মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
কোনো সমাজ বা রাষ্ট্রে মানুষ প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধপরায়ণ হলে সেখানে শান্তি, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা ব্যাহত হয়। দূরত্ব ও শত্রুতা বাড়ে। এ জন্য ইসলাম কঠিনভাবে তার নিন্দা করে। কারণ ইসলাম যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায়, প্রতিহিংসার চর্চা তার জন্য বিশাল বাধা।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা অমুসলিমদের উপাস্যদের ব্যাপারে অশালীন মন্তব্য করতে নিষেধ করেছেন। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এতে তারা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে মূর্খতাবশত আল্লাহর ব্যাপারে অশালীন মন্তব্য করে বসবে। (সুরা আনআম: ১০৮) এই হিংসা ও প্রতিহিংসার চর্চা তাদের সত্য থেকে আরও দূরে সরিয়ে নিয়ে যাবে বিধায় আল্লাহ তা নিষেধ করে দিয়েছেন।
একবার কিছু ইহুদি রাসুল (সা.)-এর বাড়িতে গিয়ে তাঁর প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাবের কারণে সালামকে বিকৃত করে বললেন, ‘আসসামু আলাইকুম’, যার অর্থ হলো ‘তোমাদের মৃত্যু হোক’। আয়েশা (রা.) সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিলেন, ‘বরং তোমাদের বিনাশ ও মৃত্যু হোক!’ তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘এভাবে বোলো না আয়েশা, নিশ্চয়ই আল্লাহ কোমল এবং তিনি কোমল স্বভাব পছন্দ করেন।’ (বুখারি ও মুসলিম)
দেখুন, কত উত্তম উপায়ে রাসুল (সা.) হিংসার প্রত্যুত্তরে হিংসার চর্চাকে নিষেধ করে দিয়েছেন। অন্য একটি হাদিসে স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ‘...তোমরা পরস্পর হিংসা ও প্রতিহিংসাপরায়ণ হইয়ো না; বরং প্রত্যেকে আল্লাহর বান্দা ও ভাই ভাই হয়ে থাকবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
কেউ কারও সঙ্গে অন্যায় করলে সীমালঙ্ঘন না করার শর্তে আইনি প্রক্রিয়ায় সমপরিমাণ প্রতিশোধ নেওয়ার অনুমতি দেয় ইসলাম। তবে প্রতিশোধ না নিয়ে ক্ষমা করে দেওয়ার প্রতিই অধিক জোর দেওয়া হয়েছে কোরআন-হাদিসে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মন্দের বদলা অনুরূপ মন্দ। তবে যে ক্ষমা করে দেয় এবং সংশোধনের চেষ্টা করে, তার সওয়াব আল্লাহর জিম্মায়।’ (সুরা শুরা: ৪০)
রাসুল (সা.) এই মহান গুণের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) ব্যক্তিগত বিষয়ে কখনো কারও থেকে প্রতিশোধ নেননি।’ (বুখারি ও মুসলিম) মক্কা বিজয়ের পর তিনি মক্কাবাসীর উদ্দেশে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিলেন, অথচ তারা অমানুষিক নির্যাতন করে তাঁকে নিজ মাতৃভূমি ত্যাগ করতে বাধ্য করেছিল।
লেখক: শিক্ষক ও অনুবাদক
কোনো সমাজ বা রাষ্ট্রে মানুষ প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধপরায়ণ হলে সেখানে শান্তি, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা ব্যাহত হয়। দূরত্ব ও শত্রুতা বাড়ে। এ জন্য ইসলাম কঠিনভাবে তার নিন্দা করে। কারণ ইসলাম যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায়, প্রতিহিংসার চর্চা তার জন্য বিশাল বাধা।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা অমুসলিমদের উপাস্যদের ব্যাপারে অশালীন মন্তব্য করতে নিষেধ করেছেন। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এতে তারা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে মূর্খতাবশত আল্লাহর ব্যাপারে অশালীন মন্তব্য করে বসবে। (সুরা আনআম: ১০৮) এই হিংসা ও প্রতিহিংসার চর্চা তাদের সত্য থেকে আরও দূরে সরিয়ে নিয়ে যাবে বিধায় আল্লাহ তা নিষেধ করে দিয়েছেন।
একবার কিছু ইহুদি রাসুল (সা.)-এর বাড়িতে গিয়ে তাঁর প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাবের কারণে সালামকে বিকৃত করে বললেন, ‘আসসামু আলাইকুম’, যার অর্থ হলো ‘তোমাদের মৃত্যু হোক’। আয়েশা (রা.) সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিলেন, ‘বরং তোমাদের বিনাশ ও মৃত্যু হোক!’ তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘এভাবে বোলো না আয়েশা, নিশ্চয়ই আল্লাহ কোমল এবং তিনি কোমল স্বভাব পছন্দ করেন।’ (বুখারি ও মুসলিম)
দেখুন, কত উত্তম উপায়ে রাসুল (সা.) হিংসার প্রত্যুত্তরে হিংসার চর্চাকে নিষেধ করে দিয়েছেন। অন্য একটি হাদিসে স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ‘...তোমরা পরস্পর হিংসা ও প্রতিহিংসাপরায়ণ হইয়ো না; বরং প্রত্যেকে আল্লাহর বান্দা ও ভাই ভাই হয়ে থাকবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
কেউ কারও সঙ্গে অন্যায় করলে সীমালঙ্ঘন না করার শর্তে আইনি প্রক্রিয়ায় সমপরিমাণ প্রতিশোধ নেওয়ার অনুমতি দেয় ইসলাম। তবে প্রতিশোধ না নিয়ে ক্ষমা করে দেওয়ার প্রতিই অধিক জোর দেওয়া হয়েছে কোরআন-হাদিসে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মন্দের বদলা অনুরূপ মন্দ। তবে যে ক্ষমা করে দেয় এবং সংশোধনের চেষ্টা করে, তার সওয়াব আল্লাহর জিম্মায়।’ (সুরা শুরা: ৪০)
রাসুল (সা.) এই মহান গুণের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) ব্যক্তিগত বিষয়ে কখনো কারও থেকে প্রতিশোধ নেননি।’ (বুখারি ও মুসলিম) মক্কা বিজয়ের পর তিনি মক্কাবাসীর উদ্দেশে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিলেন, অথচ তারা অমানুষিক নির্যাতন করে তাঁকে নিজ মাতৃভূমি ত্যাগ করতে বাধ্য করেছিল।
লেখক: শিক্ষক ও অনুবাদক
কোরআন তিলাওয়াত মোমিনের হৃদয়ের প্রশান্তি ও আত্মার খোরাক। এর প্রতিটি আয়াতে রয়েছে অসীম জ্ঞান, দিকনির্দেশনা ও রহমতের বাণী। কোরআন তিলাওয়াতের মুগ্ধতা অন্তর বিগলিত করে, মনে প্রশান্তি আনে, আত্মা আলোকিত করে। নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত মোমিন জীবনে সার্থকতা এনে দিতে পারে।
১৫ ঘণ্টা আগেমানুষের প্রতি সম্মান একটি মৌলিক মানবিক গুণ, যা সমাজে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির ভিত্তি গড়ে তোলে। প্রত্যেক মানুষ তার মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, এবং একে অপরকে সম্মান করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ধর্ম, বর্ণ, জাতি কিংবা পেশা ভেদে কাউকে ছোট করা মানবতার পরিপন্থী। সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে পারস্পরিক...
২ দিন আগেসপ্তাহের সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমাবার। জুমাবারের গুরুত্ব বোঝাতে আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ এই দিন অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ—এর অন্যতম কারণ জুমার নামাজ। জুমার নামাজ আদায় করলেই কেবল এই দিনের বরকত, ফজিলত লাভের আশা করা যায়।
২ দিন আগেএক অপূর্ব সৌন্দর্যের দেশ ইরান, যার অলিগলি থেকে গুনগুন করে ভেসে আসে ইতিহাসের প্রাচীন সুর। এখানে মিশে আছে সংস্কৃতি, ধর্ম ও জ্ঞানের এক অমলিন কোলাহল। এই ভূমির সাহসী ও বীরত্বের গল্পগুলো ইতিহাসের পাতা আলোকিত করে। রক্তবর্ণে ভেসে ওঠে সোনালি যুগের স্মৃতি।
২ দিন আগে