ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম শুধু বিশ্বাসের নয়, বরং ভালোবাসা, সৌহার্দ্য ও মানবিক সম্পর্কের ধর্ম। এ ধর্ম মানুষের অন্তরের বন্ধনকে দৃঢ় করার জন্য কিছু অনন্য আচার বা সুন্নাহ শিক্ষা দিয়েছে; যার মধ্যে একটি হলো মুআনাকা—অর্থাৎ কোলাকুলি করা। এটি নবীজি (সা.)-এর সুন্নাহ ও সাহাবিদের নিয়মিত চর্চিত একটি আমল। দীর্ঘদিন পর দেখা হলে, সফর থেকে ফিরে এলে, অথবা গভীর ভালোবাসা প্রকাশের সময় কোলাকুলি করার এই সুন্নাহ হৃদয় নরম করে, সম্পর্ক দৃঢ় করে এবং পারস্পরিক ভালোবাসা বাড়িয়ে তোলে।
নবী ইবরাহিম (আ.) পৃথিবীর বুকে প্রথম ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ হজরত জুলকারনাইনের সঙ্গে মুআনাকা করেন। (কানজুল উম্মাল: ২৫৩৫৯)। সাহাবিদের মধ্যেও মুআনাকার প্রচলন ছিল। হজরত আনাস (রা.) বলেন, ‘নবীজি (সা.)-এর সাহাবিরা পরস্পর মিলিত হলে মুসাফাহা করতেন। আর কোনো সফর থেকে ফিরলে মুআনাকা করতেন।’ (মুজামুল কাবির: ৯৭)
আর সাহাবিরা এই আমল শিখেছিলেন প্রিয় নবী (সা.)-এর কাছ থেকে। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, জায়েদ ইবনে হারিসা যখন মদিনায় এলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন আমার ঘরে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে জায়েদ আমার ঘরে আসেন, দরজায় টোকা দেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর পরিধেয় কাপড় ঠিক করতে করতে উঠে গিয়ে জায়েদের সঙ্গে কোলাকুলি করলেন। (জামে তিরমিজি: ২৭৩২)
মুআনাকা যেভাবে করতে হয়
মুআনাকা তথা কোলাকুলি করার সুন্নত পদ্ধতি হলো একে অপরের ডান ঘাড়ের সঙ্গে ঘাড় মেলানো। বুকের সঙ্গে বুক মিলে গেলে কোনো সমস্যা নেই। তবে মুআনাকা শুধু একবার করতে হয়। তিনবার করার কথা হাদিস বা ফিকহের কোনো কিতাবে উল্লেখ নেই। (আহসানুল ফাতাওয়া: ৯ / ৭৭)
মুআনাকার দোয়া:
মুআনাকা করার সময় পড়তে হয়, ‘আল্লাহুম্মা জিদ মুহাব্বাতি লিল্লাহি ওয়া রাসুলিহি।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আল্লাহ এবং রাসুলের খাতিরে আমাদের পারস্পরিক ভালোবাসা বৃদ্ধি করে দিন। (জামেউস সুনান: ১৫৯)
মুআনাকা মুমিনদের হৃদয়ের সংযোগ বৃদ্ধি করে, সম্পর্কের মধ্যে আন্তরিকতা গড়ে তোলে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির একটি মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায়। আসুন, আমরা নবীজি (সা.)-এর এই সুন্দর সুন্নাহকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করি এবং মুসলিম সমাজে ভ্রাতৃত্বের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনি।
ইসলাম শুধু বিশ্বাসের নয়, বরং ভালোবাসা, সৌহার্দ্য ও মানবিক সম্পর্কের ধর্ম। এ ধর্ম মানুষের অন্তরের বন্ধনকে দৃঢ় করার জন্য কিছু অনন্য আচার বা সুন্নাহ শিক্ষা দিয়েছে; যার মধ্যে একটি হলো মুআনাকা—অর্থাৎ কোলাকুলি করা। এটি নবীজি (সা.)-এর সুন্নাহ ও সাহাবিদের নিয়মিত চর্চিত একটি আমল। দীর্ঘদিন পর দেখা হলে, সফর থেকে ফিরে এলে, অথবা গভীর ভালোবাসা প্রকাশের সময় কোলাকুলি করার এই সুন্নাহ হৃদয় নরম করে, সম্পর্ক দৃঢ় করে এবং পারস্পরিক ভালোবাসা বাড়িয়ে তোলে।
নবী ইবরাহিম (আ.) পৃথিবীর বুকে প্রথম ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ হজরত জুলকারনাইনের সঙ্গে মুআনাকা করেন। (কানজুল উম্মাল: ২৫৩৫৯)। সাহাবিদের মধ্যেও মুআনাকার প্রচলন ছিল। হজরত আনাস (রা.) বলেন, ‘নবীজি (সা.)-এর সাহাবিরা পরস্পর মিলিত হলে মুসাফাহা করতেন। আর কোনো সফর থেকে ফিরলে মুআনাকা করতেন।’ (মুজামুল কাবির: ৯৭)
আর সাহাবিরা এই আমল শিখেছিলেন প্রিয় নবী (সা.)-এর কাছ থেকে। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, জায়েদ ইবনে হারিসা যখন মদিনায় এলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন আমার ঘরে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে জায়েদ আমার ঘরে আসেন, দরজায় টোকা দেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর পরিধেয় কাপড় ঠিক করতে করতে উঠে গিয়ে জায়েদের সঙ্গে কোলাকুলি করলেন। (জামে তিরমিজি: ২৭৩২)
মুআনাকা যেভাবে করতে হয়
মুআনাকা তথা কোলাকুলি করার সুন্নত পদ্ধতি হলো একে অপরের ডান ঘাড়ের সঙ্গে ঘাড় মেলানো। বুকের সঙ্গে বুক মিলে গেলে কোনো সমস্যা নেই। তবে মুআনাকা শুধু একবার করতে হয়। তিনবার করার কথা হাদিস বা ফিকহের কোনো কিতাবে উল্লেখ নেই। (আহসানুল ফাতাওয়া: ৯ / ৭৭)
মুআনাকার দোয়া:
মুআনাকা করার সময় পড়তে হয়, ‘আল্লাহুম্মা জিদ মুহাব্বাতি লিল্লাহি ওয়া রাসুলিহি।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আল্লাহ এবং রাসুলের খাতিরে আমাদের পারস্পরিক ভালোবাসা বৃদ্ধি করে দিন। (জামেউস সুনান: ১৫৯)
মুআনাকা মুমিনদের হৃদয়ের সংযোগ বৃদ্ধি করে, সম্পর্কের মধ্যে আন্তরিকতা গড়ে তোলে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির একটি মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায়। আসুন, আমরা নবীজি (সা.)-এর এই সুন্দর সুন্নাহকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করি এবং মুসলিম সমাজে ভ্রাতৃত্বের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনি।
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৪ ঘণ্টা আগেআত্মীয়তার বন্ধন আছে বলেই পৃথিবী এত সুন্দর। পারস্পরিক সম্পর্কের এ বন্ধন না থাকলে হয়তো পৃথিবীর রূপ ভিন্ন থাকত। মা তার সন্তানের প্রতি, ভাই তার ভাইয়ের প্রতি, স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার যে রূপ আমরা দেখতে পাই—তা হয়তো থাকত না। কোরআন ও হাদিসে আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেজুলুম আরবি শব্দ। জুলুমের অর্থ ব্যাপক এবং অনেক বিস্তৃত। সাধারণত জুলুম অর্থ নির্যাতন, নিপীড়ন। শরিয়তের পরিভাষায় জুলুম বলা হয়—কোনো উপযুক্ত জিনিসকে উপযুক্ত স্থানে না রেখে অনুপযুক্ত স্থানে রাখা। যে জুলুম করে তাকে জালিম বলা হয়। মানুষ বিভিন্ন পদ্ধতিতে একজন অন্যজনের ওপর জুলুম করে।
১৯ ঘণ্টা আগেমা-বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ এবং নিরাপদ আশ্রয়স্থল। তাঁদের আদর-সোহাগে আমাদের জীবনের ভিত্তি রচিত হয়। তাঁদের ত্যাগ ও পরিশ্রমে গড়ে ওঠে সুন্দর ভবিষ্যৎ। তাঁদের ভরসায় আমরা শক্তি পাই এবং তাঁদের দোয়ায় জীবন সার্থক হয়। ইসলাম তাই মা-বাবাকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে এবং তাঁদের প্রতি সদাচরণকে আল্লাহ তাআলার ইবাদতের
১ দিন আগে