হবে। সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সব প্রস্তুতি এগিয়ে রাখা হচ্ছে।’
সূত্র জানায়, ভোটকেন্দ্র ঠিক করে রাখতে ইসি ইতিমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব; কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব; প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব; স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। ওই চিঠির অনুলিপি সব বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, পুলিশের উপমহাপরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার, সিনিয়র জেলা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিগত সংসদ নির্বাচনে ব্যবহৃত ভোটকেন্দ্র এবং সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের মধ্যে কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সীমানাপ্রাচীর নেই এবং কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দরজা-জানালা জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। চিঠিতে সীমানাপ্রাচীর না থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় তা নির্মাণ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী নিজস্ব অর্থায়নে ছোটখাটো মেরামত ও সংস্কার করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদ এবং উপজেলা পরিষদকে নিজস্ব অর্থায়নে সীমানাপ্রাচীর না থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ এবং ছোটখাটো মেরামত বা সংস্কার করে ভোটকেন্দ্রকে ভোট গ্রহণ উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ অধীনস্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছোটখাটো সংস্কারের জন্য প্রতিবছর নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ছাড় করে। ইসি বলছে, সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের তালিকায় থাকা যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছোটখাটো সংস্কার, মেরামত প্রয়োজন হবে, চলতি অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানপ্রতি বরাদ্দ করা অর্থ দ্রুত ছাড় করলে তা দিয়ে সংস্কার, মেরামতকাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এ জন্য চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানপ্রতি বরাদ্দ করা অর্থ জরুরি ভিত্তিতে ছাড় করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছে ইসি।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিগত সংসদ নির্বাচন এবং অন্যান্য নির্বাচনে ব্যবহৃত ভোটকেন্দ্রের তালিকা সংশ্লিষ্ট সিনিয়র জেলা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সংশ্লিষ্টদের সরবরাহ করবেন।
জানা যায়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে ৪২ হাজারের মতো ভোটকেন্দ্রে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার ভোটকক্ষ ছিল। এবার ভোটকেন্দ্র ও কক্ষের সংখ্যা কিছুটা বাড়তে পারে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক শেষে গত ১০ মার্চ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছিলেন, ডিসেম্বর মাথায় রেখে তাঁরা এগোচ্ছেন। টাইমলাইন মিস না করার জন্য সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সূত্র জানায়, ঈদুল ফিতর-পরবর্তী বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন সিইসি। নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সম্প্রতি নির্বাচনের রোডম্যাপ আগামী জুলাইয়ের মধ্যে ঘোষণার কথা জানান।
নির্বাচনী মালামাল কেনার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে ইসি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রায় এক লাখ বড় হেসিয়ান ব্যাগ, প্রায় ৬০ হাজার ছোট হেসিয়ান ব্যাগ, প্রায় এক লাখ গানি ব্যাগ, প্রায় ২০ হাজার কেজি গালা ও ৪০ লাখ ব্যালট বাক্সের লক কেনার দরপত্র আহ্বান করেছে ইসি। এসব দরপত্র আগামী ১৩ মে খোলা হবে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ব্যালট বাক্স ইসির সংগ্রহে থাকায় এবার ব্যালট বাক্স কিনতে হবে না।
ইসি সূত্র জানায়, সংসদ নির্বাচনের জন্য ব্যালট পেপার, ২১ প্রকার ফরম, ১৭ প্রকার প্যাকেট, পাঁচ প্রকার পরিচয়পত্র, আচরণবিধি, প্রতীকের পোস্টার, নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েল, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়েল, নির্দেশিকাসহ ৫৩ ধরনের নির্বাচনী সামগ্রী ছাপাতে হয়। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশন ১৫ এপ্রিল মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বৈঠকে জানানো হয়, এসব ছাপানোর জন্য কাগজ কিনতে ৩ থেকে ৪ মাস লাগবে।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন বিদ্যমান পোস্টাল ব্যালটের পাশাপাশি অনলাইন ভোটিং ব্যবস্থার সুপারিশ করেছে। এর সঙ্গে প্রক্সি ভোটও যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। এ জন্য প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে সম্প্রতি একটি কর্মশালাও করেছে। ইসি আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যমসহ অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগের বিষয়ে বৈঠক করবে। এ ছাড়া পর্যবেক্ষক, ভোটকেন্দ্র নীতিমালা ও আচরণবিধি, সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইন সংশোধনের কাজ চলছে ইসিতে। নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ও নতুন ভোটার নিবন্ধনের কাজও চলমান। প্রথম বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ভোটার হওয়ার আবেদনের শেষ সময় ছিল ২০ এপ্রিল। পরে তা ২২ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
ইসির ২ মার্চ দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে মোট ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন ভোটার রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৬১ হাজার ৬১৫, নারী ৬ কোটি ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৬৬৫ এবং ৯৯৪ জন হিজড়া ভোটার। চলমান ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শেষে আগামী সংসদ নির্বাচনে আরও ৪০ লাখের বেশি নতুন ভোটার যুক্ত হতে পারেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রগুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কার বা মেরামত করতে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছে ইসি। নির্বাচনে ব্যবহৃত সামগ্রী কিনতে দরপত্রপ্রক্রিয়াও শুরু করেছে।
সূত্র বলছে, সরকার থেকে ইঙ্গিত পেলে সময়মতো সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতেই ইসির এসব উদ্যোগ।
জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের বসে থাকার সময় নেই। সব কাজ করতে হবে। সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সব প্রস্তুতি এগিয়ে রাখা হচ্ছে।’
সূত্র জানায়, ভোটকেন্দ্র ঠিক করে রাখতে ইসি ইতিমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব; কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব; প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব; স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। ওই চিঠির অনুলিপি সব বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, পুলিশের উপমহাপরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার, সিনিয়র জেলা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিগত সংসদ নির্বাচনে ব্যবহৃত ভোটকেন্দ্র এবং সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের মধ্যে কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সীমানাপ্রাচীর নেই এবং কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দরজা-জানালা জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। চিঠিতে সীমানাপ্রাচীর না থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় তা নির্মাণ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী নিজস্ব অর্থায়নে ছোটখাটো মেরামত ও সংস্কার করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদ এবং উপজেলা পরিষদকে নিজস্ব অর্থায়নে সীমানাপ্রাচীর না থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ এবং ছোটখাটো মেরামত বা সংস্কার করে ভোটকেন্দ্রকে ভোট গ্রহণ উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ অধীনস্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছোটখাটো সংস্কারের জন্য প্রতিবছর নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ছাড় করে। ইসি বলছে, সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের তালিকায় থাকা যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছোটখাটো সংস্কার, মেরামত প্রয়োজন হবে, চলতি অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানপ্রতি বরাদ্দ করা অর্থ দ্রুত ছাড় করলে তা দিয়ে সংস্কার, মেরামতকাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এ জন্য চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানপ্রতি বরাদ্দ করা অর্থ জরুরি ভিত্তিতে ছাড় করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছে ইসি।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিগত সংসদ নির্বাচন এবং অন্যান্য নির্বাচনে ব্যবহৃত ভোটকেন্দ্রের তালিকা সংশ্লিষ্ট সিনিয়র জেলা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সংশ্লিষ্টদের সরবরাহ করবেন।
জানা যায়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে ৪২ হাজারের মতো ভোটকেন্দ্রে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার ভোটকক্ষ ছিল। এবার ভোটকেন্দ্র ও কক্ষের সংখ্যা কিছুটা বাড়তে পারে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক শেষে গত ১০ মার্চ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছিলেন, ডিসেম্বর মাথায় রেখে তাঁরা এগোচ্ছেন। টাইমলাইন মিস না করার জন্য সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সূত্র জানায়, ঈদুল ফিতর-পরবর্তী বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন সিইসি। নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সম্প্রতি নির্বাচনের রোডম্যাপ আগামী জুলাইয়ের মধ্যে ঘোষণার কথা জানান।
নির্বাচনী মালামাল কেনার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে ইসি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রায় এক লাখ বড় হেসিয়ান ব্যাগ, প্রায় ৬০ হাজার ছোট হেসিয়ান ব্যাগ, প্রায় এক লাখ গানি ব্যাগ, প্রায় ২০ হাজার কেজি গালা ও ৪০ লাখ ব্যালট বাক্সের লক কেনার দরপত্র আহ্বান করেছে ইসি। এসব দরপত্র আগামী ১৩ মে খোলা হবে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ব্যালট বাক্স ইসির সংগ্রহে থাকায় এবার ব্যালট বাক্স কিনতে হবে না।
ইসি সূত্র জানায়, সংসদ নির্বাচনের জন্য ব্যালট পেপার, ২১ প্রকার ফরম, ১৭ প্রকার প্যাকেট, পাঁচ প্রকার পরিচয়পত্র, আচরণবিধি, প্রতীকের পোস্টার, নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েল, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়েল, নির্দেশিকাসহ ৫৩ ধরনের নির্বাচনী সামগ্রী ছাপাতে হয়। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশন ১৫ এপ্রিল মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বৈঠকে জানানো হয়, এসব ছাপানোর জন্য কাগজ কিনতে ৩ থেকে ৪ মাস লাগবে।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন বিদ্যমান পোস্টাল ব্যালটের পাশাপাশি অনলাইন ভোটিং ব্যবস্থার সুপারিশ করেছে। এর সঙ্গে প্রক্সি ভোটও যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। এ জন্য প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে সম্প্রতি একটি কর্মশালাও করেছে। ইসি আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যমসহ অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগের বিষয়ে বৈঠক করবে। এ ছাড়া পর্যবেক্ষক, ভোটকেন্দ্র নীতিমালা ও আচরণবিধি, সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইন সংশোধনের কাজ চলছে ইসিতে। নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ও নতুন ভোটার নিবন্ধনের কাজও চলমান। প্রথম বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ভোটার হওয়ার আবেদনের শেষ সময় ছিল ২০ এপ্রিল। পরে তা ২২ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
ইসির ২ মার্চ দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে মোট ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন ভোটার রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৬১ হাজার ৬১৫, নারী ৬ কোটি ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৬৬৫ এবং ৯৯৪ জন হিজড়া ভোটার। চলমান ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শেষে আগামী সংসদ নির্বাচনে আরও ৪০ লাখের বেশি নতুন ভোটার যুক্ত হতে পারেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
শুরু হয়েছে পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে ভাষণ প্রদানের মাধ্যমে পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫ উদ্বোধন করেন তিনি।
৪১ মিনিট আগেনিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার, প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন না করে অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান কার্যালয়সহ সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ৩৬টি এলজিইডি অফিসে অভিযান পরিচালনা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৩ ঘণ্টা আগেদেশীয় প্রযুক্তিতে রেলের ইঞ্জিন ও কোচ ঘোরানোর টার্ন টেবিল তৈরিসহ বেশ কয়েকটি উদ্ভাবনের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রকৌশলী মো. তাসরুজ্জামান বাবু। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্টেভি অ্যাওয়ার্ড ইনকরপোরেশনের এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য ঘোষিত পুরস্কারের ‘মোস্ট ইনোভেটিভ টেকনোলজি লিড
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ও জাপানের সরকারপ্রধানেরা আগামী ৩০ মে এক শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হবেন। এ বৈঠকসহ অন্যান্য কর্মসূচিতে যোগ দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আগামী ২৮ মে টোকিওর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে। ঢাকা ও টোকিওর দুটি কূটনৈতিক সূত্র জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার...
১১ ঘণ্টা আগে