ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

হজরত ইবরাহিম (আ.) সর্বপ্রথম হজের প্রবর্তন করেন। হজ প্রবর্তনের আগে ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে পুত্র ইসমাইল (আ.)কে সঙ্গে নিয়ে পুনর্নির্মাণ করেন কাবাঘর। পুনর্নির্মাণ শেষ হলে ইবরাহিম (আ.)-এর প্রতি নির্দেশ হলো হজব্রত পালনের। আল্লাহ তাআলা জিবরাইল মারফত তাঁকে হজের সব আহকাম সম্পর্কে অবহিত করেন। ইবরাহিম (আ.) তাঁর পুত্র ইসমাইল (আ.)কে নিয়ে কাবাঘর সাতবার তাওয়াফ করেন, চুম্বন করেন হাজরে আসওয়াদ এবং একে একে সম্পন্ন করেন হজের সব আহকাম।
এরপর আল্লাহর নির্দেশ এল হজের দাওয়াত বিশ্ববাসীকে পৌঁছে দেওয়ার। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘স্মরণ করো, যখন আমি ইবরাহিমকে (পবিত্র) ঘরের স্থান চিহ্নিত করে দিয়েছিলাম—(তখন বলেছিলাম) আমার সঙ্গে কোনো কিছু শরিক করবে না। আর আমার ঘর পবিত্র রাখবে তাওয়াফকারী, নামাজ আদায়কারী, রুকুকারী ও সিজদাকারীদের জন্য। আর মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা দাও, তারা তোমার কাছে আসবে হেঁটে, আর সব (পথ ক্লান্ত) শীর্ণ উটের পিঠে, বহু দূরের গভীর পর্বতসংকুল পথ বেয়ে।’ (সুরা হজ: ২৬-২৭)।
আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী তিনি সেই ঘোষণা দিলে আল্লাহ তাআলা কুদরতিভাবে তা জড়জগতের সীমা অতিক্রম করে রুহানি জগৎ পর্যন্ত পৌঁছে দেন। এভাবেই মক্কা পরিণত হলো হজব্রত পালনের ক্ষেত্রস্থল হিসেবে।
আবার একই বাণী প্রতিধ্বনিত হয়েছে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ভাষায়। সাহাবি আবু সাইদ (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.) আমাদের লক্ষ্য করে বললেন, আল্লাহ তোমাদের প্রতি হজ ফরজ করেছেন। সুতরাং তোমরা হজ করো।’ (সহিহ্ মুসলিম)
তবে নানা সময়ে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটনার কারণে মুসলমানেরা হজ পালনে বাধাগ্রস্ত হন। কারবালার হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে ৬৩ হিজরিতে। হোসাইন (রা.)কে হত্যা করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করে নেয় ইয়াজিদ। ক্ষমতার শুরু থেকেই মক্কা-মদিনায় নির্মম গণহত্যা চালাতে থাকে সে। এর ঠিক ১০ বছর পর ৭৩ হিজরি, অর্থাৎ ৬৯৩ খ্রিষ্টাব্দে খলিফা আবদুল মালিক বিন মারওয়ানের নির্দেশে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ বায়তুল্লাহ অবরোধ করেন।
সেখানে হজরত আবু বকর (রা.)-এর নাতি হজরত আসমা (রা.)-এর ছেলে আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রা.) আত্মগোপন করে ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন ন্যায়নিষ্ঠ সাহাবি। পাপিষ্ঠ মারওয়ান যখন জানতে পারল ন্যায়নিষ্ঠ এই সাহাবি কাবা শরিফে আত্মগোপন করে আছেন, তখন তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য কাবাঘরে সাময়িক সময়ের জন্য তাওয়াফ এবং ওমরাহ হজের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। শুধু তাই নয়, মারওয়ান কাবাঘরের একাংশ ভেঙে ফেলে শুধু এ জন্য যে—ওই অংশ নির্মাণ করেছিলেন মজলুম সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রা.)।
ইরাকের আব্বাসি শাসক ও মিসরে উবায়াদি শাসকদের দুর্বলতার সুযোগে কারামিয়া শাসকেরা আরব উপদ্বীপের পূর্ব দিকে বাহরাইনে একটি রাষ্ট্র গঠন করে। তাদের বিশ্বাস ছিল, হজ জাহেলি যুগের একটি নিদর্শন। হজ অনেকটা মূর্তিপূজার মতোই। তাই ইসলামের ফরজ বিধান হজ বন্ধ করতে কারামিয়া শাসকেরা তৎপর হয়ে ওঠে। ৩১৭ হিজরি ৯৩০ খ্রিষ্টাব্দ ছিল মুসলমানদের বেদনাদায়ক ইতিহাস। বাহরাইনের শাসক আবু তাহের কারামিয়ার নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী হাজিদের কাফেলায় আক্রমণ করে। অনেক নারী-পুরুষ হত্যা করে এবং তাদের সম্পদ ছিনিয়ে নেয়। ইরাক ও সিরিয়া থেকে মক্কায় আসার পথে তারা আতঙ্ক তৈরি করে। ফলে ৩১৭ হিজরি থেকে ৩২৭ হিজরি পর্যন্ত মোট ১৯ বছর হজের কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
মুসলিম ঐতিহাসিক আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) ‘আল বিদায়া ওয়ান নেহায়া’য় লেখেন, ৩৫৭ হিজরিতে মক্কায় মাশিরি নামের একটি রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় হাজিদের বেশির ভাগ লোকই ওই রোগে মৃত্যুবরণ করেন। কেউ কেউ মক্কায় আসার পথে পিপাসায় কাতর হয়ে মারা যান। আর অনেকে হজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে মারা যান।
ইমাম ইবনে জাওজি (রহ.) ‘আল মুনতাজা’ গ্রন্থে লেখেন, ৩৭২ হিজরিতে আব্বাসি খলিফা ও মিসরের উবাইদি শাসনের মধ্যে সংঘাত হয়। ফলে ৩৭২ থেকে ৩৮০ হিজরি পর্যন্ত মোট আট বছর ইরাকের কেউ হজ করতে পারেননি। ৪১৭ হিজরিতে মিসর ও প্রাচ্যের কারও পক্ষে হজ করা সম্ভব হয়নি। ৪২১ হিজরিতে ইরাক ছাড়া অন্যরা হজে অংশ নিতে পারেন। ৪৩০ হিজরিতে ইরাক, খোরাসান, শাম ও মিসরের কেউ হজ করতে পারেননি। কারণ এ সময় দাজলা নদীসহ অন্যান্য বড় নদীর পানি বরফে পরিণত হয়। ফলে মানুষের চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে।
৪৯২ হিজরিতে মুসলিম বিশ্বের শাসকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘাত দেখা দেয়। এতে মক্কায় যাওয়ার পথ অনিরাপদ হয়ে পড়ে। ফিলিস্তিনের বায়তুল মোকাদ্দাস খ্রিষ্টানদের দখলে যাওয়ার পাঁচ বছর আগে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
১০৩৮ হিজরি ১৬২৯ খ্রিষ্টাব্দে মক্কায় ব্যাপক বন্যা হয়। ফলে কাবার দেয়াল ভেঙে পড়ে। সুলতান চতুর্থ মুরাদের নির্দেশে কাবা পুনর্নির্মাণের সময় হজ ও ওমরাহর কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
১২১৩ হিজরিতে ফরাসিদের আক্রমণের ফলে নিরাপত্তা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। ফলে ওই বছর হজও বন্ধ থাকে।
১৮৩০ খ্রিষ্টাব্দে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে তিন-চতুর্থাংশ হাজি মারা যায়। এ ছাড়া আরও কিছু মহামারির কারণে ১৮৩৭ থেকে ১৮৯২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত দীর্ঘদিন মক্কায় হাজিদের আগমন বন্ধ থাকে।

হজরত ইবরাহিম (আ.) সর্বপ্রথম হজের প্রবর্তন করেন। হজ প্রবর্তনের আগে ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে পুত্র ইসমাইল (আ.)কে সঙ্গে নিয়ে পুনর্নির্মাণ করেন কাবাঘর। পুনর্নির্মাণ শেষ হলে ইবরাহিম (আ.)-এর প্রতি নির্দেশ হলো হজব্রত পালনের। আল্লাহ তাআলা জিবরাইল মারফত তাঁকে হজের সব আহকাম সম্পর্কে অবহিত করেন। ইবরাহিম (আ.) তাঁর পুত্র ইসমাইল (আ.)কে নিয়ে কাবাঘর সাতবার তাওয়াফ করেন, চুম্বন করেন হাজরে আসওয়াদ এবং একে একে সম্পন্ন করেন হজের সব আহকাম।
এরপর আল্লাহর নির্দেশ এল হজের দাওয়াত বিশ্ববাসীকে পৌঁছে দেওয়ার। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘স্মরণ করো, যখন আমি ইবরাহিমকে (পবিত্র) ঘরের স্থান চিহ্নিত করে দিয়েছিলাম—(তখন বলেছিলাম) আমার সঙ্গে কোনো কিছু শরিক করবে না। আর আমার ঘর পবিত্র রাখবে তাওয়াফকারী, নামাজ আদায়কারী, রুকুকারী ও সিজদাকারীদের জন্য। আর মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা দাও, তারা তোমার কাছে আসবে হেঁটে, আর সব (পথ ক্লান্ত) শীর্ণ উটের পিঠে, বহু দূরের গভীর পর্বতসংকুল পথ বেয়ে।’ (সুরা হজ: ২৬-২৭)।
আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী তিনি সেই ঘোষণা দিলে আল্লাহ তাআলা কুদরতিভাবে তা জড়জগতের সীমা অতিক্রম করে রুহানি জগৎ পর্যন্ত পৌঁছে দেন। এভাবেই মক্কা পরিণত হলো হজব্রত পালনের ক্ষেত্রস্থল হিসেবে।
আবার একই বাণী প্রতিধ্বনিত হয়েছে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ভাষায়। সাহাবি আবু সাইদ (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.) আমাদের লক্ষ্য করে বললেন, আল্লাহ তোমাদের প্রতি হজ ফরজ করেছেন। সুতরাং তোমরা হজ করো।’ (সহিহ্ মুসলিম)
তবে নানা সময়ে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটনার কারণে মুসলমানেরা হজ পালনে বাধাগ্রস্ত হন। কারবালার হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে ৬৩ হিজরিতে। হোসাইন (রা.)কে হত্যা করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করে নেয় ইয়াজিদ। ক্ষমতার শুরু থেকেই মক্কা-মদিনায় নির্মম গণহত্যা চালাতে থাকে সে। এর ঠিক ১০ বছর পর ৭৩ হিজরি, অর্থাৎ ৬৯৩ খ্রিষ্টাব্দে খলিফা আবদুল মালিক বিন মারওয়ানের নির্দেশে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ বায়তুল্লাহ অবরোধ করেন।
সেখানে হজরত আবু বকর (রা.)-এর নাতি হজরত আসমা (রা.)-এর ছেলে আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রা.) আত্মগোপন করে ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন ন্যায়নিষ্ঠ সাহাবি। পাপিষ্ঠ মারওয়ান যখন জানতে পারল ন্যায়নিষ্ঠ এই সাহাবি কাবা শরিফে আত্মগোপন করে আছেন, তখন তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য কাবাঘরে সাময়িক সময়ের জন্য তাওয়াফ এবং ওমরাহ হজের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। শুধু তাই নয়, মারওয়ান কাবাঘরের একাংশ ভেঙে ফেলে শুধু এ জন্য যে—ওই অংশ নির্মাণ করেছিলেন মজলুম সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রা.)।
ইরাকের আব্বাসি শাসক ও মিসরে উবায়াদি শাসকদের দুর্বলতার সুযোগে কারামিয়া শাসকেরা আরব উপদ্বীপের পূর্ব দিকে বাহরাইনে একটি রাষ্ট্র গঠন করে। তাদের বিশ্বাস ছিল, হজ জাহেলি যুগের একটি নিদর্শন। হজ অনেকটা মূর্তিপূজার মতোই। তাই ইসলামের ফরজ বিধান হজ বন্ধ করতে কারামিয়া শাসকেরা তৎপর হয়ে ওঠে। ৩১৭ হিজরি ৯৩০ খ্রিষ্টাব্দ ছিল মুসলমানদের বেদনাদায়ক ইতিহাস। বাহরাইনের শাসক আবু তাহের কারামিয়ার নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী হাজিদের কাফেলায় আক্রমণ করে। অনেক নারী-পুরুষ হত্যা করে এবং তাদের সম্পদ ছিনিয়ে নেয়। ইরাক ও সিরিয়া থেকে মক্কায় আসার পথে তারা আতঙ্ক তৈরি করে। ফলে ৩১৭ হিজরি থেকে ৩২৭ হিজরি পর্যন্ত মোট ১৯ বছর হজের কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
মুসলিম ঐতিহাসিক আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) ‘আল বিদায়া ওয়ান নেহায়া’য় লেখেন, ৩৫৭ হিজরিতে মক্কায় মাশিরি নামের একটি রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় হাজিদের বেশির ভাগ লোকই ওই রোগে মৃত্যুবরণ করেন। কেউ কেউ মক্কায় আসার পথে পিপাসায় কাতর হয়ে মারা যান। আর অনেকে হজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে মারা যান।
ইমাম ইবনে জাওজি (রহ.) ‘আল মুনতাজা’ গ্রন্থে লেখেন, ৩৭২ হিজরিতে আব্বাসি খলিফা ও মিসরের উবাইদি শাসনের মধ্যে সংঘাত হয়। ফলে ৩৭২ থেকে ৩৮০ হিজরি পর্যন্ত মোট আট বছর ইরাকের কেউ হজ করতে পারেননি। ৪১৭ হিজরিতে মিসর ও প্রাচ্যের কারও পক্ষে হজ করা সম্ভব হয়নি। ৪২১ হিজরিতে ইরাক ছাড়া অন্যরা হজে অংশ নিতে পারেন। ৪৩০ হিজরিতে ইরাক, খোরাসান, শাম ও মিসরের কেউ হজ করতে পারেননি। কারণ এ সময় দাজলা নদীসহ অন্যান্য বড় নদীর পানি বরফে পরিণত হয়। ফলে মানুষের চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে।
৪৯২ হিজরিতে মুসলিম বিশ্বের শাসকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘাত দেখা দেয়। এতে মক্কায় যাওয়ার পথ অনিরাপদ হয়ে পড়ে। ফিলিস্তিনের বায়তুল মোকাদ্দাস খ্রিষ্টানদের দখলে যাওয়ার পাঁচ বছর আগে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
১০৩৮ হিজরি ১৬২৯ খ্রিষ্টাব্দে মক্কায় ব্যাপক বন্যা হয়। ফলে কাবার দেয়াল ভেঙে পড়ে। সুলতান চতুর্থ মুরাদের নির্দেশে কাবা পুনর্নির্মাণের সময় হজ ও ওমরাহর কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
১২১৩ হিজরিতে ফরাসিদের আক্রমণের ফলে নিরাপত্তা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। ফলে ওই বছর হজও বন্ধ থাকে।
১৮৩০ খ্রিষ্টাব্দে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে তিন-চতুর্থাংশ হাজি মারা যায়। এ ছাড়া আরও কিছু মহামারির কারণে ১৮৩৭ থেকে ১৮৯২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত দীর্ঘদিন মক্কায় হাজিদের আগমন বন্ধ থাকে।
ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

হজরত ইবরাহিম (আ.) সর্বপ্রথম হজের প্রবর্তন করেন। হজ প্রবর্তনের আগে ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে পুত্র ইসমাইল (আ.)কে সঙ্গে নিয়ে পুনর্নির্মাণ করেন কাবাঘর। পুনর্নির্মাণ শেষ হলে ইবরাহিম (আ.)-এর প্রতি নির্দেশ হলো হজব্রত পালনের। আল্লাহ তাআলা জিবরাইল মারফত তাঁকে হজের সব আহকাম সম্পর্কে অবহিত করেন। ইবরাহিম (আ.) তাঁর পুত্র ইসমাইল (আ.)কে নিয়ে কাবাঘর সাতবার তাওয়াফ করেন, চুম্বন করেন হাজরে আসওয়াদ এবং একে একে সম্পন্ন করেন হজের সব আহকাম।
এরপর আল্লাহর নির্দেশ এল হজের দাওয়াত বিশ্ববাসীকে পৌঁছে দেওয়ার। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘স্মরণ করো, যখন আমি ইবরাহিমকে (পবিত্র) ঘরের স্থান চিহ্নিত করে দিয়েছিলাম—(তখন বলেছিলাম) আমার সঙ্গে কোনো কিছু শরিক করবে না। আর আমার ঘর পবিত্র রাখবে তাওয়াফকারী, নামাজ আদায়কারী, রুকুকারী ও সিজদাকারীদের জন্য। আর মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা দাও, তারা তোমার কাছে আসবে হেঁটে, আর সব (পথ ক্লান্ত) শীর্ণ উটের পিঠে, বহু দূরের গভীর পর্বতসংকুল পথ বেয়ে।’ (সুরা হজ: ২৬-২৭)।
আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী তিনি সেই ঘোষণা দিলে আল্লাহ তাআলা কুদরতিভাবে তা জড়জগতের সীমা অতিক্রম করে রুহানি জগৎ পর্যন্ত পৌঁছে দেন। এভাবেই মক্কা পরিণত হলো হজব্রত পালনের ক্ষেত্রস্থল হিসেবে।
আবার একই বাণী প্রতিধ্বনিত হয়েছে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ভাষায়। সাহাবি আবু সাইদ (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.) আমাদের লক্ষ্য করে বললেন, আল্লাহ তোমাদের প্রতি হজ ফরজ করেছেন। সুতরাং তোমরা হজ করো।’ (সহিহ্ মুসলিম)
তবে নানা সময়ে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটনার কারণে মুসলমানেরা হজ পালনে বাধাগ্রস্ত হন। কারবালার হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে ৬৩ হিজরিতে। হোসাইন (রা.)কে হত্যা করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করে নেয় ইয়াজিদ। ক্ষমতার শুরু থেকেই মক্কা-মদিনায় নির্মম গণহত্যা চালাতে থাকে সে। এর ঠিক ১০ বছর পর ৭৩ হিজরি, অর্থাৎ ৬৯৩ খ্রিষ্টাব্দে খলিফা আবদুল মালিক বিন মারওয়ানের নির্দেশে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ বায়তুল্লাহ অবরোধ করেন।
সেখানে হজরত আবু বকর (রা.)-এর নাতি হজরত আসমা (রা.)-এর ছেলে আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রা.) আত্মগোপন করে ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন ন্যায়নিষ্ঠ সাহাবি। পাপিষ্ঠ মারওয়ান যখন জানতে পারল ন্যায়নিষ্ঠ এই সাহাবি কাবা শরিফে আত্মগোপন করে আছেন, তখন তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য কাবাঘরে সাময়িক সময়ের জন্য তাওয়াফ এবং ওমরাহ হজের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। শুধু তাই নয়, মারওয়ান কাবাঘরের একাংশ ভেঙে ফেলে শুধু এ জন্য যে—ওই অংশ নির্মাণ করেছিলেন মজলুম সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রা.)।
ইরাকের আব্বাসি শাসক ও মিসরে উবায়াদি শাসকদের দুর্বলতার সুযোগে কারামিয়া শাসকেরা আরব উপদ্বীপের পূর্ব দিকে বাহরাইনে একটি রাষ্ট্র গঠন করে। তাদের বিশ্বাস ছিল, হজ জাহেলি যুগের একটি নিদর্শন। হজ অনেকটা মূর্তিপূজার মতোই। তাই ইসলামের ফরজ বিধান হজ বন্ধ করতে কারামিয়া শাসকেরা তৎপর হয়ে ওঠে। ৩১৭ হিজরি ৯৩০ খ্রিষ্টাব্দ ছিল মুসলমানদের বেদনাদায়ক ইতিহাস। বাহরাইনের শাসক আবু তাহের কারামিয়ার নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী হাজিদের কাফেলায় আক্রমণ করে। অনেক নারী-পুরুষ হত্যা করে এবং তাদের সম্পদ ছিনিয়ে নেয়। ইরাক ও সিরিয়া থেকে মক্কায় আসার পথে তারা আতঙ্ক তৈরি করে। ফলে ৩১৭ হিজরি থেকে ৩২৭ হিজরি পর্যন্ত মোট ১৯ বছর হজের কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
মুসলিম ঐতিহাসিক আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) ‘আল বিদায়া ওয়ান নেহায়া’য় লেখেন, ৩৫৭ হিজরিতে মক্কায় মাশিরি নামের একটি রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় হাজিদের বেশির ভাগ লোকই ওই রোগে মৃত্যুবরণ করেন। কেউ কেউ মক্কায় আসার পথে পিপাসায় কাতর হয়ে মারা যান। আর অনেকে হজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে মারা যান।
ইমাম ইবনে জাওজি (রহ.) ‘আল মুনতাজা’ গ্রন্থে লেখেন, ৩৭২ হিজরিতে আব্বাসি খলিফা ও মিসরের উবাইদি শাসনের মধ্যে সংঘাত হয়। ফলে ৩৭২ থেকে ৩৮০ হিজরি পর্যন্ত মোট আট বছর ইরাকের কেউ হজ করতে পারেননি। ৪১৭ হিজরিতে মিসর ও প্রাচ্যের কারও পক্ষে হজ করা সম্ভব হয়নি। ৪২১ হিজরিতে ইরাক ছাড়া অন্যরা হজে অংশ নিতে পারেন। ৪৩০ হিজরিতে ইরাক, খোরাসান, শাম ও মিসরের কেউ হজ করতে পারেননি। কারণ এ সময় দাজলা নদীসহ অন্যান্য বড় নদীর পানি বরফে পরিণত হয়। ফলে মানুষের চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে।
৪৯২ হিজরিতে মুসলিম বিশ্বের শাসকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘাত দেখা দেয়। এতে মক্কায় যাওয়ার পথ অনিরাপদ হয়ে পড়ে। ফিলিস্তিনের বায়তুল মোকাদ্দাস খ্রিষ্টানদের দখলে যাওয়ার পাঁচ বছর আগে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
১০৩৮ হিজরি ১৬২৯ খ্রিষ্টাব্দে মক্কায় ব্যাপক বন্যা হয়। ফলে কাবার দেয়াল ভেঙে পড়ে। সুলতান চতুর্থ মুরাদের নির্দেশে কাবা পুনর্নির্মাণের সময় হজ ও ওমরাহর কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
১২১৩ হিজরিতে ফরাসিদের আক্রমণের ফলে নিরাপত্তা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। ফলে ওই বছর হজও বন্ধ থাকে।
১৮৩০ খ্রিষ্টাব্দে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে তিন-চতুর্থাংশ হাজি মারা যায়। এ ছাড়া আরও কিছু মহামারির কারণে ১৮৩৭ থেকে ১৮৯২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত দীর্ঘদিন মক্কায় হাজিদের আগমন বন্ধ থাকে।

হজরত ইবরাহিম (আ.) সর্বপ্রথম হজের প্রবর্তন করেন। হজ প্রবর্তনের আগে ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে পুত্র ইসমাইল (আ.)কে সঙ্গে নিয়ে পুনর্নির্মাণ করেন কাবাঘর। পুনর্নির্মাণ শেষ হলে ইবরাহিম (আ.)-এর প্রতি নির্দেশ হলো হজব্রত পালনের। আল্লাহ তাআলা জিবরাইল মারফত তাঁকে হজের সব আহকাম সম্পর্কে অবহিত করেন। ইবরাহিম (আ.) তাঁর পুত্র ইসমাইল (আ.)কে নিয়ে কাবাঘর সাতবার তাওয়াফ করেন, চুম্বন করেন হাজরে আসওয়াদ এবং একে একে সম্পন্ন করেন হজের সব আহকাম।
এরপর আল্লাহর নির্দেশ এল হজের দাওয়াত বিশ্ববাসীকে পৌঁছে দেওয়ার। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘স্মরণ করো, যখন আমি ইবরাহিমকে (পবিত্র) ঘরের স্থান চিহ্নিত করে দিয়েছিলাম—(তখন বলেছিলাম) আমার সঙ্গে কোনো কিছু শরিক করবে না। আর আমার ঘর পবিত্র রাখবে তাওয়াফকারী, নামাজ আদায়কারী, রুকুকারী ও সিজদাকারীদের জন্য। আর মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা দাও, তারা তোমার কাছে আসবে হেঁটে, আর সব (পথ ক্লান্ত) শীর্ণ উটের পিঠে, বহু দূরের গভীর পর্বতসংকুল পথ বেয়ে।’ (সুরা হজ: ২৬-২৭)।
আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী তিনি সেই ঘোষণা দিলে আল্লাহ তাআলা কুদরতিভাবে তা জড়জগতের সীমা অতিক্রম করে রুহানি জগৎ পর্যন্ত পৌঁছে দেন। এভাবেই মক্কা পরিণত হলো হজব্রত পালনের ক্ষেত্রস্থল হিসেবে।
আবার একই বাণী প্রতিধ্বনিত হয়েছে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ভাষায়। সাহাবি আবু সাইদ (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.) আমাদের লক্ষ্য করে বললেন, আল্লাহ তোমাদের প্রতি হজ ফরজ করেছেন। সুতরাং তোমরা হজ করো।’ (সহিহ্ মুসলিম)
তবে নানা সময়ে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটনার কারণে মুসলমানেরা হজ পালনে বাধাগ্রস্ত হন। কারবালার হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে ৬৩ হিজরিতে। হোসাইন (রা.)কে হত্যা করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করে নেয় ইয়াজিদ। ক্ষমতার শুরু থেকেই মক্কা-মদিনায় নির্মম গণহত্যা চালাতে থাকে সে। এর ঠিক ১০ বছর পর ৭৩ হিজরি, অর্থাৎ ৬৯৩ খ্রিষ্টাব্দে খলিফা আবদুল মালিক বিন মারওয়ানের নির্দেশে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ বায়তুল্লাহ অবরোধ করেন।
সেখানে হজরত আবু বকর (রা.)-এর নাতি হজরত আসমা (রা.)-এর ছেলে আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রা.) আত্মগোপন করে ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন ন্যায়নিষ্ঠ সাহাবি। পাপিষ্ঠ মারওয়ান যখন জানতে পারল ন্যায়নিষ্ঠ এই সাহাবি কাবা শরিফে আত্মগোপন করে আছেন, তখন তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য কাবাঘরে সাময়িক সময়ের জন্য তাওয়াফ এবং ওমরাহ হজের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। শুধু তাই নয়, মারওয়ান কাবাঘরের একাংশ ভেঙে ফেলে শুধু এ জন্য যে—ওই অংশ নির্মাণ করেছিলেন মজলুম সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রা.)।
ইরাকের আব্বাসি শাসক ও মিসরে উবায়াদি শাসকদের দুর্বলতার সুযোগে কারামিয়া শাসকেরা আরব উপদ্বীপের পূর্ব দিকে বাহরাইনে একটি রাষ্ট্র গঠন করে। তাদের বিশ্বাস ছিল, হজ জাহেলি যুগের একটি নিদর্শন। হজ অনেকটা মূর্তিপূজার মতোই। তাই ইসলামের ফরজ বিধান হজ বন্ধ করতে কারামিয়া শাসকেরা তৎপর হয়ে ওঠে। ৩১৭ হিজরি ৯৩০ খ্রিষ্টাব্দ ছিল মুসলমানদের বেদনাদায়ক ইতিহাস। বাহরাইনের শাসক আবু তাহের কারামিয়ার নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী হাজিদের কাফেলায় আক্রমণ করে। অনেক নারী-পুরুষ হত্যা করে এবং তাদের সম্পদ ছিনিয়ে নেয়। ইরাক ও সিরিয়া থেকে মক্কায় আসার পথে তারা আতঙ্ক তৈরি করে। ফলে ৩১৭ হিজরি থেকে ৩২৭ হিজরি পর্যন্ত মোট ১৯ বছর হজের কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
মুসলিম ঐতিহাসিক আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) ‘আল বিদায়া ওয়ান নেহায়া’য় লেখেন, ৩৫৭ হিজরিতে মক্কায় মাশিরি নামের একটি রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় হাজিদের বেশির ভাগ লোকই ওই রোগে মৃত্যুবরণ করেন। কেউ কেউ মক্কায় আসার পথে পিপাসায় কাতর হয়ে মারা যান। আর অনেকে হজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে মারা যান।
ইমাম ইবনে জাওজি (রহ.) ‘আল মুনতাজা’ গ্রন্থে লেখেন, ৩৭২ হিজরিতে আব্বাসি খলিফা ও মিসরের উবাইদি শাসনের মধ্যে সংঘাত হয়। ফলে ৩৭২ থেকে ৩৮০ হিজরি পর্যন্ত মোট আট বছর ইরাকের কেউ হজ করতে পারেননি। ৪১৭ হিজরিতে মিসর ও প্রাচ্যের কারও পক্ষে হজ করা সম্ভব হয়নি। ৪২১ হিজরিতে ইরাক ছাড়া অন্যরা হজে অংশ নিতে পারেন। ৪৩০ হিজরিতে ইরাক, খোরাসান, শাম ও মিসরের কেউ হজ করতে পারেননি। কারণ এ সময় দাজলা নদীসহ অন্যান্য বড় নদীর পানি বরফে পরিণত হয়। ফলে মানুষের চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে।
৪৯২ হিজরিতে মুসলিম বিশ্বের শাসকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘাত দেখা দেয়। এতে মক্কায় যাওয়ার পথ অনিরাপদ হয়ে পড়ে। ফিলিস্তিনের বায়তুল মোকাদ্দাস খ্রিষ্টানদের দখলে যাওয়ার পাঁচ বছর আগে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
১০৩৮ হিজরি ১৬২৯ খ্রিষ্টাব্দে মক্কায় ব্যাপক বন্যা হয়। ফলে কাবার দেয়াল ভেঙে পড়ে। সুলতান চতুর্থ মুরাদের নির্দেশে কাবা পুনর্নির্মাণের সময় হজ ও ওমরাহর কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
১২১৩ হিজরিতে ফরাসিদের আক্রমণের ফলে নিরাপত্তা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। ফলে ওই বছর হজও বন্ধ থাকে।
১৮৩০ খ্রিষ্টাব্দে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে তিন-চতুর্থাংশ হাজি মারা যায়। এ ছাড়া আরও কিছু মহামারির কারণে ১৮৩৭ থেকে ১৮৯২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত দীর্ঘদিন মক্কায় হাজিদের আগমন বন্ধ থাকে।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

হজরত ইবরাহিম (আ.) সর্বপ্রথম হজের প্রবর্তন করেন। হজ প্রবর্তনের আগে ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে সঙ্গে নিয়ে পুনর্নির্মাণ করেন কাবাঘর। পুনর্নির্মাণ শেষ হলে ইবরাহিম (আ.)-এর প্রতি নির্দেশ হলো হজব্রত পালনের।
০৩ মে ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

হজরত ইবরাহিম (আ.) সর্বপ্রথম হজের প্রবর্তন করেন। হজ প্রবর্তনের আগে ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে সঙ্গে নিয়ে পুনর্নির্মাণ করেন কাবাঘর। পুনর্নির্মাণ শেষ হলে ইবরাহিম (আ.)-এর প্রতি নির্দেশ হলো হজব্রত পালনের।
০৩ মে ২০২৫
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৬ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

হজরত ইবরাহিম (আ.) সর্বপ্রথম হজের প্রবর্তন করেন। হজ প্রবর্তনের আগে ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে সঙ্গে নিয়ে পুনর্নির্মাণ করেন কাবাঘর। পুনর্নির্মাণ শেষ হলে ইবরাহিম (আ.)-এর প্রতি নির্দেশ হলো হজব্রত পালনের।
০৩ মে ২০২৫
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

হজরত ইবরাহিম (আ.) সর্বপ্রথম হজের প্রবর্তন করেন। হজ প্রবর্তনের আগে ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে সঙ্গে নিয়ে পুনর্নির্মাণ করেন কাবাঘর। পুনর্নির্মাণ শেষ হলে ইবরাহিম (আ.)-এর প্রতি নির্দেশ হলো হজব্রত পালনের।
০৩ মে ২০২৫
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে