মুফতি শাব্বির আহমদ
অজু দৈনন্দিন জীবনে একাধিকবার ফিরে আসা এক পবিত্র চর্চা। যাঁরা অজুকে গুরুত্ব দেন, নিয়মিত অজু অবস্থায় থাকার চেষ্টা করেন, তাঁদের জন্য রয়েছে দুনিয়ায় শান্তি ও আখিরাতে মুক্তির প্রতিশ্রুতি। অজু নামাজের পূর্বশর্ত। এটি শুধু শরীর ধোয়ার একটি প্রক্রিয়া নয়, বরং আত্মিক ও শারীরিক পবিত্রতার সম্মিলিত একটি প্রতীক। অজুর মাধ্যমে একজন মুসলিম নামাজের জন্য শারীরিকভাবে প্রস্তুত হন এবং পাশাপাশি আল্লাহর কাছে দাঁড়ানোর মানসিক প্রশান্তিও লাভ করেন।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা যখন নামাজের জন্য দাঁড়াতে চাও, তখন তোমাদের মুখমণ্ডল ও কনুই পর্যন্ত হাত ধুয়ে নাও, মাথায় মাসেহ করো এবং পায়ের টাখনু পর্যন্ত ধুয়ে নাও।’ (সুরা মায়িদা: ৬)। এ আয়াত থেকেই স্পষ্ট বোঝা যায়, অজু নামাজের পূর্বশর্ত। অজু ছাড়া নামাজ শুদ্ধ হয় না, যতক্ষণ না শরিয়তে অন্য কোনো বিকল্প (যেমন তায়াম্মুম) অনুমোদিত হয়।
অনেকেই সর্দি-কাশির সমস্যায় ভোগেন। অনেক সময় নাক বন্ধ হয়ে যায় এবং পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখা যায়, জমাট বাঁধা রক্তের মতো কিছু বের হয়। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে—এই রক্ত বের হলে অজু নষ্ট হয়ে যায় কি না?
সর্দির কারণে নাক বন্ধ হয়ে থাকলে মাঝে মাঝে নাক ঝাড়ার সময় রক্তের মতো জমাট কিছু বের হতে পারে। ফিকাহবিদগণের মতে, নাক ঝাড়ার সময় এরূপ জমাট রক্ত বের হলে অজু ভঙ্গ হয় না। কারণ, এটি শরীর থেকে এমনভাবে রক্ত নিঃসরণ নয়, যা অজুর শর্ত ভঙ্গ করে।
অজু ভেঙে যায় যে ৭ কারণে: ১. পায়খানা ও প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে কিছু বের হলে। ২. নামাজে উচ্চ স্বরে হাসলে। ৩. মুখ ভরে বমি করলে। ৪. থুতুর সঙ্গে রক্তের ভাগ সমান বা বেশি হলে। ৫. চিৎ বা কাত হয়ে হেলান দিয়ে ঘুমালে। ৬. কিছু সময়ের জন্য বেহুঁশ বা উন্মাদ হলে। ৭. শরীরের যেকোনো জায়গা থেকে রক্ত, পুঁজ বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়লে।
অজু দৈনন্দিন জীবনে একাধিকবার ফিরে আসা এক পবিত্র চর্চা। যাঁরা অজুকে গুরুত্ব দেন, নিয়মিত অজু অবস্থায় থাকার চেষ্টা করেন, তাঁদের জন্য রয়েছে দুনিয়ায় শান্তি ও আখিরাতে মুক্তির প্রতিশ্রুতি। অজু নামাজের পূর্বশর্ত। এটি শুধু শরীর ধোয়ার একটি প্রক্রিয়া নয়, বরং আত্মিক ও শারীরিক পবিত্রতার সম্মিলিত একটি প্রতীক। অজুর মাধ্যমে একজন মুসলিম নামাজের জন্য শারীরিকভাবে প্রস্তুত হন এবং পাশাপাশি আল্লাহর কাছে দাঁড়ানোর মানসিক প্রশান্তিও লাভ করেন।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা যখন নামাজের জন্য দাঁড়াতে চাও, তখন তোমাদের মুখমণ্ডল ও কনুই পর্যন্ত হাত ধুয়ে নাও, মাথায় মাসেহ করো এবং পায়ের টাখনু পর্যন্ত ধুয়ে নাও।’ (সুরা মায়িদা: ৬)। এ আয়াত থেকেই স্পষ্ট বোঝা যায়, অজু নামাজের পূর্বশর্ত। অজু ছাড়া নামাজ শুদ্ধ হয় না, যতক্ষণ না শরিয়তে অন্য কোনো বিকল্প (যেমন তায়াম্মুম) অনুমোদিত হয়।
অনেকেই সর্দি-কাশির সমস্যায় ভোগেন। অনেক সময় নাক বন্ধ হয়ে যায় এবং পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখা যায়, জমাট বাঁধা রক্তের মতো কিছু বের হয়। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে—এই রক্ত বের হলে অজু নষ্ট হয়ে যায় কি না?
সর্দির কারণে নাক বন্ধ হয়ে থাকলে মাঝে মাঝে নাক ঝাড়ার সময় রক্তের মতো জমাট কিছু বের হতে পারে। ফিকাহবিদগণের মতে, নাক ঝাড়ার সময় এরূপ জমাট রক্ত বের হলে অজু ভঙ্গ হয় না। কারণ, এটি শরীর থেকে এমনভাবে রক্ত নিঃসরণ নয়, যা অজুর শর্ত ভঙ্গ করে।
অজু ভেঙে যায় যে ৭ কারণে: ১. পায়খানা ও প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে কিছু বের হলে। ২. নামাজে উচ্চ স্বরে হাসলে। ৩. মুখ ভরে বমি করলে। ৪. থুতুর সঙ্গে রক্তের ভাগ সমান বা বেশি হলে। ৫. চিৎ বা কাত হয়ে হেলান দিয়ে ঘুমালে। ৬. কিছু সময়ের জন্য বেহুঁশ বা উন্মাদ হলে। ৭. শরীরের যেকোনো জায়গা থেকে রক্ত, পুঁজ বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়লে।
মহান আল্লাহ আমাদের একমাত্র রিজিকদাতা। সমগ্র সৃষ্টিকুলের রিজিকের ব্যবস্থা তিনিই করে থাকেন। তাই রিজিকের সন্ধানে দিশেহারা নয়, বরং আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকা জরুরি। কোরআন ও হাদিসের আলোকে ৪টি আমল করলে রিজিক বৃদ্ধি হবে বলে আশা করা যায়।
৩০ মিনিট আগেইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৮ ঘণ্টা আগেআত্মীয়তার বন্ধন আছে বলেই পৃথিবী এত সুন্দর। পারস্পরিক সম্পর্কের এ বন্ধন না থাকলে হয়তো পৃথিবীর রূপ ভিন্ন থাকত। মা তার সন্তানের প্রতি, ভাই তার ভাইয়ের প্রতি, স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার যে রূপ আমরা দেখতে পাই—তা হয়তো থাকত না। কোরআন ও হাদিসে আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেজুলুম আরবি শব্দ। জুলুমের অর্থ ব্যাপক এবং অনেক বিস্তৃত। সাধারণত জুলুম অর্থ নির্যাতন, নিপীড়ন। শরিয়তের পরিভাষায় জুলুম বলা হয়—কোনো উপযুক্ত জিনিসকে উপযুক্ত স্থানে না রেখে অনুপযুক্ত স্থানে রাখা। যে জুলুম করে তাকে জালিম বলা হয়। মানুষ বিভিন্ন পদ্ধতিতে একজন অন্যজনের ওপর জুলুম করে।
১ দিন আগে