Ajker Patrika

কন্যাসন্তান সৌভাগ্যের প্রতীক

মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কন্যাসন্তান আল্লাহর শ্রেষ্ঠতম উপহার। কোরআন-হাদিসে তাদের আল্লাহর রহমত ও সৌভাগ্যের প্রতীক বলা হয়েছে। তাদের অভিশাপ মনে করা জাহেলি যুগের প্রথা। সে যুগে লোকলজ্জার ভয়ে তাদের জীবন্ত দাফন করা হতো। ইসলাম সেই কুসংস্কার রহিত করে। কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করাকে সুসংবাদ বলে অভিহিত করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন তাদের কাউকে কন্যাসন্তানের সুসংবাদ দেওয়া হয়...।’ (সুরা নাহল: ৫৮)

কন্যাসন্তান সৌভাগ্যের প্রতীক। সাহাবি ওয়াসিলা বিন আসকা (রা.) বলেন, ‘কন্যাসন্তান মা-বাবার সৌভাগ্যের নিদর্শন। কারণ কোরআনে আল্লাহ তাআলা কন্যাসন্তান দেওয়ার কথা প্রথমে উল্লেখ করে বলেন, “তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যাসন্তান দেন এবং যাকে ইচ্ছা পুত্রসন্তান দেন। অথবা যাকে ইচ্ছা পুত্র-কন্যা উভয়টিই দেন এবং যাকে ইচ্ছা নিঃসন্তান রাখেন।’ (সুরা শুরা: ৫০-৫১; তাফসিরে কুরতুবি)

কন্যাসন্তান জাহান্নাম থেকে মুক্তির উপায়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যাকে কন্যাসন্তান দেওয়া হয় এবং সে তাদের উত্তমভাবে লালন-পালন করে, তার জন্য তারা জাহান্নাম থেকে মুক্তির উপায় হবে।’ (বুখারি ও মুসলিম) অন্য হাদিসে তিনি বলেন, ‘যার তিনটি মেয়ে আছে এবং তাদের জন্য বিয়ে কিংবা মৃত্যু পর্যন্ত খরচ করে, তার জন্য তারা জাহান্নাম থেকে মুক্তির কারণ হবে।’ তখন এক নারী জিজ্ঞেস করলেন, ‘আর দুইটি থাকলে?’ তিনি বলেন, ‘দুইটি থাকলেও।’ (শুআবুল ইমান)

কন্যাসন্তান জান্নাতে যাওয়ার মাধ্যম। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যার ঘরে কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করে, এরপর সে তাকে কষ্ট দেয়নি, মেয়ে হওয়ায় তার প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেনি এবং পুত্রসন্তানকে তার ওপর প্রাধান্য দেয়নি, আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ (মুসনাদে আহমদ) এটুকুই নয়, কন্যাসন্তানের সমাদর জান্নাতে মহানবী (সা.)-এর সান্নিধ্য লাভের মাধ্যম হবে বলেও হাদিসে এসেছে।

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত, যুদ্ধ চলমান: আইএসপিআর

আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় বিএনপির প্রার্থীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...